ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

৭০ বছর পর অবসরকালীন বয়স বাড়াল চীনের সরকার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ এএম
৭০ বছর পর অবসরকালীন বয়স বাড়াল চীনের সরকার
চীনের বেইজিং ফোক কাস্টম মিউজিয়াম আয়োজিত অনুষ্ঠানে বয়স্ক শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশন। ছবি: সংগৃহীত

১৯৫০-এর দশকের পর থেকে প্রথমবারের মতো অবসরে যাওয়ার বয়স বাড়াচ্ছে চীন। সে হিসেবে প্রায় সত্তর বছর পরে অবসরকালীন বয়স বাড়াতে যাচ্ছে দেশটি। এর কারণ, দেশটিতে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং পেনশন ফান্ডও কমে যাচ্ছে। শুক্রবার চীনের সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ব্লু-কলার (শারীরিক পরিশ্রম) চাকরিতে নিয়োজিত নারীদের অবসরকালীন বয়স ৫০ থেকে ৫৫ এবং হোয়াইট-কলার (মানসিক শ্রম) চাকরিতে নিয়োজিত নারীদের অবসরের বয়স ৫৫ থেকে ৫৮ করা হবে। পুরুষদের অবসর বয়স ৬০ থেকে ৬৩ করা হবে। 

খবরে বলা হয়, চীনের বর্তমান অবসরকালীন বয়স বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশ কম। চীন সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে মানুষের অবসরকালীন বয়স ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে। এই প্রক্রিয়াটি পরবর্তী ১৫ বছর ধরে চলবে। সরকারি নির্ধারিত বয়সের আগে অবসর নেওয়া যাবে না। তবে মানুষ চাইলে অবসর নেওয়ার ক্ষেত্রে অনধিক তিন বছরের জন্য বিলম্ব করতে পারবে। নতুন এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সাল থেকে কর্মীদের অবসর ভাতা পেতে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও বেশি অর্থ দিতে হবে। ২০৩৯ সালের মধ্যে তাদের অবসর ভাতা পেতে ২০ বছরের অবদান রাখতে হবে।

চীন সরকারের দ্বারা পরিচালিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান চাইনিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেস ২০১৯ সালে বলেছিল, দেশটির সরকারি পেনশন তহবিল ২০৩৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই অনুমানটি করা হয়েছিল কোভিড-১৯ মহামারির আগে, যেই মহামারিটি চীনের (তথা গোটা বিশ্বের) অর্থনীতিকে খুব ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।

শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক খবরে বলা হয়েছে, চীনের মানুষ কত বছর বেঁচে থাকে, তাদের স্বাস্থ্য কেমন, জনসংখ্যার অবস্থা কেমন, মানুষ কতটা পড়াশোনা করেছে এবং কত মানুষ কাজ করছে- এসব বিষয় বিবেচনা করেই সরকার অবসরের বয়স বাড়ানো এবং পেনশন নীতি পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু এই ঘোষণা নিয়ে চীনের অনেকেই সন্দেহ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও একটি বিল আসবে, যা আমাদের ৮০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত অবসর বিলম্ব করবে।’ অন্য একজন লিখেছেন, কি দুঃখজনক বছর! মধ্যবয়স্ক শ্রমিকরা বেতন কাটার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এমন সময়ে তাদের অবসরের সময় বাড়ানো হয়েছে যখন তারা অবসরকালীন বয়সের মুখোমুখি হচ্ছেন। আর যারা বেকার তাদের পক্ষে কাজ পাওয়াটাও ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে।

তবে এ নিয়ে অনেকেই আবার আশাবাদী। তার বলেন, এটি আশা করা হয়েছিল, আলোচনার তেমন কিছু নেই।

একজন ওয়েইবো ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘বেশির ভাগ ইউরোপীয় দেশে পুরুষরা ৬৫ বা ৬৭ বছর বয়সে অবসরে যান, আর সেখানে নারীরা ৬০ বছর বয়সে অবসর নেন। আমাদের দেশেও এমন একটা প্রবণতা তৈরি হবে।’

বিবিসি বলছে, চীনের জনসংখ্যা ক্রমাগত কমছে। ২০২৩ সালেও দেশটির জনসংখ্যা পর পর দ্বিতীয় বছরের মতো কমেছে। এর কারণ হলো, চীনে এখন কম শিশু জন্মায়। অন্যদিকে, চীনের মানুষ এখন বেশি বছর বেঁচে থাকছে। তাদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ২০ বছরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চীনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ সংখ্যা হিসেবে যা প্রায় ৪০ কোটি ২০ লাখ, তারা ৬০ বছরের বেশি বয়সী হবে। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ।

খবরে বলা হয়, চীনে জনসংখ্যার সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। এই সংকটের কারণ হলো, চীনের অর্থনীতি ধীরে ধীরে চলছে, সরকারের সুবিধাগুলো কমে যাচ্ছে এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা এক-সন্তান নীতির কারণে দেশটি এখনো ধুঁকছে। চীনের পেনশন ফান্ড শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং দেশটির বৃদ্ধদের যত্ন নেওয়ার জন্য যথেষ্ট টাকা জমাতে পারছে না।

আগামী দশকে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ চীনের কর্মশক্তি থেকে বের হয়ে যাবে। এসব বেশি বয়সী জনসংখ্যা যারা বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী। তারাই দেশটির সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের দল, যার সংখ্যা প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমান। তাহলে কে তাদের দেখভাল করবে?

