ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

পুঁজিবাজার স্পট মার্কেটে ন্যাশনাল ফিড

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ এএম
স্পট মার্কেটে ন্যাশনাল ফিড
ন্যাশনাল ফিড মিলস

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিলস রেকর্ড ডেটের আগে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট।

এর আগের ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি স্পট মার্কেটে লেনদেন করবে কোম্পানিটি। আর রেকর্ড ডেটের কারণে আগামী ১৯ জানুয়ারি কোম্পানিটি লেনদেন স্থগিত থাকবে।

খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, কমছে দাম

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, কমছে দাম
বাজারজাতের জন্য পেঁয়াজ বাছাই করছেন এক বিক্রেতা/ খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ। এ কারণে নিম্নমুখী রয়েছে পণ্যটির বাজার। মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে ১০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজে কমেছে ৫ টাকা। তবে পাইকারি এ বাজারে প্রতি কেজি কেরালা আদা ২০ টাকা ও চায়না রসুনের কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মাসখানেক আগেও চড়া দামে বিক্রি হয়েছে দেশি পেঁয়াজ। বর্তমানে পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মেহেরপুর থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসছে। খাতুনগঞ্জের সব আড়তে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই এসব পেঁয়াজের দাম কমেছে। রমজান মাসে পেঁয়াজের বাজার দর স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান তারা।
 
গত ৮ জানুয়ারি পাইকারি এ বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

অন্যদিকে মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চায়না রসুনে ১০ টাকা ও কেরালা আদায় ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি চায়না রসুন ২১০ টাকা ও কেরালা আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস খবরের কাগজকে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভারতীয় পেঁয়াজে আগ্রহ থাকে। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ তুলনামূলক কম। অন্যদিকে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। আকার ভালো ও দাম কমায় মানুষ এখন দেশি পেঁয়াজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রমজান মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে সরবরাহ কমায় কেরালা আদা ও চায়না রসুনের দাম কিছুটা বেড়েছে।

পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমার এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা বাজারে। নগরের বিভিন্ন খুচরা দোকানে মাসখানেক আগে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে নগরের অলিগলিতে ভ্যানগাড়িতে দেশি পেঁয়াজের বিক্রি বেড়েছে। বিক্রেতা ৫০ টাকা দাম দিলেও সাধারণ ক্রেতারা দরদাম করে কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে দেশি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। তা ছাড়া প্রতি কেজি চায়না রসুন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও কেরালা আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরের উত্তর আগ্রাবাদ এলাকায় ভ্যানগাড়িতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ও মান দুটোই ভালো। দেশি পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়েছে। এক বস্তা (৫০ কেজি) পেঁয়াজ দুপুরের আগেই বিক্রি করতে পারি। পাইকারের কাছ থেকে ৪০ টাকা দরে দেশি পেঁয়াজ কিনে এনেছি। প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। কেউ ৫ কেজি বা ১০ কেজি কিনলে ৪৫ টাকা রাখছি।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘এখন দাম কমতির দিকে আছে। কিন্তু রমজান মাস ঘনিয়ে এলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা শুরু করে। প্রতিবারই এমনটা দেখা গেছে। দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় এবার বেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না। কিন্তু অসাধুরা দাম বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছে।

কাজেই ভোক্তাদের যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই পণ্য কিনতে হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এখন থেকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘খাতুনগঞ্জসহ অন্য বাজারগুলোতে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। অনিয়ম পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কেউ বাড়তি দরে পণ্য বিক্রি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

ভৈরবের তৈরি জুতা যাচ্ছে বিদেশে

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
ভৈরবের তৈরি জুতা যাচ্ছে বিদেশে
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একটি কারখানায় কারিগর জুতা তৈরি করছেন/ বাসস

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ১৯৮৯ সালে জুতা তৈরির শিল্প শুরু হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ৫ হাজার কারখানা রয়েছে। যেখানে দেড় লাখ লোক কাজ করেন।

