ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নিউইয়র্কে সোর্সিং জার্নালের সামিটে পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরল বিজিএমইএ

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
নিউইয়র্কে সোর্সিং জার্নালের সামিটে পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরল বিজিএমইএ
ছবি : সংগৃহীত

নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত সোর্সিং জার্নালের ফল সামিটে বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন ও বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য মিরান আলী।

গত ১২ নভেম্বর এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এতে বৈশ্বিক পোশাক এবং সোর্সিং খাতের প্রধান, বিশেষজ্ঞ এবং অংশীজনরা একত্রিত হয়েছিলেন।

ইভেন্ট চলাকালীন মূল মঞ্চে মো. আনোয়ার হোসেন ও মিরান আলী উভয়েরই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যেখানে তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রূপান্তরের অগ্রগতিগুলো এবং দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত বৈপ্লবিক পরিবর্তনগুলো তুলে ধরেন।

মো. আনোয়ার হোসেন শ্রমিকদের অধিকার, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি এবং জনগণের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।

তিনি দেশের পোশাক শিল্পের আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টা ও একটি নিরাপদ, ন্যায্য এবং আরও টেকসই পোশাক খাত তৈরি করতে সরকার, শিল্প স্টেকহোল্ডার এবং শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করেন।

মিরান আলী বৈশ্বিক ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টা এবং দায়িত্বশীল ক্রয় চর্চায় বাংলাদেশের উদীয়মান নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। 

সামিট চলাকালে আনোয়ার হোসেন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) সভাপতির সঙ্গে বৈঠকসহ অংশীজনদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য বিজিএমইএ থেকে অব্যাহত সহযোগিতার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। 

জে. ক্রু, র‌্যাঙলার এবং টার্গেটসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি পোশাক ব্র্যান্ড এবং প্রযুক্তি সমাধান সরবরাহকারীদের সঙ্গে দেখা করেন আনোয়ার হোসেন।

সালমান/

 

কত বাড়ল স্বর্ণের দাম?

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম
কত বাড়ল স্বর্ণের দাম?
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরেক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। দুই দিনের মাথায় ভরিপ্রতি বেড়েছে ১ হাজার ৮৭৮ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ২৭১ টাকা  নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় নতুন এ দাম বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত সোমবার ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরদিন মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হয়।

পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ২৫৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

মাহফুজ/এমএ/

 

পাম অয়েলের দাম ৩ শতাংশের বেশি কমেছে

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ এএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
পাম অয়েলের দাম ৩ শতাংশের বেশি কমেছে
পাম অয়েল

মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ (ফিউচার) চুক্তিমূল্য মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নিম্নমুখী ছিল। দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী মজুত, উৎপাদন ও রপ্তানির পরিমাণও কমেছে। এ কারণে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলটির দামও কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্সের।

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটির খবরে বলা হয়, বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সরবরাহের চুক্তিতে বেঞ্চমার্ক পাম অয়েলের দাম ১৬৫ রিঙ্গিত বা ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে। এর ফলে প্রতি মেট্রিক টন পাম অয়েলের দাম কমে ৪ হাজার ৯৫৫ রিঙ্গিতে (১ হাজার ১১৯ ডলার ৫২ সেন্টে) নেমে বাজারে লেনদেন বন্ধ হয়। 

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ডের (এমপিওবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটিতে পাম অয়েলের মজুত টানা দ্বিতীয় মাসে কমেছে। গত নভেম্বর মাসে মজুত আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১৮ লাখ ৪০ হাজার টনে নেমে এসেছে। 

বিশ্লেষকরা বলেছেন, মজুতের এই নিম্নমুখিতা বেঞ্চমার্ক ফিউচারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে। 

নভেম্বর মাসে অপরিশোধিত পাম অয়েলের উৎপাদন ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ১৬ লাখ ২০ হাজার টনে নেমে এসেছে, এটি গত চার বছরের মধ্যে নভেম্বর মাসের সর্বনিম্ন উৎপাদনের রেকর্ড। এদিকে পাম অয়েলের রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টনে পৌঁছেছে। 

