ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

কফির দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ এএম
কফির দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড
ভিয়েতনামের একটি বাগান থেকে কফি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

কফি পানকারীরা শিগগিরই তাদের সকালের প্রিয় পানীয়র জন্য বেশি দাম পরিশোধ করার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। কারণ আন্তর্জাতিক পণ্যবাজারে কফির দাম বেড়ে যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছেছে। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অ্যারাবিকা কফির দাম প্রতি পাউন্ডে (০.৪৫ কেজি) ৩ ডলার ৪৪ সেন্ট ছাড়িয়েছে। বৈশ্বিক উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা এ জাতীয় কফির দাম চলতি বছর ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এদিকে রোবাস্তা কফির দাম গত সেপ্টেম্বর থেকেই একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। খবর বিবিসির। 

ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যমটির খবরে বলা হয়, সর্বকালের রেকর্ড ভাঙা দাম বৃদ্ধির ঘটনাটি এমন একসময়ে ঘটছে, যখন কফি ব্যবসায়ীরা ফসলের পরিমাণ কমার পূর্বাভাস দিচ্ছেন। কারণ বিশ্বের দুই বৃহত্তম কফি উৎপাদক ব্রাজিল ও ভিয়েতনাম খারাপ আবহাওয়ার শিকার হয়েছে এবং একই সঙ্গে কফির জনপ্রিয়তাও দিন দিন আরও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

একজন বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, কফি ব্র্যান্ডগুলো নতুন বছরে দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। তুয়ান লক কমোডিটিসের প্রধান নির্বাহী ভিন নুয়েনের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধান কফি নিয়ন্ত্রকরা দাম বৃদ্ধিকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে (লাভ কিছুটা কমিয়ে) গ্রাহকদের খুশি রাখা এবং বাজারে তাদের ব্যবসা ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। 

ভিন নুয়েন বলেন, ডাউয়েগ এগবার্টস ব্র্যান্ডের মালিক জেডিই পিট, নেসলেসহ অন্য ব্র্যান্ডগুলো আগে কাঁচামালের উচ্চ দামের প্রভাব নিজেরা বহন করেছে। কিন্তু বর্তমানে তারা প্রায় একটি সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। তাদের অনেকেই ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সুপারমার্কেটে দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে।

ইতালিয়ান কফি জায়ান্ট লাভাজ্জা জানিয়েছে, বাজার শেয়ার রক্ষা করতে ও গ্রাহকদের ওপর কাঁচামালের বাড়তি খরচ না চাপাতে তারা অনেক দূর পর্যন্ত চেষ্টা করেছে। তবে কফির বর্তমান পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত তাদের দাম বাড়াতে বাধ্য করেছে। কোম্পানিটি বিবিসি নিউজকে বলেছে, ‘গুণগত মান আমাদের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয় এবং এটি সব সময়ই ভোক্তাদের সঙ্গে আমাদের বিশ্বাস-সংক্রান্ত অলিখিত চুক্তির মূল ভিত্তি।’ লাভাজ্জার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘দাম বাড়িয়ে চালিয়ে যাওয়ার মানে হলো, আমাদের জন্য অত্যন্ত উচ্চ খরচের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া। তাই সর্বশেষে আমরা দাম সমন্বয় করতে বাধ্য হয়েছি।’  

গত নভেম্বরে বিনিয়োগকারীদের জন্য আয়োজিত একটি ইভেন্টে নেসলের একজন শীর্ষ নির্বাহী স্বীকার করেন, কফিশিল্প ‘কঠিন সময়ের’ মুখোমুখি হয়েছে এবং তার কোম্পানিকে দাম ও প্যাকেটের আকার সমন্বয় করতে হবে। নেসলের কফি ব্র্যান্ডের প্রধান ডেভিড রেনি বলেন, ‘আমরা কফির দামের প্রভাব থেকে মুক্ত নই; বরং এর প্রভাব আমাদের ওপর সরাসরি বা গভীরভাবে পড়ছে।’ 