এখানে তৈরি জুতা ভারত, দুবাই ও ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে ব্যবসা মন্দা চলছে। মালিকরা সরকারের সহায়তায় রপ্তানি বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, গত আড়াই থেকে তিন দশকে ভৈরব উপজেলায় গড়ে উঠেছে এ জুতা তৈরির শিল্প। উপজেলার শহরসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ছোট বড় কারখানা। এখানে মাঝারি ও ছোট কারখানা বেশি। যার প্রতিটিতে বিনিয়োগ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। বড় কারখানা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। যেগুলোতে বিনিয়োগ কোটি টাকার ওপরে। এখানের বেশির ভাগ কারখানায় সাধারণ মানের জুতা উৎপাদন হয়। ছেলে ও মেয়েদের স্যান্ডেল, রয়েছে সু, পেন্সিল হিল, ফ্ল্যাট হিলসহ বাচ্চাদের জুতা। মান অনুসারে হয় এসব জুতার দাম। এক ডজন জুতা সর্বনিম্ন ১ হাজার ৭০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হয়। এখানকার জুতা রপ্তানি হচ্ছে ভারত, দুবাই ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে।

চামড়া, প্লাস্টিক, ফোম ও রেক্সিনের মতো নানা উপকরণের কাঁচামাল ৯০ শতাংশ আসে চীন থেকে। বাকিটা মিলে স্থানীয়ভাবে। কারিগররা জানান, এখানে জুতা তৈরিতে ভালোমানের উপকরণই ব্যবহার হয়। তাই এখানকার জুতা মানে ভালো ও টেকসই। জুতাগুলো বিক্রির জন্য আশপাশের গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি শপিং মল। এই মলগুলোতে প্রায় ২ হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে জুতা নিতে সারা দেশ থেকে পাইকাররা আসেন। তারা লাখ লাখ টাকার জুতা কিনে নিয়ে যান।

মুন্না সুজের মালিক জিলানি মিয়া বলেন, বর্তমানে জুতার ব্যবসা মন্দা রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে পর থেকে ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে কাঁচামাল কম আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া বেড়েছে কাঁচামালে দাম। এতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এ কারণে কম দামে জুতা বিক্রি করা যাচ্ছে না।

ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক ও সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আল আমিন মিয়া বলেন, ‘সরকার যদি এই শিল্পের প্রতি সুদৃষ্টি রাখে। জুতা রপ্তানি করার জন্য সুযোগ-সুবিধা ও সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণে ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সূত্র: বাসস

নওগাঁয় মাছের অভাবে কমছে শুঁটকি উৎপাদন

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
নওগাঁয় মাছের অভাবে কমছে শুঁটকি উৎপাদন
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার একটি শুঁটকি চাতালে কাজ করছেন শ্রমিকরা/ খবরের কাগজ

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার এবার শুঁটকি উৎপাদন কমেছে। বর্ষায় নদীতে পানি কম হওয়ায় দেশি মাছের তেমন প্রজনন হয়নি। এতে মাছের দাম বেড়ে গেছে। তাজা মাছ ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। মাছ সংকটে অনেক শুঁটকি চাতাল ফাঁকা পড়ে আছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর ২৫ লাখ টাকার শুঁটকি বিক্রি হলেও এবার ৫ লাখ টাকার শুঁটকি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছর প্রায় ১৪২ টন শুঁটকি উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। যার বাজার মূল্য ৬ কোটি টাকা।

জেলার আত্রাই উপজেলায় শতাধিক জলাশয় রয়েছে। নদীভিত্তিক এলাকা হওয়ায় সব সময় এখানে দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ ধরা পড়ে। ওই মাছ দিয়ে উৎপাদন হয় শুঁটকি। এর মধ্যে পুঁটি, টাকি, শৈল, চান্দা ও চোপড়া মাছের শুঁটকির কদর সারা দেশে রয়েছে। 

বর্ষা মৌসুমে পানি কম হওয়ায় নদী ও জলাশয়গুলোতে দেশি মাছ কমেছে। চাহিদা অনুযায়ী নদীতে মাছ না পাওয়ায় দামও ঊর্ধ্বমুখী। পুঁটি, খলিশা ও টাকি মাছ প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা দামে কিনতে হচ্ছে। এতে শুঁটকি উৎপাদন কমেছে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। মাছ সংকটে শুঁটকি উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা। মাছের অভাবে অনেক চাতাল ফাঁকা পড়ে আছে।

জানা গেছে, এখানকার শুঁটকি সৈয়দপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, জামালপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। এ ছাড়া ট্রেনে ভারতে শুঁটকি রপ্তানি করা হয়।  

উপজেলার প্রধান মৎস্য বাজার আহসানগঞ্জ মৎস্য আড়ত। এখান থেকে মৎস্যজীবীরা সরাসরি মাছ বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীরা মাছ কিনে পানিতে পরিষ্কার করে লবণ দিয়ে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করেন।
 
ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার তাজা মাছ কেজিতে ৪০-৫০ টাকা দামে কিনতে হচ্ছে। খলিশা মাছ কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, পুঁটি ১০০ থেকে ১৬৫ টাকা ও টাকি মাছ কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। তবে শিং, বোয়ালসহ অন্যান্য মাছ না পাওয়ায় শুঁটকি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের শুঁটকি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, খলিশা, পুঁটি, চোপড়া ও টাকি মাছ ছাড়া অন্য মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর ২৫ লাখ টাকার শুঁটকি বিক্রি করেছিলাম। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৫ লাখ টাকার শুঁটকি তৈরি করেছি।

ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব শুঁটকি তৈরি হবে। বাজারে তাজা মাছ কম আসায় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। এতে খরচটাও বেশি পড়ছে।’ তিনি জানান, ৩ মণ তাজা পুঁটি মাছ শুকিয়ে ১ মণ হয়, যা বিক্রি হবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায়। ৪  মণ খলিশা শুকিয়ে হয় ১ মণ, যা বিক্রি হবে ১০ হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ী খালেক হোসেন বলেন, ‘নদীতে পানি থাকলেও বিল ও অন্যান্য জলাশয় পানি নেই। এতে করে দেশি মাছ কমে গেছে। আবার চায়না জাল (রিং জাল) দিয়ে মাছ শিকারের কারণেও প্রজনন কমেছে। এ বিষয়ে মৎস্য অফিসের সঠিক তদারকির প্রয়োজন।

আত্রাই উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান বলেন। উপজেলায় ২৬ জন শুঁটকি ব্যবসায়ী রয়েছেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আরও ৩০০ জন এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গত বছরের তুলনায় এবার বর্ষায় পানি কম হওয়ায় সঠিক সময়ে মাছের প্রজনন হয়নি। এতে নদীতে  মাছের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। তারপরও জেলায় এবার প্রায় ১৪২ টন শুঁটকি উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে; যার বাজার মূল্য ৬ কোটি টাকা। সূত্র: বাসস

বর্ধিত ভ্যাট-শুল্ক কমানোর দাবিতে অনড় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
বর্ধিত ভ্যাট-শুল্ক কমানোর দাবিতে অনড় ব্যবসায়ীরা
প্রতীকী ছবি

ব্যাপক সমালোচনা ও চাপের মুখে ৯টি পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ককর কমিয়েছে সরকার। তবে এখনো বেশির ভাগ পণ্য ও সেবায় তা রয়েই গেছে। ব্যবসায়ীরা বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানালেও আমলে নিচ্ছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে ব্যবসায়ীরাও দাবি আদায়ে অনড় রয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এসে প্রায় ১০০ পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাবে খরচ বেড়েছে অনেক খাতে। ব্যবসায়ীরা করোনার সময়ে ব্যবসা করতে পারেননি। করোনার পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রভাবে এখনো আমরা ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। এমন পরিস্থিতিতে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে আমাদের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। বাড়তি চাপ সামলাতে না পেরে অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।’

একই মত জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের আরেক সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু খবরের কাগজকে বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন। এসব দাবি বাস্তবায়ন হতে দেখছি না। আশা করি এনবিআর বিষয়টি বিবেচনা করবে।’

বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারির পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেক সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করেও বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে। অটোমোবাইল ও হোটেল-রেস্তোরাঁ খাতের ব্যবসায়ীরা রাজপথে নামেন। এনবিআরের সামনে অনেক ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়। 

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত মাসে (জানুয়ারি) অধ্যাদেশ জারি করে কয়েকটি খাতে পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পরামর্শে কিছু খাতের বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক সমন্বয় করা হয়েছে। আরও অনেকে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন। তাৎক্ষিণকভাবে এসব কমানো সম্ভব নয়। অনেক হিসাবের বিষয় আছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এসব বিষয় নিয়ে ভেবে দেখা হবে। নতুন বাজেট প্রণয়নের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। 

গত এক মাসে অনেক ব্যবসায়ী ব্যক্তিগতভাবে এনবিআর চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন। ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এক জোট হয়ে দেখা করে একই দাবি করেছেন। তবে এসব বৈঠক থেকে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানো হবে এমন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। 

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভ্যাট, কর ও শুল্কহার এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ না পড়ে। ভ্যাট, কর ও শুল্কের ভারে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারলে রাজস্ব পরিশোধ করবেন কীভাবে? বিষয়টি সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে কর্মসংস্থান ও রাজস্ব বাড়াতে ব্যবসায়ীদের দরকার আছে। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ভ্যাট, কর ও শুল্কহার ধার্য করা প্রয়োজন।’

তিনি হিসাব কষে বলেন, ‘আমরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে আম, টমেটো, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য কিনে প্রক্রিয়াজাত করে জুস, ড্রিংকস, আচার, সস তৈরি করি। টমেটো, আম, আনারস, পেয়ারা ও কলার পাল্পের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে খরচ বাড়বে। বর্ধিত ভ্যাটের কারণে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রান্তিক চাষিরা। অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হবে ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়ার কারণে অনেকেই এসব পণ্য কিনবেন না। এভাবে উৎপাদন খরচ বাড়ায় ব্যবসা কমিয়ে আনতে হবে। কারখানা বন্ধ হলে অনেক শ্রমিক বেকার হবেন।’

বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে এনবিআরে আবেদন করা হয়েছে। এসব আবেদনে অর্থবছরের মাঝামাঝি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে ব্যবসায়ে খরচ বেড়েছে অভিযোগ করে আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। 

বাংলাদেশ অটো বিস্কুট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুর রহমান ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘নিত্যপণ্যে যদি ভ্যাট থাকে, তাহলে ব্যবসায়ীরা কীভাবে ব্যবসা করবেন? এরই মধ্যে আমরা সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর জোরালো আবেদন করেছি। কিন্তু আমাদের দাবি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। কবে বাস্তবায়ন করা হবে তার আশ্বাসও পাওয়া যায়নি।’ 

বর্ধিত ভ্যাট কমানোর দাবিতে এনবিআরে জমা দেওয়া আবেদনে বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) থেকে বলা হয়েছে, সংগঠনের প্রায় ৪০০ সক্রিয় সদস্য রয়েছেন। এর বাইরেও পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্যপণ্য উৎপাদন করছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। কাঁচামাল সরবরাহকারী, খুচরা বিক্রেতাসহ পরোক্ষভাবে বিপুলসংখ্যক মানুষ এ খাতে যুক্ত। হঠাৎ এ ধরনের উদ্যোগে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য শীর্ষ পাঁচ রপ্তানি খাতের একটি। আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের সুপারশপেও এখন বাংলাদেশে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। এ খাতে রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এখন বর্ধিত ভ্যাট আরোপের ফলে এ খাত মুখথুবড়ে পড়বে। ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কাছে বাজার হারাবে বাংলাদেশ।

বাপার সভাপতি এম এ হাশেম খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বর্ধিত ভ্যাট ও শুল্ক আরোপের ফলে দাম বেড়ে গেলে পণ্য কেনা কমিয়ে দেবেন ভোক্তারা। স্বাভাবিকভাবে কোম্পানিগুলোও কাঁচামাল হিসেবে কৃষিপণ্য সংগ্রহ কমিয়ে দেবেন। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকরা। তারা ফসলের ভালো দাম পাবেন না।’

