
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ভোটার কমেছে ৬৩২ জন। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮৬৪ জন। গতবার ভোটার ছিল ২৪৯৬ জন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সংগঠনটির ৩৫ পরিচালক পদে দুটি প্যানেলের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন হবে আগামী ৩১ মে।
জানা গেছে, বিজিএমইএ-এর গত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২৪৯৬ জন। মেম্বারশিপ ফাইল অডিট এবং ভেরিফিকেশনে ৬৩২ জন ভুয়া ভোটার শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলের ৪৯৯ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৩ জন। এখন প্রকৃত ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬৪ জন। এর মধ্যে ঢাকার ১৫৬১ জন ও চট্টগ্রামের ৩০৩ জন। প্রতিবছরই বিজিএমইএ-এর নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। একটি ফোরাম এবং অপরটি সম্মিলিত পরিষদ।
গতকাল সকালে ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বিজিএমইএ-এর সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা ও আনোয়ার উল আলম চৌধুরী। এ ছাড়া ফোরামের সভাপতি এম এ সালাম, ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী এবং প্রধান সমন্বয়ক ফয়সাল সামাদ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার আবুল কালাম বিজিএমইএ-এর সাবেক জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ফোরাম মোটেও চিন্তিত নয়। আমরা চাই একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। যাতে সাধারণ সদস্যরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ফোরাম সদস্যদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হলে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক বিজিএমইএ তৈরি করব। যেখানে সদস্যদের স্বার্থই প্রধান্য পাবে। একই সঙ্গে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে রেশনিংব্যবস্থা এবং দুটি হাসপাতাল চালু করা নিয়ে কাজ করব। পাশাপাশি ব্যবসার ব্যয় কমিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করব। আমরা সাধারণ সদস্যদের আশ্বাসের ফুলঝুড়ি দেব না। যে কয়টি এজেন্ডা দেওয়া হবে, তার সবগুলোই পূরণ করা হবে।’
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার আবুল কালাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে বিজিএমইএ সদস্যদের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে সম্মিলিত পরিষদ। এ পরিষদের মাধ্যমে বিজিএমইএ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বয়ে আমাদের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি, আমাদের প্যানেল শতভাগ জয়ী হবে।’
নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসককে সহায়তার উদ্দেশে একটি সহায়ক কমিটি রয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ কমিটির বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড এবং আপিল বোর্ড গঠন করা হয়। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবালকে। ল ফার্ম সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ব্যারিস্টার সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন এবং ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ এ বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরকে। এ বোর্ডের দুই সদস্য হয়েছেন বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী হক চৌধুরী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ এন এম কুদরত-ই-খুদা।