খরা ও ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাব

কফির সর্বশেষ রেকর্ড সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ১৯৭৭ সালে, যখন ব্রাজিলে অস্বাভাবিক তুষারপাতের কারণে ফসল ধ্বংস হয়ে গিয়েছেল। স্যাক্সো ব্যাংকের পণ্য কৌশল বিভাগের প্রধান ওলে হ্যানসেন বলেছেন, ‘২০২৫ সালে ব্রাজিলের ফসল নিয়ে উদ্বেগই প্রধান কারণ।’ তিনি আরও বলেন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দেশটি ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার সম্মুখীন হয়েছিল। এরপর অক্টোবরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, যা ফুল ফোটার পর্যায়ে থাকা ফসলগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এর মানে এই নয় যে কেবল ব্রাজিলিয়ান কফি বাগান (যার বেশির ভাগেই অ্যারাবিকা উৎপাদিত হয়) খারাপ আবহাওয়ার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বরং এর ফলে রোবাস্তার সরবরাহও কমতে শুরু করেছে। কারণ ভিয়েতনামের বাগানগুলো (যেখানে রোবাস্তা জাতের কফি সবচেয়ে বেশি উদপাদিত হয়) খরার, পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। 

খবরে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক বাণিজ্য হওয়া পণ্য কফি। পরিমাণের হিসাবে এটি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের পরেই অবস্থান করে এবং এটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। 
উদাহরণস্বরূপ, চীনে কফি পান করার হার গত এক দশকে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের একজন কফি মূল্য বিশ্লেষক ফার্নান্ডা ওকাডা বলেন, ‘এই পণ্যের চাহিদা উচ্চস্তরে রয়েছে। অন্যদিকে উৎপাদক ও বাজার নিয়ন্ত্রকদের কাছে থাকা মজুতও কম বলে জানা গেছে। এ সময় ফার্নান্ডা ওকাডা আরও বলেন, কফির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এলপি গ্যাসে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমিয়েছে সরকার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
এলপি গ্যাসে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট কমিয়েছে সরকার
ছবি: সংগৃহীত

সরকার এলপি গ্যাস উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে সাত শতাংশ অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করেছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ জারি করেছে।

আদেশে বলা হয়, বর্তমানে এলপি গ্যাস বাসাবাড়িতে রান্নার জ্বালানি, অটোগ্যাস স্টেশনে যানবাহনের জ্বালানি এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর বর্তমানে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর সরবরাহকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের অপ্রতুল হওয়ার কারণে পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন প্রকার শিল্প কারখানায় এলপি গ্যাসের চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া উল্লেখ করা হয়, এলপি গ্যাসের উৎপাদন ও ব্যবহার সহজলভ্য করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূলরক শুল্ক আইন অনুযায়ী উৎপাদন পর্যায়ে এলপি গ্যাসে সাড়ে ৭ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দিয়েছে। এ আদেশ ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে। সূত্র: ইউএনবি

মেহেদী

শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব পুঁজিবাজারে

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ এএম
শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধির প্রভাব পুঁজিবাজারে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) - চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)

নতুন বছরের শুরু থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন। ২০২৫ সালে ৯ দিন লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে মাত্র তিনদিন সূচকের উত্থান দেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। বাকি ছয় দিনই ছিল পতনমুখী। 

বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, একে তো পুঁজিবাজারে নেই নতুন বিনিয়োগ, তার ওপর সরকারের নতুন করে আরোপ করা সেবা ও পণ্যের ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বিনিয়োগকারীদের  আতঙ্কে ফেলেছে। কারণ, পণ্য ও সেবা খাতে বাড়তি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

ফলে পণ্য ও সেবার দাম কোন পর্যায়ে পৌঁছে, জীবনযাত্রাকে কোনো পর্যায়ে নিয়ে যায় তা নিয়েই ভাবনা এখন বিনিয়োগকারীদের। 

এনএলআই সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী মোজাম্মেল হক খবরের কাগজকে বলেন, এখন পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগের চেয়ে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ উত্তোলনে বেশি আগ্রহী। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে যখন বিনিয়োগ হারিয়ে যাচ্ছে, তখন নতুন বিনিয়োগের তো প্রশ্নই আসে না।  

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা  দীর্ঘদিন থেকে। নতুন সরকার আসার পর প্রত্যাশা ছিল দ্রব্যমূল্য কিছুটা সহনীয় হবে। কিন্ত সম্প্রতি সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সব ধরনের পণ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকভাবেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফার চেয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য হাতে টাকা ধরে রাখবে। মূলত এ কারণেই সম্প্রতি সময়ে নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না, আগামীও তা আরও কমবে। 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন বছরে বিনিয়োগকারীরা নতুন কমিশনার পেয়েছে, নুতন ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ পেয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। 

এ বিষয়ে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার খবরের কাগজকে বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে মূলত মুনাফার জন্য। এখন পুঁজিবাজার থেকে যদি মুনাফার পথ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এখানে কে বিনিয়োগ করবে কে? 

তিনি বলেন, কমিশনের উচিত পুঁজিবাজারে এখন কোন কোন প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারবে তাদের চিহ্নিত করা। তাদের বিনিয়োগে বাধ্য করা। এ ছাড়া সম্প্রতি শতাধিক পণ্যের ওপর কর ও ভ্যাট আরোপের পর বিনিয়োগকারীরা আরও আতঙ্ক হয়ে, নতুন বিনিয়োগ থেকে সরে আসছে। 

তিনি আরও বলেন, মানুষের কাছে বিনিয়োগযোগ্য টাকা না থাকলে বিনিয়োগ আসবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত আগে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করার পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হবে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি সূচকের পতন হয়েছে ১২ জানুয়ারি ৩৮ পয়েন্ট। এর আগে ৫ জানুয়ারি পতন হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। এর মধ্যে ১ জানুয়ারি সূচকের উত্থান হয়েছিল ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট। ৬ জানুয়ারি উত্থান হয়েছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট এবং ৯ জানুয়ারি সূচক বেড়েছিল ৯ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। 

বাজার লেনদেন: গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দরপতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসেই পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। এর আগে ২০২৪ সালজুড়ে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। এতে এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন কমে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। বাজার মূলধন কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ কমেছে। বাজার মূলধনের বড় পতনের পাশাপাশি মূল্যসূচকেরও বড় পতন হয় বছরটিতে। ২০২৪ সালে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১ হাজার ৩০ পয়েন্ট।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়নি। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর ডিএসইতে লেনদেন শুরু হতেই বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দাম কমার তালিকা থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। এতে কিছু সময়ের জন্য মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু বেলা সাড়ে ১১টার পর আবার দাম কমার তালিকায় চলে যায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য শেষ দিকে বড় মূলধনের কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় মূল্যসূচকের বড় পতন হয়নি।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪৭টির এবং ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর পরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় মাত্র ৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৫১ পয়েন্টে নেমে গেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সব কটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৭১ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৮টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

পুঁজিবাজার স্পট মার্কেটে ন্যাশনাল ফিড

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ এএম
স্পট মার্কেটে ন্যাশনাল ফিড
ন্যাশনাল ফিড মিলস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিলস রেকর্ড ডেটের আগে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট।

এর আগের ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি স্পট মার্কেটে লেনদেন করবে কোম্পানিটি। আর রেকর্ড ডেটের কারণে আগামী ১৯ জানুয়ারি কোম্পানিটি লেনদেন স্থগিত থাকবে।

পুঁজিবাজার লেনদেনের শীর্ষে গ্রামীণফোন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৫ এএম
লেনদেনের শীর্ষে গ্রামীণফোন
গ্রামীণফোন লিমিটেড

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪০০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৩৯৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোন লিমিটেডের।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গতকাল গ্রামীণফোনের ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩৮ কোটি ৫৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। গ্রামীণফোন কোম্পানি সর্বশেষ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালে ২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করেছিল। 

কোম্পানির মুনাফার চিত্রে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ হাজার ৩০৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের বছর ২০২২ সালে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ হাজার ৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০২১ সালে নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ হাজার ৪১২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। 

২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৯০ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার। 

লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা খান ব্রাদার্সের লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকার। আর ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফাইন ফুডস।

এদিন লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো আফতাব অটোমোবাইলস, অগ্নি সিস্টেমস, স্কয়ার ফার্মা, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রবি আজিয়াটা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।

পুঁজিবাজার দর বৃদ্ধির শীর্ষে মুন্নু ফেব্রিক্স

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬ এএম
দর বৃদ্ধির শীর্ষে মুন্নু ফেব্রিক্স
মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড

গতকাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১টির শেয়ার দর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সোমবার ডিএসইতে মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ার দর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিভিও পেট্রোকেমিক্যালসের শেয়ার দর বেড়েছে আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। আর ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ দর বৃদ্ধি পাওয়ায় শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে জায়গা নিয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এ ছাড়া ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে রানার অটো, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, মুন্নু অ্যাগ্রো, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, স্টাইলক্রাফট এবং অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড।