ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

সবজি সেঞ্চুরির ঘরে, কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫০ এএম
আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
সবজি সেঞ্চুরির ঘরে, কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০
বন্ধের দিনেও নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন। ছবি : সংগৃহীত

ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান ও ভারত থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম কিছুটা কমে ১৬০ টাকা ডজন হয়েছে। মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। ২৬০ টাকার সোনালি মুরগি ৩০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে শতের কোঠায়। কাঁচা মরিচ কেজিতে ৩৫০-৪০০ টাকার কমে মেলে না। পেঁয়াজের কেজিও বেড়ে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের মতোই বেশি দামে চাল, মাছ, মাংস বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর টাউন হল বাজার, কারওয়ান বাজার, হাতিরপুলসহ অন্য বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সবজির কেজি ১০০ টাকা

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। শাকের দাম আঁটিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বেগুন ১০০-১৬০ টাকা হয়ে গেছে। পটোল ৮০-৯০ টাকা। ৬০-৮০ টাকার ঢ্যাঁড়শ, ধুন্দল ৯০-১০০ টাকা। ৩০-৪০ টাকার পেঁপে ৫০ টাকা। শসার কেজি ৬০-৮০ টাকা। বরবটি, কচুরলতি ১০০-১২০ টাকা কেজি। গাজর ১৬০ টাকা, শিম ২৩০-২৫০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা। লাউ, চালকুমড়া পিস ১০০ টাকা ছুঁয়ে গেছে। কপির পিস ৮০-৯০ টাকা। আগের ৩০-৪০ টাকার পুঁইশাকের আঁটি ৫০ টাকা, ১৫-২০ টাকার লালশাক, পালং, পাটশাক ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাড়তি দামের ব্যাপারে বিক্রেতারা বলেন, সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো হচ্ছে ভারী বৃষ্টি। এ জন্য খেত থেকে তোলা যাচ্ছে না সবজি। সরবরাহ কমে গেছে। সারা দেশের সবজি আসছে না। তাই আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে।

পেঁয়াজের কেজি ১৩০ টাকা

বাড়তি দামের ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের লক্ষ্মীপুর স্টোরের আবুল কাশেম বলেন, ‘হঠাৎ করে ছোলার দাম বেড়ে গেছে। তা ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডালের দামও বেশি, ১৮০ টাকা কেজি। সিন্ডিকেট করে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এখন তো রমজান মাস নেই। তাহলে ছোলার দাম বাড়ে কেন? তেল চিনির দামও কমছে না। বিক্রেতারা জানান, আগের সপ্তাহে ১১০-১২০ টাকা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা হলেও গতকাল তা ১২০-১৩০ টাকা কেজি ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আলু বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা ও রসুন ২০০-২৪০ টাকায়। আদার দামও বেড়েছে। তা ৩১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জহির রায়হান নামে এক ক্রেতা খবরের কাগজকে বলেন, ‘কি আর বলব! বেগুনের দাম বাড়তেই আছে। পেঁয়াজের দামও বেড়ে ১৩০ টাকা কেজি। সরকার মুখে বলছে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কাজে তো কিছু দেখছি না। দেশে মগের মুল্লুক চলছে। বাজারে ঢোকা যায় না। গত বছরও দেশে বৃষ্টি, বন্যা ছিল। এটা তো নতুন কিছু না।’

বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতারা জানান, আগের মতোই মসুরডাল ১১০-১৩৫ টাকা, ছোলা ১৪০ টাকা কেজি, ২ কেজি ওজনের প্যাকেট আটা ১০০-১৩০ টাকা, খোলা আটা ৪০ টাকা কেজি। ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৫ টাকা, ৫ লিটার ৭৯০-৮০০ টাকা, চিনি ১৩০-১৩৫ টাকা, দেশি লাল চিনি ১৬০-১৭০ টাকা কেজি। 

