
রাজধানীতে শুরু হয়েছে ১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি সেমিনার। পোলট্রিশিল্পের বিদ্যমান ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৮৮টি দেশি-বিদেশি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপনের মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার একটি হোটেলে এ সেমিনার শুরু হয়। এর আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) ও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াপসা-বিবির সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ভোক্তার ধারণা পোলট্রিতে প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশে এখন প্রচুর পরিমাণে প্রি-বায়োটিক, প্রো-বায়োটিক, ফাইটোজেনিক ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে।
ওয়াপসা-বিবির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার প্রামাণিক বলেন, পোলট্রি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষকরা পোলট্রি বিজ্ঞানকে প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন সমাধান উপহার দিচ্ছেন। বিগত ২৮ বছর ধরে ওয়াপসা- বাংলাদেশ শাখা ব্যবসা ও বিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্কের সেতুবন্ধ তৈরি করেছে। বিজ্ঞানী-গবেষকদের কাজ কখনো শেষ হয়ে যায় না, কারণ প্রতিটা দিনই এক একটা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়।
সেমিনারের গবেষক ও বক্তারা বলেন, খামারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা না থাকলে কাউকেই পোলট্রি খামারের নিবন্ধন দেওয়া ঠিক হবে না। খামারিদের বোঝাতে হবে একজনের অসতর্কতা অন্যের ক্ষতির কারণ। এভাবেই পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক ও ওষুধের ব্যবহার বাড়ার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে, উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।
তারা বলেন, যেভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা বাড়ছে, জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে নতুন নতুন রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। আগামীতে পোলট্রি বিজ্ঞানীদের কাজ আরও অনেক বাড়বে।
বক্তারা বলেন, পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েই উৎপাদন বাড়াতে হবে, কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রি বড় হচ্ছে তাই রিসাইক্লিংয়ের কথাও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সরকার এ ধরনের শিল্প স্থাপনে প্রণোদনা ও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠিত সেশনগুলোতে চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি প্রফেসর ড. এস ডি চৌধুরী, বাকৃবির সাবেক উপাচার্য এমদাদুল হক, বিএলআরআইয়ের সাবেক চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার মো. গিয়াসউদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মেম্বার ডিরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম, বাকৃবির প্রফেসর কে এম সাইফুল ইসলাম এবং প্রফেসর ড. মো. শওকত আলী।
কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এ টি এম মাহবুব-ই-এলাহী, প্রফেসর ড. মো. বজলুর রহমান মোল্লা, বাকৃবির প্রফেসর ড. সুকুমার সাহা, প্রফেসর ড. মো. গোলজার হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. বয়জার রহমান, পরিচালক উৎপাদন ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান এবং প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. মো. সাজেদুল করিম সরকারসহ আরও অনেকে।