সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে (এসআইবিএল) বর্তমানে শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান আছে। ব্যাংকটির সব শাখায় গ্রাহকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অব্যাহতভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাফর আলম।
সোমবার (১২ আগস্ট) জাফর আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারই ব্যাংকের সব সেবা কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে শুরু হয় এবং ওই দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমরা গ্রাহকদের অব্যাহতভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ব্যাংকের সব কার্যক্রম শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রয়েছে।’
এ সময় তিনি বলেন, “গত বৃহস্পতিবার এসআইবিএলে ঘটে যাওয়া একটি অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে সঠিক বার্তা যাওয়াটা জরুরি বলে আমি মনে করি। তা না হলে সারা দেশে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গ্রাহকদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। প্রকৃত ঘটনা ছিল, ওই দিন আমি ব্যাংকের বাইরে গুলশান ও বনানী এলাকায় শাখা পরিদর্শনে ছিলাম। এ সময় কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ব্যাংকে আসেন ব্যাংকটির সাবেক একজন চেয়ারম্যান। তিনি অনধিকার চর্চা করে ব্যাংকের বোর্ডকক্ষে প্রবেশ করেন এবং দুজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (ডিএমডি) তারিখবিহীন সাদা কাগজে হাতে লেখা পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলেন। ওই দুজন পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। তাদের একজন আমাকে ফোনে যুক্ত করে তাদের ব্যাংকে আসা ও দুই ডিএমডির পদত্যাগের খবর জানালে আমি তাদের বলেছি যে, ‘এটি নিয়মসিদ্ধ বা আইনসম্মত প্রক্রিয়া নয়।’ এরপর ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই ফ্লোরে জড়ো হতে শুরু করলে তারা বের হয়ে চলে যান।”
জাফর আলম জানান, তবে ওই দিন থেকেই ব্যাংকে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে এবং সব কর্মকর্তা-কর্মচারী শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদত্যাগ ও মালিকানা দাবির আইনসংগত পদ্ধতি রয়েছে। এর পরও কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় মতিঝিল সিটি সেন্টারে অবস্থিত এসআইবিএলের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির এমডি জাফর আলমকে ঢুকতে বাধা দেওয়া ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি সামলানোর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।