ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ, আলোচনার জন্য টাস্কফোর্স চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৬ পিএম
ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ, আলোচনার জন্য টাস্কফোর্স চান ব্যবসায়ীরা
ছবি: সংগৃহীত

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘শুল্কারোপের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সরকারের উচিত হবে এই সময়ের মধ্যে আলোচনা জোরালোভাবে চালিয়ে যাওয়া। এ জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা দরকার, যেখানে ঢাকা চেম্বারসহ অন্যান্য চেম্বারের প্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে।’ 

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শুধু কর ব্যবস্থাপনাই নয়, শুল্ক কাঠামোকে সম্পূর্ণ অটোপমেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’ 

আলোচনায় অংশ নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক শুল্কহার আরও যৌক্তিকীকরণ করা হবে। তবে করহার খুব বেশি কমানোর সুযোগ নেই। কোনো কোম্পানি লোকসান করলেও যেন কর দিতে পারে, আসন্ন বাজেটে এ বিষয়ে কিছু না কিছু রাখার চেষ্টা থাকবে। অন্যদিকে আমদানিতে শুল্কহার কমানোর চেষ্টা থাকবে।’ 

আবদুর রহমান খান আরও বলেন, ‘রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য অটোমেশনের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য এনবিআর অটোমেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আগামীতে পেপার রিটার্ন নেওয়া হবে না। কোম্পানি রিটার্নও অটোমেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করা হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা এর সুবিধাও পাচ্ছেন। এখন আমদানি-রপ্তানির জন্য ১৯টি রেগুলেটর অথরিটির কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হয় ব্যবসায়ীদের। সিঙ্গেল উইন্ডো চালু হওয়াতে এক জায়গা থেকে সব সেবা মিলবে।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম। কারণ হচ্ছে আমাদের কর দেওয়ার প্রবণতা কম। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ১ কোটি ৪৫ লাখ টিআইএনর মধ্যে ৪৫ লাখের মতো রিটার্ন জমা দেন। রিটার্ন জমা দেওয়াদের মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগই করযোগ্য আয় নেই বিবেচনায় শূন্য রিটার্ন দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশে কর অবকাশ নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ফলে যে পরিমাণ কর আদায় করা হয়, তার সম পরিমাণ কর অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই সংস্কৃতি থেকে বেরুতে চাই। আমরা বৈষম্যহীন কর রেট করতে চাই। সবার জন্য একই রেট করতে চাই।’ 

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিনিয়োগ ও ব্যবসার প্রবৃদ্ধি না বাড়লে অর্থনীতি সম্প্রসারিত হবে না। এ জন্য সহায়ক নীতিমালা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার আবশ্যক। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বিনিয়োগ সম্প্রসারণের জন্য কার্যকর এবং সহায়ক কর নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।’ 

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যবসাবান্ধব বাজেটের কোনো বিকল্প নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি বজায় থাকলে বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ হবে না। উদ্যোক্তারা পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আর্থিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী। তবে প্রয়োজন সহায়ক নীতিমালা।’ 

আব্দুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, রাজস্ব নীতিমালার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্য নীতিগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি। কর-জিডিপির হার বৃদ্ধিকল্পে টিআইএন থাকা সত্ত্বেও যারা কর দেন না, তাদেরকে করের আওতায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। 

এফবিসিসিআইর আরেক সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, গতানুগতিক ঘাটতি বাজেট এবং সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি। আমি সরকারের কাছ থেকে একটি ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব, অন্তর্ভুক্তিমূলক, বাস্তবমুখী এবং সময়োপযোগী বাজেট প্রত্যাশা করি। এ ছাড়াও রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে সরকারি ব্যয় হ্রাসে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম যুক্তরাষ্ট্রের ভালো মানের তুলা আমদানি বাড়াতে ওয়্যার হাউস নির্মাণ সুবিধা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সে দেশের সঙ্গে আমাদের এটা করতে পারলে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পাবে। ম্যান মেইড ফাইবারের মতো হাই ভ্যালু পণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি। 

ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নয়, তাই সরকারের আরও ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’ 

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘ইতোমধ্যে লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে, তবে এ খাতের সুফল পেতে হলে দশ বছর মেয়াদি একটি মাস্টারপ্ল্যান থাকা প্রয়োজন।’

