ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

বিপাকে লবণ মিলের মালিকরা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১১ এএম
বিপাকে লবণ মিলের মালিকরা
প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য শ্রমিকরা মাথায় করে কারখানায় লবণ নিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম মহানগরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে তোলা। ছবি: মোহাম্মদ হানিফ।

১৯৬৫ সালে চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকায় যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ সল্ট ক্রাশিং নামের একটি লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান। কয়েক বছর আগেও মিলটির ব্যবসা মোটামুটি ভালো ছিল। কিন্তু এখন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার পথে। অব্যাহত লোকসানের কারণে পুঁজি হারানো আর বকেয়া টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির এখন যায় যায় অবস্থা। এর সঙ্গে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে যুক্ত হয়েছে ব্যাংকঋণ পরিশোধের তাড়া। অবস্থা এমন যে, কারখানায় নিয়োজিত দুজন ম্যানেজার আর শ্রমিকসহ ৫০ জনের বেতন দিতে প্রতিষ্ঠানটি রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। এত কিছুর পরও শুধু বাপ-দাদার ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখা হয়েছে। তাও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।

শুধু এই প্রতিষ্ঠান নয়, চট্টগ্রামে এমন অন্তত ৪৫টি লবণ মিল রয়েছে যেগুলো এখন সংকটময় সময় পার করছে। আর লোকসানের ভার বইতে না পেরে দুটি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি? দেশের একসময়ের লাভজনক খাত কেন হঠাৎ মুখথুবড়ে পড়ল। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একাধিক ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছে খবরের কাগজ। 

তাদেরই একজন বাংলাদেশ সল্ট ক্রাশিং কারখানার মালিক ফয়সাল ইমরান। তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তার ওপর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাকিতে লবণ বিক্রি না করে উপায় থাকে না। কিন্তু ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অনেক ক্রেতা গা ঢাকা দিয়েছেন। ধরা পড়ার ভয়ে অনেকে ব্যাংকে গিয়ে অর্থ পরিশোধ করতে পারছেন না। সব মিলিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। একদিকে ব্যাংকঋণের অর্থ শোধ করতে চাপ দিচ্ছে, অন্যদিকে পুঁজিসংকটে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমি নই, সব মিলারেরই মার্কেটে ৪০ থেকে ৬০ লাখ টাকা বকেয়া রয়ে গেছে। এই অর্থ আদায় করতে না পেরে ব্যবসা সামলাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। লোকসানের ভার বইতে না পেরে এরই মধ্যে দুটি কারখানা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।’ 

এদিকে লবণ উৎপাদনের মৌসুম শুরু হলেও পুঁজি হারানোর কারণে মিলমালিকদের মুখে হাসি ফুটছে না। গত বছর এক মাসে কেউ মাত্র ২০ দিন, কেউ ২৫ দিন করে মিল চালু রেখেছিলেন। এখন প্রায় সবাই মিল বন্ধ রেখেছেন। বর্তমানে ব্যবসায় চাঙাভাব না থাকায় লবণের পাশাপাশি অন্য কোনো পণ্য নিয়ে ব্যবসার কথা ভাবছেন অনেকে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে লবণ মিলগুলো চাক্তাই, রাজাখাল ও মাঝিরঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে। চাক্তাই ও রাজাখাল এলাকায় অন্তত ১৭টি মিল রয়েছে। এর মধ্যে চাক্তাই এলাকায় দুটি কারখানা পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে। এর একটি হাজি রহমত আলী সল্ট ক্রাশিং, অন্যটি বাগদাদ সল্ট। অন্যদিকে মাঝিরঘাট এলাকায় ৩০টি লবণ মিল রয়েছে। চালু থাকা এসব কারখানাগুলোও চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। 

