ঢাকা ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ‘জেড’ শ্রেণির শেয়ারের ক্রমাগত দরপতন

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ০১:১০ পিএম
ঘন ঘন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে ‘জেড’ শ্রেণির শেয়ারের ক্রমাগত দরপতন
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সম্প্রতি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনকৃত কোম্পানিগুলোর মধ্যে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার হিসেবে পরিচিত ‘জেড’ শ্রেণির কোম্পানিগুলোর শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমেছে। 

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) চলতি অর্থবছরের জন্য নতুন বিনিয়োগ নীতি ঘোষণা করেছে। নতুন বিনিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে দুর্বল মৌলভিত্তির ‘জেড’ শ্রেণির শেয়ার না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি লোকসানে আর কোনো শেয়ার বিক্রি করবে না, এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানটির এই খবরে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ‘জেড’ শ্রেণির শেয়ারে বড় পতন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ‘জেড’ শ্রেণির ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৪৪টিরই দাম কমেছে, বেড়েছে মাত্র ৬টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির এবং লেনদেন হয়নি ২টির।

বৃহস্পতিবারের ধারাবাহিকতায় বজায় রেখে রবিবারও (১৪ জুলাই) ‘জেড’ শ্রেণির ৪২টি কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হয়। এদিন ‘জেড’ শ্রেণির কোম্পানির মাত্র ৯টি কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ে এবং  অপরিবর্তিত থাকে ৩ কোম্পানির শেয়ারদর। গতকাল ডিএসইতে জেড শ্রেণির ৫৪ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২-৩ বছর যাবত আইসিবির বিনিয়োগ তলানিতে নেমে গেছে। তারপরেও পুঁজিবাজারের লেনদেনের ক্ষেত্রে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের উত্থান পতনে ভূমিকা রাখে। 

এ বিষয়ে  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক সদস্য খবরের কাগজকে বলেন, ‘আইসিবি একসময় দেশের  পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী ছিল। এখন নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি তার অবস্থান হারিয়েছে। তবে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ করলে প্রতিষ্ঠানটি তার হারানো অবস্থান ফিরে পেতে পারে।’ প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারে প্রভাব রাখেও বলে জানান তিনি। 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইসিবি ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার কিনবে না-এমন খবরে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ারের ঢালাও পতন হয়েছে। এর পেছনে কেবল বিনিয়োগকারীদের মনস্তাত্বিক কারণ নিহিত।

শহিদুল ইসলাম নামের এক বিনিয়োগকারী খবরের কাগজকে বলেন, বারবার  ‘জেড’শ্রেণির শেয়ার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের নতুন নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমার কাছে ‘জেড’ শ্রেণির ৪টি কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। আমি যখন বিনিয়োগ করেছিলাম তখন এ কোম্পানিগুলো ভালো শ্রেণির শেয়ার ছিল। কিন্তু বিএসইসি, ডিএসই এবং সর্বশেষ আইসিবির সিদ্ধান্তের ফলে প্রতিদিন পুঁজি হারাচ্ছি।

জেড শ্রেণির শেয়ার  নিয়ে নানা নির্দেশনা: চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে পরপর ২ বছর যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ দেয়নি এমন কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। 

বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর লভ্যাংশ ঘোষণায় ব্যর্থ হলে তাকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। একই সঙ্গে টানা দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করতে ব্যর্থ হলেও কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। তবে এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনো রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোনো আইনি প্রক্রিয়া থাকে তাহলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছরের জন্য বিবেচনা করা হবে।

এ ছাড়া উৎপাদনহীন কোম্পানি নিয়েও কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এখন থেকে কোনো কোম্পানি টানা ৬ মাস তার কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকলে বা উৎপাদন বন্ধ রাখলে সেটিকেও ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি কোনো কোম্পানির টানা দুই বছর ক্যাশ ফ্লো বা নগদ প্রবাহ  নেতিবাচক আসলে এবং পরিশোধিত মূলধনের থেকে ঋণ বেশি হলে তাকেও স্থান দেওয়া হবে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোনো কোম্পানি সিকিউরিটিজ আইন, বিধি-বিধান, বিজ্ঞপ্তি, আদেশ কিংবা নির্দেশাবলী পালনে ব্যর্থ হলে বা অসম্মতি জানালে সেটিকেও কমিশনের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ‘জেড’ শ্রেণিতে স্থানান্তর করা হবে।

বিএসইসির এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি  তালিকাভুক্ত ২২ কোম্পানির শেয়ারকে আগের ‘এ’ বা ‘বি’ শ্রেণি থেকে অবনমন করে ‘জেড’ শ্রেণিতে নিয়ে যায়। 

তবে লভ্যাংশ ইস্যুতে কোনো কোম্পানিকে তখনই ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করার অনুমতি দেয়নি বিএসইসি।

ডিএসইর এ সিদ্ধান্তের ফলে তখন দেশের পুঁজিবাজারে বড় পতন হয়। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে  বিএসইসির পক্ষ থেকে তখন  বলা হয়, এখন থেকে আর কোনো কোম্পানি জেড শ্রেণিভুক্ত হবে না। তারপরেও চলতি বছরের মার্চ মাসে ডিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে আরও ৬টি কোম্পানিকে নতুন করে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করে।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে ‘এ’ বা ‘বি’শ্রেণি থেকে হঠাৎ করে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করার ফলে এ কোম্পানিগুলোর শেয়ার তখন  মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা যায় নাই। আইন অনুযায়ী ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত শেয়ার মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা যায় না। ফলে পুঁজিবাজারে পতন ঘটে। কারণ যে প্রতিষ্ঠানগুলো এই কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনার জন্য মার্জিন ঋণ দিয়েছিল তারা ফোর্স সেল করে তাদের বিনিয়োগ উঠিয়ে নেয়। এবং বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

চলতি বছরের মে মাসে  পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের বিষয়ে আবার বেশ কিছু শর্ত দিয়ে নতুন নির্দেশনা  জারি করে বিএসইসি। 

বিএসইসির জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়, শর্তগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি শর্ত লঙ্ঘন করলে  ডিএসই ও সিএসই ওই কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে।

বিএসইসির নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানি শেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ থেকে বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে পরপর দুই বছরের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।

এর পাশাপাশি আইন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে কোনো রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোনো আইনি প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে অর্থাৎ উপ-বিচারের বিষয় বা জোরপূর্বক ঘটনা ঘটলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছর সময় পর্যন্ত বিবেচনা করা যেতে পারে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংস্কার বা বিএমআরই (ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন এবং সম্প্রসারণ) এর জন্য এই ধরনের কোনো সময় ব্যতীত ন্যূনতম ছয় মাস ধরে একটানা উৎপাদনে না থাকলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।

এ ছাড়া পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছাড়িয়ে গেলে ওই কোম্পানিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা যাবে।

এ ছাড়া কোনো কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত বা অনুমোদিত ডিভিডেন্ডের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ পরিশোধ বা বিতরণ করতে ব্যর্থ হলে স্টক এক্সচেঞ্জ তা ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারে।

ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ছাড়া ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত অন্য কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের শেয়ার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

ঈদের আগে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১০:০২ পিএম
ঈদের আগে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতরের ঠিক আগ মুহুর্তে দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে দুই হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এব লাখ ৪০ হাজার ৯৯৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৬ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এর আগে গত ২১ মে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। তখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এব লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

অমিয়/

চুয়াডাঙ্গায় পশুরহাট শেষ মুহূর্তে জমজমাট, হাজার কোটি বিক্রির সম্ভাবনা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় পশুরহাট শেষ মুহূর্তে জমজমাট, হাজার কোটি বিক্রির সম্ভাবনা
ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গার ছোট-বড় আটটি কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটায় হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড়, দর কষাকষি আর পশু বাছাইয়ের ব্যস্ত জেলার মানুষ। এই ঈদুল আজহা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় পশু বেচাকেনায় এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় দুই লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়ে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করা গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। জেলার প্রয়োজন আনুমানিক এক লাখ ২৫ হাজার পশু। ফলে প্রায় ৭৫ হাজার পশু উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হবে।

বর্তমানে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার গরু, ১৪৫টি মহিষ, দেড় লাখ ছাগল এবং প্রায় চার হাজার ভেড়া রয়েছে। বড় গরুর চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও মাঝারি গরু এবং ছাগলের বিক্রি বেশ ভালো। মাঝারি আকারের গরু বিক্রি করে অনেকে ভালো লাভও করছেন।

আলমডাঙ্গা পশুরহাট চুয়াডাঙ্গার সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক হাট, যেখানে সবচেয়ে বেশি পশু কেনাবেচা হয়। এছাড়া ডুগডুগি, শিয়ালমারি, গোকুলখালি, নয়মাইল ভূলটিয়া-সহ জেলার অন্যান্য হাটগুলোতেও জমজমাট বেচাকেনা চলছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি পশুহাট পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা। তারা হাটের অবকাঠামো, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি ও শৌচাগার, যান চলাচলের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জাল নোট শনাক্তকরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারাও, যারা হাটজুড়ে নজরদারি এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করছেন।

হাটে বিক্রেতা কালাম আলী বলেন, বড় গরুর ক্রেতা নেই বললেই চলে। একটা গরু বড় করতে প্রচুর খরচ লাগে, কিন্তু হাটে দাম ওঠে না। এতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।

ছাগল ক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, গতবারের তুলনায় এবার ছাগলের দাম কিছুটা কম। পাশাপাশি পশুও অনেক বেশি এসেছে। দেখে-শুনে দামাদামি করে একটা ছাগল কিনব ভাবছি।

ছাগল বিক্রেতা হাসিবুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা ছাগল নিয়ে এসেছি। হাটে ভালোই ভিড়, ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দেব।

গরু বিক্রেতা সুমন হোসেন কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বড় গরু লালন-পালন করতে অনেক খরচ হয়। কিন্তু হাটে তেমন চাহিদা নেই। মাঝারি গরুরই বেশি বিক্রি হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. শামীমুজ্জামান বলেন, জেলাজুড়ে ছোট বড় মিলিয়ে আটটি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। আমাদের টিম প্রত্যেক হাটে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা, নিরাপদ কেনাবেচা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের পরামর্শ দিতেও আমরা প্রস্তুত। এবারের মৌসুমে আমরা এক হাজার কোটি টাকার পশু বাণিজ্য আশা করছি।

মিজানুর রহমান/অমিয়/

নতুন বাজেট অনুমোদন ২২ জুন: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
নতুন বাজেট অনুমোদন ২২ জুন: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ২২ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর মতামত দেওয়া যাবে ১৯ জুন পর্যন্ত।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মতামত দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়ত তা আসতে থাকবে। এক দিনে তো আর সব মতামত আসবে না।’

সাধারণত ২৯ জুন অর্থবিল পাস হয় এবং তার পরের দিন নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। এবার যেহেতু সংসদ নেই। তাই রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আগেভাগেই বাজেট পাস করা হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র মানুষের জন্য সুখবর দেখা যাচ্ছে না বলে অনেকেই অভিমত দিয়েছেন। এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সুখবর আছে। বাজেটের কোথায় কোথায় পরিবর্তন হয়েছে, তা দেখুন।’ এ বাজেট সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফেরাবে বলেও মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা।

বৈঠকে পুলিশের জন্য গাড়ি কেনাসহ সার, এলএনজি ইত্যাদি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি স্থবির হওয়ার সুযোগ নেই, ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলে দিয়েছে, কোন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে লেনদেনের সমস্যা হবে না।

বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও বেশি ছুটি থাকে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বড়দিনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ২০ থেকে ২৫ দিন ছুটি থাকে। নেপালে দুর্গাপূজার সময় ৩০ দিন ছুটি থাকে।

যমুনা সেতুতে একদিনে টোল আদায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
যমুনা সেতুতে একদিনে টোল আদায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা
ছবি: খবরের কাগজ

যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ এবং এর বিপরীত ৩৩ হাজার ৫৬৪ যানবাহন পারাপার হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন ) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার (২ জুন) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৬৫৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ টাকা। অপরদিকে ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১  হাজার ৫০ টাকা।

নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উপর কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেই জন্য দুইটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় আছে।সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে।মানুষ যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে,নেই যানজট।এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ মহাসড়কে সার্বক্ষণিক রাত-দিন কাজ করছে। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

জুয়েল/মেহেদী/

২০২৫-২৬ বাজেট জীবনমান উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:২১ পিএম
জীবনমান উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি বাজেট দিতে পেরেছি যা জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবে।’

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘অনেকে বলছেন আমরা আগের ধারা অনুসরণ করেছি। হুট করেই বিপ্লব ঘটানো সম্ভব নয়। তবে একেবারেই ইনোভেশন নেই, সেটাও ঠিক নয়। বাজেট এখনো চূড়ান্ত নয়, এটি উন্মুক্ত থাকবে-সাজেশন নেব, তারপর ফাইনাল হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতিকূল অবস্থায় সবার সহযোগিতা চাই। কোলাবোরেটিভ ও সহানুভূতিশীল মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই-চ্যালেঞ্জের মাঝেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সামনের পথ কঠিন। তবে আমরা এনবিআরকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি বিদেশি ঋণ আনার বিষয়েও ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সড়ক ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য ও শিল্প উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

এমএ/