একনেকে ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
একনেকে ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: পিআইডি

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেকের চেয়ারপারসন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, অনুমোদিত ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে ব্যয় করা হবে ৩ হাজার ১৮০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে আসবে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থাকবে ২৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ প্রকল্প, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প, বিভাগীয় শহরে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদক নিরাময় কেন্দ্র নির্মাণ, নতুন ৪টি মেরিন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ সুবিধা স্থাপন, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সম্প্রসারণে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, বিভিন্ন জেলায় নতুন সার গোডাউন নির্মাণ, Access to Justice for Women প্রকল্প, কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সেবা জোরদারকরণ, টিভিইটি শিক্ষক উন্নয়ন প্রকল্প, দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প, উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল ডাটাবেজ স্থাপন, পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উন্নয়ন, সরকারি কেনাকাটা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং পরিসংখ্যান দক্ষতা ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

ব্যবসা কার্যক্রম পরিদর্শনের নির্দেশ বিএসইসির

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
ব্যবসা কার্যক্রম পরিদর্শনের নির্দেশ বিএসইসির
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষায় কোম্পানিটি ভবিষ্যতে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার মতো সক্ষমতার অভাব হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

সম্প্রতি বেশ কিছু নির্দেশনা সাপেক্ষে বিএসইসির মার্কেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৩০ জুন ২০২৩-২৪ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষিত বেশ কিছু বিষয়ে আপত্তি বা মতামত জানিয়েছে। ওই মতামতের ভিত্তি কোম্পানির সার্বিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিদর্শন করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।

এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০২০-এর রুল ১৭ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশন, ২০১৫-এর রেগুলেশন ৫৪(১)-এর অধীনে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিষয়গুলোর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে একটি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হলো। একই সঙ্গে পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে পরিদর্শন প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

৩০ জুন ২০২৩-২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির  লোকসান ১০৪ কোটি ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯১০ টাকা এবং ঋণের পরিমাণ ২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫১ টাকা। কিন্তু কোনো ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি কোম্পানিটি। ফলে স্ট্যাটুটরি অডিটর (বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক) কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে ব্যবসা অব্যাহত রাখার ক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরীক্ষা করা এবং চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগসংক্রান্ত কোনো হুমকি আছে কি না, তা পরীক্ষা করবে পরিদর্শন কমিটি।

৩০ জুন ২০২৩-২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে নিরীক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে ব্যাংক-ব্যালেন্স নিশ্চিতকরণসহ প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল শাখার কোম্পানির বর্তমান আমানত এবং অন্যান্য আমানত পরীক্ষা করবে পরিদর্শন কমিটি।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শ্যামলী শাখায় কোম্পানির বর্তমান আমানত এবং অন্যান্য আমানত পরীক্ষা করা হবে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় পরিদর্শন করে দেখবে পরিদর্শন কমিটি।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষায় সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিদর্শন করে উল্লিখিত অসংগতিগুলো খতিয়ে দেখাতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিদর্শন কার্যক্রমে কোনো অসংগতি পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ প্রদান করেনি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। এদিকে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৫ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল শূন্য দশমিক ৩৭ টাকা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ৬ টাকা।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৩ সালে। ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির মোট পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ৮৪৪ টাকা। সে হিসাবে কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের হাতে ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৬ দশমিক ২০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৮৬ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। রবিবার কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৪০ পয়সা। 

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটি বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরির একটি কোম্পানি। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ৮৪৪ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি।

পুঁজিবাজারে দুই ঘণ্টায় ২০৯ কোটি লেনদেন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
পুঁজিবাজারে দুই ঘণ্টায় ২০৯ কোটি লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। সে সঙ্গে বেড়েছে দুই পুঁজিবাজারের সব সূচক। 

লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮৮ কোটি টাকা। এবং সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি টাকা। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) লেনদেনে শুরুর দুই ঘণ্টায় পুঁজিবাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র ২৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। কমেছে ৩০টির ও দর অপরিবর্তিত আছে ৬৫টির।

একইসময়ে সিএসইতে মোট ১২১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ২৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর।

বেলা ১২টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তালিকাভুক্ত শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১১ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫ পয়েন্টে। এ ছাড়া বাছাই করা সবচেয়ে ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে লেনদেন চলছে।  

এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানি হলো- তৌফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি, অগ্নি সিস্টেমস পিএলসি, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, বিচ হ্যাচারি, খান ব্রাদাস্‌ পি পি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি, মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রিলায়েন্স ওয়ান দা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স পিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই সূচক ৬৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১৮১ পয়েন্টে। 

সাখাওয়াত সুমন/অমিয়/

সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
সূচক বাড়ল পুঁজিবাজারে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার পুঁজিবাজারে বড় দরপতনের এক দিন পরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দিনে শেষ বেড়েছে সূচক। 

সোমবার (২৩ জুন) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে সব কটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম কমার তালিকায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান থাকলেও মূল্যসূচক বেড়েছে।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। লেনদেনের শেষ দিকে দাম বাড়ার তালিকা আরও বড় হয়। ফলে বড় পতনের পরদিনই পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির। আর ৭৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সব কটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে ২৭৬ কোটি ৫৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৭১ কোটি ৭০ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে লাভেলো আইসক্রিম। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ১ লাখ টাকার। ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির এবং ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারদর কমেছে ৬.৪৫ শতাংশ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ারদর কমেছে ৬.৪৫ শতাংশ
রিজেন্ট টেক্সটাইল। ছবি: সংগৃহীত

সোমবার (২৩ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। 

দরপতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট ফাইন্যান্সের দর কমেছে আগের দিনের তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ দর কমে যাওয়ায় পতনের শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর।

ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে প্যাসিফিক ডেনিমসের, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, ফ্যামিলিটেক্স লিমিটেড এবং অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড।