ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

টিসিবির পণ্য কেনা নিয়ে ক্রেতাদের নানা অভিযোগ

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১ এএম
আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১১:০৯ এএম
টিসিবির পণ্য কেনা নিয়ে ক্রেতাদের নানা অভিযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারি বিপণনকারী সংস্থা টিসিবি ট্রাকে করে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছিল গত বছর থেকে। কম সময়ে সরকারের এই উদ্যোগ সাড়া ফেলে। পণ্য সরবরাহ ঘাটতির কারণে সরকার ট্রাকসেল বন্ধ করে দেয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় এ কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি। 

কিন্তু ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রিতে ক্রেতাদের কাছে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রেতার তুলনায় পণ্য কম হওয়ায় পণ্য বিতরণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা ৫৮৮ টাকা খরচ করে ২ লিটার ভোজ্যতেল (সয়াবিন বা কুঁড়ার তেল), ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি ছোলা ও ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারেন। প্রতিটি ট্রাকে ২০০ জনের পণ্য থাকে। অথচ প্রায় প্রতিটি ট্রাকের পেছনেই ৩০০-৪০০ মানুষের সারি দেখা যায়। জনবহুল আবাসিক এলাকায় মানুষের সংখ্যা আরও বেশি থাকে।

টিসিবির ট্রাক থেকে এসব পণ্য কিনলে একজন ভোক্তার ৪০০ টাকার মতো সাশ্রয় হয়। মূলত এই অর্থ সাশ্রয়ের জন্যই তীব্র ভিড় সত্ত্বেও মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। কিন্তু ক্রেতার তুলনায় পণ্য কম থাকায় শেষ পর্যন্ত অনেকে পণ্য কিনতে না পেরে খালি হাতে ফেরত যান। 

টিসিবির নিবন্ধিত ডিলার বা সরবরাহকারীরা ট্রাকে করে প্রতিদিন ঢাকা শহরের ৫০টি ও চট্টগ্রামের ২০টি স্থানে ভর্তুকি মূল্যের পণ্য বিক্রি করেন। তবে প্রতিদিন একই জায়গায় পণ্য বিক্রি হয় না; একই ওয়ার্ডের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ট্রাক যায়। ফলে সীমিত আয়ের অনেক ক্রেতা ঠিক কোথায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে, তা জানেন না। আবার লম্বা সময় নিয়ে ট্রাক খোঁজাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না।

এ বিষয়ে টিসিবির বক্তব্য হচ্ছে, একই স্থানে প্রতিদিন পণ্য দিলে নির্দিষ্ট কিছু মানুষ বারবার পণ্য কেনার সুযোগ নেন। এটি এড়াতে প্রতিদিনই স্থান বদল করা হয়। তবে টিসিবির স্থান পরিবর্তনের এই পদ্ধতি খুব কার্যকর হয় না। স্থান পরিবর্তন সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকায় নির্দিষ্ট কিছু মানুষ প্রতিদিন টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কেনেন। এই মানুষেরা জোটবদ্ধ হয়ে সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। ট্রাক এলে একে অন্যকে খবর পাঠান। তাদের অনেকে এসব পণ্য বাইরে বেশি দামে বিক্রি করেন বলেও অভিযোগ আছে। অন্যদিকে কর্মজীবী, সীমিত বা নিম্নআয়ের মানুষ স্থান ও সময় না জানায় টিসিবির পণ্য কেনার সুযোগ সেভাবে পান না।

কাজীপাড়ায় টিসিবির পণ্য নিতে আসা রাফায়েত চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় দোকানদার ও আশপাশে থাকা মানুষেরা প্রতিদিনই ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে পণ্য নেয়। এই পণ্য নেওয়ার জন্য একটা গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গেছে। তারা একে অপরকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের মতো নিম্নআয়ের ও ছোট চাকরি করা মানুষেরা লাইনে ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জানতেই পারি না, কোথায় ও কবে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবির ট্রাকের পেছনে নারী ও পুরুষেরা সাধারণত দুটি সারিতে দাঁড়ান। অনেক পরিবেশক ট্রাক নিয়ে আসার পর উপস্থিত মানুষের মধ্যে টোকেন বিতরণ করেন। তখন টোকেনের সিরিয়াল অনুসারে ক্রেতারা পণ্য কেনেন। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেক পরিবেশক টোকেন ছাড়াই পণ্য বিক্রি করেন। টোকেন না থাকলে অনেক ক্রেতা আগে পণ্য নেওয়ার জন্য লাইন ভেঙে সামনে চলে যান। তাতেই শুরু হয় হট্টগোল।

শেওড়াপাড়ায় টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে আসেন সুলতানা বেগম। কিন্তু চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও এই নারী পণ্য কেনার সুযোগ পাননি। তিনি বলেন, ‘ট্রাকের লোকেরা টোকেন দেয়নি। এ কারণে বুঝতেও পারছিলাম না যে শেষ পর্যন্ত পণ্য পাব কি না। আশায় আশায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে পণ্য না কিনেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। শুরুতেই উপস্থিত লোকজনের মধ্যে দিলে এই সময় আর নষ্ট হতো না।’

টিসিবির ট্রাকের পেছনে আরেকটি নিয়মিত চিত্র হচ্ছে বিশৃঙ্খলা, ধাক্কাধাক্কি ও মারামারির ঘটনা। প্রতিটি স্থানেই পণ্য বিক্রিতে চরম বিশৃঙ্খলা ও ক্রেতাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা দেখা গেছে। এই চিত্র সবচেয়ে প্রকট নারীদের সারিতে। রাজধানীর চারটি স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রেতাদের (ট্রাক ড্রাইভার ও তার সহকারী) ক্রেতারা মারধর করেছেন বলে জানিয়েছেন টিসিবির কর্মকর্তারা। সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর কাঁচাবাজারের সামনের সড়কে টিসিবির পণ্যবোঝাই ট্রাকের চালক ও তার এক সহকারীকে মারধর করেন স্থানীয় লোকেরা। মূলত পণ্য বিক্রি নিয়ে হট্টগোলের জেরে তাদের মারধর করা হয়। পরে ট্রাকটি সেখান থেকে চলে যায়। 

টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ, ট্রাকের বিক্রেতারা (পরিবেশক, চালক ও সহকারী) সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এর মধ্যে গালাগাল যেন নিয়মিত ঘটনা। কখনো কখনো পানি ছুড়ে মারেন এবং সজোরে ধাক্কা দেন।

টিসিবির শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ক্রেতাদের অভিযোগ আমরা জেনেছি। তাদের সঙ্গে যেন দুর্ব্যবহার করা না হয়, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যের তুলনায় মানুষের ভিড় বেশি থাকায় বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। সে জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার কথা ভাবছি।’

বাজেট বিনিয়োগবান্ধব হয়নি, প্রতিক্রিয়া (ডিসিসিআই)

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১১:০৫ এএম
বাজেট বিনিয়োগবান্ধব হয়নি, প্রতিক্রিয়া (ডিসিসিআই)
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)

প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সার্বিকভাবে ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব হয়নি। কারণ, প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই ও ব্যাংকিং খাত সংস্কারে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই।

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।

তাসকীন আহমেদ বলেন, ব্যাংক খাতে ঋণের সুদের হার কমিয়ে আনাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ছাড়া বাজেটে ঘাটতি মেটাতে বেশি মাত্রায় ব্যাংকনির্ভর হওয়া একটি নেতিবাচক দিক। এবারের বাজেটে ব্যবসায় গতি আনার জন্য তেমন কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

এ সময় তাসকীন আহমেদ আরও বলেন, ‘বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমাতে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালন ব্যয় বাড়বে। এর ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যাবে। এ ছাড়া আর্থিক খাত থেকে অধিক হারে ঋণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে করমুক্ত পণ্যের ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপকে আমরা সঠিক মনে করছি না। এতে ব্যবসার কার্যকরী মূলধন কমে যাবে।’

প্রতিক্রিয়ায় তাসকীন আহমেদ আরও বলেন, ব্যক্তিগত করের ক্ষেত্রে আয়সীমায় ৫ শতাংশের সীমা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগামী অর্থবছরে দেশের ৫০ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবারের ওপর বাড়তি করের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি।

এ সময় অটোমোবাইল খাতে খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় এই খাতের স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমলেও স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোয় এ শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হবে বলেও মনে করছে ঢাকা চেম্বার।

ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আরও বলেন, ‘বাজেটে এলএনজিসহ ব্যবসার কাঁচামাল আমদানিতে কর কিছুটা কমানো হয়েছে। এর ফলে আমাদের হয়তো কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমিয়ে আনা যাবে। আমাদের বেসরকারি খাতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ কমছে। তবে বাজেটে ব্যবসাবান্ধব তেমন কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাইনি। এসএমই খাতে আমাদের দেশের সর্বমোট শ্রমশক্তির ৫০ শতাংশ ও ৮০ লাখের বেশি মানুষ জড়িত। অথচ বাজেটে এই খাত নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি।’

স্টার্টআপ খাত নিয়ে তাসকীন আহমেদ বলেন, এই খাতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে অনলাইন ব্যবসার লেনদেনে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তাতে অনলাইনে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ব্যয়ের দিক থেকে গতানুগতিক, আয়ের দিক থেকে সাহসী

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১১:০২ এএম
ব্যয়ের দিক থেকে গতানুগতিক, আয়ের দিক থেকে সাহসী
ড. জাহিদ হোসেন

অর্থায়নের সীমাবদ্ধতার মধ্যে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য হবে না। এদিক থেকে বাজেট গতানুগতিক। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। যা আদায় করা সম্ভব হবে না। আগামী এক বছরের মধ্যে সরকারের সেই সক্ষমতাও তৈরি হবে না। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আদায় ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এ বছর ৪ লাখ আদায় করতে করতে পারব কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। সেখানে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা আদায় কীভাবে সম্ভব? আর রাজস্ব আদায় না হলে সরকারের ঘাটতি বেড়ে যাবে। ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকের ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বাজেট ঘাটতি হিসেবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা সহনীয় আছে। এটা অর্থায়নযোগ্য।

তবে এর বেশি হলে অর্থনীতিতে বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে, ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহ, সুদের হার, মুদ্রা বিনিময় হারসহ সব খাতে চাপ অনেক বেড়ে যাবে। এটা সহ্য করা কঠিন হয়ে যাবে। আয়করে অব্যাহতির ক্ষেত্রে যাকে ধরা যায় না, তাকেও ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যাকে ছোঁয়া যায় না তাকেও ছোঁয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভ্যাটের ক্ষেত্রে অব্যাহতি ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে। আর দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমদানি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে তারা উদ্যোক্তারা যে সুরক্ষা পেত, সে ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট দুটোই কমানো হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে সরকার অনেক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। 

তবে এ ক্ষেত্রে দেশীয় উদ্যোক্তারা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেন, সেটাই দেখার বিষয়। ঘাটতি পূরণে ব্যাংকঋণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, এর মধ্যেই থাকতে হবে। আশা করছি, আগামী অর্থবছর আমানতের প্রবৃদ্ধি আরও কিছুটা বাড়বে। আর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই যদি সরকার ঋণ নেয়, তাহলে সুদের হারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। কিন্তু সরকার যদি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ নেয়, তাহলে ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর ব্যক্তি খাতে ঋণ দেওয়ার আগ্রহ কমে যাবে। শেয়ারবাজারকে চাঙা করতে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিবাচক দিক। 

এ ছাড়া বিনিয়োগের জন্য যে কাঠামোগত সংস্কার দরকার, সেই বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ব্যাংক খাতের ক্ষয় বন্ধ করা গেলেও এখনো স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এ ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোই বাজেট বক্তৃতায় তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে নতুন কোনো পথনকশা নেই। বাজেট বক্তৃতায় বলা উচিত ছিল, তারা চলে যাওয়ার আগে কোন কোন সংস্কার শেষ হবে। কয়টা ব্যাংককে নিষ্পত্তি করে দিয়ে যাবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে কাঠামোগত সমস্যাগুলো আছে, সংস্কারের মাধ্যমে সেই বাধাগুলো দূর করার ক্ষেত্রেও তেমন কোনো পদক্ষেপের কথা বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়নি। এটা অবশ্যই থাকা উচিত ছিল। 

সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংক

ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণেই নির্ভরতা বাড়ছে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণেই নির্ভরতা বাড়ছে
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফিকস

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকঋণেই বেশি নির্ভর করার পরিকল্পনা করেছে। এই খাত থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে, যা মোট ঘাটতির ৪৮ শতাংশ। 

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় এই লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে আমাদের সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ও ঋণ সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার প্রস্তাব করছি। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৪ হাজার কোটি, সঞ্চয়পত্র থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।’ 

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকা করা হয়। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে ব্যাংকঋণের লক্ষ্যমাত্রা চলতি বছরের চেয়ে কিছুটা কম হলেও সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।  

বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকার দুইভাবে ঋণ নেয়। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে, অন্যটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণ দেওয়ার সক্ষমতা কমে যায় ব্যাংকগুলোর। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তাতে ভোগান্তি বাড়ে সাধারণ মানুষের। 

অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তারা বলছেন, বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়লে একদিকে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে যায়, যা বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যায়। তারপরও আগামী বাজেটে সরকার ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণেই নির্ভর করতে চাইছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ব্যাংক থেকে যদি সরকার ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়, তাহলে ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া, ব্যাংকের আমানত বাড়ানোর হারও খুব বেশি না। গত মার্চ শেষে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। যদি আগামী অর্থবছরে সেটা বেড়ে ১ লাখ ৫০ বা ৫৫ হাজার কোটি টাকাও হয়, এর মধ্য থেকে সরকারই যদি ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা নিয়ে নেয় তাহলে বেসরকারি খাতে দেওয়ার মতো ঋণের অঙ্কটা খুব বেশি থাকে না। যেহেতু সরকারি ঋণ ঝুঁকিবিহীন এবং রিটার্নও ভালো- এমন বাস্তবতায় ব্যাংকাররা বেসরকারি খাতে ঋণ দিতে খুব বেশি আগ্রহী হবেন না- এটাই স্বাভাবিক। সেদিক থেকে বেসরকারি খাতের ঋণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর যদি রাজস্ব আয়ের ঘাটতি অর্জিত না হয় এবং সরকার ব্যয় কমাতে না পারে সে ক্ষেত্রে ঘাটতি আরও বেশি হবে। তখন ব্যাংকঋণের চাহিদা আরও বেড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতে ঋণ আরও সংকুচিত হবে।’ 

