ঢাকা ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
English
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ফোরাম নেতাদের

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০৯:১২ এএম
আপডেট: ১২ মে ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ফোরাম নেতাদের
ছবি: সংগৃহীত

নতুন বাজার সন্ধান, পণ্যের বহুমুখীকরণ, আলাদা পোশাক ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন, শ্রম অধিকার, পরিবেশ সুরক্ষাসহ একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজিএমইএর নির্বাচনি জোট ফোরাম নেতারা। তারা বলেছেন, অনিয়ন্ত্রিত কারণে কোনো তৈরি পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রুগ্ণ হলে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে এবং মালিকের জন্য একটি কার্যকর এক্সিট পলিসি প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

গতকাল ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রতিশ্রুতির  কথা তুলে ধরেন।

আগামী ৩১ মে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত লড়াই হবে ফোরাম  এবং সম্মিলিত পরিষদের মধ্যে। এই নির্বাচনে ৩৫টি পদের বিপরীতে ৭৬ প্রার্থী লড়বেন। 

অনুষ্ঠানে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাত দেশের রপ্তানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস, যেখান থেকে প্রায় ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। এই খাত একদিকে অর্থনীতি ও জিডিপিতে যেমন অবদান রাখছে, পাশাপাশি কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা ও জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’

তবে এটিও সত্য, নানা প্রতিকূলতা আর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এ শিল্প ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে টিকে থাকলেও, এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই উন্নয়নে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএ শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় শক্তিশালী ও পেশাদার ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা সব সদস্যের। এমন বাস্তবতায় পোশাকশিল্পের সব উদ্যোক্তা একটি স্বচ্ছ, গতিশীল, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ গঠনের জোর দাবির সঙ্গে আমাদের সংগঠন ফোরাম একাত্মতা প্রকাশ করছেন।

মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘ফোরামের পক্ষ থেকে পোশাক খাতের জন্য আমরা কয়েকটি অগ্রাধিকারের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। তবে, সময়ের সঙ্গে সামনে আসবে অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলা করতে হবে। দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ গড়ে তুলতে হবে আমাদের। সমৃদ্ধ অর্থনীতির স্বার্থে বিজিএমইএকে নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে।’

‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয়’ গঠন:
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পোশাকশিল্পের অগ্রযাত্রার জন্য সরকারের নীতি সহায়তা চলমান থাকতে হবে। এ মুহূর্তে পোশাকশিল্প সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখাপেক্ষী হতে হয়। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক বিষয়ের কারণে ব্যাপক সময় ব্যয় করতে হয়। যেখানে শুধু পোশাকশিল্পকে যথেষ্ট সময় দেওয়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব হয় না। পোশাকশিল্পের সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়ন, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি আমাদের অনেক দিনের। আমাদের প্রস্তাব, এ লক্ষ্যে নতুন কোনো মন্ত্রণালয় না করে বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে ‘বস্ত্র ও পোশাকশিল্প মন্ত্রণালয়’ গঠন করা দরকার।

এসএমই, নন-বন্ড ফ্যাক্টরি ও নতুন উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা:
ফোরামের প্যানেল লিডার বলেন, ‘পোশাক খাতের ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ অনেক দিনের। আমাদের মনে রাখা দরকার, বর্তমানের ছোট শিল্পই, আগামী দিনের বড় শিল্পে পরিণত হবে। তাই এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা জরুরি। একই সঙ্গে তাদের প্রযুক্তি সহায়তা এবং মার্কেট এক্সেস বৃদ্ধিতে বিশেষ ফান্ড গঠন করা দরকার।’

কাস্টমস অটোমেশন ত্বরান্বিতকরণ:
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘কাস্টমস নিরীক্ষা (অডিট) নিয়ে আমাদের হয়রানি থামছে না। আমরা এই হয়রানিতে যেতে চাই না। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ র্যাংকধারী অডিট ফার্ম নিয়োগ দিয়ে অডিট প্রক্রিয়া আউটসোর্সিং করতে হবে। ডিজিটাল ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম চালু করে রপ্তানি-আমদানি প্রক্রিয়ায় সময় ও ব্যয় কমানো দরকার।’

শিল্পের নিরাপত্তা, শ্রম অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা:
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পের বয়স ৪৫ বছর। তবে, এখনো খাতটি টেকসই করে গড়ে তোলা যায়নি। পোশাক খাত টেকসই করতে আমাদের শিল্পের নিরাপত্তা, শ্রম অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা- এ তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর এ জন্য দরকার সমন্বিত সুশাসন, কমপ্লায়েন্স সনদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। এ লক্ষ্যে শিগগিরই উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলে আমি মনে করি।

প্রকৃত রপ্তানিকারকদের সদস্যপদ নিশ্চিতকরণ:
বিজিএমইএর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে সাত হাজারের বেশি। কিন্তু বিগত বছরে নির্দিষ্ট মানদণ্ড উপেক্ষা করে অনেককে সদস্য করা হয়েছে। এগুলো কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে। কারণ, কোনো একটি কারখানায় দুর্ঘটনা সংগঠিত হলে তার দায় পুরো খাতের ওপর চলে আসবে। নির্দিষ্ট মানদণ্ড উপেক্ষা করে সদস্য পদ দেওয়া থেকে ফোরাম বিরত থাকবে।

প্রধান রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও পণ্যের বহুমুখীকরণ:
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাকের বাজারের গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। বাজার বহুমুখীকরণের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পণ্যের বহুমুখীকরণ করতে চাই। আমরা কটন বেসড পণ্য থেকে ম্যান মেইড ফাইবারের পণ্যের দিকে নজর দিতে চাই।’

নির্বাচিত প্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা:
ফোরামের প্যানেল লিডার বলেন, ‘আমরা যারা নির্বাচিত হতে চাই, তারা মালিক-উদ্যোক্তাদের কাছে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকি। কিন্তু নির্বাচনের পর, তা ভুলে যান অনেকে। ফোরাম থেকে, যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে, তা বাস্তবায়ন করা এবং মেম্বারদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তদারকি করার জন্য প্রতিজন নির্বাচিত পরিচালক ৫০-৭০টি কারখানার দায়িত্বে থাকবেন।’

শিল্পজোনভিত্তিক ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল:
মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘বিজিএমইএর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল এখন কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত। কিন্তু এটিকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। শিল্পাঞ্চলভিত্তিক সেল গড়ে তোলা হবে, দায়িত্ব দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিচালকদের। সেই সঙ্গে বিজিএমইএর কর্মকর্তা ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারাও সম্পৃক্ত থাকবেন। যেকোনো সমস্যায় যাতে তারা দ্রুত উদ্যোগ নিতে পারেন এ জন্য জোনভিত্তিক ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল গঠনের কথা বলছি আমরা।’

ছুটির দিনেও খোলা বেনাপোল কাস্টমস হাউস

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
ছুটির দিনেও খোলা বেনাপোল কাস্টমস হাউস
বেনাপোল কাস্টম হাউস। ছবি: খবরের কাগজ

শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও বেনাপোল কাস্টম হাউস খোলা রয়েছে। তবে কাস্টমস হাউস খোলা থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, বেনাপোল কাস্টমস হাউস শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনেও খোলা থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (কাস্টমস নীতি) মো. রইচ উদ্দীন স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়েছে, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ধীরগতির কারণে গত কয়েকদিন দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যচালান ছাড় প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখার উদ্দেশ্যে ১১ ও ১২ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, শুক্রবার বন্দর খোলা রয়েছে। কেউ বন্দর থেকে আমদানিকরা মালামাল খালাস নিতে চাইলে খালাস দেওয়া হবে। আমদানিকরা ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য আনলোডও করা হবে।

অতিরিক্ত কমিশনার শরিফুল ইসলাম জানান, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ধীরগতির কারণে গত কয়েকদিন রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি পণ্যচালান ছাড় প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সেই ক্ষতি পোষাতে এখন সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাস্টমস হাউস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নজরুল/রিফাত/

কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল
ছবি: সংগৃহীত

আগের সপ্তাহে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছিল। বেগুন, শসা, টমেটো, কাঁকরোল, শজনে ডাঁটার কেজি সেঞ্চুরি অর্থাৎ ১০০ টাকা ছাড়ায়।

 বৃহস্পতিবার  (১০জুলাই) পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে কাঁচা মরিচের দাম তিন গুণ বেড়েছে। প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। 

এদিকে কিছুটা বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। ইলিশ মাছের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার টাকায় ঠেকেছে কেজি। বেড়েছে ২০ শতাংশ। বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষায় ফলন কমে গেছে। এ জন্য সবকিছুর দাম বেশি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বস্তি নেই সবজির বাজারে

আগের সপ্তাহে বেগুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় ঠেকেছে। গতকালও সেই দরে বিক্রি হয়। এ ছাড়া টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকার কমে মিলছে না। পটোল, ঝিঙে, ধুন্দুল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় ঠেকেছে। শসা ৫০ থেকে বেড়ে ১০০, ১২০ টাকার কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখী ও কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, শজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০, ঢ্যাঁড়শ ৫০ থেকে ৭০, কাঁচা পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের শাকের দামও বাড়তি। পুঁইশাকের আঁটি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। সেগুনবাগিচা বাজারের আবদুর বারেকসহ অন্য সবজি বিক্রেতারা খবরের কাগজকে বলেন, ‘বর্ষাকালে অধিকাংশ এলাকা ডুবে থাকে। সরবরাহ কমে যায়। এ জন্য সবজির দাম বাড়তি। তবে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বাড়েনি।

ইলিশের কেজি ৩ হাজার টাকা 

সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি হয়েছে। তবে আগের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের ব্রয়লার হাউসের স্বত্বাধিকারী শিবলী মাহমুদসহ অন্য বাজারের খুচরা বিক্রেতারা খবরের কাগজকে বলেন, ‘সোনালির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্রয়লারের দাম বাড়েনি।’ অন্য মুরগি বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি ও ডিম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।
 
বর্ষা মৌসুমে বাজারে নদীর মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় বেশি দামেই মাছ বিক্রি হচ্ছে। কাজলি, ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার কমে মেলে না। বাইলা মাছও ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। তবে আকারভেদে চাষের রুই, কাতলা মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ এবং কাচকি মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

মৌসুম শুরু হলেও বাজারে ইলিশ অতি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম একেবারে নাগালের বাইরে চলে গেছে। আগের সপ্তাহে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ৩ হাজার টাকায় ঠেকেছে। ছোট বা ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দামও দ্বিগুণ দরে বিক্রি হয়। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার পিস দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। টাউন হল বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা রমজান আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘মৌসুম শুরু হয়েছে। তবে নদীতে আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। এ জন্য দাম বেশি।’ 

কমে না চালের দর

বোরো ধান ওঠার পর চালের দাম কমবে এমনটি সবাই আশা করলেও সেই আশায় গুড়ে বালি। খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন, কৃষকের ধান মিলমালিকদের গোডাউনে চলে গেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা ইচ্ছামতো চালের দাম বাড়াচ্ছেন। এ জন্য বাড়তি দরে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। মনজুর, রশিদ, সাগরসহ অন্যান্য কোম্পানির মিনিকেট চালের দাম বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডায়মন্ড, হরিণ, মোজাম্মেল কোম্পানির চাল আরও বেশি দামে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চালের দামও বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল আগের মতোই ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে শওকত রাইস স্টোরের মো. শওকত আলীসহ অন্য খুচরা চাল বিক্রেতারা বলেন, ‘ঈদের পর থেকে মিলমালিকরা চিকন চালের দাম বাড়িয়েছেন। এ জন্য আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চালের দাম কমাতে হলে রাইস মিল ধরতে হবে। তারা কমালে আমরাও কম দরে বিক্রি করতে পারব।’

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দিনের শুল্ক আলোচনা শেষ

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:২৯ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:৪২ এএম
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দিনের শুল্ক আলোচনা শেষ
ছবি: সংগৃহীত

তিন দিনব‍্যাপী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। 

 ওয়াশিংটন সময় শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হবে।

দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় দুদেশের মধ‍্যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ‍্যের গতি-প্রকৃতি কেমন হবে, সে সব বিষয় উপস্থাপন ও যুক্তি-তর্ক হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে দুদেশ মোটামুটিভাবে একমত হয়েছে। কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ‍্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের  (Jamieson Greer) সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন। 

গ্রিয়ার ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পদমর্যাদার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যক্তিত্ব। তার সঙ্গে শুল্ক বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। 

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির পরিমানও বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। শুল্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নায‍্যতা প্রত‍্যাশা করে। পরিবেশ যেন বাংলাদেশের জন‍্যে প্রতিযোগিতামূলক থাকে। গ্রিয়ার সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ বশিরউদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। 

সরাসরি আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

লাবনী/পপি/

নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কমেছে

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কমেছে
ফাইল ছবি

পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হঠাৎ কমে গেছে। বন্দর সূত্র জানায়, বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ৬ লাখ টন এবং রপ্তানি ৭৫ হাজার টনের বেশি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল দিয়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৩০ হাজার ২২৮ টন। বিদায়ী বছরে তা ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ টন কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৮ টনে। একই সময়ে রপ্তানি কমেছে ৭৫ হাজার ২৩২ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭২ টন। এবার তা কমে হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ টন।

আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের আয় কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া না হলে ক্ষতি আরও বাড়বে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন বলেন, ‘এ বন্দর দিয়েই ভারত-বাংলাদেশের সিংহভাগ বাণিজ্য চলে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে ট্রাক চলাচল কমেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাণিজ্য অনেকটাই নেমে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর প্রভাব পড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়েও। ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশই।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, সরকার বেশ কিছু পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব পণ্য দেশের অভ্যন্তরেই উৎপাদিত হয়। এতে ওই পণ্যগুলো আর বন্দর দিয়ে আসছে না। তিনি বলেন, ‘আগে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য আসত, রপ্তানি হতো ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য। এখন তা কমে এসেছে ৫০০ ট্রাকে, রপ্তানি নেমে গেছে ১০০ ট্রাকের নিচে।’
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল না হলে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্য আরও কমে যেতে পারে।

সবুজ তালিকায় ‍যুক্ত হলো আরও দুটি পোশাক কারখানা

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:২১ এএম
সবুজ তালিকায় ‍যুক্ত হলো আরও দুটি পোশাক কারখানা
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে আরও দুটি পোশাক কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশে এখন সবুজ কারখানা ২৫০টি। এর মধ্যে ১০৫টি কারখানা প্ল্যাটিনাম এবং ১৩১টি কারখানা গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন করে স্বীকৃতি পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠান হলো- ইভিটেক্স অ্যাপারেলস লিমিটেড ও আসওয়াদ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, ইউনিট-২।

বিশ্বের সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত বা সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি কারখানার ৯টি এবং শীর্ষ ১০০ কারখানার ৬৮টি অবস্থিত বাংলাদেশে।