
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ১৯৮৯ সালে জুতা তৈরির শিল্প শুরু হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ৫ হাজার কারখানা রয়েছে। যেখানে দেড় লাখ লোক কাজ করেন।
এখানে তৈরি জুতা ভারত, দুবাই ও ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির কারণে ব্যবসা মন্দা চলছে। মালিকরা সরকারের সহায়তায় রপ্তানি বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, গত আড়াই থেকে তিন দশকে ভৈরব উপজেলায় গড়ে উঠেছে এ জুতা তৈরির শিল্প। উপজেলার শহরসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ছোট বড় কারখানা। এখানে মাঝারি ও ছোট কারখানা বেশি। যার প্রতিটিতে বিনিয়োগ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা। বড় কারখানা রয়েছে পাঁচ শতাধিক। যেগুলোতে বিনিয়োগ কোটি টাকার ওপরে। এখানের বেশির ভাগ কারখানায় সাধারণ মানের জুতা উৎপাদন হয়। ছেলে ও মেয়েদের স্যান্ডেল, রয়েছে সু, পেন্সিল হিল, ফ্ল্যাট হিলসহ বাচ্চাদের জুতা। মান অনুসারে হয় এসব জুতার দাম। এক ডজন জুতা সর্বনিম্ন ১ হাজার ৭০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হয়। এখানকার জুতা রপ্তানি হচ্ছে ভারত, দুবাই ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে।
চামড়া, প্লাস্টিক, ফোম ও রেক্সিনের মতো নানা উপকরণের কাঁচামাল ৯০ শতাংশ আসে চীন থেকে। বাকিটা মিলে স্থানীয়ভাবে। কারিগররা জানান, এখানে জুতা তৈরিতে ভালোমানের উপকরণই ব্যবহার হয়। তাই এখানকার জুতা মানে ভালো ও টেকসই। জুতাগুলো বিক্রির জন্য আশপাশের গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি শপিং মল। এই মলগুলোতে প্রায় ২ হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে জুতা নিতে সারা দেশ থেকে পাইকাররা আসেন। তারা লাখ লাখ টাকার জুতা কিনে নিয়ে যান।
মুন্না সুজের মালিক জিলানি মিয়া বলেন, বর্তমানে জুতার ব্যবসা মন্দা রয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে পর থেকে ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে কাঁচামাল কম আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া বেড়েছে কাঁচামালে দাম। এতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এ কারণে কম দামে জুতা বিক্রি করা যাচ্ছে না।
ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক ও সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আল আমিন মিয়া বলেন, ‘সরকার যদি এই শিল্পের প্রতি সুদৃষ্টি রাখে। জুতা রপ্তানি করার জন্য সুযোগ-সুবিধা ও সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণে ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সূত্র: বাসস