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

তিন মাসের ব্যবধানে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে নির্ধারণ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। এর আগে, জানুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংক তাদের সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ জানিয়েছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘস্থায়ী আর্থিক সংকটের কারণেই এই প্রবৃদ্ধি হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, গত গ্রীষ্মে সংঘটিত সামাজিক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলে সৃষ্ট বিঘ্নের প্রতিফলন এটি। এ ছাড়া বাণিজ্যে বিঘ্ন, দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, সুশাসনের সংকট এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা- সব মিলিয়ে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এর এক দিন আগেই গত মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি মাসের শুরুতে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাড়তে থাকা অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও দুর্বল হয়ে পড়েছে। অঞ্চলটির অধিকাংশ দেশেরই প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ জোরদার করা গেলে অর্থনৈতিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে এবং ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে। ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে, যা অক্টোবরের পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কম। ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
তবে এই পূর্বাভাস অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি অঞ্চলটির সীমিত আর্থিক সক্ষমতাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আর্থিক চাপের কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়াবে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি ৪ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হলেও পূর্বাভাস কমানো হয়েছে।

একই সময়ে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কিছুটা কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসবে। আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থেকেও কম। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি আরও কমে ২ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।

ভুটানে কৃষি খাতে দুর্বলতার কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জলবিদ্যুৎ নির্মাণ খাতে গতি আসায় এটি ৭ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

মালদ্বীপে নতুন বিমানবন্দর টার্মিনাল উদ্বোধনের ফলে ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে। তবে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে।

নেপালে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রবৃদ্ধি কমে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়াবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বৈদেশিক চাপ ও মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কাটিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাকিস্তানে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

ঋণ পুনর্গঠনের অগ্রগতির কারণে ২০২৫ সালে শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। তবে ২০২৬ সালে এটি কিছুটা কমে ৩ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেন, ‘গত এক দশকে একাধিক ধাক্কা অঞ্চলটি দুর্বল করে দিয়েছে। এখনই সময় বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত করা, কৃষি খাত আধুনিকীকরণ এবং বেসরকারি খাত আরও সক্রিয় করে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার।’ প্রতিবেদন অনুসারে, টেকসই অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঘরোয়া রাজস্ব বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। যদিও দক্ষিণ এশিয়ায় করের হার অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি, কিন্তু প্রকৃত কর আদায় অনেক কম।

কয়েক দফা বাড়ানোর পর কমল স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
কয়েক দফা বাড়ানোর পর কমল স্বর্ণের দাম
ছবি : খবরের কাগজ

টানা চার দফায় বাড়ানোর পর অবশেষে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৫ হাজার ৩৪২ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভরিতে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তারও আগে গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভরিতে ৩ হাজার ৩৩ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর তিন দিনের মাথায় গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। ওই সময় ভরিতে ২ হাজার ৬২৪ টাকা বাড়ানো হয়।

তবে এর দুই দিনের মাথায় গত সোমবার (২১ এপ্রিল) এক লাফে ভরিতে ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়ানো হয় স্বর্ণের দাম। সবশেষ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভরিতে এক লাফে ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়ানো হয়।

অমিয়/

হিলি বন্দরের সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা, কমেছে ট্রাক চলাচল ও রাজস্ব আদায়

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
হিলি বন্দরের সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা, কমেছে ট্রাক চলাচল ও রাজস্ব আদায়
দিনাজপুরের হিলি বন্দরের প্রধান সড়কগুলোতে দীর্ঘদিন গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে। খবরের কাগজ

দিনাজপুরের হিলি বন্দরের প্রধান সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় চলাচলে ভোগান্তি বাড়ছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়ছে। কমেছে ট্রাক চলাচল ও রাজস্ব আদায়। স্থানীয়রা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। ২০১৯ সালে ফোর লেন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভূমি অধিগ্রহণ সমস্যায় কাজ বন্ধ আছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে, কিছু জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। তবে কবে পুরো কাজ শেষ হবে, তা অনিশ্চিত।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, আগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো। এখন তা নেমে এসেছে ৮০ থেকে ১০০ ট্রাকে। এতে রাজস্ব কমে গেছে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি বছর হিলি বন্দর থেকে সরকার ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। এত রাজস্ব আদায়ের পরও অবহেলায় পড়ে আছে বন্দরের সড়ক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিরো পয়েন্ট থেকে বন্দরের প্রবেশমুখ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের কিছু অংশে কাজ হলেও বাকি অংশে রয়েছে বড় বড় গর্ত। চারমাথা মোড় থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় গর্ত। সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছে জানা যায়নি কাজ কবে শেষ হবে।

পথচারী এনামুল হক বলেন, ‘মহিলা কলেজ থেকে চারমাথা এবং সিপি থেকে বিরামপুর পর্যন্ত রাস্তা খারাপ। গর্তের কারণে চলাফেরা খুব কষ্টের।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক সরকার আমলে এই সড়ক ফোর লেন করার কথা থাকলেও এখনো কিছু হয়নি। দেখার যেন কেউ নেই।’

আরেক পথচারী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘হিলি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। প্রতিদিন শত শত ট্রাক এখানে আসে। রাস্তায় গর্ত থাকার কারণে ট্রাক উল্টে যায়। পথচারী, শিক্ষার্থী, অ্যাম্বুলেন্স—সবাই ভোগে।’ তিনি বলেন, ‘গর্তের কারণে পরিবহন চালকদের সময়ও বেশি লাগে। দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু করা জরুরি।’

ট্রাকচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সব জায়গায় উন্নয়ন হলেও হিলির রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। পিচঢালা রাস্তার ওপর ইট দিয়ে সলিং করে কাজ চালানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি হলে রাস্তা হয়ে যায় গর্তে ভরা। তখন রাস্তা হয়ে ওঠে মরণফাঁদ। দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।’

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত পণ্যবাহী ট্রাক এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘হিলি-দিনাজপুর, হিলি-জয়পুরহাট সড়কও একইভাবে গর্তে ভরা। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সবাই ভোগান্তিতে পড়েছে।’

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, ‘মহিলা কলেজ থেকে চারমাথা এবং সিপি থেকে বিরামপুর রাস্তায় গর্ত হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ সংস্কার কাজ শুরু করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিরোপয়েন্ট থেকে পানামা পোর্ট এবং চারমাথা থেকে মহিলা কলেজ পর্যন্ত ২ দশমিক ২ কিলোমিটার রাস্তা ফোর লেন করার কথা। ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। তবে জমি অধিগ্রহণ সমস্যায় কাজ বন্ধ আছে।’

আরও ৫ লাখ পরিবারকে কম দামে চাল খাওয়াবে সরকার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আরও ৫ লাখ পরিবারকে কম দামে চাল খাওয়াবে সরকার
প্রতীকী ছবি

গরিব মানুষকে সাশ্রয়ী দামে চাল খাওয়াতে সারা দেশে একটি কর্মসূচি চালু রয়েছে। ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’ নামের আওতায় বর্তমানে ৫০ লাখ পরিবারের কাছে কম দামে চাল বিক্রি করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতা আরও বাড়ানো হচ্ছে। ৫০ লাখ সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নীত করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে চাল বিক্রি করা হয় বছরে পাঁচ মাস। এটা বাড়িয়ে ছয় মাস করা হচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বর্তমান সরকার। 

বর্তমানে প্রত্যেক পরিবারের কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রি করা হয়। চালের পরিমাণ ও দাম অবশ্য একই রাখা হচ্ছে। সূত্র জানায়, দেশের গ্রাম এলাকার গরিব মানুষের কথা মাথায় রেখে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় চালু করা হয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে ৫ মাস ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার উদ্দেশ্যে কর্মসূচিটি চালু করা হয়, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় খাদ্য অধিদপ্তর।

সরকারের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, প্রতিবছরের মার্চ ও এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর গরিব মানুষের কাজের অভাব থাকে। তাই এ পাঁচ মাস নামমাত্র দামে পরিবারগুলোকে চাল কেনার সুযোগ দেওয়া হয়। এখন তা ছয় মাস করা হচ্ছে।

কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে বসবাসরত বিধবা, বয়স্ক, পরিবারপ্রধান নারী, নিম্ন আয়ের দুস্থ পরিবারপ্রধানদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার একটি তালিকা করা হয় তখন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অবশ্য কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে চালের দাম করা হয় ১৫ টাকা।

মাঝখানে করোনা আসার পর ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৬২ লাখ ৫০ হাজার করা হয়েছিল। একই সঙ্গে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল তখন পাঁচ মাসের পরিবর্তে সাত মাস। করোনো চলে যাওয়ার পর উপকারভোগী কমিয়ে আবার নিয়ে আসা হয় ৫০ লাখে, আর কার্যক্রম চলে ৫ মাস।

উপকারভোগীদের কাছ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হলেও তা সমতল এলাকার ডিলারদের কাছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা এবং দুর্গম এলাকার ডিলারদের কাছে ১৩ টাকা দরে চাল বিক্রি করে সরকার।

