ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

ভরিতে কত কমল স্বর্ণের দাম?

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
ভরিতে কত কমল স্বর্ণের দাম?
ছবি: সংগৃহীত

দুই দফায় বাড়ানোর পর দেশের বাজারে কমল স্বর্ণের দাম। ভরিতে এক হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের নতুন দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে নতুন এ দর রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে ৯ ডিসেম্বর ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। পরদিন থেকে নতুন এই দর কার্যকর হয়। এরপর ১১ ডিসেম্বর আরেক দফায় ভরিপ্রতি এক হাজার ৮৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪০ হাজার ২৭১ টাকা। যা ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

সবশেষ গত শনিবার স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমার প্রেক্ষিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম এক লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

তবে সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপা দুই হাজার ৫৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপা দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮৬ টাকায়।

নাবিল/মেহেদী/এমএ/

মাটির তৈরি পণ্য যাচ্ছে ফ্রান্সে

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম
মাটির তৈরি পণ্য যাচ্ছে ফ্রান্সে
মাটির তৈরি জিনিসপত্র প্যাকেজিং করছেন এক ব্যক্তি। খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো মাটির তৈরি পণ্য ফ্রান্সে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াক অ্যান্ড এসএ লিমিটেড’ ১৫ হাজার টন ওজনের এক কনটেইনার মাটির তৈজসপত্র ফ্রান্সে পাঠাচ্ছে। এটি গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে তোলা হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে ফ্রান্সে পৌঁছবে।  

মাটির পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কলসি, হাঁড়ি, পাতিল, সরা, মটকা, দই পাতিল, মুচিঘট, মুচিবাতি, মিষ্টির পাতিল, রসের হাঁড়ি, ফুলের টব, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, ঘটি, বাটি, বাসন ও খেলনাসামগ্রীসহ ১০০ ধরনের পণ্য। এসব পণ্য বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বিশেষভাবে দিনাজপুর এলাকা থেকে অধিকাংশ পণ্য সংগ্রহ করা হয়।  

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাটির পণ্যের রপ্তানি এ শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করতে পারে। এক সময় গ্রামাঞ্চলে মাটির তৈরি জিনিসপত্র ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমানে প্লাস্টিক ও সিরামিকপণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মৃৎশিল্প প্রায় হারিয়ে গেছে। অনেক মৃৎশিল্পী বর্তমানে এই পেশা ত্যাগ করেছেন। কিন্তু কিছু পরিবার এখনো এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।  

চট্টগ্রামের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) প্রতিষ্ঠান স্পিড লিংক লিমিটেড রপ্তানির কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার হাফিজুর রহমান মিন্টু জানান, ইউরোপের বাজারে মাটির শোপিস, ফুলদানি,  ডিনার সেট ও বাটিসেট পাঠানো হচ্ছে। তিনি জানান, ‘ফ্রান্সে মাটির পণ্য রপ্তানি বাংলাদেশির জন্য একটি সুখবর। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও যদি এই ধরনের পণ্য রপ্তানির ইচ্ছা পোষণ করে, তারা সহযোগিতা করবে।  

ওয়াক অ্যান্ড এসএ লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার মো. ইকবাল বাহার সৈকত বলেন, ‘মাটির পণ্য রপ্তানি প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে যাচ্ছে। এটি একটি বড় সফলতা। তিনি আরও বলেন, এই পণ্য চালানটি প্রায় ৪৭ দিন পর ফ্রান্সে পৌঁছাবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে কোনো আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং প্রতিষ্ঠান না থাকায়, তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে প্যাকেজিং করা হয়েছে।  

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই উদ্যোগকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘একসময় দেশের গ্রামাঞ্চলে মাটির তৈজসপত্র ছিল গৃহস্থালি জীবনের অঙ্গ। কিন্তু বর্তমানে এর চাহিদা কমে গেছে।’ তিনি সরকারের কাছে মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিনাসুদে ঋণ ও রপ্তানিকারকদের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার আহ্বান জানান।  

মাটির পণ্যের রপ্তানি বাড়ালে দেশের বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষত, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. তফসির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘মাটির তৈরি তৈজসপত্র বিদেশে রপ্তানি হলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘মাটির পণ্য এবং অন্যান্য হস্তশিল্পের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিদেশে। বিশেষভাবে উন্নত দেশগুলোতে এসব পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।’  

এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও কুয়েতে মাটির পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। তবে ফ্রান্সে রপ্তানি শুরু হওয়া এই চালানটি বাংলাদেশের মৃৎশিল্পকে একটি নতুন সুযোগ এনে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাটির পণ্য রপ্তানি বাড়ানো গেলে বাংলাদেশের বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ মৃৎশিল্পের পুনর্জাগরণে সহায়ক হতে পারে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের প্রতিযোগিতা বাড়াতে সহায়তা করবে। 

৭ দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম!

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
৭ দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম!
নতুন বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলো।

দেশের বাজার আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। নতুন বছরে এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলো। এবারে ভরি প্রতি ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে এ দাম কার্যকর হবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষিত নতুন মূল্য সম্পর্কে জানিয়ে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

দাম বাড়ানোর ফলে ভরি প্রতি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট স্বর্ণের নতুন দাম হবে ১ লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা। যা ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭১৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ৯৫ হাজার ৬১ টাকা।

এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

সেদিন প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা।

২০২৪ সালে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

সিফাত/

পুঁজিবাজারে বিশাল পতন!

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
পুঁজিবাজারে বিশাল পতন!

উত্থান দিয়ে শুরু হলেও সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারের লেনদেন। দিন শেষে কমেছে তিনটি সূচকই, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৫ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৫ পয়েন্ট।

দিনের প্রথম ঘণ্টায় সূচক বেড়ে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ২১২ পয়েন্ট থেকে দিনের শেষ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির ১২ কোটি ৬২ লাখ শেয়ার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৭ বার হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২, কমেছে ২৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

‘এ’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৫৬, কমেছে ১২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ২০ কোম্পানির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ৬১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা ৮৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০, কমেছে ৬১ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। নতুন ইস্যুকৃত শেয়ার ‘এন’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ১ এবং কমেছে ৩ কোম্পানির।

লেনদেন হওয়া ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪, কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ডিএসই তালিকাভুক্ত দুটি কর্পোরেট বন্ডের দুটির দামই কমেছে।

এদিকে গতবছর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এক শতাংশ করে লভ্যাংশ দেওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করলেও মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসইসি।

একইভাবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। নির্ধারিত লভ্যাংশ না দেওয়ায় কোম্পানি দুটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিএসইসি। তবে কোম্পানি দুটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বেসরকারি ব্যাংক ডাচ-বাংলা পিএলসিকে বাজারে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেট বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আন্তর্জাতিক নীতিমালা ব্যাসেল-৩ অনুসারে, মূলধন বৃদ্ধিতে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাজারে বন্ড ছাড়ার অনুমতি চায় ডাচ-বাংলা ব্যাংক। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ডাচ বাংলাকে বাজারে বন্ড ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যানুযায়ী, আন সিকিউরড, নন-কনভার্টেবল ও রিডিমেবল ক্যাটাগরির মোট ১ হাজার ২০০ বন্ড বাজারে ছাড়বে ব্যাংকটি। প্রতিটি বন্ডের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।

বুধবার পুঁজিবাজারে দাম বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল বঙ্গোজ লিমিটেড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানি রেনউইক জাজেন্সওয়্যারের শেয়ারপ্রতি দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।

ডিএসই'র ব্লক মার্কেটে ৩০ কোম্পানির ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার শেয়ার ৮২ বার হাতবদল হয়ে মোট ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।

গত দিনের তুলনায় ডিএসইতে ৮৬ কোটি টাকা লেনদেন কমে মোট ৪১৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

মূল সূচক কমলেও ডিএসই'র এসএমই খাতে বেড়েছে সূচকের পয়েন্ট। একদিনের লেনদেনে ডিএসএমইএক্সের সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট, যা গতদিনের তুলনায় ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি।

সূচক বাড়ার পাশাপাশি এ খাতে লেনদেনও বেড়েছে প্রায় ৩ কোটি। গতদিন ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হলেও বুধবার লেনদেন ছাড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

বুধবার চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন শেষে সিএসসিএক্সের সূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে ১০৩ কোম্পানিরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ৬৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সূচক বাড়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে ৯০ লাখ টাকা। মোট লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট।

সূত্র: ইউএনবি

সিফাত/

শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক ছাড়পত্র দিবে বিএসটিআই

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক ছাড়পত্র দিবে বিএসটিআই
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন

আমদানিকৃত শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে বন্দর খালাসে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

