ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে সৌদি কোম্পানির কার্যক্রম শুরু

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ১২:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে সৌদি কোম্পানির কার্যক্রম শুরু
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে ‘এমভি মার্স্ক ড্যাভাও’ নোঙর করেছে। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে (পিসিটি) কার্যক্রম শুরু করছে সৌদি কোম্পানি রেড সি ‌‌‌‌‌‍‌‌‌‌গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটি)।

সোমবার (১০ জুন) বিকেল তিনটায় পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি মার্স্ক ড্যাভাও’ নোঙর করেছে। এর মধ্য দিয়ে পিসিটির অপারেশন কার্যক্রম শুরু হলো।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলসহ বন্দর, আরএসজিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

জাহাজটি পিসিটি থেকে রপ্তানিপণ্য ও খালি কনটেইনার নিয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) সৌদি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের আরএসজিটি ব্যবস্থাপনায় পুরোদমে চালু হয়েছে। কোনো বিদেশি অপারেটরের অধীনে চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অপারেশন এটিই প্রথম। 

নিজস্ব ক্রেনযুক্ত ফিডার জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং থেকে আরএসজিটির চট্টগ্রাম টার্মিনালে প্রায় ৮শ টিইইউস রপ্তানিপণ্য ও খালি কনটেইনার লোড-আনলোড করে ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দরে যাওয়ার কথা রয়েছে।  

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, প্রথমবারের মতো বিদেশি অপারেটর দ্বারা দেশের বন্দরের টার্মিনাল পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় জাহাজও ভিড়েছে। এ মুহূর্তটি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এতে দেশের অর্থনীতির আকার অনেকগুণ বড় হবে। বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরটি আরও সমৃদ্ধ হলো। 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, মার্স্ক লাইনের কনটেইটার জাহাজটি পিসিটিতে ভিড়েছে। এখন থেকে রেড সি গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু। ইতোমধ্যে জাহাজ ও টার্মিনাল হ্যান্ডলিংয়ের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি।

এর আগে গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রেড সি গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় আটটি শর্ত জুড়ে দিয়ে কার্যক্রম চালু করার সাময়িক অনুমতি দিয়েছে এনবিআর। চুক্তির আওতায় রেড সি গেটওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড উক্ত টার্মিনালে বার্থিং নেওয়া জাহাজ থেকে লোডিং, আনলোডিং, ট্রান্সপোর্টিং, হ্যান্ডলিং, ইন্টারন্যাশনাল মুভমেন্ট, কনটেইনার খালাস ও ডেলিভারি, শেড ও ওয়্যারহাউজ থেকে পণ্য স্টাফিং এবং আনস্টাফিংসহ সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
 
আবদুস  সাত্তার/জোবাইদা/অমিয়/

জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ
খবরের কাগজ গ্রাফিক্স

অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করেছে সাড়ে ৫ শতাংশ। 

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার ( ২ জুন) বিটিভিতে দেওয়া বাজেট বক্তব্যে এ তথ্য জানান। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই প্রাক্কলন করা হয়েছে। 

চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এটি ছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। কিন্তু বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি জানিয়েছে প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। কৃষি খাতে কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। সেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। 

চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমবে, এমন পূর্বাভাস আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আগেই দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পূর্বাভাস হলো ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আরেক দাতাসংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকও (এডিবি) বলেছে, বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। অবশেষে বিবিএস প্রকাশ করল ৪ শতাংশে নিচের প্রবৃদ্ধির কথা। সাধারণত প্রতি অর্থবছরই ৯ মাসের প্রকৃত তথ্য ও তিন মাসের সাময়িক তথ্য নিয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রকাশ করা হয়। 

ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিক্রিয়া বাজেটে বিনিয়োগ চাঙ্গা করার মতো কিছু নেই

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
বাজেটে বিনিয়োগ চাঙ্গা করার মতো কিছু নেই
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু খবরের কাগজকে বলেছেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ চাঙ্গা করার মতো বাজেটে কিছু নেই। এটা গতানুগতিক, আগের মতোই বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। গ্যাসের অভাবে শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সে ব্যাপারে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেওয়ার টার্গেট ধরেছে। তাহলে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা কীভাবে ব্যবসা করবেন? মানুষের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটা আরও বাড়ানো দরকার। ৪ লাখ টাকা করলে ভালো হয়। 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের প্রাথমিক বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সোমবার (২ জুন) ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম করের সমন্বয়, করজাল সম্প্রসারণ এবং অটোমেটেড রিটার্ন ব্যবস্থা চালু ইতিবাচক পদক্ষেপ। তা সত্ত্বেও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, সহজে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফলে সার্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ততটা সহায়ক নয়। অনেক ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের অনুপস্থিতির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যিক কার্যক্রম বেশ চাপের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশ বড়, যা অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্যক্তিপর্যায়ের করের সীমা অপরিবর্তিত রাখা এবং স্ল্যাব উঠিয়ে নেওয়ায় মধ্যবিত্ত ও বিশেষ করে চাকরিজীবীদের করের বোঝা আগামী অর্থবছর হতে আরও বেশি বহন করতে হবে। বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান উদ্যোগ দেখা যায়নি।’

