ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রমজানের জন্য চিনি-ছোলা-তেল আমদানির অনুমতি

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ পিএম
রমজানের জন্য চিনি-ছোলা-তেল আমদানির অনুমতি
তেল-ছোলা-চিনি

আগামী রমজান মাসকে সামনে রেখে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের মধ্যে স্বল্পমূল্যে বিভিন্ন পণ্য তুলে দেবে সরকার। এ লক্ষ্যে ৫ হাজার টন চিনি, ৬ হাজার টন ছোলা এবং ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২১৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯ হাজার টাকা।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলোতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান সার, ছোলা, চিনি ও সয়াবিন তেল এই চারটি পণ্য আমদানির প্রস্তাব ছিল। এগুলোর সবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। রমজান সামনে রেখে ছোলা এবং তেল আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমার ইচ্ছা আছে কিছুদিন পরে খেজুর আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবেই যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫ হাজার টন চিনি ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ৫ হাজার টন চিনি ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ২টি দরপ্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এই চিনি সরবরাহ করবে। প্রতি কেজি ১২০.৯২ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এই চিনি ২০২৫ সালের পবিত্র রমজান মাসে বিক্রয় করা হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চিনি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৪ হাজার টন।

বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন ছোলা ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে আসন্ন রমজান মাসে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার টন ছোলা ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ২টি দরপ্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান (১) ডিএসএল প্যাসিফিক প্রা. লি. অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪ হাজার টন এবং (২) মেসার্স অস্ট-গ্রেইন এক্সপোর্ট প্রা. লি. এই ছোলা সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ১ম দরদাতা ৪ হাজার টন ছোলা সরবরাহ করতে সম্মত হয় অবিশিষ্ট ৬ হাজার টন ছোলা ২য় দরদাতা সরবরাহ করতে সম্মতি প্রকাশ করে। প্রতি টন ছোলার দাম ৮৪৯.৯৫ মার্কিন ডলার। টিসিবির গুদাম পর্যন্ত প্রতি কেজি ছোলার দাম দাঁড়াবে ১০৭.৩৯ টাকা। ওই ছোলা ২০২৫ সালের পবিত্র রমজান মাসে বিক্রি করা হবে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছোলা ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার টন।

সভায় স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। টিসিবি কর্তৃক ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৩.২৫ টাকায় দরপ্রস্তাব দাখিল করে। টিইসি কর্তৃক দরপ্রস্তাবটি পরীক্ষা শেষে রেসপনসিভ হয়।

দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশ করা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি লিটার ১৬৩.১৫ টাকা হিসেবে ৩২ লাখ ৬০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। স্থানীয় বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল গড় খুচরা মূল্য ১৬৭.৫০ টাকা। 

গত ২১ অক্টোবর তারিখ ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলেও তেল সরবরাহকারী কোনো প্রতিষ্ঠান দরপত্র ডকুমেন্ট ক্রয় করেনি। তাই জরুরি প্রয়োজন বিবেচনায় স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ইউক্রেন থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম আমদানি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
ইউক্রেন থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম আমদানি
এমভি এনজয় প্রসপারিটি। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ইউক্রেন থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫০০ টন গম চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যশস্যের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে এমভি এনজয় প্রসপারিটি নামে একটি জাহাজ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উন্মুক্ত দরপত্রের চুক্তির আওতায় ইউক্রেন থেকে আমদানি করা গমের নমুনা  পরীক্ষা শেষে খালাসের কাজ শুরু হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে বন্দরে ৩১ হাজার ৫০০ টন গম খালাস হবে এবং ২১ হাজার টন যাবে মোংলা বন্দরে।

মেহেদী 

ইউরো পার্টনারশিপ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ এএম
ইউরো পার্টনারশিপ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু
প্রতিকী ছবি: সংগৃহীত

দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ৩০ লাখ ইউরোর ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয়েছে। এটি শ্রমিকদের দক্ষতার ঘাটতি মোকাবিলা, অভিবাসন খরচ কমানো এবং বাংলাদেশে শ্রম অভিবাসনে ইচ্ছুক জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগ বাড়াবে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আয়োজিত প্রোগ্রামে এ তথ্য জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) তিন বছরে ২০২৪-২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো ইইউতে কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা পূরণের জন্য তিন হাজার কর্মীকে প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে প্রোগ্রামে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া প্রকল্পটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। দক্ষ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগে এই উদ্যোগগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বলেন, এই প্রকল্পটি দক্ষতা উন্নয়নে অনেক বেশি উপকারী হবে। এটি প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং ন্যায্য নিয়োগকে সহজতর করার লক্ষ্যে কাজ করবে।

বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রধান প্রতিনিধি মাইকেল মিলার বলেন, ইইউ-বাংলাদেশ ট্যালেন্ট পার্টনারশিপকে রূপান্তরকারী এবং সবার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করবে, অভিবাসী শ্রমিকের মানবাধিকার ও সম্মান রক্ষা হবে। আইনি অভিবাসনের পথ তৈরির পাশাপাশি আমাদের অনিয়মিত অভিবাসন শেষ করতে এবং পাচার ও শোষণের দুর্ভোগ মোকাবিলা করতে কাজ বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ। তার জন্যই আমাদের এই প্রজেক্ট। এই ট্যালেন্ট প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে জনশক্তি তৈরি করা। যাতে তারা ইউরোপের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী কাজ পাবে। উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাবে।’

আইএলও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আইনি অভিবাসনের পথ এবং অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর ওপর জোর দিয়ে প্রকল্পটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শ্রমবাজারে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অনুযায়ী শ্রম অভিবাসনের জন্য তাদের দক্ষতার মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ আইনি অভিবাসনের পথ এবং অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর ওপর জোর দিয়ে প্রকল্পটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শ্রমবাজারে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অনুযায়ী শ্রম অভিবাসনের জন্য তাদের দক্ষতার মান অনুযায়ী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

৬০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
৬০ কোটি ডলার দেবে এডিবি
সংগৃহীত

বাজেট সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স টিম লিডার গোবিন্দ বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। 

বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে অবকাঠামো উন্নয়নে এ ঋণ ব্যবহার করা হবে।

এডিবি জানায়, দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের একটি প্যাকেজ রয়েছে, যা এ ঋণে বাস্তবায়িত হবে। দেশের মালিকানাধীন উদ্যোগ এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসনের প্রচারে এ ঋণ ভূমিকা রাখবে।

এডিবি জানায়, বাংলাদেশ রাজস্ব সংগ্রহের লড়াই করছে। কারণ এটি বিশ্বের সর্বনিম্ন কর থেকে প্রবৃদ্ধি অর্জন। এ ঋণ বাংলাদেশকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উন্নত করার পাশাপাশি দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ করার সক্ষমতা বাড়াবে।

ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা উন্নত করা আরেকটি উদ্দেশ্য। এ ঋণ দেশের নিয়ন্ত্রক পরিবেশকে সহজ করবে। পাশাপাশি সবার জন্য সমান সুবিধা দিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। ব্যবসায়ী পরিবেশ সৃষ্টি এবং অপারেশন সহজতর করার জন্য একটি অনলাইন সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। এখানে ১৩০টিরও বেশি পরিষেবা থাকবে।

সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান আমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তাৎক্ষণিক উন্নয়ন অর্থায়নের প্রয়োজনে সাড়া দেয় এডিবি। সংস্কারের লক্ষ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও শাসনের উন্নতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক কাজে এডিবি পাশে থাকবে।

একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভিসা

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম
একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভিসা
সংগৃহীত

দক্ষতা বৃদ্ধি, বাজারজাতকরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকারি প্রণোদনা গ্রহণ, নীতিসহায়তা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং বৈশ্বিক পেমেন্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ভিসা’। 

এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এবং ভিসার পক্ষে এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের সরকারি প্রতিষ্ঠান বিষয়ে ব্যবসা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নপ্রধান জ্যাসন ডংগুজেক লি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ভিসার কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রুতি গুপ্তা। 

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, সমঝোতা স্মারকের আওতায় আগামী ৩ বছরে অন্তত ৫ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে সেবা দেওয়া হবে। 

সমঝোতা স্মারক অনুসারে, নারী-উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ আয়োজন, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহারের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স ব্যবসা ও প্ল্যাটফর্মকে নিরাপদ করতে পরামর্শ সভা, কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন, ভিসার নিজস্ব বাণিজ্যিক ও এসএমই সেবা এবং সহযোগী ব্যাংকের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের পরিচিতির মাধ্যমে অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, স্বচ্ছ, ঝামেলামুক্ত ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা ছাড় করার ক্ষেত্রে পাইলট প্রকল্প পরিচালনায় সহায়তা, ‘ভিসা গভর্নমেন্ট ইনসাইট হাব’-এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা উন্নয়নের সরকারি নীতিনির্ধারণে সহায়তা এবং সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে রিসোর্স পারসনদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে একসঙ্গে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ভিসা।

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। 

শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় আড়াই কোটি বেশি জনবল কর্মরত আছে। অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ সুবিধাভোগী এসএমই উদ্যোক্তার অর্ধেকেরও বেশি নারী। এই সময়ে উদ্যোক্তাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ফাউন্ডেশনের প্রায় সাড়ে ৫০০ কর্মসূচির সুবিধাভোগী ১১ হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের আটটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সেবা নিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার এসএমই উদ্যোক্তা। 

১৬ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ এএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
১৬ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
সংগৃহীত

ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ১৬ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৫ কোটি টাকার অপরিশোধিত তেল (ক্রুড অয়েল)। বাকি ১০ হাজার ৭১০ কোটি টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ-সংক্রান্ত দর প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। 

এদিকে একই বৈঠকে তিন দেশ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬৬০ কোটি টাকার বেশি। 

জ্বালানি তেল: জানা গেছে, সিঙ্গাপুরের ইউনিপেক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও দুবাইয়ের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড থেকে পরিশোধিত জ্বালানি এবং সৌদি আরবের সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল কোম্পানি থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল কোম্পানি থেকে ২০২৫ সালের জন্য ৭ লাখ মেট্রিক টন অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড (এএলসি) গ্রেডের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে এই জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৫ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে আন্তর্জাতিক কোটেশন (দরপত্র) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১০ হাজার ৭১০ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
সিঙ্গাপুরের ইউনিপেক সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড, ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও দুবাইয়ের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড থেকে এই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

সার আমদানি: সৌদি আরব, রাশিয়া ও মরক্কো থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার, ৩০ হাজার টন এমওপি সার, ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং ৩০ হাজার টন টিএসপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৬০ কোটি ৭৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি (সাবিক) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৪২ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক করপোরেশন ‘প্রডিন্টরগ’-এর কাছ থেকে ১০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা দিয়ে এই সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ২৮৯ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের কাছ থেকে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৮৪ দশমিক ৭৫ ডলার।

এ ছাড়া মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপসের কাছ থেকে এ সার কিনতে ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪২৩ দশমিক ৫০ ডলার।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });