ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গোপালগঞ্জে কন্দাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
গোপালগঞ্জে কন্দাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কন্দাল গাছ। ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে কন্দাল জাতীয় ফসল চাষাবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। চলতি বছর সদর উপজেলায় প্রায় ২০৬ হেক্টর জমিতে এসব ফসলের আবাদ হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব ফসল চাষে কীটনাশক ব্যবহার হয় না। এ ছাড়া এসবে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিনের উপাদান রয়েছে। খাবার হিসেবে ফসলগুলো মানবদেহের জন্য অন্তত নিরাপদ। কন্দাল জাতীয় ফসলগুলোর মধ্যে রয়েছে, গোল আলু, মিষ্টি আলু, পানিকচু, লতিকচু, ওলকচু, মুখিকচু ও গাছ আলু। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজ আক্তার বলেন, ‘২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সদর উপজেলায় ৯০ হেক্টরে গোলা আলু, ১১ হেক্টরে মিষ্টি আলু, ৯২ হেক্টরে পানিকচু ও লতিকচু, দুই হেক্টরে মাদ্রাজি ওলকচু, ৮ হেক্টরে বিলাসী মুখিকচু, তিন হেক্টরে স্থানীয় জাতের গাছ আলুর আবাদ হয়েছে। সব মিলিয়ে এই উপজেলায় মোট ২০৬ হেক্টর জমিতে এসব ফসলের আবাদ হয়ছে।’

গোল আলু হেক্টরে ২২ দশমিক ৬৯ টন ফলন হয়েছে। ৯০ হেক্টরে এই আলু ২ হাজার ৪২ টন ১০ কেজি ফলন দিয়েছিল। ১ হেক্টরে উৎপাদিত আলু বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ টাকা। আলু উৎপাদনে হেক্টরপ্রতি ৩ লাখ ৩ হাজার ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে। এতে কৃষকের প্রতি হেক্টরে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মিষ্টি আলু প্রতি হেক্টরে ২৯ টন ৭৫ কেজি ফলেছে। ওই হিসাবে ১১ হেক্টরে ৩২৭ টন ২৫ কেজি মিষ্টি আলু ফলন হয়েছে। যার মূল্য ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা। চাষে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা। কৃষকের ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। পানিকচু ও লতিকচু হেক্টরে ৪২ টন ২৫ কেজি ফলন হয়েছে। ৯২ হেক্টরে ৩ হাজার ৮৮৭ টন কচু উৎপাদন হয়েছে। বিক্রি হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ টাকা। উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ৮ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ টাকা। লাভ হয়েছে ২ লাখ টাকা। ওলকচু প্রতি হেক্টরে ৩৫ টন ২ কেজি ফলন হয়েছে। ২ হেক্টরে ওলকচু ফলেছে ৭০ টন ৪০ কেজি। ১ হেক্টরে উৎপাদিত ওলকচু বিক্রি হয়েছে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। খরচ হয়েছে ৯ লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা। কৃষক লাভ করেছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। মুখিকচু হেক্টরে ২২ টন ফলন হয়েছে। ৮ হেক্টরে কচু ফলেছে ১৭৬ টন। প্রতি হেক্টর চাষে ব্যয় হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। খরচ বাদে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গাছ আলু প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ২০ টন। ৩ হেক্টরে ৬০ টন ফলন হয়েছে। ১ হেক্টরে উৎপাদিত আলু ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। এতে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাকিম বলেন, ‘কন্দাল জাতীয় ফসল আবাদে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার খুবই কম। যেকোনো ফসলের তুলনায় কন্দাল ফসল চাষে বেশি লাভ হয়।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজ আক্তার বলেন, ‘কন্দাল জাতীয় ফসলে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন উপাদান রয়েছে। এসব চাষে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। কন্দাল ফসল মানবদেহের জন্য নিরাপদ। এতে উৎপাদন খরচ কম, কিন্তু লাভ বেশি হয়। এ কারণে প্রতিবছর সদর উপজেলায় এ জাতীয় ফসলের আবাদ বাড়ছে। এতে কৃষক অনেক টাকা আয় করছেন।’

বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি
বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক

বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। টাকায় এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক দেবে ৭৫০ মিলিয়ন বা ৭৫ কোটি ডলার এবং এডিবি দিচ্ছে ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি ডলার।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি প্রতিনিধিদলের পৃথক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা জানিয়েছেন। এদিন সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও গভর্নরের অপর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরবর্তী পটভূমিতে ব্যাংকিং খাতের আমূল সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগকে আর্থিক সহায়তা দিতেই রবিবার এসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। কী পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন, তা নিরূপণ করতেই অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারমূলক ইস্যুগুলো আমলে নিয়েই বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা তাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বব্যাংকের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আঞ্চলিক পরিচালক ম্যাথু এ ভার্গিস, কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে শেকসহ অন্যরা। এ ছাড়া এডিবি দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক তাকিও কোনিশির নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন একটি প্রতিনিধিদল গভর্নরের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে যোগ দেয়।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ঘোষণা দেন যে ব্যাংক খাতের সংস্কারে টাস্কফোর্স হচ্ছে। এ সংস্কার কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা দেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষ্যে সংস্থা তিনটির কাছে ঋণ চাওয়া হলে তারা সম্মতি দেন বলে গভর্নর জানিয়েছিলেন। 

গভর্নর বলেছিলেন, অত্যধিক খেলাপি ঋণের ভার ও তারল্যসংকটে জর্জরিত ব্যাংক খাতের সংস্কার করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সংস্কারে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ পাওয়া গেলে তা ডলারের সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে রিজার্ভকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। ঋণ দিতে ওই তিন উন্নয়ন অংশীদারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর এখন চাহিদাপত্র ও ঋণের উপখাত সৃজন নিয়ে কাজ চলছে। কী পরিমাণ ঋণ চাওয়া হবে এবং সুদহার কত হবে তার বিস্তারিত থাকবে ওই চাহিদাপত্রে। এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। মূলত ওই চাহিদাপত্রের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত আসবে আইএমএফ, এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে। এ প্রেক্ষাপটেই বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈঠক করেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংক খাত সংস্কারের পাশাপাশি এ ঋণ সহায়তা বাংলাদেশ ব্যাংকের আধুনিকায়ন এবং সক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও ব্যয় করা হবে। এ ঋণ থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে মূলধন সহায়তা দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। এ ঋণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। ঋণ সহায়তা মিলতে পারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকেও।

এদিকে দুই বছর ধরেই ডলারসংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। এর প্রভাবে বিনিময় হারে অস্থিরতা তৈরি হয় এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয় প্রায় ৩৫ শতাংশ। এ সংকট কাটাতে গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বিগত সরকার। এই ঋণ চলমান রয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পৃথক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ব্যাংক খাতের বিদ্যমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে খেলাপি ঋণ, অর্থ পাচার, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে মার্কিন সহযোগিতা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া ব্যাংক খাতের সংস্কার পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

এ সময় মার্কিন প্রতিনিধিদলের প্রধান ইউএস ট্রেজারির আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের কাছে বাংলাদেশের সংস্কারে আর্থিক সহায়তা চান গভর্নর। তবে মার্কিন প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি আসেনি বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়তা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়তা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাত সঠিক অর্থনৈতিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করতে পারে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সম্পর্কিত আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ কথা জানায়। দূতাবাস আরও বলেছে, জ্বালানি নিরাপত্তা, ডেটা সেন্টার থেকে পরিবহন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতির নানান ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যবসা-বাণিজ্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। খবর বাসসের।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান, পরিচালক জেরোড ম্যাসন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (অন্তর্বর্তীকালীন) হেলেন লাফেভ, রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক কাউন্সেলর এরিক গিলান এবং যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (এমচ্যাম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, মেটলাইফ ইন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলা উদ্দিন আহমেদ, কান্ট্রি ম্যানেজার মাস্টারকার্ড সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং জিইয়ের কান্ট্রি ম্যানেজার নওশাদ আলী।

এর আগে সকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করতে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যান ঢাকায় আসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম তাকে স্বাগত জানান।

বালাইনাশক শিল্পে সিন্ডিকেট শর্তের কারণে সংকটে দেশীয় উৎপাদনকারীরা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ পিএম
শর্তের কারণে সংকটে দেশীয় উৎপাদনকারীরা
দেশে কৃষি খাতে বালাইনাশকের বাজার প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার। তবে শর্তের কারণে সংকটে রয়েছে কৃষিভিত্তিক দেশীয় এ শিল্প। ছবি: সংগৃহীত

দেশে কৃষি খাতে চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বালাইনাশক আমদানিনির্ভর। বাকি ১০ ভাগের কাঁচামাল আমদানি করে বাংলাদেশে উৎপাদন করা হলেও একটি শর্তের কারণে সংকটে রয়েছে কৃষিভিত্তিক দেশীয় এ শিল্প। 

