ঢাকা ১৩ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১

চড়ছে সবজির দাম, কমেছে সোনালি মুরগির দাম

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
চড়ছে সবজির দাম, কমেছে সোনালি মুরগির দাম
ছবি : খবরের কাগজ

রমজান মাস ঘনিয়ে আসায় বেগুন, শসা, লেবুসহ অন্যান্য সবজির দাম চড়তে শুরু করেছে। আগের মতোই চড়া দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। তবে তিন দিনের ব্যবধানে সোনালি মুরগির কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় নেমেছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

দামের ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের ব্রয়লার হাউসের স্বত্বাধিকারী মো. বেল্লাল হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আগের মতোই ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে তিন দিন আগে সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে কমে ৩০০ টাকায় নেমেছে। মোকামে দাম কমেছে বলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি। অন্যান্য বাজারের মাংস বিক্রেতারাও জানান, আগের মতোই বাড়তি দামে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০-২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০-৩১০ এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসও ৭০০-৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডিম গত সপ্তাহের মতো ১৩০-১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া রুই, কাতলা, পাঙাশসহ অন্য মাছও আগের দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গত ৯ ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত তেলের দর ১৭৫ টাকা, খোলা তেল ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করে। তার পরও বাজারে সহজলভ্য নয় ভোজ্যতেল। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো দোকানে এসব তেল পাওয়া গেলেও পাঁচ লিটারের বোতল পাওয়া যায় না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। 

এ ব্যাপারে গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তরে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হলে সেখানে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়বে, কোনো সংকট হবে না। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। 

অন্যদিকে আগের মতোই চড়া দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে মিনিকেটের কেজি ৭২-৮৫ টাকা, আটাশ চাল ৬২-৬৫ ও মোটা চাল ৫৪-৫৬ টাকা। মুদি দোকানিরা বলেন, রমজান ঘনিয়ে এলেও বাড়েনি ছোলা ও চিনির দাম। ছোলা ১১০-১১৫ টাকা কেজি, মসুর ডাল ১১০-১৩৫, মুগ ডাল ১৮০, চিনি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

চোখ রাঙাচ্ছে ইফতারির উপকরণ
শীতকালের বিদায় ও রমজান ঘনিয়ে আসায় ইফতারির উপকরণের মধ্যে বেগুন, শসা, লেবু, কাঁচা মরিচের কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। অন্য সবজির দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানান সবজি বিক্রেতারা। তারা বলেন, শিম ২০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৩০-৬০, পেঁপে ৪০, গাজর ৪০-৫০, ফুলকপি ২০-৩০, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, লাউয়ের পিস ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও কোনো কোনো বাজারে ১২০ টাকা, লেবুর হালি ৬০, শসার কেজি ৫০-৮০, বেগুনের কেজি ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে বিভিন্ন বাজারে আগের মতোই আলু ২০-২৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪০-৫০, দেশি আদা ১৬০-১৮০, আমদানি করা আদা ২২০, দেশি রসুন ১৮০, আমদানি করা আদা ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সমন্বয় করে অতিরিক্ত ছু‌টি নিতে পারবেন‌ পোশাককর্মীরা

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ এএম
সমন্বয় করে অতিরিক্ত ছু‌টি নিতে পারবেন‌ পোশাককর্মীরা
ছবি : খবরের কাগজ

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের সরকারি ছুটি পাবেন তৈরি পোশাক খাতের কর্মীরা। তবে এর সঙ্গে শ্রমিক-মালিক আলোচনা করে অতিরিক্ত পাঁচ থেকে সাত দিনের ছুটি নিতে পারবেন। এসব ছুটি তাদের সাপ্তাহিক ও বাৎসরিক অর্জিত ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করবেন।

বিজিএমইএর মহাসচিবের সই করা নোটিশে জানানো হয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে সেটি বেসরকারি কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা কারখানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাই শ্রম আইন মোতাবেক বার্ষিক উৎসব ছুটি নির্ধারণ করতে হবে। যা ইতোমধ্যে বিজিএমইএ থেকে জানা‌নো হয়েছে।

এমন প‌রি‌স্থি‌তিতে শ্রমিকদের অতি‌রি‌ক্ত ছু‌টির জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের আলোচনা করে শ্রম আইন অনুযায়ী দ্রুত ঈদুল ফিতরের ছুটি কখন থেকে শুরু হবে তা নির্ধারণ করবে।

এ বিষয় জান‌তে চাইলে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতির মোহাম্মদ হাতেম জানান, সরকারি ছুটি তিন দিনই থাকছে। এর সঙ্গে অনেক কর্মী পাঁচ থেকে সাত দিন অতি‌রিক্ত ছুটি বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এসব ছুটি অনেক আগে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন ডিউটি করে কাভার করেছেন। আবার কেউ কেউ এখন ছুটি কাটি‌য়ে পরে বন্ধের দিন ডিউটি করে সমন্বয় করবেন। এভাবে সরকারি তিন দিনসহ মোট ৮ থেকে ১০ দিন ছুটি নিচ্ছেন কর্মীরা। তবে ছুটিগুলো নির্ধারণ হচ্ছে শ্রমিক-মালিকের আলোচনা সাপেক্ষে; কারণ অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজের চাপ আছে তারা চাইলেও অনেক বেশি ছুটি দিতে পারছে না।

ম্যাপড ইন বাংলাদেশের (এমইবি) ডিজিটাল মানচিত্র অনুযায়ী, দেশে ৩ হাজার ৫৫৫টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ৩০ লাখ ৫৩ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরেই পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই হিসাবে ২৯ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনের ছুটি। অর্থাৎ ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল থাকবে এই ছুটি। এর ম‌ধ্যে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এবার টানা ৯ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম, বাড়ল ১১৫৪ টাকা

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ এএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৯ এএম
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম, বাড়ল ১১৫৪ টাকা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে ১২তম বারের মতো বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। এবার  ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৫৪ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

আজ বুধবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে এক লাখ ৫৬ হাজার ৯৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৫ হাজার ৩০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৮ মার্চ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। তখন ভরিতে এক হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৫৪ হাজার ৯৪৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ২৬ হাজার  ৭৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ চার হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।

এ নিয়ে চলতি বছর ১৬ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১২ বার, আর কমেছে মাত্র ৪ বার। 

২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫৭৮ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮৬ টাকায়।

অমিয়/

আগামী বাজেটে ভাতা বাড়ছে: অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
আগামী বাজেটে ভাতা বাড়ছে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

বয়স্ক, বিধবাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতার পরিমাণ আগামী বাজেটে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পদ সীমিত। তারপরও ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। আসন্ন ২০২৫-২৬ বাজেটে এ বিষয়ে একটা ইনডিকেশন থাকবে।’ তবে ভাতা কত বাড়ছে সে বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি তিনি। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থনীতি বিটে কর্মরত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। জুনেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দুই কিস্তির টাকা এক সঙ্গে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘দুটি শর্ত রয়েছে। এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারব। ফলে ঋণের পরবর্তী দুই কিস্তির টাকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক। বাজেট হবে সংক্ষিপ্ত। যেসব নীতি, পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেসবের মূল্যায়ন তুলে ধরা হবে। বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ থাকবে। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হলে আয় বাড়বে। আয় বাড়লে রাজস্ব আহরণ বাড়বে।’ 

যোগ্য সবাইকে কর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিকভাবে দেশের কল্যাণে কর দেওয়া উচিত। আগামী বাজেটে কর কাঠামো যৌক্তিককরণ করা হবে। জোর দেওয়া হবে ডিজিটাইজেশনের ওপর। এলডিসি উত্তরণে প্রস্তুতি গ্রহণে উচ্চপর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। আমরা সরবরাহব্যবস্থা সহজ করার চেষ্টা করছি।’ 

আইএমএফের ঋণ না নিলে কি আমাদের কোনো সমস্যা হবে?- এক সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঋণ না নিলে ভালো হতো। কিন্তু আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ জন্য ঋণ নিতে হচ্ছে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে কত রিসোর্স আছে, ঘাটতি কত- এসব দেখে ঋণ নেওয়া হয়। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় সহনীয় অবস্থায় বাংলাদেশ। কাজেই উদ্বেগের কিছু নেই। কিছু দুর্বল ব্যাংক আছে। সেগুলোর অবস্থা ভালো নয়। তবে এসব ব্যাংককে টিকিয়ে রাখা হবে। আমি আশ্বস্ত করছি আমানতকারীরা তাদের সব টাকা ফেরত পাবেন।’

ভর্তুকিতে বিশাল অর্থ ব্যয় হয়- এ কথা জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি দিতে হবে। তা না হলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। ব্যবসার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে আগামী বাজেটে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

আলোচনায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন। এরপর ইআরএফের সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক বিভাগের সচিব নাজমা মোবারকসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ সচিব ড. খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘সংশোধিত বাজেটে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। ভালো প্রকল্পে অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’ 

আগামী বাজেটকে সামনে রেখে ২১ দফা প্রস্তাব পেশ করে ইআরএফ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ব্যক্তিশ্রেণি করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া, বেকার ভাতা চালু করা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো ও জিডিপির প্রবৃদ্ধির দিকে নজর না দিয়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ইত্যাদি।

এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: লুৎফে সিদ্দিকী

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: লুৎফে সিদ্দিকী
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাওয়ার সময় নিয়ে না ভেবে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে, সেগুলো মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে প্রকৃত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আমলা, ব্যবসায়ী ও সমাজের অন্য সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়তে হবে। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘এলডিসি উত্তরণ: কৃষিখাতে প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইআরএফ ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালা। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এগ্রোক্যামিকেল মেনুফ্যাকচেরার্স অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।

এ সময় লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন আমাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে না। এজন্য আমাদের যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। গ্রাজুয়েশনের পরে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের কিছু ছাড় দেয়, তবে সুযোগ-সুবিধা বেশি দিন রাখার জন্য সমঝোতা করা যেতে পারে। এলডিসির জন্য যে সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি, অন্য দেশ আমাদের শুল্কমুক্ত-কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু তারা চাইলে সেটা বন্ধ করেও দিতে পারে। যারা এসব সুবিধা দিচ্ছে তারা যদি ঠিক করে যে, এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো। এ সুবিধা তুলে নেওয়া হবে, আসলে এটা তাদের পছন্দ। আবার এর মধ্যে তারা যদি এটাও বলে, এত সুযোগ দেওয়ার পরেও তোমাদের করের হার কম এত কম, বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন, বিদেশি বিনিয়োগ কম, বারবার বলেও ব্যবসা সহজীকরণ হয় না, দীর্ঘদিন ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লিউ) বাস্তবায়ন নেই, তাহলে আমরা কতদিন সুবিধা দিয়ে যাব? এটার উত্তর কঠিন হবে। এজন্য আমি বলব, এখনই এলডিসি করব না। সেদিকে এনার্জি নষ্ট না করে আমাদের কী করা যায় সেটা দেখতে হবে। সরকার, বেসরকারি খাতসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিলে কাজ করতে হবে। ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে হবে।

গ্রাজুয়েশন হচ্ছে- এজন্য এই বিষয়ে কি করা দরকার, কি করা হচ্ছে, কি হচ্ছে না –এসব বিষয়ে আরও বেশি প্রতিবেদন প্রকাশে সংবাদকর্মীদের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ দূত। 

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমরা সব জায়গায় গিয়ে একটাই কথা শুনেছি। সেটা হচ্ছে সিন্ডিকেট। এখন আর কেউ প্রতিযোগিতা করতে চায় না, সবাই সিন্ডিকেট করতে চায়। সিন্ডিকেটতন্ত্র থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পণ্য বৈচিত্রকরণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এজন্য অর্থনৈতিক পণ্যের হাব বানাতে চান তিনি। এক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে, সেগুলো দূর করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 

এসময় ডি৮ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মহাসচিব আশরাফুল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিদেশি মিশনগুলো পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কোনো ভূমিকা রাখেনি। শুধুমাত্র বিগত সরকারের তোষামোদ করেছে। বরং বেসরকারি উদ্যোক্তারাই পণ্য বৈচিত্র্যকরণের কাজ করেছে। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ তারা যেন যথাযথভাবে এই কাজটা করে। কেননা বাজার সম্প্রসারণ ছাড়া সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির আকার বাড়ানো সম্ভব হবে না।

মৃত্তিকা সাহা/এমএ/

ঈদের ছুটিতে এটিএম পরিষেবা ঝামেলাহীন রাখার নির্দেশ

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
ঈদের ছুটিতে এটিএম পরিষেবা ঝামেলাহীন রাখার নির্দেশ
প্রতীকী ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে স্বয়ংক্রিয় টেলার মেশিন (এটিএম), পয়েন্ট অব সেল (পিওএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন ই-পেমেন্ট গেটওয়ে এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে স্বচ্ছন্দে এবং নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোকে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পিওএস পরিষেবায় জালিয়াতি রোধকল্পে ব্যবসায়ী এবং ক্লায়েন্টদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে, অনলাইন, ই-পেমেন্ট গেটওয়ের জন্য টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (২এফএ) অন কার্ড নট প্রেজেন্ট লেনদেন চালিয়ে যেতে এবং এসএমএস পরিষেবার মাধ্যমে লেনদেন সম্পর্কে ক্লায়েন্টদের অবহিত করতেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঈদের ছুটির সময় যদি কোনো ক্লায়েন্ট হয়রানির সম্মুখীন হলে তাকে সংশ্লিষ্ট হেল্পলাইন পরিষেবা দেওয়ার জন্যও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: বাসস

অমিয়/