ঢাকা ২৪ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫

গ্যাসসংকটে হুমকিতে পোশাক-বস্ত্র খাত

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
আপডেট: ০৭ মে ২০২৫, ০৯:১১ এএম
গ্যাসসংকটে হুমকিতে পোশাক-বস্ত্র খাত
ছবি : খবরের কাগজ

দেশে তীব্র গ্যাসসংকট চলছে। এর অভাবে দেশের শিল্প খাতে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্প হুমকির মুখে। ঝুঁকিতে পড়েছে রপ্তানি আয়ের প্রধান এই খাতের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। পাশাপাশি মার্কিন শুল্কনীতি বিশ্ববাণিজ্যে সৃষ্টি করেছে নতুন অনিশ্চয়তা।

উদ্যোক্তরা বলেছেন, গ্যাস সরবরাহে কারখানাগুলোতে মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও প্রকট হচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। কয়েক দিন ধরে চলা প্রকট গ্যাসসংকটে দেশের রপ্তানিনির্ভর ও স্থানীয় টেক্সটাইল মিল এবং পোশাক খাতের অনেক কারখানার উৎপাদন আংশিক অথবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। 

গ্যাসের অভাবে পোশাক কারখানাগুলো উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় চলমান কার্যাদেশ অনুযায়ী যথাসময়ে পণ্য সরবরাহের জন্য বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে বিমানপথে বাড়তি খরচে পণ্য সরবরাহ করতে হচ্ছে। এতে ওই পোশাক কারখানাগুলো বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। 
টেক্সটাইল মিল এবং পোশাক কারখানাগুলোতে গ্যাসের সংকট দীর্ঘদিনের। গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের আশ্বাসে গত কয়েক বছর দফায় দফায় ৩০০ শতাংশের বেশি মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। একই সঙ্গে মিলমালিকদের সিকিউরিটি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয়। শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহের নামে মূল্যবৃদ্ধি করা হলেও বাস্তবে সরবরাহ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। 

সংশ্লিষ্ট শিল্পমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ভুলতা, মাওনা ও টঙ্গীসহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় অনেক বস্ত্র কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে।

বস্ত্র কারখানায় উৎপাদন চলমান রাখতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ জরুরি। এসব কারখানায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্পিনিং মেশিন সচল রাখা ও কাপড় রং করতে বয়লারে বাষ্প সৃষ্টির জন্য গ্যাস দরকার হয়। সরবরাহ বাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্প্রতি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

তবে অনেক কারখানার মালিক বলছেন, গ্যাসের চাপ না থাকায় শিল্পাঞ্চলের কয়েকটি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তাই গ্যাসের দাম বাড়লেও স্বস্তি মেলেনি। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজীপুরে ইসরাক স্পিনিং মিলস লিমিটেড সক্ষমতার কম পণ্য উৎপাদন করছে।

কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ১৭০ টন সুতা। গ্যাসের চাপ কম থাকায় দিনে মাত্র ৭৫ টন সুতা উৎপাদন করতে পারছি।’

তাদের দৈনিক ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার পাউন্ডের বেশি জানিয়ে লিটল গ্রুপের চেয়ারম্যান আলম বলেন, ‘এক দিনে ৯ হাজার ৩০০ পাউন্ড সুতাও উৎপাদন করতে পারিনি।’

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, এ খাতে দৈনিক দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস দরকার। বর্তমানে স্পিনিং, উইভিং, ডাইং, ফিনিশিং ও প্রিন্টিংসহ বস্ত্র খাতে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ও পোশাকশিল্পে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ আছে। অন্যান্য খাতে আছে আরও ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। এগুলো একত্রে বাংলাদেশের রপ্তানি অর্থনীতির মেরুদণ্ড।

এসব খাত এখন দ্বিমুখী সংকটে পড়েছে। একদিকে দেশে জ্বালানি সংকটে উৎপাদন কমছে, অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কনীতি অনিশ্চয়তার এক নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

নতুন শুল্কনীতি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হলেও তা পশ্চিমের ক্রেতাদের দ্বিধায় ফেলেছে। আগামী গ্রীষ্ম ও শরতের জন্য নতুন কার্যাদেশ আসতে দেরি হচ্ছে। ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা ধীরে চলার নীতি মেনে চলছেন। এর প্রভাব পড়েছে এ দেশের কারখানাগুলোর ওপর।

ফজলুল হক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির কারণে স্থানীয় বাজারে সুতার চাহিদা কমেছে। নতুন কার্যাদেশ দেওয়ার বিষয়ে ক্রেতারা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি হাতেম গ্যাসসংকট নিরসনে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে এলএনজি আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন।

‘গ্যাসসংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে’ উল্লেখ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘অনেক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। বিশেষ করে গত সপ্তাহটি ছিল ভয়াবহ। আমরা একাধিকবার সরকারকে চিঠি দিয়েছি, সমাধান পাইনি।’

বিটিএমএর হিসাব অনুসারে একটি স্পিনিং মিলে প্রতিদিন গড়ে ২৫ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। এই সংগঠনে প্রায় ৫০০ স্পিনিং মিল আছে। গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অনেকে কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। কারখানার মালিকরা বলেছেন, গত কয়েক বছরের ধারাবাহিক সংকটগুলো মধ্যে এটি সর্বশেষ। করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মুদ্রা বাজারে অস্থিরতা ও বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রভাব থেকে এই খাতটি সবেমাত্র ফিরতে শুরু করেছিল। এখন ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে আবার অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। 

ডলারের বিনিময় হারে অস্থিরতা ও টাকার মান কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

দুই বছর আগে ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। এখন তা ১২২ টাকা। এর ফলে তুলা ও যন্ত্রপাতি আমদানিকারকরা চাপে আছেন। অনেকে কার্যকরী মূলধন পাচ্ছেন না। শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘উদ্যোক্তাদের কার্যকরী মূলধন ফুরিয়ে আসছে। দেশ-বিদেশ থেকে বারবার আঘাত আসায় আমরা নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছি।’

১৫ বছরেও শেষ হয়নি লেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম
আপডেট: ০৭ মে ২০২৫, ০৮:৫৪ এএম
১৫ বছরেও শেষ হয়নি লেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ
ছবি: খবরের কাগজ

চার দফা সংশোধন করার পর ১৫ বছরেও শেষ হয়নি রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। জানা যায়, ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে আলোচ্য প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। তখন বলা হয়েছিল এর কাজ শেষ করতে হবে ২০১৩ সালের জুনে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে পরবর্তীতে সময় আরও বাড়ানো হয়। পঞ্চম বারের মতো সংশোধন করা হচ্ছে প্রকল্পটি, যা আজ একনেকের সভায় অনুমোদন হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করবেন। সভায় এটিসহ এগারটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে। 

মূলত রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকার লেক উন্নয়ন ও লেকসংলগ্ন সড়ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও চিত্তবিনোদন সুবিধার জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এতে খরচ ধরা হয়েছিল ৪১০ কোটি টাকা। তারপর কখনো এক বছর কখনো দুই বছর- এভাবে চারবার সময় বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুনে কাজ শেষ করার জন্য সংশোধন করা হয় প্রকল্পটি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর একনেক সভায় সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হলে তখন প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ছয় বছর অনুমোদনবিহীনভাবে ছিল। এর সাত বছর পর অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি ফের একনেকে তোলা হচ্ছে। এবার খরচ ১৪৫ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫৫৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। আলোচ্য সময়ে প্রকল্পটির খরচ বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ধরা হয়েছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় উপস্থাপন করা হলে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটি অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়। একনেক সভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নির্দেশ দেন, ‘কড়াইল বস্তি থেকে কত পরিবারকে উচ্ছেদ করা হবে, তাদের কোথায় এবং কীভাবে পুনর্বাসন করা হবে ইত্যাদি বিষয় বিবেচনাপূর্বক বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করে যথাযথ পরিকল্পনাসহ পুনরায় প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে হবে। তারপর দীর্ঘ সময় প্রকল্পের অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে প্রকল্পটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়। তাতে খরচ প্রস্তাব করা হয় ৫৫৫ কোটি টাকার বেশি। সময়ও বাড়ানো হয় ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তা যাচাই করতে ২০২৪ সালে ৪ জুন পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই সরকার পরিবর্তন হলে থেমে যায় এর কাজ। অবশেষে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে ছয়-সাত বছর পর আবার প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য আজ উপস্থাপন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল, লেক উন্নয়ন ও লেকসংলগ্ন সড়ক ও ওয়াকওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পরিবেশগত উন্নয়ন, জলাধার সংরক্ষণ, গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জকরণ ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা।

প্রকল্পটির প্রস্তাবনায় বলা হয়, গুলশান মডেল টাউন বাস্তবায়নে প্রায় ১ হাজার একর জমি বনানী-বারিধারা এলাকায় আবাসিক ব্যবহারের জন্য উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯২ সাল নাগাদ গুলশান মডেল টাউন এবং আংশিক বনানী ও বারিধারা আবাসিক এলাকার কার্যক্রম ‘১০০০ একর ভূমি উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শেষ করা হয়। তবে ২০০ একর এলাকাজুড়ে বিদ্যমান দুটি (বনানী ও গুলশানের মধ্যে একটি এবং গুলশান ও বারিধারার মধ্যে একটি) লেকের উন্নয়নকাজ এখনো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ও জৈব মাটি জমা হওয়ার ফলে লেকের পানি ধারণ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে লেকের পানিধারণ ক্ষমতা পুনরুদ্ধারপূর্বক জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও নগরবাসীর বিনোদন সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মূল প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গুলশান, বনানী ও বাড্ডা থানা এলাকার লেক দখল হওয়া থেকে রক্ষা করে লেকের চারপাশে হাঁটার সুবিধা এবং ডাইভারশন ড্রেনেজের মাধ্যমে দূষণ প্রতিরোধকরণ ও পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে মহানগরীর নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও চিত্তবিনোদন সুবিধার উন্নয়ন হবে বিধায় প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য। 

চলমান প্রকল্প সংশোধন করতে চাইলে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মতামত নিতে হয়। তার ভিত্তিতে পরিকল্পনা কমিশন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করে। যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন কোনো মন্তব্য করেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, এটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় এগিয়েছে। আবার পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সুপারিশে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য আজ উপস্থাপন করা হচ্ছে। জানা যায়, গত মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। 

আবার যাতে কোনো অজুহাতে খরচ না বাড়ে: স্থাপতি ইকবাল হাবিব

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে-ভূমি অধিগ্রহণ ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ, লেক খনন, তীর সংরক্ষণ, মাটি ভরাট, লেক ড্রাইভ সড়ক, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বৃক্ষ রোপণ ও পরিচর্যা। এ ছাড়া যানবহন অফিস সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কেনা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের ব্যাপারে স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব খবরের কাগজকে বলেন, ‘জলাধার সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকার আগে গুরুত্ব দেয়নি। তাই তো হাতিরঝিলের মতো আর একটা হাতিরঝিল হয়নি। এটা হলে মানুষ প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারত। সরকারের কাছে জনগণের কল্যাণে অনীহা থেকে গেছে। এ জন্যই প্রকল্পটি দীর্ঘ সময়েও বাস্তবায়ন হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে আশার কথা হলো সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এই সরকার বা রাজউক যদি সবার সঙ্গে সমন্বয় করতে পারে তবে এটা সম্ভব। কারণ এর মালিক শুধু রাজউক নয়। রাজউক এটি বাস্তবায়ন করলেও এর সঙ্গে সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াশা জড়িত। ঢাকা নগরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার জন্য তাদের এই প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তবে দেখার বিষয় হলো ২০২৬ সালের মধ্যে আবার যাতে কোনো অজুহাতে খরচ না বাড়ে। বাহুল্যবর্জিত হতে হবে। অর্থাৎ যা জনগণের উপকারে লাগবে না তা যেন করা না হয়। একই সঙ্গে পরিবেশবিদদের সম্পৃক্ত করতে হবে। যাতে উদ্দেশ্য হাসিল হয়।

শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকার অটল: সাখাওয়াত হোসেন

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৮:৩৪ এএম
শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সরকার অটল: সাখাওয়াত হোসেন
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার অটল বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, সব খাতের শ্রমিকদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।

সোমবার (৫ মে) ঢাকার বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনভেনশন সেন্টারে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শ্রম উপদেষ্টা।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, গত ৪০ বছরে বাংলাদেশে শিল্পায়ন হলেও তৈরি পোশাকশিল্প ছাড়া অন্য খাতের বিকাশ সীমিত। বড় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি শ্রম আইন মেনে কেন্দ্রীয় তহবিলে লভ্যাংশ জমা না দেয়, তাহলে তারা সরকারি ক্রয় থেকে বাদ পড়বে। এ বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল ও সুপারশপগুলোকে শ্রম আইন ২০০৬-এর আওতায় বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।

শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা (ওএসএইচ) নিশ্চিত করে এবং অনানুষ্ঠানিক খাত ও কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আইএলওর এ দেশীয় পরিচালক তুমো পুটিয়ানিন, বিবিডিএন ও বহ্নিশিখার পরিচালক ও বিভিন্ন উদ্যোক্তা।

৪ খাতে সহযোগিতা চান অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৮:২৮ এএম
৪ খাতে সহযোগিতা চান অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

চারটি খাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে আরও সহযোগিতা চেয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এগুলো হলো ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, জলবায়ু কার্যক্রম, আঞ্চলিক সংযোগ ও টেকসই অর্থায়ন।

ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ৫৮তম বার্ষিক সভায় এ সহায়তা চান তিনি।

বাংলাদেশ দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক সংযোগে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। 

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। গত ৪ মে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রতিনিধিদলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীসহ অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন। 

এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্দা ও প্রতিনিধিদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বচ্ছতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের পথে ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এই সংকটপূর্ণ সময়ে শুধু অর্থায়ন নয়, কাঠামোগত সংস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি সহনশীলতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এডিবির ভূমিকা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সালেহউদ্দিন আহমেদ চারটি প্রধান খাতে এডিবির কাছ থেকে আরও সহযোগিতা চান। খাতগুলো হলো ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি: অবকাঠামো, ই-গভর্ন্যান্স ও ডিজিটাল শিক্ষা সম্প্রসারণ। জলবায়ু কার্যক্রম: নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ুবান্ধব কৃষি ও উপকূলীয় সুরক্ষা। আঞ্চলিক সংযোগ: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, শক্তি ও পরিষেবার ক্ষেত্রে আন্তসীমান্ত বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করা। টেকসই অর্থায়ন: ঋণের স্থায়িত্ব বজায় রেখে উন্নয়ন চাহিদা পূরণের জন্য তহবিল ও উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।

সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বর্তমান সংকট ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে সাহসী চিন্তাধারা, গভীর অংশীদারি ও সম্মিলিত সংকল্প প্রয়োজন। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়া, আগামীর প্রস্তুতি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও অনুপ্রেরণাদায়ী।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এডিবির বার্ষিক সভার মধ্যেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে জানানো হয়, গত পাঁচ দশকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে প্রায় ৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন বা ৩১৯ কোটি মার্কিন ডলার উন্নয়ন-সহায়তা দিয়েছে। সাম্প্রতিক আর্থিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের মূল উন্নয়ন অগ্রাধিকার, যেমন জলবায়ু সহনশীলতা, মানবিক সহায়তা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কৌশলে এফসিডিও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বাণিজ্য, জলবায়ু অর্থায়ন, এসএমই উন্নয়ন, ডিজিটাল প্রশাসন ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর জবাবে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ, কারিগরি প্রশিক্ষণ, নদী পুনরুদ্ধার, বেসরকারি খাত, কারিগরি সহায়তা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, সাইবার নিরাপত্তা ও যৌথ গবেষণায় সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।

আমদানি ব্যয় মেটানোর পরও স্বস্তিতে রিজার্ভ

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ১২:০৪ এএম
আপডেট: ০৭ মে ২০২৫, ১২:০৭ এএম
আমদানি ব্যয় মেটানোর পরও স্বস্তিতে রিজার্ভ
ছবি: সংগৃহীত

গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের আমদানি বিল বাবদ ১ দশমিক ৮৮৩ বিলিয়ন (১৮৮ কোটি ৩০ লাখ) মার্কিন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এই বিল পরিশোধের পরও দেশের প্রকৃত রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানায়।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে মোট বা গ্রস রিজার্ভ ২৫ বিলিয়নের বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আজ (মঙ্গলবার) আকুর বিল হিসেবে ১ দশমিক ৮৮৩ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হচ্ছে। তবুও রিজার্ভে বড় ধরনের কোনো চাপ পড়েনি। এখন বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় গ্রহণযোগ্য ও স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। এর পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে প্রবাসীদের অব্যাহত রেমিট্যান্স পাঠানো এবং রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রবণতা।

সবশেষ চলতি বছরের ৪ মে শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ডলার বা ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ বা প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ১৯৭ কোটি বা ২১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

এমএ/

এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে
প্রতীকী ছবি

এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি কমে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় কমেছে। শহরের মতো গ্রামেও কমেছে মূল্যস্ফীতি। 

সোমবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬১। এ ব্যাপারে বিবিএসের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের কেনাকাটার জন্য মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। কিন্তু পরে চাহিদা একটু কম থাকায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। 

এপ্রিলে দেশে শহরের মতো গ্রাম এলাকাতেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এপ্রিলে গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

এপ্রিলে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৪০ এবং ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা মার্চে ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ৪১ এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এপ্রিলে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এপ্রিলে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৩ এবং ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মার্চে এটাই ছিল ৯ দশমিক ১৮ এবং ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে পড়লে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনবিআরও তেল, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ককর কমিয়ে দেয়। বাজারে নিত্যপণ্যের আমদানিপ্রবাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়। এর সুফলও কিছুটা মিলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বাজেটেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।