
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের দর কমে এলেও খুচরায় প্রভাব পড়েনি। সেই সঙ্গে ভোক্তা পর্যায়ে চড়া দামে বিক্রি হয় কেরালা আদা। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ-সবজির দর স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও বাড়তে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে গতকাল শুক্রবার দাম কমে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
অথচ নগরের ঈদগাঁ কাঁচাবাজার, কাজীর দেউড়ি ও কর্ণফুলী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। তবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৪০ টাকায়। তা ছাড়া পাইকারিতে কেরালা আদা ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরায় পণ্যটি বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা। অন্যদিকে পাইকারিতে চায়না রসুন ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরায় পণ্যটি মেলে ২২০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারতীয় ও দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী। শুধু তাই নয়, আদা, রসুনের বাজারও কমতির দিকে রয়েছে। আশা করছি, রমজান মাসে এসব পণ্যের দাম বাড়বে না।’
নগরের ঈদগাঁ কাঁচাবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘খুচরা পর্যায়ে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কম। কিন্তু এসব পেঁয়াজে মানুষের আগ্রহ বেশি, তাই দামটা বেড়েছে। অন্যদিকে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। দামও কম রয়েছে এসব পেঁয়াজের।’
এদিকে কাঁচাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হয় ১৯০ টাকায়। তবে দেশি ও সোনালি মুরগি আগের দরে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৪০ টাকায় বিক্রি হয়। কেজি প্রতি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অপরিবর্তিত থাকে ডিমের দর। প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হয় ১৪০ টাকায়।
এদিকে মাছের বাজারে প্রতি কেজি কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, রুপচাঁদা আকারভেদে ৬০০ থেকে ৯০০, লাল পোয়া ৪০০, লইট্টা ২০০, পাবদা ৪৫০, রুই ৩৪০, শোল ৭০০, কই ৩৫০, ট্যাংরা ৬০০ ও পাঙাস মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়। অন্যদিকে সবজির বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০, বেগুন ৩০, শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, লাউ ৩৫, গাজর ৪০, বরবটি ৫০, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০, শিম ৩০ ও টমেটো ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তা ছাড়া বিভিন্ন মুদি দোকানে প্রতি লিটার বোতালজাত সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮, পাম অয়েল ১৫৫, প্রতি কেজি ছোলা ১৩৫, চিনি ১৩০, মসুর ডাল (মোটা) ১১০, মসুর ডাল (ছোট) ১৩০, মুগডাল (ছোট) ১৫৫ ও মুগডাল (মোটা) ১৪০ ও খেসারি ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হয়।