ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

পুঁজিবাজার মিউচুয়াল ফান্ডের দাপট বেড়েছে লেনদেন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ এএম
মিউচুয়াল ফান্ডের দাপট বেড়েছে লেনদেন
পুঁজিবাজার

আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো। তার পরও উত্থানে ফিরতে পারেনি প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। তবে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে এ বাজারটিতে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে এ বাজারেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

গত মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টির দাম বাড়ে। অন্যদিকে একটির দাম কমে এবং তিনটির দাম অপরিবর্তিত থাকে। মঙ্গলবারের ধারাবাহিকতায় গতকাল দাম বেড়েছে বেশির ভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের। ২৪টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে চারটির এবং আটটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মিউচুয়াল ফান্ড দাপট দেখালেও অন্য খাতের কোম্পানিগুলো বিপরীত পথে হেঁটেছে। ‘জেড’ গ্রুপের ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৩টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৬টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি ‘এ’ গ্রুপের ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১১৭টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ‘বি’ গ্রুপের ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ৩৩টি এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৫০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬টির। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সব কটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক।

এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড, লাভেলো আইসক্রিম, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ইভিন্স টেক্সটাইল এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।

সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৯টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় কর্মকৌশল তৈরি হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় কর্মকৌশল তৈরি হচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বুধবার ( সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য। পাল্টা শুল্কারোপ মোকাবিলায় এ জন্য কর্মকৌশল তৈরি হচ্ছে। প্রতিনিধিদল দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা এবং দুই দেশের অর্থনীতির জন্য পরিপূরক পণ্যগুলোর সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে। পাশাপাশি শুল্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষার সরাসরি ধারণা নিয়ে পরবর্তী কর্মকৌশল গ্রহণ করবে।

বুধবার ( সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ: চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সঞ্চালনায় ছিলেন বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
এদিকে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আকাশ পথে কাগো পরিবহন খরচ কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর একপেশে শুল্ক আরোপ করেছে। এটি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হলেও পরবর্তী সময় এটা কীভাবে সহনীয় করা যায় সে বিষয়ে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শুল্ক সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টা নিজেও খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রায় প্রতিদিন তিনি সরকারের সব মহল, অংশীদার প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিবিদদের নিয়ে বারবার বৈঠক করছেন। শুল্ক সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত, অর্থ উপদেষ্টাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বিবেচনায় যে পাল্টা শুল্ক যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু পণ্যের বিষয় বিবেচনা করা হলেও সেবার বিষয়গুলো আমলে নেওয়া হয়নি। আমরা তাদের বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছি, নানা ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করছি, গুগল-ফেসবুকের মতো যত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছি, এ সেবা তারা আমলে নেয়নি। এ ছাড়াও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানি করছি। সবকিছু মিলে হিসেব করলে আমাদের যে বাণিজ্য ঘাটতি দেখানো হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে সেটা হবে না। এসব আলোচনা করে পাল্টা শুল্ক মোকাবিলায় কর্মকৈশল তৈরি করছি।

তিনি বলেন, যে প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন, তারা আলোচনা করে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিধি ঠিক করবেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায়। তারা বাংলাদেশের ট্যারিফ নন-ট্যারিফ কাঠামো তুলে ধরবেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্কে বাণিজ্যের যে বৈচিত্র্য, সেটা নিয়ে আলোচনা করবেন। ওই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একদম সুনির্দিষ্ট আলোচনা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যে আমরা চিন্তা করছি, যেসব পণ্য আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করি, ভবিষ্যতে সেগুলো আরও কীভাবে বাড়ানো যায়। সেজন্য আমাদের কি ধরনের অবকাঠামো দরকার। কি ধরনের নীতি সহায়তা দরকার। পাশাপাশি দুই দেশের পরিপূরক যেসব পণ্য সেগুলোর বাণিজ্য কীভাবে বাড়ানো যায়। যেমন পশুখাদ্য, তুলা, তেলবীজসহ আরও যেসব পণ্য আমরা আনছি।

প্রসঙ্গ ট্রান্সশিপমেন্ট: ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে কয়েকটি দেশে বাংলাদেশি পণ্য পরিবহন খরচ দুই হাজার কোটি টাকা বেড়েছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, শিগগির যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি তাতে এ খরচ শূন্যের কোঠায় নেব।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে আমাদের খরচ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি, কর্মসূচি নিয়েছি, বাতিলের পর দিনরাত আলোচনা করছি।

তিনি বলেন, আমি নিজে পয়লা বৈশাখের সারা দিন বিমানবন্দরে কাটিয়েছি। নিজে বোঝার চেষ্টা করেছি, কীভাবে এ সমস্যা হচ্ছে, কেন আমাদের দেশের পণ্যবাহী কার্গো আরেক দেশের সহায়তা নিয়ে তৃতীয় দেশে যেতে হচ্ছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আশা করি এটা সমাধান করতে পারব। আবার আমাকে (বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা) নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা সেই কর্মসূচিকে গতিশীল করবে। আমি মনে করি, ঠিক যেভাবে বাজারকে পণ্যের বৈচিত্র্যময়, সরবরাহ ঠিক করার মাধ্যমে স্থিতিশীল করেছি, এ কাজও সেভাবে বিমানে পণ্যবাহী কার্গো ঠিকমতো পরিবহন করতে পারব।

তিনি বলেন, বাড়তি দুই হাজার কোটি টাকা পোষাতে পারব, এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনব।

দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দেবে সরকার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১২ এএম
দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দেবে সরকার
ছবি: সংগৃহীত

সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, দপ্তর, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আওতায় জরুরি কাজ সম্পাদনে সাময়িকভাবে দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া যাবে। জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক, যাদের বয়স ১৮-৫৮ এর মধ্যে তারা দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগের সুযোগ পাবেন।

জরুরি কাজ সম্পাদনে সাময়িকভাবে দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগের লক্ষ্যে ‘দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা-২০২৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের স্বাক্ষরে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থ সচিব এতে স্বাক্ষর করেছেন ১৫ এপ্রিল।

এই নীতিমালার নাম হবে- ‘দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিতকরণ নীতিমালা-২০২৫’। নীতিমালাটি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং শুধু সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, দপ্তর, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে নিয়োজিত শ্রমিকের মজুরির হার অর্থ বিভাগ থেকে নির্ধারিত হবে।

যেসব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, দপ্তর, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগসংক্রান্ত নিজস্ব বিধি, প্রবিধি, নীতিমালা রয়েছে তাদের এই নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর অর্থ বিভাগের মতামত নিয়ে তা সংশোধন করতে হবে।

সাময়িক শ্রমিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে মজুরি দেওয়া হবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হিসাব বিবরণী নিয়োগ দেওয়া কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে হিসাবরক্ষণ অফিসে আবশ্যিকভাবে দাখিল ও সমন্বয় করতে হবে।

শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া কর্তৃপক্ষ শ্রমিকের জন্য নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। নিয়োজিত নারী শ্রমিকের জন্য নিরাপদ ও নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিক নিয়োজিত করা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কর্মকালে পরিবেশের ওপর যেন কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে, এমন বিধান রাখা হয়েছে নীতিমালায়।

‘সাময়িক কার্য’ বলতে সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, দপ্তর, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জরুরি ধরনের অত্যাবশ্যক কাজ বোঝাবে, যা সময়ে সময়ে প্রয়োজন হয় এবং যা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান জনবল দ্বারা সম্পাদন করা সম্ভব হয় না।

আর ‘সাময়িক শ্রমিক’ বলতে বোঝাবে কেবল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, দপ্তর, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের আওতায় দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িকভাবে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যিনি সরকারি তহবিল বা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থ থেকে দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি প্রাপ্য হবেন।
শ্রমিকের যোগ্যতা: জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। শ্রমিকের বয়সসীমা হবে ১৮-৫৮ বছর। শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম হতে হবে। শ্রমিক নিয়োজিত করার সময় বয়সের প্রমাণস্বরূপ জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। শ্রমিক নিয়োজিত করার সময় সার্বিক সামাজিক আচরণ ও স্বভাব-চরিত্র বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি/ সিটি করপোরেশন/পৌরসভার কাউন্সিলর/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত ইতিবাচক প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে।

মজুরি নির্ধারণ: মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/রাষ্টায়ত্ত প্রতিষ্ঠান/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জরুরি কাজের জন্য নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিকের মজুরির হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারি করা শ্রমিক মজুরিসংক্রান্ত পরিপত্র অনুসরণ করতে হবে, যা অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রয়োজনে সময়ে সময়ে পরিমার্জন/পরিবর্তন/সংশোধন করা যাবে। জরুরি কাজের জন্য নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিক অর্থ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত মজুরি ব্যতীত অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না। মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের মধ্যে কোনো প্রকার বৈষম্য করা যাবে না। শ্রমিক নিয়োজিত করা কর্তৃপক্ষ অর্থবছরের সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য মোট জন-দিন হিসাবে সাময়িক শ্রমিককে প্রদেয় মজুরি বাবদ প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ হিসাব করতে হবে। সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করার অনুমোদন/বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব অর্থ বিভাগে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী আবশ্যিকভাবে তথ্য পাঠাতে হবে।

শ্রমিক নিয়োগে যেসব বিষয় অনুসরণ করতে হবে: সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করার লক্ষ্যে কোনো পদ সৃজন করা যাবে না। অন্য কোনো আইন/অধ্যাদেশ বা বিধিতে দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করা সংক্রান্ত বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকলে, মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জরুরি কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ওই আইন/অধ্যাদেশ অনুসরণ করে শ্রমিক নিয়োজিত করা যাবে। একজন সাময়িক শ্রমিক দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত হবেন এবং মাসে ২২ দিনের বেশি সময়ের জন্য কোনোক্রমে নিয়োজিত রাখা যাবে না। সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা/রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্ম নিবন্ধন সনদসহ প্রাথমিক ব্যক্তিগত তথ্যাদি, মজুরি ইত্যাদি বিষয়ে নিয়োজিত করা কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল ডাটাবেজ সংরক্ষণ করবে। অত্যাবশ্যকীয়ভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়নে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করার বিষয় বা এতদসংশ্লিষ্ট বিশেষ ব্যতিক্রম কোনো বিষয় উত্থাপিত হলে বা থাকলে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে। অনুমোদিত শূন্য পদ/নিয়মিত পদ/জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেডভুক্ত পদের বিপরীতে কাজ করার জন্য সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করা যাবে না।  অর্থ বিভাগের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালা-২০১৮ অথবা এর সর্বশেষ সংশোধিত নীতিমালার আওতাভুক্ত সেবাসমূহের বিপরীতে দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়োজিত করা যাবে না। শ্রমিক নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের মধ্যে কোনো লিঙ্গ বৈষম্য লালন করা যাবে না।

যেসব বিষয় নীতিমালার আওতাবহির্ভূত থাকবে: ‘সাময়িক শ্রমিক’-এর সংজ্ঞা ও সংশ্লিষ্ট বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো আইন/অধ্যাদেশ বা বিধির আলোকে অন্য কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত শ্রমিকের সংজ্ঞা। ‘কোম্পানি আইন-১৯৯৪’-এর আওতায় গঠিত কোনো রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি কর্তৃক নিযুক্ত শ্রমিক। ‘সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট-১৮৬০’-এর আওতায় গঠিত কোনো প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিযুক্ত শ্রমিক। ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫’ প্রযোজ্য হয়, এরূপ শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিযুক্ত শ্রমিক।

পুঁজিবাজারে ঢালাও দরপতন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ এএম
পুঁজিবাজারে ঢালাও দরপতন
পুঁজিবাজার

সম্প্রতি সরকারের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। সরকার থেকে নতুন শিল্প ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর পর দুদিন ধরে ঢালাও দরপতন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে লেনদেনও নেমে এসেছে তলানিতে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আট কার্যদিবসের মধ্যে সব থেকে কম লেনদেন হয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো, মন্দ সব খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। ফলে কমেছে মূল্যসূচক।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস সিএসইতে ঢালাও দরপতন হলো।

এর আগে শিল্প গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে- এমন গুঞ্জনে রবিবার পুঁজিবাজারে ঢালাও দরপতন হয়। পুঁজিবাজারের লেনদেন শেষ হওয়ার পর শিল্প ও ক্যাপটিভের নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিএসইসি)। এরপর মঙ্গলবারও পুঁজিবাজারে ঢালাও দরপতন হয়।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই বাজারে ক্রেতাসংকট দেখা দেয়। ফলে দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত থাকে এই ধারা।

এতে দিনের লেনদেন শেষে সব খাত মিলে ডিএসইতে ১২০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১২টির। আর ৬৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ১২৭টির দাম কমেছে। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৩১টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪১টির দাম কমেছে এবং ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৪টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর ২টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২৭টির এবং ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সার্বিকভাবে দাম কামার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমে আবার ৩০০ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ টাকার। ১১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট।

গতকাল সার্বিক লেনদেনের মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। বিবিধ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ১০ লাখ টাকা। 

সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২১টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

লেনদেনের শীর্ষে ছিল যে ১০ কোম্পানি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৭ এএম
লেনদেনের শীর্ষে ছিল যে ১০ কোম্পানি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ১৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার। আর ১১ কোটি ৩৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস।

লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচ হ্যাচারি, বেক্সিমকো ফার্মা, উত্তরা ব্যাংক, শাহজীবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, শাইনপুকুর সিরামিকস এবং এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।

পর্ষদ সভা 
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বুধবার ৫টি কোম্পানিগুলো তাদের সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে কিছু কোম্পানি তাদের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে বিএনআইসি, হাইডেলবার্গ,  বাংলাদেশ ল্যাম্পস, উসমানিয়া গ্লাস এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস। 

বিএনআইসি ২২ এপ্রিল 
পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিএনআইসি) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল বিকেল ৪টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচিত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পরিচালনা পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। সভায় বিদায়ী হিসাব বছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ৩ দশমিক ৮০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা।

হাইডেলবার্গ ২৪ এপ্রিল
হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ এপ্রিল দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচিত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। সভা শেষে হিসাব বছরের বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা আসতে পারে।

বাংলাদেশ ল্যাম্পস ২২ এপ্রিল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২২ এপ্রিল বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচিত সভায় ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

উসমানিয়া গ্লাস ২৯ এপ্রিল
উসমানিয়া গ্লাসশিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২৯ এপ্রিল বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচিত সভায় ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ২১ এপ্রিল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২১ এপ্রিল বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচিত সভায় ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

পুঁজিবাজার যে ১০ কোম্পানির সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫২ এএম
যে ১০ কোম্পানির সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বুধবার লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২০টির শেয়ার দর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা বা ১০ শতাংশ। দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স। শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা শাহজীবাজার পাওয়ারের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো শার্প ইন্ডাস্ট্রিজ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, ডরিন পাওয়ার, এস্কয়ার নিট, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স এবং কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স পিএলসি।