ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

শীর্ষ গেইনারের দখলে মিউচুয়াল ফান্ড

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫২ এএম
শীর্ষ গেইনারের দখলে মিউচুয়াল ফান্ড
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৬টির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। এর মধ্যে টপটেন গেইনার বা দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে ৯টিই মিউচুয়াল ফান্ড খাতের প্রতিষ্ঠান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে।

দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে। টপটেন গেইনারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হচ্ছে প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড, ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড এবং আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।

মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি সব ব্যাংকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী বিউটি আক্তার ও তাদের সন্তানদের ব্যক্তি হিসাব আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে এসব ব্যক্তি ও তাদের সন্তানদের লেনদেন বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসিসহ যাবতীয় তথ্য বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

বিস্তারিত আসছে...

স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরিতে বাড়ল ৩০৩৩ টাকা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরিতে বাড়ল ৩০৩৩ টাকা
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম। সর্বশেষ ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০৯ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। 

নতুন মূল্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে পিওর গোল্ড বা তেজাবি স্বর্ণের দামে ঊর্ধ্বগতির কারণে এ দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল রাতে স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা গতকাল রাত পর্যন্ত কার্যকর ছিল।

খবরে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারেও চলছে স্বর্ণের দামের উল্লম্ফন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের প্রতি আউন্সের দাম ৩ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ।

স্বর্ণের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন এলেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাজুসের নির্ধারিত দর অনুযায়ী ২২ ক্যারেট রুপা ২ হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, নিরাপদ বিনিয়োগের ঝোঁক এবং স্থানীয় বাজারে সরবরাহ সংকট মিলিয়ে স্বর্ণের দামে এই রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। দাম আরও বাড়তে পারে এমন শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।

রপ্তানির বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে: রেহমান সোবহান

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
রপ্তানির বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে: রেহমান সোবহান
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে বাংলাদেশে প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত সংলাপে বক্তব্য রাখছেন রেহমান সোবহান। ছবি: খবরের তকাগজ

আগামী পাঁচ বছর রপ্তানির বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।

তিনি বলেন,  ‘আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের উচিত হবে, রপ্তানির বিকল্প বাজার খোঁজা। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি নিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।  যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানির একক বৃহত্তম বাজার। সেখানে এত অনিশ্চয়তা থাকলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের বাজার বড় করার পাশাপাশি বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে।’ 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে বাংলাদেশে প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। 

সংলাপে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সংলাপ সঞ্চালনা করেন। 

মূল প্রবন্ধে মোস্তাফিজুর বলেন, ‘২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে ১৮ কোটি ডলার আমদানি শুল্ক পাওয়া গেছে। তার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্যে ১২৭ কোটি ডলার শুল্ক আদায় করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া শীর্ষ তিন পণ্যে শুল্ক শূন্য করলে অন্য দেশকে সমান সুবিধা দিতে হবে। এতে বাংলাদেশের মোট শুল্ক লোকসান হবে ১৭ কোটি ডলার। ফলে নিছক শুল্ক হ্রাস করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে, বিষয়টি তেমন নয়।’ 

রেহমান সোবহান বলেন,  ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রধান লক্ষ্যবস্তু চীন। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক কেমন হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। আরও সময় লাগবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় বিষয়। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আছে, তার মধ্যে থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের বাজার বড় করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা সেখানে আরও কয়েক বছর বাংলাদেশের জন্য শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা আছে। সেই সঙ্গে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের বাজার অনুসন্ধান করতে হবে। এশিয়ার বাজারও আছে; এই মহাদেশ আগামী দিনে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধির মূল কেন্দ্র হবে। আগামী ২৫ বছরের মধ্যে এশিয়াই হবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে বড় জায়গা।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, ‘প্রথমেই বুঝতে হবে, এটা পারস্পরিক শুল্ক নয়। ফলে আমরা যতই সাড়া দিই না কেন, লাভ নেই। আমাদের বুঝতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র কী চায়। সে জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘কোনো পণ্যে শুল্ক কমালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আমদানি বাড়বে, তা নিশ্চিত নয়। আরেকটি উপায় হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা যায়।’

মৃত্তিকা/পপি/

জব্দ হিসাব থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন এইচ বি এম ইকবাল

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
জব্দ হিসাব থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন এইচ বি এম ইকবাল
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল

জব্দ করা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবাল। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইকবাল, তার দুই স্ত্রী ও সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব লেনদেন স্থগিত করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এরপরও এইচ বি এম ইকবাল তার নামে থাকা ব্যাংক হিসাব থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও ৩০ হাজার ডলার উত্তোলন করেন। 

বিষয়টি বিএফআইইউয়ের নজরে আসার পর ইকবালের মালিকানাধীন প্রিমিয়ার ব্যাংকের কাছে জানতে চাইলে সদুত্তর মেলেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের ২৩-এর ৬ ধারা অনুযায়ী জরিমানা করা হয়। আইনে বলা আছে, কোনো হিসাব জব্দ বা স্থগিত করার পর মানতে ব্যর্থ হলে ব্যাংককে স্থিতির সমপরিমাণ জরিমানা করতে পারবে। 

এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেন। তবে ব্যাংকটি এখনো তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান তার ছেলে ইমরান ইকবাল। 

প্রিমিয়ার ব্যাংক সূত্র জানায়, ওই হিসাবে থাকা পুরো টাকা ও ডলারই উত্তোলন করে ফেলা হয়েছে। এইচ বি এম ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা সরকার পরিবর্তনের পরেই দুবাইয়ে চলে যান। এরপরও নানা কৌশলে ব্যাংক থেকে সুবিধা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ইকবাল পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তুলেছেন এইচ বি এম ইকবাল। সেখানে কাচের কারখানা ও তারকা হোটেলে বিনিয়োগ করেছেন তারা।

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় কর্মকৌশল তৈরি হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় কর্মকৌশল তৈরি হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বুধবার ( সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য। পাল্টা শুল্কারোপ মোকাবিলায় এ জন্য কর্মকৌশল তৈরি হচ্ছে। প্রতিনিধিদল দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা এবং দুই দেশের অর্থনীতির জন্য পরিপূরক পণ্যগুলোর সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে। পাশাপাশি শুল্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষার সরাসরি ধারণা নিয়ে পরবর্তী কর্মকৌশল গ্রহণ করবে।

বুধবার ( সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সঞ্চালনায় ছিলেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এদিকে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আকাশ পথে কাগো পরিবহন খরচ কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর একপেশে শুল্ক আরোপ করেছে। এটি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হলেও পরবর্তী সময় এটা কীভাবে সহনীয় করা যায় সে বিষয়ে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শুল্ক সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা নিজেও খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রায় প্রতিদিন তিনি সরকারের সব মহল, অংশীদার প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বারবার বৈঠক করছেন। শুল্ক সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত, অর্থ উপদেষ্টাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বিবেচনায় যে পাল্টা শুল্ক যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু পণ্যের বিষয় বিবেচনা করা হলেও সেবার বিষয়গুলো আমলে নেওয়া হয়নি। আমরা তাদের বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছি, নানা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করছি, গুগল-ফেসবুকের মতো যত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছি, এ সেবা তারা আমলে নেয়নি। এ ছাড়াও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানি করছি। সবকিছু মিলে হিসেব করলে আমাদের যে বাণিজ্য ঘাটতি দেখানো হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে সেটা হবে না। এসব আলোচনা করে পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় কর্মকৈশল তৈরি করছি।

তিনি বলেন, যে প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন, তারা আলোচনা করে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিধি ঠিক করবেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায়। তারা বাংলাদেশের ট্যারিফ নন-ট্যারিফ কাঠামো তুলে ধরবেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্কে বাণিজ্যের যে বৈচিত্র্য, সেটা নিয়ে আলোচনা করবেন। ওই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একদম সুনির্দিষ্ট আলোচনা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যে আমরা চিন্তা করছি, যেসব পণ্য আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করি, ভবিষ্যতে সেগুলো আরও কীভাবে বাড়ানো যায়। সেজন্য আমাদের কি ধরনের অবকাঠামো দরকার। কি ধরনের নীতি সহায়তা দরকার। পাশাপাশি দুই দেশের পরিপূরক যেসব পণ্য সেগুলোর বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায়। যেমন পশুখাদ্য, তুলা, তেলবীজসহ আরও যেসব পণ্য আমরা আনছি।

প্রসঙ্গ ট্রান্সশিপমেন্ট: ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে কয়েকটি দেশে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহন খরচ দুই হাজার কোটি টাকা বেড়েছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, শিগগির যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি তাতে এ খরচ শূন্যের কোঠায় নেব।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে আমাদের খরচ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি, কর্মসূচি নিয়েছি, বাতিলের পর দিনরাত আলোচনা করছি।

তিনি বলেন, আমি নিজে পয়লা বৈশাখের সারা দিন বিমানবন্দরে কাটিয়েছি। নিজে বোঝার চেষ্টা করেছি, কীভাবে এ সমস্যা হচ্ছে, কেন আমাদের দেশের পণ্যবাহী কার্গো আরেক দেশের সহায়তা নিয়ে তৃতীয় দেশে যেতে হচ্ছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আশা করি এটা সমাধান করতে পারব। আবার আমাকে (বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা) নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা সেই কর্মসূচিকে গতিশীল করবে। আমি মনে করি, ঠিক যেভাবে বাজারকে পণ্যের বৈচিত্র্যময়, সরবরাহ ঠিক করার মাধ্যমে স্থিতিশীল করেছি, এ কাজও সেভাবে বিমানে পণ্যবাহী কার্গো ঠিকমতো পরিবহন করতে পারব।

তিনি বলেন, বাড়তি দুই হাজার কোটি টাকা পোষাতে পারব, এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনব।