ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

আবারও ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ চালুর দাবি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ এএম
আবারও ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ চালুর দাবি
ছবি: সংগৃহীত

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আবারও প্যাকেজ ভ্যাট ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন পুরোনো ঢাকার ব্যবসায়ীরা। 

গতকাল রাজধানীর মীম কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময়ে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। পুরানো ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে বেশকিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন,অসহনীয় যানজট, জলাবদ্ধতা, অপ্রতুল অবকাঠামো, এসএমই খাতে অপর্যাপ্ত ঋণ প্রবাহ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, ডলারের মূল্যের অস্থিরতা, উচ্চ সুদ হার ভ্যাট ও করের হার বৃদ্ধিসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে সরকারের সহযোগিতা চান তারা। 

উল্লেখ্য, ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ১৯৯১ সালের পুরোনো আইনে ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ চালু ছিল। এ পদ্ধতিতে ছোট ব্যবসায়ীরা বছরে একসঙ্গে মোট বিক্রির ওপর থোক হিসেবে সরকারকে ভ্যাট দিত। নতুন ভ্যাট আইনে এটি বাতিল করা হয়। ছোট ব্যবসায়ীরা আবার পুরোনো ভ্যাট প্রথায় ফিরে যেতে চান। 

উক্ত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. সেলিম আল মামুন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ)-এর অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মো. জসীম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা, কর ব্যবস্থার সহজীকরণ, আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা নিরসন, বাস্তবভিত্তিক ভ্যাট হার নিধারণের ওপর জোরারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘শতবছর ধরে পুরোনো ঢাকা ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হলেও যানজট, অবকাঠামোর অপ্রতুলতা এবং কর ও ভ্যাটের প্রতিবন্ধকতার কারণে এখানকার উদ্যোক্তারা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, যা নিরসনে সরকাররি-বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. সেলিম আল মামুন বলেন, ২০২২-২৪ পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য ৩৫ শতাংশ অবমূল্যায়িত হওয়ার কারণে ডলারের মূল্য অস্বাবাভিক হারে বেড়ে যায় এবং মুদ্রাব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ খাতে স্থিতিশীলতা আনয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, গত ৬ মাসে আমদানি ও রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩.৫ এবং ১০.৯ শতাংশ এবং গত ৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আরও বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে টাস্কর্ফোস গঠন করেছে।

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (দক্ষিণ)-এর অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন বলেন, সরকার ভ্যাট ব্যবস্থা সহজীকরণের জন্য ভ্যাট অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা অটোমেটেড করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে ব্যবসায়ীরা হয়রানি হতে মুক্ত হবেন। তিনি রশিদবিহীন ভ্যাটের টাকা না প্রদানের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভ্যাট সবসময় নির্ধারিত হয়ে থাকে মূল্যসংযোজনের ওপর।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, পুরোনো ঢাকার যানজট নিরসনে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আসন্ন রমজান মাসে নগদ টাকা পরিবহনে ব্যবসায়ীদের পুলিশের সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব করেন। যানজট নিরসনে পুরোনো ঢাকার বেশকিছু রাস্তা ওয়ানওয়ে করা হবে তিনি অভিহিত করেন। কিশোর গ্যাংকে একটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে এটি মোকবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।
 
আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআইর প্রাক্তন পরিচালক মনোয়ার হোসেন করের হার কমিয়ে করের আওতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন, সেই সঙ্গে করের হার যৌক্তিকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
 
ডিসিসিআইর প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুস সালাম বলেন, অসহনীয় যানজটের কারণে ব্যবসায়ীদের বিক্রি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। এমতাবস্থায় কর ও ভ্যাটের উচ্চ হার এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনার জটিলতার কারণে আমরা ক্রমশ ক্ষতির মুখোমুখী হচ্ছি।

ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপত মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এলসি মার্জিন কিছু ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হ্রাস করা প্রয়োজন। এ ছাড়াও অর্থবছরের মাঝে এসআরও জারি করে শুল্কহার পরিবর্তন করলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। 
 
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে খাতভিত্তিক ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর প্যাকেজ ভ্যাট ব্যবস্থা চালু করা, ট্যাক্স-ভ্যাট ব্যবস্থাপর সহজীকরণ, যানজট নিরসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন বিশেষকরে কিশোর গ্যাং-এর উৎপাত নিয়ন্ত্রণ, আমদানি পর্যায়ে ট্যারিফ ভ্যালুর ওপর শুল্ক আরোপ, ভ্যাট হার হ্রাস, বন্ড লাইসেন্সের আওতায় আমদানিকৃত পণ্যের অপব্যবহার বন্ধ করা, সরকারি ব্যয় হ্রাস এবং বন্দরের পণ্য খালাস প্রক্রিয়া অটোমেটেড ও সহজীকরণ প্রভৃতি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
 
ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালেম সোলায়মান, পরিচালনা পষদের সদস্যরা এবং প্রাক্তন সভাপতিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে ৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ডিসিসিআইর সদস্যপদ প্রদান করা হয় এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির হাতে ডিসিসিআইর মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন।

ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
ঈদের দিন শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)

আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কাস্টম হাউস বা স্টেশনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু এবং ঈদের দিন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (১৯ মার্চ) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মুকিতুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত (ঈদের দিন ব্যতীত) সাপ্তাহিক ছুটি ও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, আইসিডি, কমলাপুর, মোংলা, পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনারদের কাছে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা (উত্তর), ঢাকা (পশ্চিম), ঢাকা (পূর্ব), ঢাকা (দক্ষিণ), চট্টগ্রাম, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনারকেও এমন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। সূত্র: বাসস

অমিয়/

মুদ্রা বিনিময় হার: ১৯ মার্চ, ২০২৫

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম
মুদ্রা বিনিময় হার: ১৯ মার্চ, ২০২৫
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা–বাণিজ্য। তাছাড়া, পড়াশোনা, চিকিৎসা, ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদেশি মুদ্রার সঙ্গে আমাদের দেশের মুদ্রা বিনিময় করতে হয়।

একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, মুদ্রার বিনিময় হার প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়। আমরা প্রতিদিন সর্বশেষ বিনিময় হার তুলে ধরছি। আরও বিস্তারিত জানতে স্থানীয় ব্যাংক বা বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাদের ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা যেতে পারে।

মুদ্রা ক্রয় (টাকা) বিক্রয় (টাকা)
ইউএস ডলার ১২১.০০ ১২২.০০
ইউরো ১৩৩.৫০ ১৩৩.৫৪
ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫৮.৬০ ১৫৮.৬২
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৭.৬০ ৭৭.৬২
জাপানি ইয়েন ০.৮১৭৩ ০.৮১৭৪
কানাডিয়ান ডলার ৮৫.৩০ ৮৫.৩২
সুইস ক্রোনা ১২.১৪ ১২.১৬
সিঙ্গাপুর ডলার ৯১.৬৯ ৯১.৭০
চায়না ইউয়ান ১৬.৮৭ ১৬.৮৮
ইন্ডিয়ান রুপি ১.৪০৯৯ ১.৪১০৭
সৌদি রিয়াল ৩২.২৫ ৩২.৫৪
আরব আমিরাত দেরহাম ৩২.৯৪ ৩৩.২২

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ পিএম
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব
খবরের কাগজ

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)  ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এই আবেদন জানানো হয়।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার গত ১৫ বছর ধরে চরম অনিয়ম, অপশাসন ও অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। নানান অনিয়মের ফলে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রায় অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৃত রিটার্ন এবং মূলধন হ্রাস পেয়ে বাজার প্রকৃত অর্থে প্রায় ৪০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অতীতে বিভিন্ন প্রতিকূল ঘটনা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বিশেষ করে ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালের স্ক্যামগুলো বাজারের আর্থিক সংকট হিসাবে দাঁড়িয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা এবং বাজারের সামগ্রিক অখণ্ডতার স্থায়ী ক্ষতি করেছে। এ সময়ে অসংখ্য কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধির ফলে বিনিয়োগকারীদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। 

২০২০ সালে কোভিড-১৯ এবং পরবর্তী সময়ে প্রায় ২০ মাস ধরে শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোর প্রাইস আরোপের ফলে বাজারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ফান্ড ম্যানেজাররা বাংলাদেশ থেকে দূরে সরে গেছে এবং স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সঞ্চয় ও বিনিয়োগের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, মানহীন আইপিও তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে, যার ফলে বাজারে স্থায়ী তারল্যসংকট ও আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পরিচালনাকারী সংস্থা, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বাজার মধ্যস্থতাকারী এবং আর্থিক নিরীক্ষক, রেটিং এজেন্সিসহ অন্য স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ঘাটতির কারণে আস্থার মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। আপনার নেতৃত্বে আমরা যদি এই সংকট থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারি, তাহলে আমরা বাজারকে ঘুরে দাঁড়ানোর, এতে শৃঙ্খলা আনার এবং রাষ্ট্রের জন্য ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য মূলধন সংগ্রহের পরিবেশ তৈরি করার একটি চমৎকার সুযোগ হারাব।

তাই জবাবদিহি কাঠামো নিয়ে কাজ করার সময় আমাদের অবশ্যই আইপিও দিয়ে বাজারকে সমৃদ্ধ করতে হবে এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী ও বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের দুর্ভোগ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নতুন পণ্য ও কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। কম বাণিজ্যের পরিমাণ, বিনিয়োগযোগ্য স্টকের অভাব এবং সরবরাহের অসামঞ্জস্যতা, অনুমানমূলক এবং ম্যানিপুলেটিভ কৌশলগুলোর জন্য প্রজনন ক্ষেত্রের দিকে পরিচালিত করে। এ পরিবেশ থেকে বাঁচতে যত দ্রুত সম্ভব উচ্চমানের আইপিও পুঁজিবাজারে আনা প্রয়োজন।

বাণিজ্যিক ও অবকাঠামো খাতে আমাদের অসংখ্য লাভজনক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ রয়েছে। যদি এসব সংস্থা বাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তবে বাজারে মানের স্টকগুলোর ক্রমবর্ধমান সরবরাহ থাকবে, যা চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে সহায়তা করবে। এটি বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরিয়ে আনবে এবং বাজারে তারল্য সমস্যার সমাধান করবে।

বাংলাদেশে অনেক সুশাসিত, বড় বহুজাতিক কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে, তাদের মধ্যে কিছু শত বছরের, দেশের অবকাঠামোগত, আর্থিক ও মানবসম্পদকে একত্রিত করছে। আমরা সরকারকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোতে থাকা তার অংশীদারত্ব অফলোড করা জরুরি।

ডিবিএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের বৃহৎ স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আবেদনটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবেন এবং এর বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

লেনদেনের শীর্ষে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০৫ পিএম
লেনদেনের শীর্ষে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন
ছবি: সংগৃহীত

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা স্কয়ার ফার্মার ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড।

এদিন লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো শাইনপুকুর সিরামিক, হাক্কানি পাল্প, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইউসিবি, কাট্টলী টেক্সটাইল, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

দুই পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ পিএম
দুই পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেন
ছবি: সংগৃহীত

টানা দুই কার্যদিবস দরপতনের পর গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। তবে কমেছে অন্য দুই সূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে বাজারটিতেও প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে ডিএসইর মতো এই বাজারেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন ডিএসইতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও বেশি দাপট দেখিয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। লেনদেনে অংশ ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ১টির কমেছে এবং ৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ২৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৯টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ভালো কোম্পানি বা ‘এ’ গ্রুপের ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৮৩টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ৪০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ৩৪টি এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টির। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্যসূচক মিশ্র থাকার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫০৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৫৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৭টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ৪ লাখ টাকা।