চাক্তাই এলাকার লবণ পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান লাল মিয়া সল্টের মালিক আসাদ আসিফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘পুঁজিসংকটের কারণে খুবই খারাপ দিন যাচ্ছে। মিলগুলো কাজের গতি হারিয়েছে। কাঁচা লবণ কিনে এনে প্রক্রিয়াজাত করতে খরচ পড়ে বেশি। কিন্তু ওই লবণের অধিকাংশ বিক্রি করতে হয় বাকিতে। অতীতেও বাকিতে বিক্রি করে অনেকে সে অর্থ আদায় করতে পারেননি। তাই আমরা অল্প পরিমাণে এনে প্রক্রিয়াজাত করছি।’ 

তিনি বলেন, ‘গত বছর এক বস্তা লবণ (৭৪ কেজি) ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা ছিল। এবার বিক্রি করছি ৬৪০ থেকে ৭১০ টাকায়। এভাবে চলতে থাকলে লবণ মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।’ 

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, ‘লবণ উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। আশা করছি এবারও ভালো পরিমাণে লবণ উৎপাদন হবে। অনেকে বাকিতে লবণ বিক্রি করে সে অর্থ আদায় করতে পারেননি। তাই তারা আর্থিক সংকটে পড়েছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘যদিও সেটা ব্যবসায়ীদের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু তাদের সচেতন হয়ে ব্যবসা করতে হবে। মিলারদের সংকট নিরসনে আমরা বিসিকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, এ বছর মিলারদের অবস্থা খুব একটা ভালো যাবে না।’

প্রবাসী আয়ে সুবাতাস, ১৯ দিনে এল ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
প্রবাসী আয়ে সুবাতাস, ১৯ দিনে এল ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা

মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স)। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে আরও জানায়, শুধু ১৯ মার্চ একদিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার।

এতে বলা হয়, মার্চের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৮.৪ শতাংশ

এদিকে গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল যথাক্রমে ১৬৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও ১২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এ হিসাবে মার্চে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশে স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসতে পারে।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

গত বছর ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ও ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

এমএ/

ঈদ উপলক্ষে কর্মচঞ্চল জামদানি পল্লি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
ঈদ উপলক্ষে কর্মচঞ্চল জামদানি পল্লি
ছবি: খবরের কাগজ

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া বিসিক জামদানি পল্লি কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে। তাঁত বোনার খটখট শব্দে মুখর চারদিক। কারিগরদের ব্যস্ততা তুঙ্গে, কেনাবেচাও জমজমাট। এই ব্যস্ততা চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, বিক্রি ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে প্রচুর জামদানি। বিভিন্ন পেজ খুলে ছবি আপলোড করলেই অর্ডার আসছে।
প্রায় ৬ হাজার তাঁতি কাজ করেন বিসিক জামদানি পল্লিতে। যুগ যুগ ধরে এ এলাকাটি জামদানি তৈরির ঐতিহ্য বহন করছে। শুধু শাড়ি নয়, তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, লুঙ্গিসহ নানা পোশাক। তারাব পৌরসভার রূপসী, খাদুন, কাজীপাড়া, মুড়গাকুল, পবনকুল ও বরাব এলাকায় জামদানি বোনা হয়।

তাঁতিরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকেন সুতা তৈরি, রং করা, বুনন ও নকশার কাজে। ঐতিহ্যবাহী জামদানির মধ্যে বল, প্লেন, বটপাতা, পানসি, ময়ূরপঙ্খী ও জলপাড় ডিজাইন জনপ্রিয়। এসব শাড়ি ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। দাম শুরু হয় কয়েক হাজার টাকা থেকে। যেটি ২ লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হাছিনা জামদানি ঘরের স্বত্বাধিকারী ইয়াছিন ভূঁইয়া বলেন, ‘৩৫ বছর ধরে জামদানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছি। বর্তমানে ২০ জন কারিগর কাজ করছেন। অনেক সময় শাড়ির খরচ তুলতেই কষ্ট হয়, কখনো কখনো বাকিতে বিক্রি করতে হয়। অনলাইনে নগদে বিক্রি করায় এখন সমস্যা কিছুটা কমেছে। সরকার যদি সরাসরি জামদানি সংগ্রহ করত, তাহলে আমরা উপকৃত হতাম। ঈদে বিক্রি ভালো, আশা করি পরিবার নিয়ে সুন্দর ঈদ কাটাতে পারব।’

আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কারিগর আনতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হয়। পুঁজিসংকটে বড় পরিসরে ব্যবসা সম্ভব হয় না। ব্যাংক যদি কম সুদে ঋণ দিত, তাহলে ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করা যেত। সুতা ও রঙের দাম বাড়ছে, সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে।’

জামদানি কারিগর শফিকুল জানান, ‘সামনে ঈদ, তাই দিনরাত ব্যস্ত। ২৫ বছর ধরে এই পেশায় আছি। ঈদ ছাড়া প্রতি শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হাট বসে, যেখানে শাড়ি বিক্রি করতে হয়। তাই সারা সপ্তাহ ব্যস্ত থাকতে হয়।’

রূপগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জামদানি ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। করোনার পর অনলাইনে বিক্রি বেড়েছে। এখন বিক্রির প্রায় অর্ধেক অনলাইনে হয়, বাকিটা হাট ও অন্যান্য মাধ্যমে।’

দিনাজপুরে ১ হাজার টন মধু উৎপাদন লক্ষ্য

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
দিনাজপুরে ১ হাজার টন মধু উৎপাদন লক্ষ্য
দিনাজপুরের মাউদপাড়া লিচুবাগানে মৌ-বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করছেন মৌখামারিরা। খবরের কাগজ

দিনাজপুর লিচুর জেলা হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারির শুরুতেই লিচুগাছে মুকুল আসে। মুকুল আসার আগেই বাগানিরা পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা গাছে পানি দেওয়া, স্প্রে করাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেন। 

মার্চের শুরু থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত প্রতিটি গাছে মুকুলে ভরে যায়। এ সময় মধু আহরণের লক্ষ্যে মৌখামারিরা লিচুবাগানে শত শত মৌ-বাক্স স্থাপন করেন। দিনাজপুরের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও মৌখামারিরা এখানে আসেন।

মুকুল থাকাকালে মৌখামারিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত থাকেন। তাদের অতিরিক্ত শ্রমিক প্রয়োজন হয়। এ বছর দিনাজপুরের বিভিন্ন লিচুবাগানে সহস্রাধিক মৌখামারি মৌ-বাক্স স্থাপন করেছেন। তাদের লক্ষ্য ১ হাজার টন মধু উৎপাদন। এর বাজারমূল্য ২০০-২২০ কোটি টাকা।

দিনাজপুর শহরের প্রমথতরী মাউদ পাড়ার লিচুবাগানে মৌ-বাক্স স্থাপন করে তাক লাগিয়েছেন মৌখামারি মাহবুবুর রহমান। এতে মধু সংগ্রহ যেমন হচ্ছে, তেমনি মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়নের ফলে লিচুর ফলনও বাড়ছে। এতে বাগানিরা খুশি।

জেলার সদর, বিরল, চিরিরবন্দরসহ ১৩টি উপজেলায় লিচু চাষ হচ্ছে। এ বছর লিচু চাষের জমির পরিমাণ ৫ হাজার ৬৮৯ হেক্টর এবং বাগানের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। মাসিমপুর ও বিরলের মাদববাটিতে মৌ-বাক্স স্থাপনকারী খামারির সংখ্যা বেশি।
আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাউদ পাড়ার লিচুবাগানে রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও মাহবুবুর রহমান মিলে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মৌ-বাক্স স্থাপন করেছেন। তাদের কাজে আরও পাঁচজন যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘সারা বছর আমরা লিচুর মুকুল থেকে মধু আহরণের অপেক্ষায় থাকি। এবার মার্চের শুরুতেই ৪৫০ বাক্স স্থাপন করেছি। মাসে ২০০ মণ মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতি বাক্স থেকে ছয়-সাত কেজি মধু সংগ্রহ হচ্ছে।’
মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের খামারে পাঁচ-সাতজন শ্রমিক কাজ করছেন। আমরা ছয়-সাত দিন পর মধু হারভেস্ট করি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মধু সংগ্রহ সম্ভব।’