প্রতিবারই অর্থবছরের শেষ দিকে সরকারের ব্যাংকঋণ নেওয়া বাড়ে। বিশেষ করে জুন মাসে। চলতি অর্থবছরেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলেই জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গত ২১ মে পর্যন্ত সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিশোধ করা হয়েছে ৫৮ হাজার ১৫৮ কোটি টাকা। ফলে সামগ্রিকভাবে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা।

কর কাঠামোয় মধ্যবিত্তের  চাপ বাড়বে: ফরেন চেম্বার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ এএম
কর কাঠামোয় মধ্যবিত্তের  চাপ বাড়বে: ফরেন চেম্বার
ছবি: খরের কাগজ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কিছু ইতিবাচক উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব বিষয় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে এবং সৎ ও নিয়ম মেনে চলা করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছে সংগঠনটি। 

সোমবার (  ২ জুন) জাতীয় বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে এ শঙ্কার কথা জানিয়েছে এফআইসিসিআই।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এফআইসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে অর্থ অধ্যাদেশ ২০২৫ খতিয়ে দেখা হয়েছে। ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে অধ্যাদেশটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে চাপ কমানো এবং একটি পূর্বানুমেয় কর কাঠামো গঠনের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। নির্মাণ খাত ও প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ওপর উৎসে কর হ্রাস একটি বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ, যা এই গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে উল্লেখযোগ্য স্বস্তি দেবে। যৌথ উদ্যোগ (জেভি) প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশকে অংশীদারের করযোগ্য আয় হিসেবে গণ্য না করায় দ্বৈত কর আরোপের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে- যা একটি যুক্তিসংগত পদক্ষেপ।’

তবে অধ্যাদেশে কিছু বিতর্কিত বিষয়ও রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘এর মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো- যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১০ শতাংশের কম শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু হয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে। এই করহার বৈষম্যমূলক ও ব্যবসার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একইভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন করা কোম্পানিগুলোর জন্য পূর্ববর্তী কর রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করাও দুঃখজনক। এটি দেশের ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনের উদ্যোগের পরিপন্থি। আমাদের ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিযোগী অর্থনীতির তুলনায় এটা পিছিয়ে দিতে পারে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বেতনভুক্ত মধ্যবিত্ত করদাতাদের ওপর প্রভাবও আমাদের উদ্বেগের কারণ। প্রাথমিক স্তরে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হলেও সামগ্রিক কর কাঠামোর পরিবর্তন মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে।’

‘বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের ওপর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ অগ্রিম করারোপ- যেখানে স্থানীয় মান সংযোজন ৫০ শতাংশের কম হলে অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপিত হবে না। এতে নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সহজ হবে ও রিফান্ড দাবি কমবে। তবে যেসব ক্ষেত্রে মান সংযোজন কম, সেখানে খরচ বাড়তে পারে। পাশাপাশি রেয়াত ও রিফান্ড পাওয়ার সময়সীমা চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করায় কার্যকর মূলধনের ঘাটতিতে থাকা ব্যবসার জন্য কিছুটা সুবিধা হবে।’ অনলাইন বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ই-কমার্স ব্যবসার টিকে থাকা কঠিন করে তুলবে জানিয়ে বলা হয়, এই খাতের সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত করবে। বিক্রয় ও ক্রয় রেকর্ড ইআরপি সিস্টেমের মাধ্যমে ডিজিটালি সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা এবং কাগজে রেকর্ড রাখার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করায় ডিজিটালাইজেশনের পথে এটি ইতিবাচক অগ্রগতি

মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ রাখার ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ রাখার ঘোষণা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন (২০২৫-২৬) অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তব্যে এ তথ্য জানান। 

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে তার ধারেকাছে নেই। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১০ মাস মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এখন তা ৯ শতাংশের ঘরে নেমেছে। গত এপ্রিলে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা নতুন বাজেটে সাড়ে ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন।    

লিখিত বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে দেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা ৯ থেকে ১০ শতাংশে রয়েছে। তবে নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির লাগাম ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে টেনে ধরা হবে।’ তিনি বলেন, ‘গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নেয়, তখন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি।

পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো, এবারের রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’

মূল্যস্ফীতি বেশি হওয়ার কারণে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল সব নিত্যপণ্যই বেশি দামে কিনে খেতে হচ্ছে মানুষকে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেকে ধারদেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।