বাড়তি মুরগির দাম

অন্য পণ্যের মতো অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দামও বেঁধে দিয়েছে। তার পরও সে দামে বাজারে মিলছে না। ভোক্তাদের বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। ব্রয়লার ১৮০ টাকা ও সোনালির দাম ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও গতকাল বিভিন্ন বাজারে তা যথাক্রমে ২০০-২১০ টাকা এবং ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। হাতিরপুল বাজারের মায়ের দোয়া পোলট্রি হাউসের দ্বীন ইসলাম বলেন, ‘চাহিদার ওপর দাম কম-বেশি হচ্ছে। তাই বেশি দামেই ব্রয়লার বিক্রি করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, আড়তেই দামের কারসাজি হচ্ছে। তাছাড়া মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বেশি। এ জন্য মুরগির দামও বেশি। গরুর মাংস ব্যবসায়ীরাও জানান, আগের মতোই ৭৫০-৭৮০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। 

কমেছে ডিমের দাম

গত দুই বছরের মতো এবারও ডিমের দামে ভোক্তাদের ভুগতে হচ্ছে। সরকার খুচরা পর্যায়ে ১৪৪ টাকা দাম বেঁধে দেওয়ার পরও বাস্তবতা তার ধারেকাছে নেই। গতকালও বিভিন্ন বাজারে ১৬০ টাকা ডজন ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে প্যারাগনের ডিমের দাম আরও বেশি, ১৭০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ১৬৫-১৭০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। 

কমেনি মাছে দাম

অন্য পণ্যের মতো মাছের দামও কমেনি। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ‘মোকামেই বেশি দাম। তাই ঢাকার আড়তেও কমে না। এ জন্য আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি না।’

দামের ব্যাপারে টাউন হল বাজারের মাছবিক্রেতা রাজু বলেন, ‘আড়তে কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব। মৌসুম শেষ হওয়ায় ইলিশ মাছের দাম বেশি। ১ কেজি ওজনের ওপরের ইলিশের দাম ২০০০ টাকা কেজি, ৯৫০ গ্রাম ওজনের কেজি ১৮০০ টাকা। রুইসহ অন্য মাছের দামও কমেনি।’ কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। সব জিনিস বেশি দামে বিক্রি করছেন।

কমেনি চালের দাম

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় চালের দাম কেজিতে ৩-৫ টাকা বেড়ে গেছে। দুই মাস চলে গেলেও ভাঙেনি চালের সিন্ডিকেট। বাজারে আগের মতোই বেশি দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। গতকালও মিনিকেট ৭০-৭৬ টাকা, আটাশ চাল ৫৮-৬০ টাকা ও মোটা চাল ৫২-৫৫ টাকা ছিল। কারওয়ান বাজারের মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘কি বলব। আগের মতোই চালের দাম। কমে না। সরকার বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না। এ জন্য কমছে না দাম।’

রপ্তানি আয় ২০ শতাংশ বেড়েছে অক্টোবরে

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
রপ্তানি আয় ২০ শতাংশ বেড়েছে অক্টোবরে

গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এটি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানি ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ১৫ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানি আয় বেড়েছে তৈরি পোশাক খাতে

চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ১২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

ওভেন পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে নিট পণ্যের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে।

অক্টোবরে পোশাক খাত ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন আয় করেছে, যা গত বছরের চেয়ে ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।

পোশাক খাত আয়ের তীক্ষ্ণ প্রবৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ এ খাতটি জাতীয় রপ্তানিতে সর্বোচ্চ অবদান রাখে।

গ্রীষ্মের জন্য পণ্য পাঠানোর শেষ মাস ছিল অক্টোবর। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে জুলাই-আগস্টে কম চালান হয়েছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, অক্টোবরে আটকে থাকা পণ্য পাঠানো হয়েছিল, যা রপ্তানি আয়কে তীব্রভাবে বাড়িয়েছে।

‘তবে প্রবৃদ্ধির প্রবণতা সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য আমাদের আগামী কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সেক্টরে অস্থিরতা ছিল এবং ক্রেতারা কাজের অর্ডার দিতে ধীরগতিতে চলেছিলেন’, যোগ করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

পোশাক খাতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘আমরা এত শক্তিশালী বৃদ্ধির জন্য কোনো যুক্তি খুঁজে পাইনি এবং এটি টিকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এখনই মন্তব্য করার সময় নয় বরং অপেক্ষা করতে হবে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পোশাক খাত অভূতপূর্ব অস্থিরতা দেখেছে এবং ক্রেতারা কাজের আদেশ স্থানান্তর করেছেন।’

রপ্তানিকারকরা বলছেন, পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির জন্য খাতটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রয়োজন, যা বাংলাদেশের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্থায়ী হওয়া উচিত। প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আমাদের আন্তরিক আহ্বান।

অন্য খাতগুলোর রপ্তানি আয়

অক্টোবর মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১১৩ মিলিয়ন ডলার। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য ৩০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ে ২০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ৫৪ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ১ শতাংশ কমে ৮৩ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের আয় ৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমে ৭৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

বিশেষায়িত টেক্সটাইল সেক্টর ৩৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল খাতের রপ্তানি আয় কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ এবং আয় করেছে ৬৪ মিলিয়ন ডলার।

হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ থেকে রপ্তানি আয় অক্টোবরে ৩২ শতাংশ বেড়েছে। আয় হয়েছে ৫২ মিলিয়ন ডলার, যা গত অক্টোবরের একই সময়ে ছিল ৩৯ মিলিয়ন। অক্টোবরে ওষুধপণ্য রপ্তানি ৪৯ শতাংশ

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হুট করে হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ হুট করে হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর মুক্ত বাণজ্যিচুক্তি সম্পাদনের আলোচনা শেষ সটবিালয় বাণচজ্য মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের ওত্তর দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালহেউদ্দিন আহমেদ;

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দেবে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, হুট করে এটা হবে না, যৌক্তিক সময়ে হবে। এই উত্তরণ হবে বাংলাদেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি (এফটিএ) সম্পাদনের আলোচনার সূচনা শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করার প্রক্রিয়া হুট করে বাস্তবায়ন করবে না সরকার। সময় নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। স্বাচ্ছন্দ্যে উত্তরণ করা যায় এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই বিষয়টি দেখা হবে।

সালেহউদ্দিন বলেন, যত বেশি দেশের সঙ্গে সম্ভব, মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি করবে সরকার। বিশেষ করে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করব। এ ছাড়া আসিয়ানে যাওয়ার চেষ্টা করব। আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গেও কাজ করব।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য নিয়ে সব সময়ই উদ্বিগ্ন থাকেন। তাদের নানা সুযোগ-সুবিধা দরকার, এ বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি সইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে, বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এ আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

স্বপ্ন দেখাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল আলু

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
স্বপ্ন দেখাচ্ছে উচ্চ ফলনশীল আলু
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুড়িয়া গ্রামে খেতে আলুর বীজ রোপণ করছেন কৃষি শ্রমিকরা। ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুড়িয়া গ্রামে আদর্শ কৃষক মতিউর রহমান ১৫ একর জমিতে বিএডিসি সরবরাহ করা উচ্চ ফলনশীল আলুর বীজ রোপণ করছেন। ৮০ দিনের মধ্যে আলু ঘরে তোলার লক্ষ্য নিয়ে একই জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদনের পরিকল্পনা চলছে। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে এবং শতাধিক শ্রমিকের সহযোগিতায় কাজ দ্রুত এগোচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা জানান, এই উদ্যোগে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন ও দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খেতে নারী ও পুরুষ কৃষি শ্রমিকরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা কোনো সময় নষ্ট করছেন না। আলু রোপণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করছেন। যাতে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকদের আয়েরও বৃদ্ধি ঘটে।

এখানে নারীরা সারিবদ্ধভাবে ৬ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে এক একটি করে আলুর বীজ মাটিতে রোপণ করছেন। পুরুষরা কোদাল দিয়ে দুই পাশ থেকে ক্যানাল তৈরি করে আলুর বীজ ঢেকে দিচ্ছেন। চাষিরা কেউ কোনো কথা বলছেন না, সবাই মগ্ন হয়ে কাজ করছেন। এক একর জমিতে আলু রোপণ শেষ করতে মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লাগছে। শতাধিক শ্রমিকের সক্রিয় উপস্থিতি এবং সমন্বিত প্রয়াসের ফলে কাজ দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।

মতিউর রহমানের এই ১৫ একর জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে তার উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সময়মতো কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ রয়েছে। তার লক্ষ্য- একে একে তিনটি ফসল ঘরে তোলা, যাতে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আলু রোপণের পরই তিনি এই জমিতে বোরো ধান রোপণ করবেন। আলু উৎপাদনের পরই ধানের আবাদ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এরই মধ্যে জমিতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে কাজ। তবে কৃষি শ্রমিকরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। 

আলু চাষের জন্য বিএডিসির সরবরাহ করা বীজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই জাতের আলুর উৎপাদনের হার বেশি এবং ফসল তোলার সময়ও কম। আগামী ৮০ দিনের মধ্যে আলু ঘরে তোলা যাবে, এমনটাই আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বিএডিসি আলু-১ (সানশাইন) জাতের আলু এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কারণ এর ফলন খুবই ভালো এবং তা তোলার সময় মাত্র ৭০ দিন। 

কৃষি শ্রমিক আব্দুল কাদের বলেন, ‘মতিউর রহমান অত্যন্ত সচেতন ও পরিশ্রমী। তিনি নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। তার কারণে আমরা এখানে তিনটি ফসল উৎপাদন করতে পারি, যা আমাদের জন্য লাভজনক।’ 

অপর কৃষি শ্রমিক মোসাদ্দেক বলেন, ‘কিছুদিন আগেই আমরা এই জমিতে ধান কেটেছিলাম। এখন এখানে আলুর চাষ করছি। বিএডিসি থেকে আলুর বীজ পাওয়া গেছে, যা খুব দ্রুত মাটিতে রোপণ করা যাচ্ছে।’ 

মতিউর রহমান বলেন, ‘এ বছর ১৫ একর জমিতে বিএডিসির দেওয়া আলুর বীজ রোপণ করেছি। এই জাতের আলু খুবই ফলপ্রসূ এবং পরিশ্রমের তুলনায় ভালো ফলন দেয়। আমি আশাবাদী, এক একর জমিতে ২৩০ থেকে ২৫০ মণ আলুর উৎপাদন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই আলু পরে বিএডিসির বীজ হিসেবে সংগ্রহ করা হবে। এটি পরে দেশের অন্য কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা যাবে।’ 

দিনাজপুর নসিপুর আলু (বীজ) উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু জাফর মোহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ বলেন, ‘মতিউর রহমানের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই ১৫ একর জমিতে আলুর বীজ উৎপাদন করতে বিএডিসি সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা একই জমিতে তিনটি ফসল উৎপাদন করতে পারবেন। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এবং দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এটি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

বেনাপোল বন্দরে যাত্রী পারাপার কম, রাজস্ব আদায়ে ধস

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ এএম
বেনাপোল বন্দরে যাত্রী পারাপার কম, রাজস্ব আদায়ে ধস
বেনাপোল চেকপোস্ট

বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত সম্প্রতি কমে গেছে। ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করায় যাত্রী যাতায়াত কমে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে যাত্রী যাতায়াত কমে যাওয়ায় এই খাতে রাজস্ব আদায়ে ধস নামতে শুরু করেছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরের এই চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভ্রমণ কর থেকে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়। গত ৫ আগস্টের আগে প্রতি মাসে এই খাতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় হতো। বর্তমানে ওই আয় কমে ৩ কোটিতে নেমে এসেছে। একই সময় আগে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজারের মতো যাত্রী যাতায়াত করত। বর্তমানে ওই সংখ্যা অর্ধেকেরও নিচে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় অধিকাংশ পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এই পথে ভারতে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে থাকেন। ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী। তবে ট্যুরিস্ট, বিজনেস, স্টুডেন্ট ভিসার যাত্রী নেই বললেই চলে। ভারত সরকার ভিসা বন্ধ করে দেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন রোগীরা। ভারত সরকার বিজনেস ভিসা না দেওয়াতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক আমদানিকারক বিপাকে পড়েছেন।

আমদানিকারক আল মামুন বলেন, ‘আমার বিজনেস ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি ওপারের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে না পারার কারণে যে, পণ্য অর্ডার করছি সে পণ্যের গুণগত মান সঠিক পাচ্ছি না। এ ছাড়া এলসি দেওয়ার পরেও যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি করছে না ভারতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। 

এ ছাড়া ওপারে যেতে না পারার কারণে আমার ইনভয়েস অনুযায়ী পণ্যের সঙ্গে রপ্তানিকারকের পণ্যের মিল হচ্ছে না। এতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ ছাড়া দ্রুত ভিসা না পেলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হব।’