সেলাঙ্গরভিত্তিক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান পেলিন্ডুং বেস্টারির পরিচালক পারামালিংগাম সুপ্রমানিয়াম বলেন, এমপিওবির মজুত ও রপ্তানির তথ্য বেশির ভাগ বিশ্লেষকের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলেছে, ফলে পরিসংখ্যানে দেখানো সংখ্যাগুলো দিয়ে আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু ছিল না।

তিনি বলেন, চলতি ডিসেম্বর মাস ও আগামী ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে উৎপাদন প্রবণতার ওপর মনোযোগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে উৎপাদনে কী প্রভাব পড়বে তা দেখতে হবে।

রয়টার্স জানায়, চলতি বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মালয়েশিয়ায় একটি বন্যা আঘাত হানে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ পূর্বাভাস দিয়েছে যে, ভারী আবহাওয়ার প্রভাবে মালয়েশিয়ার উপকূলীয় পূর্ব অঞ্চল ও বোর্নিও দ্বীপের সাবাহ ও সারাওয়াক অঞ্চলে ক্রমাগত বৃষ্টি হতে পারে। প্রসঙ্গত, সাবাহ ও সারাওয়াক মালয়েশিয়ার প্রধান পাম অয়েল উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম।

এদিকে মালয়েশিয়ার পাশাপাশি চীনের দালিয়ানে পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য ২ দশমিক ২৫ কমেছে। একই সময়ে বাজারে সক্রিয় (সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া) সয়াবিন তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়েছে। আর আমেরিকান শিকাগো বোর্ড অফ ট্রেডে (সিবিওটি) ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে সয়াবিন তেলের দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ কমেছে। 

খবরে বলা হয়, পাম অয়েল বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে একটি শেয়ারের জন্য প্রতিযোগিতার কারণে এটির প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের মূল্য পরিবর্তনের সঙ্গে দামের ওঠানামার সম্পর্ক রয়েছে। 

ক্যার্গো পরিদর্শক ইন্টারটেক টেস্টিং সার্ভিসেস গতকাল জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার পাম অয়েল পণ্যের রপ্তানি ডিসেম্বর মাসের ১ থেকে ১০ তারখি পর্যন্ত ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। আর স্বাধীন পরিদর্শন কোম্পানি এমস্পেক অ্যাগ্রি মালয়েশিয়ার তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। 

২০২৫ সালে মুদ্রানীতি শিথিলের সিদ্ধান্ত চীনের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
২০২৫ সালে মুদ্রানীতি শিথিলের সিদ্ধান্ত চীনের
দক্ষিণ চীনের চংকিং শহরে একটি গয়নার দোকানে সোনার অলঙ্কার কিনছেন ক্রেতারা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছর থেকে একটি ‘যথার্থ শিথিল’ মুদ্রানীতি গ্রহণ করবে চীন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে আরও সক্রিয় আর্থিক নীতি গ্রহণ করবে দেশটি। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক অঙ্গ পলিটব্যুরো এমনটা জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

পলিটব্যুরোর শীর্ষ কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের প্রতিবেদন উল্লেখ করে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, দেশটি নিজেদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও ভোক্তা ব্যয় বাড়ানোর ওপর জোর দেবে। এই বক্তব্যগুলো এমন পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে যখন আসন্ন বার্ষিক সেন্ট্রাল ইকোনমিক ওয়ার্ক কনফারেন্সের প্রস্তুতি চলছে। এই সম্মেলনে আগামী বছরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ও নীতি নির্ধারণ করা হবে।

খবরে বলা হয়, পলিটব্যুরোর বৈঠকের বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পর শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন ঘটেছে এবং বেড়েছে চীনের সরকারি বন্ডের দামও। হংকংভিত্তিক হ্যাং সেং সূচক ২ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে এক মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।

সিনহুয়া জানিয়েছে, ২০২৫ সালে চীনা কর্তৃপক্ষকে ‘স্থিতিশীলতা বজায় রেখে অগ্রগতির নীতিতে অটল থাকতে হবে’। 

বিবৃতিতে বলা হয়, আরও সক্রিয় আর্থিক নীতি ও যথার্থ শিথিল মুদ্রানীতি প্রয়োগ করা উচিত। সেই সঙ্গে নীতির অন্য বিষয়গুলোর উন্নয়ন ও পরিমার্জন করা এবং অসাধারণ প্রতিঘাতচক্র সংশোধনী পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করা উচিত।
পলিটব্যুরো আরও জানিয়েছে, আবাসন বাজার ও শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করতে হবে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তারা উল্লেখ করেনি। 

