
রমজান মাস ঘনিয়ে আসায় বেগুন, শসা, লেবুসহ অন্যান্য সবজির দাম চড়তে শুরু করেছে। আগের মতোই চড়া দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। তবে তিন দিনের ব্যবধানে সোনালি মুরগির কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় নেমেছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
দামের ব্যাপারে মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের ব্রয়লার হাউসের স্বত্বাধিকারী মো. বেল্লাল হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আগের মতোই ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে তিন দিন আগে সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে কমে ৩০০ টাকায় নেমেছে। মোকামে দাম কমেছে বলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি। অন্যান্য বাজারের মাংস বিক্রেতারাও জানান, আগের মতোই বাড়তি দামে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০-২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০-৩১০ এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসও ৭০০-৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডিম গত সপ্তাহের মতো ১৩০-১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া রুই, কাতলা, পাঙাশসহ অন্য মাছও আগের দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গত ৯ ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত তেলের দর ১৭৫ টাকা, খোলা তেল ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করে। তার পরও বাজারে সহজলভ্য নয় ভোজ্যতেল। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো দোকানে এসব তেল পাওয়া গেলেও পাঁচ লিটারের বোতল পাওয়া যায় না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
এ ব্যাপারে গত রবিবার ভোক্তা অধিদপ্তরে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হলে সেখানে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ বাড়বে, কোনো সংকট হবে না। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
অন্যদিকে আগের মতোই চড়া দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে মিনিকেটের কেজি ৭২-৮৫ টাকা, আটাশ চাল ৬২-৬৫ ও মোটা চাল ৫৪-৫৬ টাকা। মুদি দোকানিরা বলেন, রমজান ঘনিয়ে এলেও বাড়েনি ছোলা ও চিনির দাম। ছোলা ১১০-১১৫ টাকা কেজি, মসুর ডাল ১১০-১৩৫, মুগ ডাল ১৮০, চিনি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চোখ রাঙাচ্ছে ইফতারির উপকরণ
শীতকালের বিদায় ও রমজান ঘনিয়ে আসায় ইফতারির উপকরণের মধ্যে বেগুন, শসা, লেবু, কাঁচা মরিচের কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। অন্য সবজির দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানান সবজি বিক্রেতারা। তারা বলেন, শিম ২০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৩০-৬০, পেঁপে ৪০, গাজর ৪০-৫০, ফুলকপি ২০-৩০, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, লাউয়ের পিস ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও কোনো কোনো বাজারে ১২০ টাকা, লেবুর হালি ৬০, শসার কেজি ৫০-৮০, বেগুনের কেজি ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে বিভিন্ন বাজারে আগের মতোই আলু ২০-২৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৪০-৫০, দেশি আদা ১৬০-১৮০, আমদানি করা আদা ২২০, দেশি রসুন ১৮০, আমদানি করা আদা ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।