লিচু বাগানি মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার এক একর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। মৌখামারিরা মৌ-বাক্স স্থাপন করায় ৩০-৩৫ শতাংশ ফলন বৃদ্ধি পায়। আলাদা পাহারাদারের দরকার হয় না।’

মাসিমপুরের লিচু বাগানি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মৌ-বাক্স স্থাপন করায় মৌমাছির মাধ্যমে পরাগায়ন হয়। ফলে লিচুর আকৃতি, মিষ্টতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। স্প্রের প্রয়োজন কম হয়, খরচও কমে যায়।’

মধু ক্রেতা লুৎফর রহমান বলেন, ‘লিচুর ফুলের খাঁটি মধু সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে কিনতে পারছি। বাজারের তুলনায় কম দামে পাচ্ছি।’

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক জাফর ইকবাল বলেন, ‘দিনাজপুর লিচুর জেলা। পরাগায়নের জন্য মৌ-বাক্স স্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে লিচুর উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং বিপুল পরিমাণ মধু আহরণ সম্ভব হয়। এতে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মৌ-বাক্স স্থাপন দুপক্ষের জন্যই লাভজনক।’

বরিশালে ২০ হাজার কোটি টাকার তরমুজ বেচাকেনার সম্ভাবনা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
বরিশালে ২০ হাজার কোটি টাকার তরমুজ বেচাকেনার সম্ভাবনা
বরিশাল নগরীর পোর্টরোড এলাকায় পাইকারি তরমুজের বাজার। খবরের কাগজ

বরিশালে আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন। স্থানীয় বাজার ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে এখানকার তরমুজ। ব্যবসায়ীরা জানান, ২০ হাজার কোটি টাকার তরমুজ বেচাকেনার সম্ভাবনা আছে। ফলন ভালো হলেও খুচরা বাজারে দাম বেশি। মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকরা তেমন লাভবান হচ্ছেন না। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠোর হলে কৃষক ও ভোক্তা—দুজনই উপকৃত হবেন।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ হাজার ২০৭ হেক্টর বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে বরিশাল বিভাগে ৪৮ হাজার ৪৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ হাজার ৩৪৪ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৫১ হেক্টর। প্রতি হেক্টরে আবাদের হার ১১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তরমুজ বাজারে এসেছে। চলতি মাস পর্যন্ত তা বাজারে থাকবে। ব্যবসায়ীরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বরিশালে ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার তরমুজ বেচাকেনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোলার চরফ্যাশনের তরমুজ চাষি জাকির হোসেন বলেন, ‘এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। মৌসুমের তরমুজ এখনো তুলিনি। আগাম জাতের তরমুজে ভালো দাম পাচ্ছি। বড় ধরনের ঝড়-বন্যা না হলে লাভবান হবো।’

পটুয়াখালীর বাউফলের কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘গত বছর ঝড়-বন্যায় তরমুজ গাছ নষ্ট হয়েছিল। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আকার ও মানভেদে প্রতি ১০০ পিস তরমুজ ১৬-২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। প্রথম ধাপে ৮ হাজার পিস তরমুজ বরিশাল পোর্টরোড বাজারে এনেছি।’

বাকেরগঞ্জের তরমুজ ব্যবসায়ী মিরাজ ঢালি বলেন, ‘৪০০ তরমুজ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দাম বেশি। মাঝারি সাইজের প্রতি ১০০ পিস তরমুজ ১৩ হাজার টাকা চাইছে। আমি ১২ হাজার পর্যন্ত বলেছি।’ 

আড়তদার ইমন বলেন, ‘এ বছর আগামজাত তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে প্রচুর তরমুজ উঠলেও দাম বেশি। আমরা চাষিদের সঙ্গে কমিশনে ব্যবসা করি। খুচরা বিক্রেতারা আমাদের কাছ থেকে কিনে কেজি দরে বিক্রি করেন।’

সুজন বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে আড়তদারদের হাত নেই। খুচরা বিক্রেতারা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়ায়। এতে অস্থিরতা তৈরি হয়।’
সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস এম মাহবুব আলম বলেন, ‘এখন বাজারে আসা তরমুজ আগাম জাতের। এটি মূল লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে গণনা করা হবে না। তবে ফলন ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক হাজার কোটি টাকার তরমুজ বাণিজ্য হবে। তরমুজ এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

উদ্যান বিশেষজ্ঞ জি এম এম কবীর খান বলেন, ‘দেশের দুই-তৃতীয়াংশ তরমুজ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় উৎপাদিত হয়। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে কৃষকরা লাভবান হতে পারছে না। তাদের সুরক্ষা দিতে হলে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

নতুন নোটের রমরমা ব্যবসা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
নতুন নোটের রমরমা ব্যবসা
ছবি: সংগৃহীত

নতুন জামা-জুতার সঙ্গে ঈদ আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করে ঈদ সালামি। আর সেই সালামিটা হওয়া চাই নতুন নোটে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছর বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে নতুন নোট ছাড়ে। চলতি বছরও সে রকমই প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত টাকা আর বাজারে ছাড়া যাবে না- এমন নিষেধাজ্ঞার কারণে শেষ পর্যন্ত নতুন টাকা বিনিময়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন সিদ্ধান্তে গ্রাহকরা ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের ফুটপাত থেকে বেশি দাম দিয়ে নতুন টাকা কিনছেন। 

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোন কোন শাখার মাধ্যমে নতুন নোট বিনিময় করা যাবে, তা জানিয়ে একটি সার্কুলার প্রকাশ করে। সার্কুলার অনুযায়ী, ঈদ উপলক্ষে গতকাল বুধবার থেকে আগামী ২৫ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত নতুন নোট বিতরণ করার কথা ছিল। রোজা শুরুর আগেই এসব শাখায় চাহিদা অনুযায়ী নতুন নোট পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে এসব ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত নোট ছাড়া নিয়ে বিতর্কের মুখে গত ১০ মার্চ নোট বিতরণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তে ফুটপাতে জমে উঠেছে নতুন টাকার রমরমা ব্যবসা। সারা বছরই তারা এই ব্যবসা করলেও ঈদের আগে চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এক বান্ডিলে থাকে ১০০টি নোট। এবারে ১০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট নিতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য নোটের ক্ষেত্রেও আনুপাতিক হারে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। যেমন ২০ টাকার নোটে তারা অতিরিক্ত নিচ্ছে ৬০০ টাকা, ৫০ টাকার নোটে ৩০০, ১০০ টাকার নোটে ৫৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না ২ এবং ৫ টাকার নোটেও। ২ টাকার নোটে নিচ্ছে ১৫০ আর ৫ টাকার নোটে নিচ্ছে ২৫০ টাকা। ব্যাংকে না পাওয়ার কারণে এবার ফুটপাতের দোকানিরা দাম হাঁকছেন বেশি। গতবারও নতুন নোট চাহিদার তুলনায় কম ছাড়ায় ব্যবসায়ীরা প্রতি বান্ডিলে সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে বেশি নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক তো এবার নতুন টাকা দিচ্ছে না। তাহলে বাইরে বিক্রির জন্য নতুন টাকা আপনারা কোথায় পেয়েছেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বিক্রেতা বলেন, ‌‘যারা টাকা নিয়ে আসে, তাদের কাছ থেকেই আমরা কিনে নিচ্ছি। ব্যাংকের পিয়ন থেকে শুরু করে অনেকেই এ টাকা নিয়ে আসেন।’

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি টাকা দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদের লাভ খুব বেশি থাকছে না। তিনি বলেন, ‘রোজার দিনে সারা দিন রোদে দাঁড়িয়ে থেকে আমরা প্রতি নোটে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ টাকা পাচ্ছি।’ 

নোট কিনতে আসা আরেফিন আহমেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘ঈদে বাড়ি যাব। ছোট ভাইবোনদের সালামি হিসেবে প্রতিবছর নতুন টাকা দেই। তখন ওদের হাসিমুখ দেখতে খুব ভালো লাগে। এবার তো ব্যাংকে নতুন টাকা দিচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে ১০ টাকার দুটি নোট নিয়েছি। এ জন্য অবশ্য আমাকে ৮০০ টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ছাড়াও রাজধানীর গুলিস্তান, সদরঘাট, মিরপুর, ফার্মগেট, রায়সাহেব বাজার এলাকায় নতুন নোটের পসরা বসিয়ে থাকেন নিয়মিত ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

ফুটপাতে নতুন নোট কীভাবে আসে, সেই প্রশ্ন নতুন নয়। এর সঠিক উত্তর কখনো মেলেনি। এ প্রশ্নে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন নোট বিতরণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাও নতুন নোট বিনিময় করতে পারছেন না। তারপরও কীভাবে নতুন নোটের কারবারিরা সেটি পাচ্ছেন, তা বোধগম্য নয়। এবার ব্যাংক থেকে নতুন টাকা নেওয়ার সুবিধা বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাজারে যে পরিমাণ নোট প্রচলিত রয়েছে, এতে যদি এখন আবার ফ্রেশ নোট বাজারে ছাড়া হয়, তাহলে বাজারে টাকার পরিমাণ বেড়ে যাবে। এ ছাড়া যেহেতু খুব শিগগিরই নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়া হবে, তাই এখন আর বাজারে নতুন নোট না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ 

এদিকে, এবার নতুন নোট বিনিময় না করার সিদ্ধান্তের পর ব্যাংকগুলোতে সংকট তৈরি হয়েছে। ঢাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের ৮০টি শাখার ভল্টে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোটের বিশাল ভান্ডার থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। আবার এসব নোট ফেরতও নিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে শাখার ভল্টের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে নোটগুলো। আরেক দিকে প্রতিটি শাখার উল্লেখযোগ্য পরিমাণের টাকা আটকা পড়েছে। এ তালিকায় সংকটে থাকা ব্যাংকের ১৯টি শাখাও রয়েছে। ব্যাংকগুলোর জন্য এসব নতুন টাকা যেন এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্যাংকাররা জানান, প্রতিটি শাখার ভল্টের ধারণক্ষমতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ একটি সীমা নির্ধারিত আছে। কোথাও ওই সীমার বেশি টাকা জমা হলে তা পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা সোনালী ব্যাংকের ‘চেস্ট’ শাখায় জমা দিতে হয়। প্রতিটি ব্যাংকে সাধারণত ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট থাকে বেশি। এতে জায়গা লাগে কম। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে বাজারে ছাড়ার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২, ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়ার জন্য শাখাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এতে ভল্টের পুরো জায়গা ভরে গেছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছে এ শাখাগুলো। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন নোট ছাড়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছিল। শাখাগুলোতে নতুন নোট পাঠিয়েও দিয়েছিল। কিন্তু সেসব টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকও নতুন নোট বাজারে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এতে নতুন টাকা নিয়ে ব্যাংকগুলো সংকটে পড়ে যায়।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী করণীয় নির্ধারিত না হওয়ায় এখনই ফেরত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের ভল্টে নোট পাঠানোর জন্য একটি খরচ আছে। আবার নোট ফেরত আনতেও খরচ আছে। যে কারণে কিছুটা সময় নেওয়া হচ্ছে।’