করের চাপ নির্ভর করছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর: আবু আহমেদ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
করের চাপ নির্ভর করছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর: আবু আহমেদ
আবু আহমেদ

সাধারণ মানুষের ওপর করের চাপ কতটা পড়বে, এটা নির্ভর করছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর। বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ভালো। কিন্তু বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঘাটতি থাকলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ মুশকিল হবে। আবার বিনিয়োগ কম হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। 

সোমবার (২ জুন) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ খবরের কাগজকে এসব কথা বলেন। 

আবু আহমেদ বলেন, অর্থনীতি সংস্কারের দিকে যাচ্ছে। ফলে কর সংগ্রহ কমেছে, কারণ জিডিপিতে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি পূরণের বড় অঙ্ক ব্যয় হচ্ছে সুদ বাবদ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। তবে মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ ঘাটতি, এটা মেনে নেওয়া যায়। 

কার্যকর নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হলে একটা আশা রয়েছে। কিন্তু আগের মতো বিশৃঙ্খল নির্বাচন হলে হতাশা বাড়বে।

আইসিবির চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য ভালো সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির কর ব্যবধান সাড়ে ৭ শতাংশ করেছে, এটা ১০ শতাংশ হলে ভালো হতো। দেশি-বিদেশি লাভজনক ও নামিদামি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এ ছাড়া ব্রোকারেজ হাউসের লেনদেনের ওপর ধার্য করা কর কমানো এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের করপোরেট করহার হ্রাস, এগুলো অবশ্যই পুঁজিবাজারবান্ধব প্রস্তাব। 

তিনি বলেন, বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণের বিকল্প নেই। কারণ সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বেশি নিলে সরকারের চাপ বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি সরবরাহ ঘাটতির কারণে হচ্ছে বলে আমি মনে করি। ফলে সুদহার বাড়িয়ে, মুদ্রানীতি সংকোচন করে, টাকার প্রবাহ বাজার কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, এতে অর্থনীতির আরও ক্ষতি হবে বলে মনে করেন আবু আহমেদ। 

আমি মনে করি, সুদহার কমলে ও ইনভেস্টমেন্ট বাড়লে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে। ফলে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। তখন ঘাটতি বাজেটও কমে যাবে।

বাস আমদানিতে শুল্ক হ্রাস, বাজেটকে স্বাগত বারভিডার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:১২ পিএম
বাস আমদানিতে শুল্ক হ্রাস, বাজেটকে স্বাগত বারভিডার
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত ১৬-৪০ আসনবিশিষ্ট পাবলিক বাসের আমদানি শুল্ক হ্রাস করায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বারভিডা তাদের বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক-করহার পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বারভিডা কার্যালয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ-পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের নেতারা এসব মতামত ও দাবি জানান।

বারভিডার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনের নেতারা বলেছেন, দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কর ছাড়সহ যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। তারা বলেন, কৃষি খাতে প্রণোদনার পাশাপাশি কৃষিযন্ত্র আমদানিতে অগ্রিম কর এবং উৎপাদনে ভ্যাট তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক টার্নওভার ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে প্রস্তাবিত বাজেটের সঠিক বাস্তবায়নে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান এবং কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনায় সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষ জরুরি বলে বারভিডা জানিয়েছে। পাশাপাশি বাজেট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষতা এবং যথাযথ মনিটরিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

বারভিডার নেতারা উল্লেখ করেন যে, উন্নয়নশীল দেশে গ্র্যাজুয়েশনের এই তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং দেশে নতুন গাড়ির শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাস্তবায়নে গাড়ির বাজার সম্প্রসারণ প্রয়োজন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) মতে, গাড়ির অভ্যন্তরীণ বাজার ১ লাখ ইউনিট হলেই দেশে নতুন গাড়ির শিল্প প্রতিষ্ঠা যুক্তিযুক্ত হবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এলে বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয়ও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

বারভিডার প্রেসিডেন্ট আবদুল হক বলেন, দেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিপুল ব্যয় পরিচালনা এবং দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বারভিডা যথাযথ রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে সরকারের পাশে থেকে অবদান রেখে যেতে চায়। 

অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক ছাড়াও সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান, সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ মো. সাইফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ ফরিদ আহামেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ জগলুল হোসেন, ট্রেজারার মো. সাইফুল আলম, জয়েন্ট ট্রেজারার হাফিজ আল আসাদ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জোবায়ের রহমান, পাবলিকেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মো. আব্দুল আউয়াল, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি এস এম মনসুরুল কবির (লিংকন), কালচারাল সেক্রেটারি মো. গোলাম রব্বানি (শান্ত) উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের কার্যনিবাহী সদস্য এ বি সিদ্দিক (আবু), আখতার হোসেন মজুমদার, পুনম শারমিন ঝিলমিল, মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া এবং দিবাকর বড়ুয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাজেটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে ১০৭ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
বাজেটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে ১০৭ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ১০৭ কোটি টাকা বেশি।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট রাখা হয় ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য পরিচালন ব্যয় বাবদ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা ও উন্নয়ন ব্যয় বাবদ ১২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ১ হাজার ৪২৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয় ১৭২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। 

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বেশ কিছু প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টার বিদেশ সফর এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বাংলাদেশে সফর ও আপ্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।