শিথিল মুদ্রানীতি

পলিটব্যুরো বৈঠকের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাগুলোর ভিত্তিতে মুদ্রানীতির এই নতুন ভাষ্য ২০১০ সালের শেষ দিক থেকে প্রথমবারের মতো অবস্থান শিথিলের নির্দেশ দেয়। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা সংস্থা এএনজেডের চীনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কৌশলবিদ শিং ঝাওপেং বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি শক্তিশালী আর্থিক প্রণোদনা, বড় (সুদের) হার কমানো এবং ২০২৫ সালে সম্পত্তি কেনার দিকে ইঙ্গিত দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘নীতির ভাষ্য, ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির বিরুদ্ধে শক্তিশালী আস্থার প্রতিফলন ঘটায়।’

রয়টার্স জানায়, চলতি বছর চীনের অর্থনীতি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছে, যার ফলে নীতিনির্ধারকদের সেপ্টেম্বর মাসে পদক্ষেপ নিতে হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মহামারির পর থেকে সবচেয়ে আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি শিথিলকরণের পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে সুদের হার কমানো ও আর্থিক ব্যবস্থায় ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সরবরাহ করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

চীন হয়তো এ বছর প্রায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে। কিন্তু ২০২৫ সালে সেই গতি বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসছেন এবং চীনা আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। 

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ ধরনের নীতির অবস্থান নির্ধারণ করেছে। এগুলো হলো ‘শিথিল’, ‘যথার্থভাবে শিথিল’, ‘সতর্ক’, ‘যথার্থভাবে কঠোর’ ও ‘কঠোর’। এগুলোর প্রতিটি নীতির ক্ষেত্রেই আবার উভয় দিকেই নমনীয়তার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিস্থিতি অনুযায়ী এই নীতিগুলোকে সামান্য পরিবর্তন করতে পারে। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর চীন ‘যথার্থভাবে শিথিল’ মুদ্রানীতি গ্রহণ করে। তবে ২০১০ সালের শেষ দিকে ‘সতর্ক’ অবস্থানে ফিরে আসে।

এদিকে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে চীন ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (১ দশমিক ৪০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করে, যার লক্ষ্য স্থানীয় সরকারগুলোর অর্থায়ন সংকট কমানো এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল করা। তবে এই ঋণ ব্যবস্থাগুলোর উদ্দেশ্য মূলত দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে পৌরসভার আর্থিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা, সরাসরি অর্থনীতিতে অর্থ ঢালা নয়।

চলতি বছর চীনের অর্থনীতিতে উৎপাদন ও রপ্তানির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা দেখা গেছে। কারণ, আবাসন খাতের চাহিদা আশানুরূপ নয়। সম্পত্তি বাজারের গুরুতর সংকট ভোক্তাদের সম্পদকে লোকসানের মুখে ফেলেছে এবং বেশির ভাগ সরকারি প্রণোদনা যাচ্ছে উৎপাদক ও অবকাঠামো খাতে। 

সরকারি উপদেষ্টারা বেইজিংকে আগামী বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ করছেন। তবে তারা আরও বেশি পরিমাণে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যা প্রত্যাশিত মার্কিন শুল্কের প্রভাব কমাতে এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাসজনিত চাপ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি চীনের শিল্প খাতকে নাড়া দিয়েছে, যা প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। চীনের অর্থমন্ত্রী লান ফোয়ান জানিয়েছেন, আরও উদ্দীপনা ব্যবস্থা আসছে, তবে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি। 

অর্থনীতিবিদরা বেইজিংকে ভোক্তাকেন্দ্রিক নীতি গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং নিম্ন-আয়ের বাসিন্দাদের জন্য আরও বেশি আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া তারা কর, কল্যাণ ও অন্য নীতিগত পরিবর্তনগুলো দ্রুত কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছেন, যা কাঠামোগত সমস্যাগুলো সমাধানে সহায়ক হবে।