এনবিআরে জমা দেওয়া ব্যবসায়ী সংগঠনের আবেদনে হিসাব কষে দেখানো হয়েছে, ভ্যাটের হার বাড়িয়ে অনেক খাতে ১৫ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। এ হারের সঙ্গে বিভিন্ন ধাপে ভ্যাট যোগ হয়ে শেষ পর্যন্ত ২০-২৫ শতাংশ পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে ভোক্তাকে। এর মধ্যে ব্যাংকঋণের সুদের হার ১৫-১৬ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছে। বর্ধিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে ব্যবসা ও শিল্পে মুনাফা কমবে। অনেক প্রতিষ্ঠান লোকসানে পড়বে। 

বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘অর্থবছরের মাঝপথে ভ্যাটের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঠিক মনে করি না। এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বেন। মনে রাখতে হবে, এনবিআর ও ব্যবসাযীরা একে অন্যের সহযোগী, প্রতিপক্ষ না।’ 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের চাপে রেখে অর্থনীতি গতিশীল করা যায় না। বরং ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করে, রাজস্ব ছাড় দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল করতে হবে। এতে রাজস্ব আদায় বাড়বে।’

গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি বিটিএমএর

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ এএম
গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি বিটিএমএর
গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি বিটিএমএর

শিল্প-উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বস্ত্র মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। 

সংগঠনের সভাপতি শওকত আজিজ বলেছেন, ‘গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করা হলে একটার পর একটা কারখানা বন্ধ হবে। সেটা হলে বাংলাদেশের বস্ত্র খাত কোনোদিন টেকসই হবে না। নতুন বিনিয়োগ আসবে না। কোনো ব্যাংক নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে না।

বস্ত্র খাতের যন্ত্রপাতির সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সিবিশন (ডিটিজি) নিয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শওকত আজিজ।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।

সম্প্রতি শিল্প ও ক্যাপটিভের প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা বাড়িয়ে দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দিয়েছে পেট্রোবাংলা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিটিএমএ এই সংবাদ সম্মেলন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী বৃহস্পতিবার চার দিনব্যাপী ডিটিজি শুরু হবে। এবার প্রদর্শনীতে ৩৩টি দেশের ১ হাজার ৬০০ স্টল থাকবে।

মেলায় টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি, ফেব্রিক, ফিলামেন্ট, কেমিক্যালস, ডাইং প্রযুক্তি ও এক্সেসরিজ প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়া থাকবে টেকসই উৎপাদন ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনার। থাকবে ডিটিজি ফ্যাশন শো। এ প্রদর্শনী হবে এক ছাদের নিচে দেশি-বিদেশি পেশাদার, উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের একত্র হওয়ার সুযোগ।

প্রদর্শনীটির লক্ষ্য হলো, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সংশ্লিষ্ট শিল্পে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় ঘটানো।

বর্তমানে এক কিউবিক মিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা। এটা বাড়িয়ে নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। শওকত আজিজ রাসেল বলেন, গ্যাসের দাম ৭০ টাকা করলে তা কোনোভাবেই টেকসই হবে না। এতে নতুন কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করবে না। 

বিটিএমএ এবং ইয়র্কার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোং, লিমিটেড, হংকংয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০০৪ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সিবিশন (ডিটিজি) আয়োজন করা হচ্ছে।

৩৩টি দেশের ১ হাজার ৬০০টি স্টল এবং ১ হাজার ১০০-এরও বেশি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীতে টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শন করবে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্কসহ বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে।

দেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পের স্টেকহোল্ডারদের জন্য এ আয়োজনটিতে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। প্রদর্শনীটির লক্ষ্য, স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সংশ্লিষ্ট শিল্পে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী করে তোলা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটানো। ডিটিজি মেলাটি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ ও বিটিএমএর ভাবমূর্তির পরিচায়ক।