ভারতে চিকিৎসার জন্য আসা যাত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদনের দীর্ঘদিন পর চিকিৎসার জন্য ভিসা পেয়েছি। এ জন্য ভারত যাচ্ছি। বর্তমানে ভিসার খুব সমস্যা, ভ্রমণ ভিসা একদমই নেই। আগামীতে ভিসা পাওয়া যাবে কি না, সন্দেহ আছে।’

অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘আগে ইমিগ্রেশনে দেখতাম অনেক যাত্রীর ভিড় থাকত। কিন্তু আজ এসে দেখলাম যাত্রী একেবারে নেই বললেই চলে। খুব নিরিবিলিভাবে ভারতে যাচ্ছি। এখন যেহেতু ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমার ভিসা শেষ পর্যায়ে। পরে আর ভিসা পাব কি না বলতে পারছি না।’

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ কারণে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। গত শনিবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৫৩৩ জন যাত্রী যাতায়াত করেছে। এর আগে এখান দিয়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত।

নীলফামারীতে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ এএম
নীলফামারীতে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
নীলফামারীতে একটি লেপ-তোশকের দোকান। ছবি: খবরের কাগজ

নীলফামারীতে শীতের আগমন উপলক্ষে লেপ ও তোশক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কারিগররা। শীতের মৌসুমে লেপ ও তোশকের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ে। এ কারণে শীতের আগেই অনেক ব্যবসায়ী অগ্রিম পণ্য তৈরি করে রাখছেন, যাতে পরবর্তী সময় তাড়াহুড়ো করতে না হয়। 

এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিও বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তা-ঘাটে তারা নিজেদের পণ্য বিক্রি করছেন। আবার অনেকেই পুরোনো লেপ-তোশক মেরামত করে বিক্রি করছেন। শীতের শুরুতেই স্থানীয় মানুষের মধ্যে লেপ-তোশক কেনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অনেকেই এসব পণ্য কিনতে ভিড় করছেন দোকানগুলোতে, বিশেষ করে ভোর ও সন্ধ্যাবেলায় শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় শীত নিবারণের জন্য নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের তুলা ও কাপড়ের দামও বেড়েছে। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, কালো হুল ২০ থেকে ৪০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং সাদা তুলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব সূত্রে জানা গেছে, তুলা এবং কাপড়ের দাম আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে লেপ-তোশক তৈরির খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

নীলফামারীর কালীবাড়ি মোড়ের আনোয়ার বেডিং হাউসের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। লেপের তুলা প্রতি কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে ও কাপড়ের দামও বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকাসহ অন্যান্য স্থান থেকে মালামাল এনে লেপ-তোশক তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সব ধরনের পণ্যের দামই বেড়েছে।’

ডোমার উপজেলা ভূমি অফিস মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. সুরুজ মিয়া বলেন, ‘এখন আমাদের লেপ-তোশক তৈরিতে বেশ সময় যাচ্ছে। ১৫-২০ দিন পর আমাদের বিক্রি শুরু হবে এবং এ বিক্রি চলবে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত।’ 

এদিকে, নীলফামারী সদরের ইটাখোলার মাস্টারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রমিজ মিয়া (৪৭) বলেন, ‘বাজারে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এবার লেপ-তোশক তৈরির খরচও বেড়েছে। আমি পুরোনো লেপ খুলে নতুন করে বানানোর জন্য দোকানে দিয়ে এসেছি। তুলার খরচ বাদ দিয়ে কাপড় ও মজুরি মিলিয়ে ৭০০ টাকায় বানানো হয়েছে।’

নীলফামারী সদরের উকিলের মোড় এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬) জানান, ‘এবার শীতের প্রকোপ বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে। তাই আগেই লেপ বানানোর জন্য অর্ডার দিয়েছি। কারণ পরে দোকানে সিরিয়াল দিয়ে লেপ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।’

এ ছাড়া সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানিয়েছেন, ‘নীলফামারীতে মাঝে মাঝেই ভোরে ও রাতে ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। গত দুই সপ্তাহ আগে সকালের চারটি বিমান অবতরণ করতে পারেনি কুয়াশার কারণে। তবে দুই ঘণ্টা পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ বছর শীতের তীব্রতা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে।’