তবে এখন পর্যন্ত চীনা কর্তৃপক্ষ মূলত রপ্তানি নির্ভর উৎপাদন খাতকে আধুনিকায়নের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। এতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে বৈদ্যুতিক যানবাহন, সৌরশক্তি ও ব্যাটারি খাতে, যার ফলে মূল বাণিজ্যিক অংশীদাররা প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে।

দিনাজপুরে তীব্র শীতে চাহিদা বেড়েছে লেপ-তোশকের

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম
দিনাজপুরে তীব্র শীতে চাহিদা বেড়েছে লেপ-তোশকের
লেপ তৈরি করছেন কারিগররা। ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীত বেশি হওয়ায় লেপ-তোশক, জাজিমের চাহিদা বেড়েছে। এদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে তুলার দাম। এর মধ্যেই লেপ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। ক্রেতারা শীত নিবারণের জন্য নতুন লেপ তৈরি বা পুরোনো লেপ সংস্কার করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের কারণে লেপ-তোশকের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনও শীতবস্ত্র বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলে বেড়েছে তুলার দাম। প্রতি কেজি কার্পাস তুলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শিমুলতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, অঙ্গুরি তুলা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ঝুট তুলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে লেপ-তোশক তৈরির খরচও বেড়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোশক তৈরির কাজও জমজমাট হয়ে উঠেছে। শহরের চুরিপট্টি এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারিগররা লেপ-তোশক তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। লালসালু কাপড়ে লেপ তৈরি করা, সুঁই-সুতা দিয়ে সেলাই করা এবং পুরোনো লেপ-তোশক ভেঙে আবার নতুন করে তৈরি করার কাজ চলছে। অনেক কারিগর নতুন তুলা ব্যবহার করে নতুন লেপ তৈরির পাশাপাশি পুরোনো লেপগুলো আবার সংস্কার করছেন। এ ছাড়া তুলা ধোলাইয়ের কাজও চলছে ব্যাপকভাবে। দোকানগুলোর পাশে মেশিনের মাধ্যমে তুলাধোনা হচ্ছে। কারিগররা এখন দুই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি লেপ-তোশক তৈরি করছেন। এক সেট লেপ-তোশক তৈরি করতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মজুরি নিচ্ছেন।

দোকানে আসা ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, শীতের কারণে লেপ-তোশক কেনার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। অটোচালক লিটন হায়দার জানান, তিনি অল্প টাকায় লেপ তৈরি করতে এসেছেন। মমিনুল ইসলাম জানান, তারা দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে কাজ করেন। এ সময় রাতে শীতের অনেক কষ্ট হয়। তাই তারা একটি লেপ কিনতে এসেছেন। এ ছাড়া মাসুম পারভেজ বলেন, তিনি তার মায়ের জন্য একটি লেপ তৈরি করতে এসেছেন। তিনি ৩ হাজার টাকার একটি লেপ কিনবেন।

কারিগর মইনুল ইসলাম জানান, তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিটি লেপ তৈরিতে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন। তাদের কাজের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ জন্য তারা খুশি। এতে তাদের অনেক টাকা আয় হচ্ছে।

চুরিপট্টি এলাকার লেপ-তোশক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শীত যতই বাড়বে, লেপ-তোশকের বিক্রিও তত বাড়বে। এ বছর তুলা ও কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে। এ সময়ে এসবের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীদের লাভও বাড়ছে।’ ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ইতোমধ্যে লেপ-তোশকের বিক্রি বেড়ে গেছে। প্রতিদিন চাহিদামতো লেপ-তোশক বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ছে। এই অঞ্চলে প্রতিবছর শীতবস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকে। তিনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ প্রক্রিয়া চলছে। শীতের তীব্রতার কারণে এই অঞ্চলে প্রায় পাঁচ লাখ কম্বলের চাহিদা রয়েছে। শিগগিরই হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।

খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও সরবরাহ কম

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও সরবরাহ কম
পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে ড্রাম থেকে খোলা তেল সংগ্রহ করছেন এক শ্রমিক। ছবি: মোহাম্মদ হানিফ

বাজারে সরবরাহ সংকটের মধ্যে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়িয়েছেন পরিশোধনকারীরা। এদিকে এই ঘোষণার পর চট্টগ্রামে প্রতি মণ খোলা তেলে (সয়াবিন ও পাম অয়েল) দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ২০০ টাকা। 

গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেল পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল অ্যাসোসিয়েশন। প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৭৫ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১৫৭ টাকা দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকেই খাতুনগঞ্জেও বেড়ে যায় খোলা তেলের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ খোলা সয়াবিনে ২০০ টাকা বেড়ে ৬ হাজার ৪০০ টাকা ও পাম অয়েলে ৭০ টাকা বেড়ে ৬ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে দাম বাড়ায় খাতুনগঞ্জে খোলা তেলের বেচাকেনা কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

গত ১ ডিসেম্বর খাতুনগঞ্জে কমে আসে ভোজ্যতেলের দাম। সেদিন প্রতি মণ সয়াবিন তেল ৬ হাজার ২০০ টাকা ও পাম অয়েল ৬ হাজার ৩০ টাকায় বেচাকেনা হয়। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত আসার পর রাত পেরোতেই বর্তমানে সেখানে প্রতি মণ সয়াবিন তেল ৬ হাজার ৪০০ টাকা (লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা) ও পাম অয়েল ৬ হাজার ১০০ টাকায় (লিটারপ্রতি ১৫২ দশমিক ৫ টাকা) বিক্রি হচ্ছে।

এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে খাতুনগঞ্জে চড়া দামে বিক্রি হয় খোলা তেল। গত ৩ নভেম্বর প্রতি মণ সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ৬ হাজার ৮৫০ টাকায় (লিটারপ্রতি বিক্রি হয় ১৭১ টাকা) এবং পাম অয়েল ৬ হাজার ৪৪০ টাকায় (লিটারপ্রতি দাম ১৬১ টাকা) বিক্রি হয়। 

তবে সরবরাহ বাড়ায় গত ২০ নভেম্বর দাম কমে প্রতি মণ সয়াবিন তেল ৬ হাজার ৫০০ টাকা (প্রতি লিটার ১৬২ দশমিক ৫ টাকা) ও পাম অয়েল ৬ হাজার ৩৪০ টাকায় (লিটারপ্রতি ১৫৮ দশমিক ৫ টাকা) বিক্রি হয়। 

খাতুনগঞ্জে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিম্নমুখী ছিল ভোজ্যতেলের বাজার। খাতুনগঞ্জে সয়াবিন ও পাম অয়েলের সরবরাহ একটু কমেছে। তাই দামটা বেড়েছে। পাশাপাশি আমাদের বেচাকেনাও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। আমরা দুশ্চিন্তায় সময় পার করছি।’ 

এদিকে খাতুনগঞ্জে কমে এসেছে চিনির দাম। বাজারটিতে গত ২৯ অক্টোবর প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) চিনি ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাসের ব্যবধানে ১০০ টাকা কমে গত ১ ডিসেম্বর প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৩০০ টাকায়। বর্তমানে আরও ৫০ টাকা কমে প্রতি মণ চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৫০ টাকায়। চিনির সরবরাহ ভালো থাকায় সামনে পণ্যটির দাম আর বাড়বে না জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। 

নগরের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা মো. ওমর ফারুক বলেন, এখন মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ভালো নেই। হুট করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো। কিন্তু সেভাবে তো মানুষের আয় বাড়ছে না। সরকারের উচিত, বিষয়টা বিবেচনা করা। 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, পাইকারি বাজারে সব সময় নানা অজুহাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের পুরোনো স্বভাব। এর মধ্যে আগের কেনা পণ্যে দাম বাড়িয়ে তারা অতি মুনাফা করছেন। সঙ্গে ক্রেতাদের হয়রানি করছেন। এখন প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারের উচিত তারা কখন, কত দামে কিনেছেন, সেটা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা। যাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সামনে রোজা আসছে। এখন থেকে এসব সঠিকভাবে তদারকি করা না হলে ভোক্তারা ভোগান্তিতে পড়া সম্ভাবনা তৈরি হবে। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। কোনো অনিয়ম পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাজার কমিটির সঙ্গে বৈঠক করছি। ব্যবসায়ীদের সচেতন করছি, লিফলেট দিচ্ছি। কেউ যদি বাড়তি দরে পণ্য বিক্রি করে আমাদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন, আমরা তখন বিষয়টা খতিয়ে দেখে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });