
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত ১৬-৪০ আসনবিশিষ্ট পাবলিক বাসের আমদানি শুল্ক হ্রাস করায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বারভিডা তাদের বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক-করহার পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বারভিডা কার্যালয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ-পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের নেতারা এসব মতামত ও দাবি জানান।
বারভিডার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংগঠনের নেতারা বলেছেন, দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কর ছাড়সহ যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। তারা বলেন, কৃষি খাতে প্রণোদনার পাশাপাশি কৃষিযন্ত্র আমদানিতে অগ্রিম কর এবং উৎপাদনে ভ্যাট তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক টার্নওভার ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে প্রস্তাবিত বাজেটের সঠিক বাস্তবায়নে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে বিনিয়োগ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান এবং কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনায় সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষ জরুরি বলে বারভিডা জানিয়েছে। পাশাপাশি বাজেট পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষতা এবং যথাযথ মনিটরিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
বারভিডার নেতারা উল্লেখ করেন যে, উন্নয়নশীল দেশে গ্র্যাজুয়েশনের এই তাৎপর্যপূর্ণ সময়ে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং দেশে নতুন গাড়ির শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাস্তবায়নে গাড়ির বাজার সম্প্রসারণ প্রয়োজন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) মতে, গাড়ির অভ্যন্তরীণ বাজার ১ লাখ ইউনিট হলেই দেশে নতুন গাড়ির শিল্প প্রতিষ্ঠা যুক্তিযুক্ত হবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এলে বাজার সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয়ও বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
বারভিডার প্রেসিডেন্ট আবদুল হক বলেন, দেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জপূর্ণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিপুল ব্যয় পরিচালনা এবং দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বারভিডা যথাযথ রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে সরকারের পাশে থেকে অবদান রেখে যেতে চায়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক ছাড়াও সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান, সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ মো. সাইফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ ফরিদ আহামেদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ জগলুল হোসেন, ট্রেজারার মো. সাইফুল আলম, জয়েন্ট ট্রেজারার হাফিজ আল আসাদ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি জোবায়ের রহমান, পাবলিকেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি মো. আব্দুল আউয়াল, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি এস এম মনসুরুল কবির (লিংকন), কালচারাল সেক্রেটারি মো. গোলাম রব্বানি (শান্ত) উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের কার্যনিবাহী সদস্য এ বি সিদ্দিক (আবু), আখতার হোসেন মজুমদার, পুনম শারমিন ঝিলমিল, মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া এবং দিবাকর বড়ুয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।