
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। যদিও আগের দিন সোমবার সূচক বেড়েছিল। সপ্তাহের শুরু থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সূচকের এমন উত্থান পতন থাকলেও চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই হলো বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান পতন থাকবেই। এটা দেখে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং পুঁজিবাজারে যদি লেনদেনের ভারসাম্য থাকে, তাহলে ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা চলতি বছরসহ গত ৬ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ লেনদেন।
ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকলেও অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরপরও এ বাজারটিতেও কমেছে মূল্যসূচক। তবে ডিএসইর মতো বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। লেনদেনের শেষদিকে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৩টির। এ ছাড়া ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৯৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৫৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে রবির শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ১৬ টাকার। ১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।