
ঈদুল আজহার পর বরিশালে সব ধরনের সবজি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া বাড়ছে পেঁয়াজের দামও। তবে স্বস্তি ফিরেছে মাংসের বাজারে। গত এক সপ্তাহের মুরগির কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং গরুতে কমেছে ৫০ টাকা। স্থিতিশীল রয়েছে চাল-ডালের দাম।
রবিবার (২০ এপ্রিল) নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁকরোল বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়। গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০, লম্বা বেগুন ৮০, মিষ্টিকুমড়া ৪০, মুলা ৬০, শসা ৮০, করলা ৬০ থেকে ৮০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০, ঢ্যাঁড়স ৫০ থেকে ৬০, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০, ঝিঙা ৬০ থেকে ৮০, পটোল ৫০, কচুর লতি ৬০, বরবটি ৬০, কাঁচা মরিচ ৬০, পেঁপে ৬০, লাউ ৬০ ও গাজর ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়। কাঁচকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ১৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। রমজানে যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ২০ থেকে ২৫ টাকায় গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে দাম বেড়েছে ১৪ টাকা।
এদিকে ঈদের আগে উত্তাপ ছড়ানো মাংসের বাজারে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ঈদের আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়। গতকাল ১৭০ থেকে ১৮০ প্রতি কেজি বিক্রি হয়। ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে সোনালি মুরগি বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। গরুর মাংস ৫০ কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকায় শাকসবজির দাম বাড়ছে। নগরীর টিঅ্যান্ডটি কলোনির বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, ‘হুটহাট করে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এভাবে দাম বাড়লে আমরা সাধারণ মানুষ কোথায় যাব? দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১৪ টাকা। শুধু এই দুটি পণ্যের পেছনে অতিরিক্ত ব্যয় বেড়েছে ২০০ টাকা। এতে করে আমাদের মাসের আয়-ব্যয় সমন্বয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’ ক্রেতা শফিকুর রহমান বলেন, ‘রমজানে সবজির দাম কম ছিল। ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই সবজির দাম বেড়েই চলছে। ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। এত দাম দিয়ে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের সবজি কিনে খাওয়া কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
নগরীর স্টিমারঘাট এলায় পাইকারি কাঁচা বাজারের আড়তদার আমিনুল শুভ বলেন, ‘মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় সবজি বাজারে সরবরাহ কম। ফলে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। মৌসুমি সবজি উঠবে আরও কিছুদিন পর। নতুন সবজি উঠতে শুরু করলে আবারও দাম কমে আসবে।’ নগরীর পেঁয়াজ পট্টি এলাকার ব্যবসায়ী এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ফলন ভালো হওয়ায় এ মৌসুমে পেঁয়াজের দাম বেশ কম ছিল। দেশি পেঁয়াজের কেজি সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় নেমেছিল। এখন কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।’