বিএসটিআই’র সেবা সহজীকরণ ও ব্যবসায়ীদের বন্দর জরিমানার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি পত্র জারী করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার সময়ে সময়ে এসআরও জারির মাধ্যমে ২৯৯টি পণ্যকে বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভূক্ত করেছে। বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভূক্ত এই পণ্যসমূহের মধ্যে আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২৫(৪৮)-এর বিধানমতে পরিশিষ্ট-৪ এর তালিকায় বর্ণিত মোট ৭৯টি পণ্য দেশে আমদানি করা হলে কাস্টম কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত শুল্কায়নের পূর্বে আমদানিকারককে বিএসটিআই হতে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী পরীক্ষণপূর্বক ছাড়পত্র গ্রহণ এবং উক্ত ছাড়পত্রের কপি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

শিল্পের কাঁচামাল সরাসরি বাজারে বিক্রয়-বিতরণ করা হয়না বিধায় বিএসটিআই'র বাধ্যতামূলক পরীক্ষণ ও ছাড়পত্রের আওতাভূক্ত শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আমদানিকৃত পণ্যসমূহের খালাস প্রক্রিয়া সহজিকরণের লক্ষ্যে কনসাইনমেন্ট ভিত্তিতে কিছু শর্তে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিএসটিআই যেসকল শর্তে শিল্প কাঁচামালের ক্ষেত্রে বন্দর খালাসে সাময়িক ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তার মধ্যে রয়েছে: আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণক, কোন গোডাউনে কাঁচামাল সংরক্ষণ করা হবে তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাসহ যে বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি করা হয়েছে ওই  বন্দর সংশ্লিষ্ট বিএসটিআই অফিসে কনসাইনমেন্টের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য আবেদন দাখিল করা, বিএসটিআই কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দর হতে উক্ত পণ্যের নমুনা সিল করে পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই'র সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে প্রেরণের নিমিও নমুনা জমাদান পত্র ও আমদানি মূল্যের ওপর হার অনুয়ায়ী প্রযোজ্য ছাড়পত্র ফি (অফেরতযোগ্য) পরিশোধের জন্য বিলপত্র আমদানিকারক বরাবর ইস্যু করা; আমদানিকারক বা তার প্রতিনিধি সিলকৃত নমুনা বিএসটিআই'র সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমাদানের পর পরীক্ষণ ফি ও ছাড়পত্র ফি (অফেরতযোগ্য) পরিশোধের রশিদ বিএসটিআই'র সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমাদানের পর বিএসটিআই কর্তৃক উক্ত কনসাইনমেন্টের অনুকূলে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদান করবে। পণ্য পরীক্ষণের পর বাংলাদেশ মান অনুযায়ী উর্ত্তীর্ণ হলে চূড়ান্ত ছাড়াপত্র প্রদান করা হবে।

তবে চূড়ান্ত ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত ওয়্যারহাউজ বা গোডাউনে ইনট্যাক্ট অবস্থায় সংরক্ষণ করা না হলে; ছাড়পত্র প্রাপ্তির আগে মালামাল ব্যবহার করা হলে বা শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণায় আমদানিকৃত ওই পণ্য বিক্রি-বিতরণ করা হলে বিএসটিআই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের অনুকুলে সাময়িক ছাড়পত্র প্রদান করা হবে না।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

যেসব পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার করল এনবিআর

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম
যেসব পণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার করল এনবিআর

ওষুধ, রেস্তোরাঁ, মোবাইল ফোন, নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাক, মিষ্টি, নন-এসি হোটেল, আইএসপি সেবা, মোটরগাড়ির গ্যারেজ, ওয়ার্কশপসহ বেশ কিছু পণ্যের ওপর থেকে বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চিকিৎসাসেবা আরও সহজ করতে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে আগের অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাৎ এই খাতে এখন থেকে দুই দশমিক চার শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।

আর চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে মোবাইল ফোনের সিম ও রিম কার্ড এবং আইএসপি সেবার ওপরও সম্পূরক শুল্ক থাকছে না। পাশাপাশি রেস্তোরাঁর খাবারের দাম সুলভ রাখতে তিন-তারকা, চার-তারকা ও পাঁচ-তারকা হোটেল ছাড়া সব রেস্তোরাঁয় আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য পোশাক বিপণনের ওপর অতিরিক্ত আরোপিত ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এছাড়া, নন-এসি হোটেল, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও নিজস্ব ব্রান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

শতাধিক পণ্য ও সেবায় আমদানি, উৎপাদন, সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারির পর থেকে খাত সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। সূত্র: ইউএনবি

এমএ/