ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতে বিশাল সম্ভাবনা আছে

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ এএম
হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতে বিশাল সম্ভাবনা আছে
সৈয়দ তাহমিদ জামান রাশিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ বেশ প্রতিকূল। মানুষের আয় ও ক্রয়ক্ষমতা কিছুটা কমে গেছে। ফলে আমাদের মতো কোম্পানিগুলো এখন ‘ভ্যালু ফর মানি’বা ভালো মানের পণ্য সাশ্রয়ী দামে কীভাবে দিতে পারে, সেটাতে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা আপাতত মিড-রেঞ্জ ও এন্ট্রি লেভেল প্রোডাক্টের ওপর বেশি ফোকাস করছি। তবে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা আবার প্রিমিয়াম সেগমেন্টে ফিরব।

গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। একসময় যেখানে সাধারণ এসি, রেফ্রিজারেটর আর টিভিই ছিল প্রধান, এখন সেখানে এসেছে এলজির ডুয়েল ইনভার্টার প্রযুক্তি, যা বিদ্যুৎসাশ্রয়ে অনেক কার্যকর। Panasonic MirAi টেকনোলজি গ্রাহকদের মধ্যে ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এ ছাড়া Whirlpool তাদের 6th Sense টেকনোলজি, Hisense-এর AI-বেইসড স্মার্ট ফিচারস গ্রাহকদের লাইফস্টাইল আরও স্মার্ট ও সহজ করে তুলেছে।

দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোও পিছিয়ে নেই। Walton এখন নিজেদের R&D-এর মাধ্যমে নতুন ফিচারগুলো নিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে, এখনকার হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাত শুধু প্রয়োজনীয়তা নয়, বরং একটি লাইফস্টাইল সলিউশন হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির গ্রাহকদের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। তাই এই সেগমেন্টে প্রতিযোগিতা তীব্র। স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো দামে বেশি সুবিধা দিলেও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো নির্ভরযোগ্যতা ও দীর্ঘস্থায়িত্বে এগিয়ে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী আমরা দুটোরই সমন্বয়ে কাজ করছি।

আমরা চেষ্টা করি যেসব পণ্য স্থানীয়ভাবে ভালো মানে তৈরি হচ্ছে, সেগুলো দেশেই উৎপাদন করতে। আর যেসব পণ্যে এখনো প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো আমদানি করে সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে দিচ্ছি।

এই খাতে সফল হতে হলে ধৈর্য, দূরদৃষ্টি আর বাস্তবিক বাজার বিশ্লেষণ খুব জরুরি। বিশেষ করে এখন যেহেতু হোম অ্যাপ্লায়েন্স ক্রমশ স্মার্ট হয়ে উঠছে, IoT (Internet of Things) ভিত্তিক প্রযুক্তির দিকে তরুণদের নজর দেওয়া উচিত। ভবিষ্যতের গ্রাহক চাইবে এমন পণ্য যা স্মার্টফোন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যেটা তাদের বিদ্যুৎ খরচ হিসাব করে দেয়, এমনকি সময় অনুযায়ী নিজেদের অ্যাডজাস্ট করে।

Best Electronics আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ১৯০টি আউটলেট এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে মোট ৪০০টি আউটলেট চালু করা।

তবে শুধু অফলাইন নয়, আমরা সমান গুরুত্ব দিচ্ছি অনলাইন প্ল্যাটফর্মকেও। আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ই-কমার্স চ্যানেলের মাধ্যমে ঘরে বসেই পণ্য কেনার অভিজ্ঞতা দিচ্ছি গ্রাহকদের।

আমরা সব সময় চেষ্টা করি কাস্টমার স্যাটিসফ্যাকশনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে। প্রোডাক্ট কোয়ালিটি, আফটার সেলস সার্ভিস এবং ট্রান্সপারেন্ট প্রাইসিং আমাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু গড়ে তুলেছে।

বর্তমান কর কাঠামোতে কিছু ইতিবাচক দিক আছে, তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। গত সরকার শুধু স্থানীয় উৎপাদকদের জন্য একচেটিয়া কর সুবিধা দিয়েছে, যা অবশ্যই দেশীয় শিল্প বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই একতরফা সুবিধার ফলে যারা শুধু অ্যাসেম্বলি বা ইনোভেটিভ, নিস পণ্য আমদানি করে দেশেই অ্যাসেম্বল করে বিক্রি করতেন, তাদের অনেকেই ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়েছেন।

সব গ্রাহক এক রকম পণ্য চান না—অনেকেই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের এক্সক্লুসিভ, প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট খোঁজেন যেগুলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদন সম্ভব নয় বা করে লাভজনক হয় না। তাই, এমন অ্যাসেম্বলারদের জন্যও কর কাঠামোতে কিছু যৌক্তিক সুবিধা থাকা দরকার, যাতে তারা সীমিত কিন্তু উচ্চমানের পণ্য বিক্রি করে নির্দিষ্ট ক্রেতাদের সেবা দিতে পারেন।

এ বছর পরিস্থিতি বেশ অনিশ্চিত। সাধারণত মার্চ মাস থেকেই এসি বিক্রি  শুরু হয়। কিন্তু এ বছর এপ্রিলেও সেটি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এর ওপর ঈদুল ফিতরেও সার্বিকভাবে সব কোম্পানির বিক্রি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম হয়েছে।

আমরা আশা করছি, ঈদুল আজহা উপলক্ষে নতুন রেঞ্জের ফ্রিজ ও ডিপ ফ্রিজার এবং গ্রাউন্ড ব্রেকিং প্রমোশনাল অফারের মাধ্যমে বাজারে একটি পজিটিভ টার্নআরাউন্ড হবে। আমাদের ফোকাস থাকবে সাশ্রয়ী দামের ভালো মানের পণ্য এবং সহজ কিস্তির মাধ্যমে গ্রাহককে আকৃষ্ট করা।

আমরা এখন ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি বিক্রি করছি, যা বিদ্যুৎসাশ্রয়ে অত্যন্ত কার্যকর। একই সঙ্গে Energy Rating নিশ্চিত করছি যেন গ্রাহক জানেন কী পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে।

বাংলাদেশে ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনায় এখনো অগ্রগতি সীমিত। কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন পুরোনো মোবাইল ফোনের PCB থেকে মূল্যবান ধাতু সংগ্রহের জন্য ছোট আকারে রিসাইক্লিং প্লান্ট গড়ে তুলেছে, কিন্তু এগুলো এখনো বাণিজ্যিকভাবে খুব সীমিত পর্যায়ে চলছে।

এই খাতে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে যদি আমরা বিদেশি বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দিকনির্দেশনা পাই। যথাযথ রিসাইক্লিং প্রযুক্তি এবং সরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগ থাকলে ই-ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনা শুধু পরিবেশবান্ধবই হবে না, বরং নতুন কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বারও খুলে যাবে।

আমরা সব সময় দীর্ঘস্থায়ী এবং মানসম্পন্ন পণ্য বাজারে দিতে চেষ্টা করি। প্রযুক্তি আপডেট করা ও কাঁচামালের দাম বাড়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ব্র্যান্ডের মান ধরে রাখতে আমরা কোনো আপস করি না।

রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। তবে দাম, মান এবং সার্টিফিকেশন—এই তিনটা বিষয়ে আমাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতনির্ভর কিছু দেশে ইতোমধ্যে কিছু সুযোগ তৈরি হচ্ছে।

সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
সংস্কৃতির বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতের জন্য ৮২৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় তিনি আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য মূল বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য তিন শূন্য ৫ শতাংশ। 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭৭৯ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। পরে তা সংশোধিত হয়ে আকার দাঁড়ায় ৭৭৯ কোটি টাকায়। সে হিসেবে এ বছর এ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বেড়েছে ৮২ কোটি টাকা।  

২০২৫-২৬ অর্থবছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যেসব কর্মসূচিতে এ বাজেট বরাদ্দ বাস্তবায়ন করতে চায় তার ব্যাখ্যাও এসেছে। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত নানা অডিও-ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণ এবং এ সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। গণভবন কমপ্লেক্স জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর রূপান্তরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে এ বাজেট প্রস্তাবনায়।

বাজেট বক্তৃতায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আসন্ন কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় দিবস উদ্‌যাপন ছাড়াও অসচ্ছল শিল্পী-সাহিত্যিকদের ভাতা প্রদান, বিভিন্ন নাট্যদল-বেসরকারি পাঠাগারগুলোকে অনুদান প্রদান, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিশেষজ্ঞ দল বিনিময়, সৃজনশীল সাংস্কৃতিক কর্মের কপিরাইট সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় জাদুঘরে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, সমকালীন শিল্পকলার নিদর্শন সংগ্রহ বাড়িয়ে গ্যালারি আধুনিকায়ন করা হবে। নতুন প্রত্নস্থল চিহ্নিত করে তা খনন, সংরক্ষণ, সংস্কার কার্যক্রম জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।  

জয়ন্ত/মেহেদী/

মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
মেট্রোরেলে বরাদ্দ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মেট্রোরেলের অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিচালনায় বরাদ্দ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। 

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জন্য ৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। পরে সংশোধিত হয়ে এ বাজেটে পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা; এমআরটি-১ প্রকল্পের জন্য ৮ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা; এমআরটি-নর্দার্ন ৫ প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে নির্বাচন কমিশন পাচ্ছে ২৯৫৬ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ অন্যান্য খাতের জন্য সংস্থাটির জন্য এই অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচনি অর্থবছরে ইসির জন্য প্রস্তাবিত মোট অর্থের সরকার পরিচালনা খাতের জন্য ২ হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন খাতে ২২৯ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ইসি সচিবালয়ের জন্য এ বরাদ্দের ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে এবার নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার বাজেটকেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য সরকারের বাজেট ছিল ১ হাজার ২৩০ কোটি (২২৯ কোটি ৮৩ লাখ) টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে ৭৯৩ কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে ৪৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত অর্থে নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ৪টি পৌরসভা, ১০টি উপজেলা, ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ডেটাবেইজ ও ডেটা সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ; রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, স্থানীয় সরকার এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন পরিচালনা; জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত ও বিতরণ, ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণের কার্যক্রম; পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত, মুদ্রণ ও বিতরণ এবং সেবা দেওয়া, নতুন নাগরিক নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, এনআইডি সিস্টেমের অডিট ও ডকুমেন্টেশন, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধনকরণ ও  স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনায় আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার-ওয়ার্কশপের আয়োজনসহ ইসি সচিবালয়ের নানা কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। এর মধ্যে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইসির চাহিদা ছিল প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারের ৫ স্তরের নির্বাচনের জন্য ইসি কাঙ্ক্ষিত বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। গত দেড় দশকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারকে তারা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। একই সঙ্গে নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন, নীতিমালা, ও আদেশ সংশোধন ও সংস্কারের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।'

এলিস/মেহেদী/

সেতু বিভাগের বাজেট কমছে ১২৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
সেতু বিভাগের বাজেট কমছে ১২৯৬ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাবনা করা হলেও সেতু বিভাগের বাজেট বরাদ্দ কমানো হচ্ছে এ অর্থবছরে। বাজেট প্রস্তাবনায় এ বিভাগে ১২৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানোর কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

নতুন অর্থবছরে সেতু বিভাগে ৬ হাজার ২২ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ বিভাগের জন্য ৭৩১৮ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। 

বাজেট প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মূল বাজেটের শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ টাকা এ বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। 

নতুন অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় সেতু বিভাগে পরিচালন ব্যয় ১০ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১২ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

সড়ক পরিবহন-মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ছে ৩৫৩ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
সড়ক পরিবহন-মহাসড়ক বিভাগে বাজেট বাড়ছে ৩৫৩ কোটি টাকা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নতুন অর্থবছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য ৩৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যোগাযোগ খাতের এ বিভাগে ৩৮ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল, সংশোধিত বাজেটে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য এ বিভাগের জন্য ২৪ হাজার ২১৭ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছিল। 

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।

নতুন অর্থবছরের বাজেট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।

বাজেট বরাদ্দ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটের ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ অর্থ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। 

২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা।  

বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার টেকসই, নিরাপদ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি হিসেবে বিদ্যমান ‘রোড মাস্টার প্ল্যান ২০০৯’ হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় খসড়া ‘হাইওয়ে মাস্টার প্ল্যান-২০৪০’ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। 

তিনি বলেন, সরকার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও টেকসই, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে একাধিক আইন, বিধিমালা ও নীতিমালার সংশোধন এবং হালনাগাদের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে বিআরটিএ কর্তৃক মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হচ্ছে। 

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। 

ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থায় ৪০০টি ইলেকট্রিক বাস যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ আইন-২০১২ সংশোধনপূর্বক বাংলাদেশ নগর পরিবহন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


জয়ন্ত/মেহেদী/