দেশে এখন মোট উপজেলা ৪৯৫টি। এর মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালিত হয় ৮ বিভাগের ২৫৬টি উপজেলায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী গরিব-প্রবণ অঞ্চল চিহ্নিত করার মাধ্যমে করা হয় তালিকা।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকতা বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আমরা সম্প্রসারণ করতে চাই। সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে আপাতত উপকারভোগী পরিবার ৫৫ লাখে উন্নীত করছি। আর ৫ মাসের বদলে ৬ মাস দেওয়া হবে চাল। সম্ভব হলে পরে সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ উপকারভোগীর একটি তথ্যভান্ডার রয়েছে খাদ্য অধিদপ্তরে। সে অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি উপকারভোগী রয়েছেন রংপুর বিভাগে। এ বিভাগের ৮টি জেলায় উপকারভোগী ৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫১০ জন রংপুর জেলায়, সর্বনিম্ন ৫০ হাজার ৯৫৪ জন পঞ্চগড় জেলায়।

বিভাগ অনুযায়ী সবচেয়ে কম উপকারভোগী সিলেটে, ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৩০ জন। এ বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি ৮৯ হাজার ৫০৩ জন, সবচেয়ে কম সিলেট জেলায় ২৭ হাজার ৫১০ জন।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি উপকারভোগী টাঙ্গাইল জেলায়, ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৬ জন এবং কম মুন্সিগঞ্জ জেলায়, ৩৩ হাজার ৬৩৬ জন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় উপকারভোগী ৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৯৩ জন, যা ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭৭৭ জন, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ৬ লাখ ৩১ হাজার ৫৮৮ জন, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৪ লাখ ৮৩ হাজার ২০৫ জন এবং রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ৭ লাখ ৭২ হাজার ৮৩২ জন।

দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদা পূরণে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) নামের একটি কর্মসূচি চালু রয়েছে ২০১৩ সাল থেকে। খাদ্য অধিদপ্তর চাল সরবরাহ করলেও এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভিডব্লিউবি কর্মসূচিও চলবে। এর আওতায় ১৭০টি উপজেলায় ১০ লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে ভিটামিন এ, বি১, বি১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন ও জিংক-সমৃদ্ধ চাল ৩০ কেজি করে সারা বছর বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টন চাল বরাদ্দ রয়েছে। তবে প্রতিবছর কর্মসূচিটির আওতা ১০ শতাংশ করে বাড়ানোর কথা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কর্মসূচি চলবে। তবে আওতা বৃদ্ধি সার্বিক বাস্তবতার ওপর নির্ভর করবে। দুই বছর পরপর নতুন তালিকা তৈরি করা হয়।

আবাসন খাতে নেতিবাচক প্রভাব  পড়েছে

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
আবাসন খাতে নেতিবাচক প্রভাব  পড়েছে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) কারণে আবাসনের পাশাপাশি সংযোগ শিল্পের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

রিহ্যাব সভাপতি বলেন, আবাসন খাত ভালো থাকলে সংযোগ শিল্পগুলো স্বাভাবিকভাবেই ভালো থাকে। এখন তারাও ভালো নেই। কারণ, বৈষম্যমূলক নতুন ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনশিল্প সমস্যায় আছে।
মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, নির্মাণ উপকরণের সবচেয়ে বড় উপাদান রড। কিন্তু রডের চাহিদা প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। একইভাবে চাহিদা কমেছে সিমেন্ট, ইটসহ অন্যান্য উপকরণের। চাহিদা কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমেছে। অনেক লোকবল ছাঁটাই হয়েছে। ভবিষ্যতে অনেক প্রতিষ্ঠান সেই দিকে হাঁটবে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ নিয়ে জমির মালিক, আবাসন ব্যবসায়ী ও সংযোগ শিল্পের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে অবশ্যই অবসান ও সংযোগ শিল্পের স্থবিরতা থেকে অতি দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে হবে। সরকারকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।

রিহ্যাব ও আবাসন খাতের সহযোগী শিল্পের বাণিজ্য সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, রিহাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।

রিহ্যাব সভাপতি আরও বলেন, ড্যাপে ফার (ফ্লোর এরিয়া রেশিও) সমস্যার কারণে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন একেবারে কমে গেছে। ২০২২ সালে ড্যাপের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর জমির মালিকরা ডেভেলপ করার জন্য আবাসন কোম্পানিকে জমি দিচ্ছেন না। এ কারণে নতুন আবাসন প্রকল্পের সংখ্যা কমে গেছে। এতে সংযোগ শিল্পগুলোর পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘দিল্লিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৬২ জন মানুষ বসবাস করে। তারপরও তাদের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফার বেশি। ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১১৯ জন। ফলে আমাদের কম জায়গায় বেশি ফার প্রয়োজন।’

আবাসনশিল্পের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে রড, সিমেন্ট, ইট, টাইলস, ক্যাবল, রং, লিফট, থাই, স্যানিটারিসহ প্রায় ২০০ সংযোগ শিল্প—এসব খাত অর্থনীতির চাকা গতিশীল রেখেছে। এসব শিল্পে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান রিহ্যাব সভাপতি।