ঢাকা ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
English

জড়িত চট্টগ্রাম-মুন্সীগঞ্জের চক্র সিন্ডিকেট কারসাজিতে বেড়েছে আলুর দাম

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ এএম
সিন্ডিকেট কারসাজিতে বেড়েছে আলুর দাম
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী পাইকারি দোকানে একজন শ্রমিক বস্তা থেকে আলু বেড় করছেন। ছবি: মোহাম্মদ হানিফ

ভোজ্য তেল, এলাচ, পেঁয়াজের পর এবার আলু নিয়ে কারসাজিতে মেতে উঠেছে অসাধু চক্র। কৃষক পর্যায়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হওয়া আলু ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আলুর দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আড়তদাররা।

এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম চড়া হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাহাড়তলীর আলুর এক আড়তদার বলেন, মুন্সীগঞ্জের কোল্ড স্টোরেজগুলোতে প্রচুর আলু মজুত করে রাখা হয়েছে। অল্প অল্প করে চাহিদা বুঝে আলু বাজারে ছাড়া হচ্ছে। আলু কত দামে বিক্রি হবে সেটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় সেখান থেকেই। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে আগে মুন্সীগঞ্জের সিন্ডিকেটটি ভাঙতে হবে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জে কৃষক পর্যায়ে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) আলু বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় (কেজিপ্রতি দাম পড়ে ৩৫ টাকা)। এক সপ্তাহ আগে হিমাগারে প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ২০০ টাকায়। বর্তমানে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায় (কেজিপ্রতি দাম পড়ছে ৫৪ টাকা)। 

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও পাহাড়তলীর আড়তে এই আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৯ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। 

চট্টগ্রামের আড়তদাররা মুন্সীগঞ্জ ও জয়পুরহাট থেকে আলু সংগ্রহ করেন। বর্তমানে বৃহৎ এই তিন বাজারে রাজত্ব করছে মুন্সীগঞ্জের আলু। এই আলু কিনে আনলেও কোনো আড়তদারের কাছে রসিদ নেই। চট্টগ্রামে আলু কত দরে বিক্রি হবে সেটা মুন্সীগঞ্জ থেকেই মুঠোফোনে নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে।  

জানা গেছে, আলুর বাজার চড়া হওয়ার পেছনে চট্টগ্রামের অন্তত ১৭ জন আড়তদার ও মুন্সীগঞ্জের ৫০ জনের অধিক হিমাগার মালিক জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজশে দিনকে দিন আলুর বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন। 

সূত্র জানায়, মুন্সীগঞ্জে হিমাগারে আলু মজুত রেখে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সেখানে নিপ্পন কোল্ড স্টোরেজ, বিক্রমপুর মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ, কদম রসুল কোল্ড স্টোরেজ, এলাইড কোল্ড স্টোরেজ, দেওয়ান আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ, টংগীবাড়ী আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ, আলি কোল্ড স্টোরেজ, কোহিনুর কোল্ড স্টোরেজ, নুরানি হিমাগার, পপুলার কোল্ড স্টোরেজ, সানফ্লাওয়ার স্টোরেজ, একতা কোল্ড স্টোরেজ, সোবহান কোল্ড স্টোরেজ, কমবাইন্ড কোল্ড স্টোরেজ, সিলিপপুর কোল্ড স্টোরেজসহ অন্তত ৫০টির বেশি হিমাগারে আলু মজুত করা হয়েছে।

এদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন চট্টগ্রামের আলুর বড় আড়তদার মেসার্স লাকী স্টোর, ফেনী বাণিজ্যালয়, কুমিল্লা ট্রেডার্স, আব্দুল বারেক ট্রেডার্স, মোহরা বাণিজ্যালয়, এসএম ট্রেডার্স, রউফ বাণিজ্যালয়, মক্কা বাণিজ্যালয়, মামুন ট্রেডার্স, মা বিতান, কুসুমপুরা বাণিজ্যালয়, জননী ট্রেডার্স, দাউদকান্দি বাণিজ্যালয়, রাজমহল বাণিজ্যালয়, কুসুমপুরা ট্রেডার্স, ইউসুফ ট্রেডার্স ও শাহ আমানত ট্রেডার্স। 

রিয়াজুদ্দিন বাজার আড়তদার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক শিবলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে মুন্সীগঞ্জের আলু রয়েছে। আমরা এসব আলু কেজিপ্রতি ৫৯ টাকায় বিক্রি করছি। পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানিকৃত আলু রয়েছে। এগুলো বিক্রি করছি কেজিপ্রতি ৪৮ টাকায়। ভারতীয় আলু সরবরাহে না থাকলে আলুর বাজার আরও অস্থির হয়ে যেত। কিন্তু ভারতীয় আলুর চেয়ে মুন্সীগঞ্জের আলুর স্বাদ ও চাহিদা বেশি।’

এই ব্যবসায়ী নেতা দাবি করেন, আলু নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের কারসাজি বা সিন্ডিকেটে জড়িত নয়। মূল সমস্যা মুন্সীগঞ্জে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকে এর চেয়ে বেশি দামেও বিক্রি করছে। এটা অন্যায়। তারা অতি মুনাফা করছে। এদেরও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