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশে কৃষি খাতে বালাইনাশকের বাজার প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে অধিকাংশই আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে হয়। এ কারণে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। তবে যেসব দেশীয় কোম্পানি বালাইনাশকের আমদানি নির্ভরতা কমাতে কাজ করছে, তাদের শর্ত দিয়ে আটকে ফেলা হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বছরের পর বছর ধরে সুবিধা দিতে আমদানি উৎসাহিত করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। 

জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রায় ৭৫০টির মতো বালাইনাশক কোম্পানিকে আমদানির জন্য প্রায় ১২,০০০ ব্র্যান্ড অনুমোদন দিয়ে রেখেছে। এই অনুমোদন প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ ও সময় সাপেক্ষ। বালাইনাশকগুলোর রাসায়নিক পরীক্ষা ও ফসল-সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে সন্তোষজনক মাঠ পরীক্ষার মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হয়। 

একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডকে একটি নির্দিষ্ট সোর্স কোম্পানি হতে আমদানির জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়, যা ওই বালাইনাশকের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা থাকে। মূলত এই কোম্পানিগুলো (সোর্স কোম্পানি) চায়না ও ভারতের। বালাইনাশক আইন আনুযায়ী অনুমোদিত এসব সোর্স ছাড়া অন্য কোনো সোর্স থেকে আমদানি করা হলে তা হবে অবৈধ। 

বালাইনাশক শিল্পের আমদানি তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, আনুমানিক সাড়ে ৭ হাজার দেশীয় কোম্পানির মধ্যে বেশির ভাগ কোম্পানি রেজিস্টার্ড সোর্স ব্যতীত অন্য অনুমোদনহীন কোম্পানি থেকে বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত পণ্য আমদানি করে আসছে। যদিও সরকারকে নির্দিষ্ট ফি (২৩০০০ টাকা প্রতিটি চালানে) জমা দিয়ে সোর্স পরিবর্তনের জন্য সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা তা করছেন না।  

একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেট এই নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, অবৈধ সোর্স থেকে বালাইনাশক আমদানি করে প্রান্তিক ও কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করছে। এতে করে, একদিকে যেমন সরকার একটি বড় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে এই নিম্নমানের বালাইনাশক ব্যবহার করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। 

গত জুলাই মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নজরদারি জোরদার করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অনুমোদনহীন সোর্স থেকে আমদানি করা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বালাইনাশক আটক করে। পরবর্তী সময়ে কৃষি উৎপাদন ও সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য এসব পণ্য একটি প্যানাল্টি ও মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বেশ কিছু কোম্পানি অসাধু ব্যক্তি ব্যবসায়িক মুনাফা অর্জনের জন্য বছরের পর বছর ধরে নিম্নমানের বালাইনাশক আমদানি করে আসছেন। বালাইনাশক শিল্পে সোর্স উন্মুক্ত করার দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চলছে। কিন্তু এই অসাধু সিন্ডিকেট সোর্স উন্মুক্ত করার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সংকটে ফেলেছে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে। সেই সঙ্গে বেশি লাভের জন্য তারা অবৈধ সোর্স থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালাইনাশক আমদানি করে আসছে। 

এই অবৈধ সোর্স থেকে আমদানি করা পণ্য কখনো কখনো এতই নিম্নমানের হয় যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্যকরী উপাদান (অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট) থাকার কথা থাকলেও তা থাকে প্রায় শূন্য। অর্থাৎ, বেশি লাভের জন্য একদিকে যেমন রাষ্ট্র বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে, অপরদিকে তেমনি ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। 

জানা গেছে, গত বছরের (২০২৩) আমদানিতে রেজিস্টার্ড ব্র্যান্ড- প্রাইমেট ৫জি (রেজি এপি- ৬৬৮০), মানিক ২০ এসপি (রেজি এপি-২০৫৭), সুরেট ২০ ইসি (রেজি এপি- ৬২২), কোঠান ৫০ ডাব্লিউ জি (রেজি এপি- ৪৯১৬), মিমট্যাপ ৫০ এসপি (রেজি এপি- ৭৭০), আশাজেব ৮০ ডাব্লিউ পি (রেজি এপি- ১৫৯৪), আশামিল ৭২ ডাব্লিউ পি (রেজি এপি- ১০৩০), ফোরেক্স ১৮ ডাব্লিউ পি (রেজি এপি- ৩৯৬৫), আরোক্সন ২০ এস এল (রেজি এপি- ২৯৫৫)– এই ৯টি পণ্য মোট ২৮টি এলসির মাধ্যমে অননুমোদিত সোর্স থেকে আমদানি করা হয়। এই ধরনের পণ্য ব্যবহার করে ঝিনাইদহের এক কৃষক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বাণিজ্যিক লিচু উৎপাদনকারী। সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ইতোমধ্যে ওই কৃষককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছে।

পতনের বাজারে ন্যাশনাল টির চমক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ এএম
পতনের বাজারে ন্যাশনাল টির চমক
ছবি : সংগৃহীত

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে তার আড়াই গুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০৭টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।

এমন পতনের বাজারে বিপরীত চিত্রে ছিল কিছু প্রতিষ্ঠান। দাম কমার বদলে গত সপ্তাহজুড়ে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। এ দাম বাড়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে ন্যাশনাল টি। বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার পছন্দের শীর্ষে চলে আসে। এতে সপ্তাহজুড়েই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে।

গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৫২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৬৬ টাকা ৬০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সপ্তাহের শুরুতে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩২০ টাকা ৩০ পয়সা, যা সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে ৪৮৬ টাকা ৯০ পয়সায়।

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি লোকসানে নিমজ্জিত হওয়ায় সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তার আগে ২০২২ সালে কোম্পানিটি সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এ ছাড়া ২০২১ সালে ১০ শতাংশ, ২০২০ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এদিকে সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ৬ মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ১০৪ টাকা ১০ পয়সা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪৬ টাকা ২ পয়সা লোকসান হয়। অর্থাৎ চলমান হিসাববছরে কোম্পানিটির লোকসানের পাল্লা-ভারী হয়েছে।

লোকসানে নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এ দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছে ডিএসই কর্তৃপক্ষও। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে ডিএসই থেকে বার্তাও প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ করা হয়। জবাবে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- সম্প্রতি শেয়ারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে, তার পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদশীল তথ্য নেই।

১৯৭৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ৬৬ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আছে ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার। সরকারের কাছে আছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার আছে।

ন্যাশনাল টির পরেই গত সপ্তাহে দাম বাড়ার তালিকায় ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশ। ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- জুট স্পিনিংয়ের ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনের ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, লিব্রা ইনফিউশনের ২১ দশমিক ২২ শতাংশ, বিকন ফার্মার ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, মিরাকেল্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বেক্সিমকো সুকুকর ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ এবং বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলসের ১৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।

ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৮৯৮ কোটি টাকা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ এএম
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ল ৮৯৮ কোটি টাকা

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ১৩ শতাংশ বা ৮৯৮ কোটি টাকা।

গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে ডিএসইর দুটি সূচক। চলতি সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ০৪ শতাংশ। এ ছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৩ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ১৬ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ৭৭২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

এদিকে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ১৫৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৭৯৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৭টি কোম্পানির, কমেছে ২৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত বৃহস্পতিবার চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমায় ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। তবে আগের দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার লেনদেন বেড়েছে। অন্যদিকে দেশের অপর পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পতনের ধারা অব্যাহত ছিল এবং দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৭২৬ দশমিক ৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ৭ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ২ হাজার ১০০ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৭৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে গতকাল ডিএসইর লেনদেন ১০৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেড়েছে। এ দিন ১৭ কোটি ৫০ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪৫টি শেয়ার ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৭৬ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৮টির, কমেছে ১৮১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫৮টির দর।

গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের ২৪ কোটি ৪৮ লাখ, এনআরবি ব্যাংক পিএলসির ২৩ কোটি ৭৮ লাখ, সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২২ কোটি ১২ লাখ, গ্রামীণফোন লিমিটেডের ১৭ কোটি ৯২ লাখ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল পিএলসির ১৭ কোটি ৭১ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ১৭ কোটি ৬৬ লাখ, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেডের ১৫ কোটি ৭১ লাখ, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ১৩ কোটি ৯৬ লাখ এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ১৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে গতকাল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে টপটেন গেইনারের শীর্ষে উঠে আসে পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, রহিমা ফুড করপোরেশনের ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ, অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ, সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইলস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ১৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ কমে ৯ হাজার ৭২৯ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ১৪০ দশমিক ০২ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সিএসইসিতে মোট ২১১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১০৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩০টির। সিএসইতে গতকাল লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার, এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৯১ লাখ টাকার।