ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজস্ব নীতিতে অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়নের অভিযোগ কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
রাজস্ব নীতিতে অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়নের অভিযোগ কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশনের
ছবি: সংগৃহীত

রাজস্ব প্রশাসনের সংস্কারে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন।

প্রস্তাবিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়ায় অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের উপেক্ষা এবং বিশেষায়িত জ্ঞানের অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংগঠনটি । 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে এক প্রেস বিবৃতিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাজস্ব সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য যাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও বিশেষায়িত দক্ষতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, সেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি।  ফলে একদিকে যেমন কর-জিডিপি অনুপাত উন্নয়নের স্বপ্নে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে রাজস্ব প্রশাসনের টেকসই উন্নয়নের পথও হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল একে এম নুরুল হুদা আজাদ জানান, রাজস্ব প্রশাসন সংস্কার এবং কর-জিডিপি অনুপাত উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর চূড়ান্ত খসড়া নিয়েও আলোচনা করা হয়।  এ সময় কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ এবং দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে অবদানের কথা স্মরণ করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রেস বিবৃতিতে ও সভায় বক্তারা জানান, কর-জিডিপি অনুপাত উন্নয়নে অতিমূল্যায়িত জিডিপি, রাজস্ব প্রশাসনের শীর্ষপদে বাস্তব অভিজ্ঞতার ঘাটতি এবং রাজস্ব আহরণে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা সরকারের কাছে রাজস্ব আহরণে অধিক বিনিয়োগ এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়ার দাবি জানান।

এসব বিষয়ে বিসিএস কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, রাজস্ব সংস্কার শুধু নীতি ও বাস্তবায়ন পৃথক করলেই যথেষ্ট নয় বরং রাজস্ব প্রশাসনের সামগ্রিক শক্তিশালীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন অপরিহার্য।  

সভায় বক্তারা জানান, সরকার গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট রাজস্ব সংস্কার পরামর্শক কমিটির আহ্বানে বিসিএস কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে মতামত পেশ করেছে।

তবে সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত অধ্যাদেশের খসড়া পর্যালোচনা করে অ্যাসোসিয়েশন দুটি লক্ষ্য করেছে যে, তাদের প্রস্তাবিত গুরুত্বপূর্ণ মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। সভায় বিসিএস কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন নিম্নলিখিত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে- রাজস্বনীতি বিভাগের শীর্ষপদে কর-রাজস্ব আহরণে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পদায়নের প্রস্তাব থাকলেও খসড়ায় ‘যেকোনো সরকারি কর্মকর্তা’ নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।

রাজস্ব নীতি বিভাগের মৌলিক পদে বিশেষায়িত ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্টভাবে নিয়োগের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে।  কর আইন প্রয়োগ ও আহরণ পরিস্থিতি পরিবীক্ষণের ক্ষমতা নীতি বিভাগকে দেওয়ার প্রস্তাবকে সাংঘর্ষিক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিনিয়র সচিব নিয়োগে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কর-রাজস্ব কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার না দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রশাসনিক পদসমূহে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

বক্তারা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নীতিনির্ধারণে মাঠপর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতার গুরুত্ব অপরিসীম। অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া হলে প্রশাসনিক দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ব্যাহত হবে।’

একই সঙ্গে সভায় কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। 

বিসিএস কাস্টমস ও ভ্যাট অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, কর-রাজস্ব আহরণ, ব্যবস্থাপনা এবং রাজস্ব নীতি প্রণয়নে বিশেষায়িত ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রস্তাবিত বিভাগ দুটিকে ব্যবসা-বান্ধব, গতিশীল ও জনমুখী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে। কোনো বিশেষ মহলের প্ররোচনায় জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে তা কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে সভায় সতর্ক করে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছিল, রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব নিয়োগে রাজস্ব প্রশাসনে সরাসরি কাজ করা অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মধ্য থেকেই নির্বাচন করা উচিত। তাদের প্রস্তাব ছিল, ‘রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মরত কর্মকর্তাদের’ মধ্য থেকে সচিব নিয়োগ করতে হবে। 

কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত খসড়ার অনুচ্ছেদ ৪(৩)-এ বলা হয়েছে, ‘উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা’ রাজস্ব নীতি বিভাগের সচিব বা সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। এতে বিসিএস (কর) ও বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা অগ্রাহ্য করা হয়েছে বলে মনে করছে সংগঠন দুটি।

সুমন/

সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতের জন্য ৮২৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় তিনি আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য মূল বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য তিন শূন্য ৫ শতাংশ। 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। পরে তা সংশোধিত হয়ে আকার দাঁড়ায় ৭৭৯ কোটি টাকায়। সে হিসেবে এ বছর এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা।  

২০২৫-২৬ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যেসব কর্মসূচিতে এ বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে চায় তার ব্যাখ্যাও এসেছে। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত নানা অডিও-ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ এবং এ সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। গণভবন কমপ্লেক্স জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর রূপান্তরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে এ বাজেট প্রস্তাবনায়।

বাজেট বক্তৃতায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আসন্ন কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন ছাড়াও অসচ্ছল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভাতা প্রদান, বিভিন্ন নাট্যদল-বেসরকারি পাঠাগারগুলোকে অনুদান প্রদান, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ দল বিনিময়, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মের কপিরাইট সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সমকালীন শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ বাড়িয়ে গ্যালারি আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন প্রত্নস্থল চিহ্নিত করে তা খনন, সংরক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।  

জয়ন্ত/মেহেদী/

মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মেট্রোরেলের অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জন্য ৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে সংশোধিত হয়ে এ বাজেটে পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা; এমআরটি-১ প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা; এমআরটি-নর্দার্ন ৫ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ অন্যান্য খাতের জন্য সংস্থাটির জন্য এই অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনি অর্থবছরে ইসির জন্য প্রস্তাবিত মোট অর্থের সরকার পরিচালনা খাতের জন্য ২ হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন খাতে ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইসি সচিবালয়ের জন্য এ বরাদ্দের ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে এবার নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার বাজেটকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য সরকারের বাজেট ছিল ১ হাজার ২৩০ কোটি (২২৯ কোটি ৮৩ লাখ) টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে ৭৯৩ কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে ৪৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ৪টি পৌরসভা, ১০টি উপজেলা, ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ডেটাবেইজ ও ডেটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, স্থানীয় সরকার এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন পরিচালনা; জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ, ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কার্যক্রম; পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত, মুদ্রণ ও বিতরণ এবং সেবা দেওয়া, নতুন নাগরিক নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, এনআইডি সিস্টেমের অডিট ও ডকুমেন্টেশন, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধনকরণ ও  স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনায় আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার-ওয়ার্কশপের আয়োজনসহ ইসি সচিবালয়ের নানা কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। এর মধ্যে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসির চাহিদা ছিল প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারের ৫ স্তরের নির্বাচনের জন্য ইসি কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারকে তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। একই সঙ্গে নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা, ও আদেশ সংশোধন ও সংস্কারের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।'

এলিস/মেহেদী/

সেতু বিভাগের বাজেট কমছে ১২৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
সেতু বিভাগের বাজেট কমছে ১২৯৬ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাবনা করা হলেও সেতু বিভাগের বাজেট বরাদ্দ কমানো হচ্ছে এ অর্থবছরে। বাজেট প্রস্তাবনায় এ বিভাগে ১২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানোর কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

নতুন অর্থবছরে সেতু বিভাগে ৬ হাজার ২২ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ বিভাগের জন্য ৭৩১৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। 

বাজেট প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূল বাজেটের শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ টাকা এ বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। 

নতুন অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় সেতু বিভাগে পরিচালন ব্যয় ১০ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১২ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

সড়ক পরিবহন-মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ছে ৩৫৩ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
সড়ক পরিবহন-মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ছে ৩৫৩ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন অর্থবছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ৩৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যোগাযোগ খাতের এ বিভাগে ৩৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল, সংশোধিত বাজেটে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য এ বিভাগের জন্য ২৪ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। 

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।

নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

বাজেট বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। 

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।  

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার টেকসই, নিরাপদ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিদ্যমান ‘রোড মাস্টার প্ল্যান ২০০৯’ হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় খসড়া ‘হাইওয়ে মাস্টার প্ল্যান-২০৪০’ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও টেকসই, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে একাধিক আইন, বিধিমালা ও নীতিমালার সংশোধন এবং হালনাগাদের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে বিআরটিএ কর্তৃক মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হচ্ছে। 

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। 

ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় ৪০০টি ইলেকট্রিক বাস যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ আইন-২০১২ সংশোধনপূর্বক বাংলাদেশ নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


জয়ন্ত/মেহেদী/