নগরের নিমতলা এলাকার বাসিন্দা মো. ওমর ফারুক বলেন, আলুর বাজার লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। সংবাদপত্রে দেখেছি কৃষক ২৮ টাকা দরে আলু বিক্রি করেছে। সে আলু আমরা ৭০ টাকায় কিনে খাচ্ছি। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা খুব চাপে সময় পার করছে। এটা খুব দুঃখজনক। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘রোজাকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন- ভোজ্য তেল, ছোলা, আলু, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজার এখন থেকেই অস্থির করে তুলছে একটি অসাধু চক্র। ঘুরেফিরে পুরনো সিন্ডিকেটরাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বারবার শাস্তির আওতায় আনলেও তারা শুধরাচ্ছে না।’ 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘নগরের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযানের পাশাপাশি ক্রয়-বিক্রয় রশিদ রাখা, ন্যায্য দামে পণ্য বিক্রি করাসহ নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করে যাচ্ছি। ভোগ্যপণ্যের যে বাজারে যাচ্ছি সেখানে বাজার কমিটির সঙ্গে বৈঠক করছি। আমরা আলুর বাজারে আবার তদারকি করব।’ 

সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতের জন্য ৮২৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় তিনি আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য মূল বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য তিন শূন্য ৫ শতাংশ। 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। পরে তা সংশোধিত হয়ে আকার দাঁড়ায় ৭৭৯ কোটি টাকায়। সে হিসেবে এ বছর এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা।  

২০২৫-২৬ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যেসব কর্মসূচিতে এ বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে চায় তার ব্যাখ্যাও এসেছে। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত নানা অডিও-ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ এবং এ সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। গণভবন কমপ্লেক্স জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর রূপান্তরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে এ বাজেট প্রস্তাবনায়।

বাজেট বক্তৃতায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আসন্ন কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন ছাড়াও অসচ্ছল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভাতা প্রদান, বিভিন্ন নাট্যদল-বেসরকারি পাঠাগারগুলোকে অনুদান প্রদান, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ দল বিনিময়, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মের কপিরাইট সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সমকালীন শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ বাড়িয়ে গ্যালারি আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন প্রত্নস্থল চিহ্নিত করে তা খনন, সংরক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।  

জয়ন্ত/মেহেদী/

মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মেট্রোরেলের অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জন্য ৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে সংশোধিত হয়ে এ বাজেটে পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা; এমআরটি-১ প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা; এমআরটি-নর্দার্ন ৫ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ অন্যান্য খাতের জন্য সংস্থাটির জন্য এই অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনি অর্থবছরে ইসির জন্য প্রস্তাবিত মোট অর্থের সরকার পরিচালনা খাতের জন্য ২ হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন খাতে ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইসি সচিবালয়ের জন্য এ বরাদ্দের ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে এবার নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার বাজেটকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য সরকারের বাজেট ছিল ১ হাজার ২৩০ কোটি (২২৯ কোটি ৮৩ লাখ) টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে ৭৯৩ কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে ৪৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ৪টি পৌরসভা, ১০টি উপজেলা, ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ডেটাবেইজ ও ডেটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, স্থানীয় সরকার এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন পরিচালনা; জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ, ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কার্যক্রম; পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত, মুদ্রণ ও বিতরণ এবং সেবা দেওয়া, নতুন নাগরিক নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, এনআইডি সিস্টেমের অডিট ও ডকুমেন্টেশন, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধনকরণ ও  স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনায় আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার-ওয়ার্কশপের আয়োজনসহ ইসি সচিবালয়ের নানা কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। এর মধ্যে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসির চাহিদা ছিল প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারের ৫ স্তরের নির্বাচনের জন্য ইসি কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারকে তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। একই সঙ্গে নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা, ও আদেশ সংশোধন ও সংস্কারের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।'

এলিস/মেহেদী/

সেতু বিভাগের বাজেট কমছে ১২৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
সেতু বিভাগের বাজেট কমছে ১২৯৬ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাবনা করা হলেও সেতু বিভাগের বাজেট বরাদ্দ কমানো হচ্ছে এ অর্থবছরে। বাজেট প্রস্তাবনায় এ বিভাগে ১২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানোর কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

নতুন অর্থবছরে সেতু বিভাগে ৬ হাজার ২২ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ বিভাগের জন্য ৭৩১৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। 

বাজেট প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূল বাজেটের শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ টাকা এ বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। 

নতুন অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় সেতু বিভাগে পরিচালন ব্যয় ১০ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১২ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

সড়ক পরিবহন-মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ছে ৩৫৩ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
সড়ক পরিবহন-মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ছে ৩৫৩ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন অর্থবছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ৩৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যোগাযোগ খাতের এ বিভাগে ৩৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল, সংশোধিত বাজেটে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য এ বিভাগের জন্য ২৪ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। 

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।

নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

বাজেট বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। 

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।  

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার টেকসই, নিরাপদ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিদ্যমান ‘রোড মাস্টার প্ল্যান ২০০৯’ হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় খসড়া ‘হাইওয়ে মাস্টার প্ল্যান-২০৪০’ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও টেকসই, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে একাধিক আইন, বিধিমালা ও নীতিমালার সংশোধন এবং হালনাগাদের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে বিআরটিএ কর্তৃক মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হচ্ছে। 

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। 

ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় ৪০০টি ইলেকট্রিক বাস যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ আইন-২০১২ সংশোধনপূর্বক বাংলাদেশ নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


জয়ন্ত/মেহেদী/