ঊর্ধ্বগতির বাজারে দাম কমছে, এমন খবর মানুষকে স্বস্তি দেয়। দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে দুই হাজার ৫১৯ টাকা কমেছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৬ হাজার ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে, সবশেষ গত ৭ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। তখন ভরিতে তিন হাজার ৪৫৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৩৬ হাজার ১৮৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৯ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ১১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯১ হাজার ৪১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
কমেছে রুপার দামও
স্বর্ণের দামের সঙ্গে রুপার দামও কমেছে। প্রতি ভরিতে ৪৬ টাকা কমিয়ে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫৭৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫৮৬ টাকা।
২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪৮ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২০ বার।
আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার। অন্যদিকে চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো সমন্বয় করা হলো রুপার দাম। এর মধ্যে এক বার বাড়লেও, দাম কমেছে দুই বার।
অমিয়/