ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২ দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
২ দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ছবি: বাসস

আগামী দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে বাজার পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। 

সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম আছে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। আশা করছি আজ থেকেই সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সয়াবিন তেল বেশি দামে যেমন বিক্রি হচ্ছে তেমনি পামওয়েল তেল সরকার নির্ধারিত দাম থেকে ২৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের মোট ভোজ্য তেলের ৬০ শতাংশ পামওয়েল। আশা করছি সয়াবিন তেলের দামও কমে আসবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যে ভেজাল রোধে পবিত্র রমজান মাসে বিএসটিআই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আজ চারটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাসস

/সিফাত

চট্টগ্রামে মসলার বাজার: পাইকারিতে কমলেও খুচরায় ঝাঁজ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৫৮ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:০৮ এএম
চট্টগ্রামে মসলার বাজার: পাইকারিতে কমলেও খুচরায় ঝাঁজ
বিক্রির জন্য এক বিক্রেতা মসলা ওজন করছেন। চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকার ফইল্যাতলী বাজার থেকে তোলা ।খবরের কাগজ

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে নিম্নমুখী মসলা পণ্যের দাম। তবে এর প্রভাব খুচরা বাজারে না পড়ায় সাধারণ ক্রেতারা সুফল পাচ্ছেন না। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে খুচরা পর্যায়ে বাড়তি অর্থ গোনায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। 

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসায়িক পরিবেশ ভালো থাকা এবং বিশ্ববাজারে মসলা পণ্যের দাম কমায় এবার মসলার আমদানি বেড়েছে। এ কারণে খাতুনগঞ্জে এ বছর সরবরাহ ভালো থাকায় ঈদের আগে মসলার বাজার চড়া হয়নি। কিন্তু এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ছে না।  

খাতুনগঞ্জে বর্তমানে প্রতি কেজি গোলমরিচ ১ হাজার ৪০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ২৪০, জয়ত্রী ২ হাজার ৬৫০, জিরা ৬০০, দারুচিনি ৩৯০, ধনে ১৫০, স্টার ৭৮০ ও এলাচ ৪ হাজার ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া পাইকারি এই বাজারে প্রতি কেজি শুকনা মরিচ মানভেদে ১২০ থেকে ১৭০ টাকা, ভারতীয় মরিচ ২১০ থেকে ২৫০, দেশি হলুদ ১৯০ থেকে ২০০, ভারতীয় হলুদ ২৩০, তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০, মেথি ১২০, কালিজিরা ৩৭০ ও জায়ফল ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

তা ছাড়া পাইকারি বাজারটিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ৪৫ টাকা, চায়না রসুন ১৩০ ও কেরালা আদা ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ অন্যান্য মসলা পণ্যের দাম অনেক কম। এবার দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন ও সরবরাহ বেশ ভালো। পুরো বাজারে দেশি পেঁয়াজ রাজত্ব করছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে আদা, রসুনসহ অন্যান্য মসলা পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাই এবার কোরবানির মৌসুমে মসলা পণ্যের দাম না বেড়ে উল্টো কমে গেছে।’ 

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘শুধু মসলা পণ্য নয়, খাতুনগঞ্জে অধিকাংশ পণ্যের দাম অনেকটাই নিম্নমুখী। পর্যাপ্ত আমদানি ও সরবরাহের কারণে সরবরাহ ভালো থাকায় এবার দাম বাড়েনি। সে তুলনায় আমাদের এখানে বেচা-কেনা কম।’ 

এদিকে পাইকারি বাজারে দাম কমার প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০, জয়ত্রী ৩ হাজার ৩০০, জিরা ৭৫০, দারুচিনি ৫৮০, ধনে ১৬৫ ও এলাচ ৪ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০ ও কেরালা আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরের উত্তর আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘খুচরা বাজারে সব ধরনের মসলা পণ্যের দাম বাড়তি। এভাবে সুযোগ পেয়ে বাড়তি দাম নিয়ে ভোক্তাকে ঠকানোর কোনো মানেই হয় না।’  

নগরের হালিশহর এলাকায় আল মদিনা স্টোরের মালিক মো. শোয়েব বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে মসলা পণ্য কিনে আনতে গাড়ি ভাড়া, শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়। আমাদের সীমিত লাভ করতে হয়। তাই পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরায় সব সময় পণ্যের দাম একটু বাড়তি থাকে।’ 

উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৮০ টন মসলা পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে রসুন ৯৯ হাজার ৮৫৮ টন, এলাচ ১ হাজার ৬১৪, দারুচিনি ১০ হাজার ৫৪৩, জিরা ৩ হাজার ৭০২, লবঙ্গ ২ হাজার ১৫৪, জয়ত্রী ২৯০, কালিজিরা ৭, গোলমরিচ ১ হাজার ৯, মেথি ৭২, আদা ২১ হাজার ১৯, পেঁয়াজ ১৪ হাজার ৬৩ ও শুকনো মরিচ ১৭৯ টন রয়েছে। 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, শুধু মসলা পণ্য নয়। পাইকারি বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম কমলেও এর প্রভাব খুচরা পর্যায়ে পড়ে না। যথাযথ বাজার তদারকি ব্যবস্থা না থাকায় খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফার সুযোগ পাচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘খুচরা দোকানের সংখ্যা তো কম নয়। তবুও আমরা পাইকারি, খুচরা পর্যায়ে আমাদের সাধ্যমতো অভিযান পরিচালনা করছি। কেউ প্রতারণা বা হয়রানির শিকার হলে আমাদের কাছে অভিযোগ দিতে পারেন। আমরা অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’  

সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতের জন্য ৮২৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় তিনি আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য মূল বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য তিন শূন্য ৫ শতাংশ। 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। পরে তা সংশোধিত হয়ে আকার দাঁড়ায় ৭৭৯ কোটি টাকায়। সে হিসেবে এ বছর এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা।  

২০২৫-২৬ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যেসব কর্মসূচিতে এ বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে চায় তার ব্যাখ্যাও এসেছে। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত নানা অডিও-ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ এবং এ সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। গণভবন কমপ্লেক্স জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর রূপান্তরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে এ বাজেট প্রস্তাবনায়।

বাজেট বক্তৃতায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আসন্ন কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন ছাড়াও অসচ্ছল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভাতা প্রদান, বিভিন্ন নাট্যদল-বেসরকারি পাঠাগারগুলোকে অনুদান প্রদান, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ দল বিনিময়, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মের কপিরাইট সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সমকালীন শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ বাড়িয়ে গ্যালারি আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন প্রত্নস্থল চিহ্নিত করে তা খনন, সংরক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।  

জয়ন্ত/মেহেদী/

সক্ষমতা বাড়ানো হবে ডিএমপি ও র‌্যাবের আইন-শৃঙ্খলায় বাজেট ৩১০৩৯ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম
আইন-শৃঙ্খলায় বাজেট ৩১০৩৯ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০২৫-২৬ অর্থবছরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগের (জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা) জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ৩১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই দুটি বিভাগের জন্য উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যার মধ্যে জননিরাপত্তায় ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা ও সুরক্ষা সেবায় ১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। 

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর অর্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘পরিচালন ও উন্নয়ন’ সংক্রান্ত বাজেট থেকে এই তথ্য জানা যায়। তবে নতুন এই বাজেটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ও র‌্যাবের অভিযানের সক্ষমতা বাড়ানো ও বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনাসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। তবে গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হলেও উন্নয়ন বাজেটে সেভাবে বরাদ্দ উল্লেখ নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এবারে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ২৭ হাজার ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার অধীনে পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্ট গার্ড, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা এবং উন্নয়নে ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। এছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য ৪ হাজার ৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য বলা হয়েছে, যার অধীনে রয়েছে কারাগার, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ২ হাজার ৭০২ কোটি টাকা এবং উন্নয়নে ১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৩১ হাজার ১২ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে মাত্র ২৭ কোটি টাকা বেশি। তবে বিদায়ী অর্থবছরে সংশোধিত বা অনুমোদিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছিল ২৯ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।  

এবারের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে যেসবখাতে ব্যয় করা হবে সেগুলো হচ্ছে- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম কেনা, বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আর্ন্তজাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ, ‘সেফার সাইবারস্পেস ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ: এনহান্সিং ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেস্টিগেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ’, দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ, ‘প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসপন্স টু জেন্ডার বেজড্ ভায়লেন্স এগেইনস্ট ওম্যান অ্যান্ড গার্লস’, র‍্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর নির্মাণ, র‍্যাবের আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, র‍্যাবের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, সীমান্ত এলাকায় ৭৩টি আধুনিক/কম্পোজিট বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) নির্মাণ, বিজিবির নতুন নারায়ণগঞ্জ (৬২ বিজিবি) ব্যাটালিয়ান অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, বিজিবির নতুন গাজীপুর ব্যাটালিয়ানের (৬৩ বিজিবি) অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, বাংলদেশ কোস্টগার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্লিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা, কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিস্থাপক জাহাজ সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্প এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ (১ম সংশোধিত) করা হবে।

এছাড়া, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে যেসব ব্যয় ধরা হয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্প, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প, পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন প্রকল্প, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্প, নরসিংদী জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্প, জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের এ্যাম্বুলেন্স সেবা সম্প্রসারণ (ফেইজ-২)।

আলমগীর হোসেন/

মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মেট্রোরেলের অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জন্য ৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে সংশোধিত হয়ে এ বাজেটে পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা; এমআরটি-১ প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা; এমআরটি-নর্দার্ন ৫ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ অন্যান্য খাতের জন্য সংস্থাটির জন্য এই অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনি অর্থবছরে ইসির জন্য প্রস্তাবিত মোট অর্থের সরকার পরিচালনা খাতের জন্য ২ হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন খাতে ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইসি সচিবালয়ের জন্য এ বরাদ্দের ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে এবার নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার বাজেটকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য সরকারের বাজেট ছিল ১ হাজার ২৩০ কোটি (২২৯ কোটি ৮৩ লাখ) টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে ৭৯৩ কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে ৪৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ৪টি পৌরসভা, ১০টি উপজেলা, ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ডেটাবেইজ ও ডেটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, স্থানীয় সরকার এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন পরিচালনা; জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ, ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কার্যক্রম; পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত, মুদ্রণ ও বিতরণ এবং সেবা দেওয়া, নতুন নাগরিক নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, এনআইডি সিস্টেমের অডিট ও ডকুমেন্টেশন, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধনকরণ ও  স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনায় আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার-ওয়ার্কশপের আয়োজনসহ ইসি সচিবালয়ের নানা কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। এর মধ্যে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসির চাহিদা ছিল প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারের ৫ স্তরের নির্বাচনের জন্য ইসি কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারকে তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। একই সঙ্গে নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা, ও আদেশ সংশোধন ও সংস্কারের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।'

এলিস/মেহেদী/