ঢাকা ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
English
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

খাতুনগঞ্জ-পাহাড়তলীতে এখনো কাটেনি ঈদের আমেজ

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:২৫ এএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ১০:০০ এএম
খাতুনগঞ্জ-পাহাড়তলীতে এখনো কাটেনি ঈদের আমেজ
অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকায় ভোগ্যপণ্যের বাজারে এখন শুধুই নীরবতা। ছবিটি চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড়তলী বাজার থেকে তোলা। মোহাম্মদ হানিফ

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ-পাহাড়তলীতে এখনো কাটেনি ঈদের আমেজ। আড়তদার-শ্রমিকদের হাঁকডাকে মুখরিত থাকা বড় এই দুই ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারে এখন শুধুই নীরবতা। কিছু কিছু দোকানপাট খুললেও অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যারাই খুলেছেন, ক্রেতা না থাকায় পার করেছেন অলস সময়। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে ভোগ্যপণ্যের বাজার পুরোনো রূপে ফিরে যাবে, এমনটাই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজার দুটি ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য সময়ে খাতুনগঞ্জে ক্রেতা, বিক্রেতা আর শ্রমিকদের সমাগম আর হাঁকডাকে সরব থাকা বাজার দুটিতে এখন কেউই নেই। সারা বছর বড় বড় পণ্যবাহী গাড়ি, রিকশা আর মানুষের সমাগমে সরু রাস্তায় যানজট দেখা দিলেও এখন পুরো রাস্তাই ফাঁকা। রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে ভ্যানগাড়ি রেখেছেন শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ সকালের দিকে দোকান খুললেও কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে সময় কেটেছে। ক্রেতা সমাগম না থাকায় তারা আবার দুপুরে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে যান। অধিকাংশ ব্যবসায়ী গ্রাম থেকে না ফেরা এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারে এখন সুনসান নীরবতা। একই চিত্র দেখা গেছে পাহাড়তলী বাজারেও। সেখানেও নেই ট্রাকের সারি বা যানজট। 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ীদের অনেকেই ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে সময় কাটাচ্ছেন। পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। আগামী রবিবার থেকে শুরু হবে ব্যাংকিং কার্যক্রম। সেদিন থেকে খাতুনগঞ্জ-পাহাড়তলী পুরোদমে সচল হবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোগ্যপণ্যবাহী গাড়ি আসবে। তখন সবকিছু আবার সরব হয়ে উঠবে। পাশাপাশি ভোগ্যপণ্যে সরবরাহ সংকট বা দাম বাড়ার মতো পরিস্থিতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন ব্যবসায়ীরা। 

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ এখনো গ্রাম থেকে ফেরেনি। এর উপর ব্যাংকিং কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ক্রেতারাও এখন পণ্য কিনতে আসবেন না। তাই রবিবার (১৫ জুন) থেকে পুরোদমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হবে।’

একই কথা জানালেন হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ নেই। যারা খুলেছেন, অলস সময় পার করেছেন। ব্যাংকিং কার্যক্রম সচল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক কার্যক্রমও সচল হয়ে উঠবে। এবার কোরবানির ঈদে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনসহ অন্য মসলা পণ্যের দাম নিম্নমুখী ছিল। আশা করছি, আগামী দিনে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে পণ্য কিনতে পারবেন।’

পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘এবার ঈদের ছুটি বেশি। তাই সুযোগ পেয়ে ব্যবসায়ীরাও পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনকে সময় দিচ্ছেন। পুরো বাজার নীরব। আগামী শনিবার বা রবিবার অধিকাংশ ব্যবসায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন। এরপরও পুরোদমে বিক্রি শুরু হতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লেগে যাবে।’ 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় পাইকারি বাজারে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে ছিল। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েনি। তাই সাধারণ মানুষ কোনো সুফল পাননি। এই বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে ভাবার সময় এসে গেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

ছুটির দিনেও খোলা বেনাপোল কাস্টমস হাউস

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
ছুটির দিনেও খোলা বেনাপোল কাস্টমস হাউস
বেনাপোল কাস্টম হাউস। ছবি: খবরের কাগজ

শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও বেনাপোল কাস্টম হাউস খোলা রয়েছে। তবে কাস্টমস হাউস খোলা থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, বেনাপোল কাস্টমস হাউস শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনেও খোলা থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (কাস্টমস নীতি) মো. রইচ উদ্দীন স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয়েছে, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ধীরগতির কারণে গত কয়েকদিন দেশের আমদানি-রপ্তানি পণ্যচালান ছাড় প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিরবচ্ছিন্ন রাখার উদ্দেশ্যে ১১ ও ১২ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার জানান, শুক্রবার বন্দর খোলা রয়েছে। কেউ বন্দর থেকে আমদানিকরা মালামাল খালাস নিতে চাইলে খালাস দেওয়া হবে। আমদানিকরা ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে পণ্য আনলোডও করা হবে।

অতিরিক্ত কমিশনার শরিফুল ইসলাম জানান, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের ধীরগতির কারণে গত কয়েকদিন রাজস্ব আদায় ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানি পণ্যচালান ছাড় প্রক্রিয়া কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সেই ক্ষতি পোষাতে এখন সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাস্টমস হাউস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নজরুল/রিফাত/

কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
কাঁচা মরিচের কেজি ৩০০ টাকা ছাড়াল
ছবি: সংগৃহীত

আগের সপ্তাহে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছিল। বেগুন, শসা, টমেটো, কাঁকরোল, শজনে ডাঁটার কেজি সেঞ্চুরি অর্থাৎ ১০০ টাকা ছাড়ায়।

 বৃহস্পতিবার  (১০জুলাই) পর্যন্ত সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে কাঁচা মরিচের দাম তিন গুণ বেড়েছে। প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। 

এদিকে কিছুটা বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। ইলিশ মাছের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার টাকায় ঠেকেছে কেজি। বেড়েছে ২০ শতাংশ। বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষায় ফলন কমে গেছে। এ জন্য সবকিছুর দাম বেশি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বস্তি নেই সবজির বাজারে

আগের সপ্তাহে বেগুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় ঠেকেছে। গতকালও সেই দরে বিক্রি হয়। এ ছাড়া টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকার কমে মিলছে না। পটোল, ঝিঙে, ধুন্দুল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় ঠেকেছে। শসা ৫০ থেকে বেড়ে ১০০, ১২০ টাকার কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখী ও কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, শজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০, ঢ্যাঁড়শ ৫০ থেকে ৭০, কাঁচা পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের শাকের দামও বাড়তি। পুঁইশাকের আঁটি ৪০ টাকায় বিক্রি হয়। সেগুনবাগিচা বাজারের আবদুর বারেকসহ অন্য সবজি বিক্রেতারা খবরের কাগজকে বলেন, ‘বর্ষাকালে অধিকাংশ এলাকা ডুবে থাকে। সরবরাহ কমে যায়। এ জন্য সবজির দাম বাড়তি। তবে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম বাড়েনি।

ইলিশের কেজি ৩ হাজার টাকা 

সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি হয়েছে। তবে আগের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের ব্রয়লার হাউসের স্বত্বাধিকারী শিবলী মাহমুদসহ অন্য বাজারের খুচরা বিক্রেতারা খবরের কাগজকে বলেন, ‘সোনালির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্রয়লারের দাম বাড়েনি।’ অন্য মুরগি বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি ও ডিম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে।
 
বর্ষা মৌসুমে বাজারে নদীর মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় বেশি দামেই মাছ বিক্রি হচ্ছে। কাজলি, ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার কমে মেলে না। বাইলা মাছও ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি। তবে আকারভেদে চাষের রুই, কাতলা মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ এবং কাচকি মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

মৌসুম শুরু হলেও বাজারে ইলিশ অতি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দাম একেবারে নাগালের বাইরে চলে গেছে। আগের সপ্তাহে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ৩ হাজার টাকায় ঠেকেছে। ছোট বা ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দামও দ্বিগুণ দরে বিক্রি হয়। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার পিস দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। টাউন হল বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা রমজান আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘মৌসুম শুরু হয়েছে। তবে নদীতে আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। এ জন্য দাম বেশি।’ 

কমে না চালের দর

বোরো ধান ওঠার পর চালের দাম কমবে এমনটি সবাই আশা করলেও সেই আশায় গুড়ে বালি। খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন, কৃষকের ধান মিলমালিকদের গোডাউনে চলে গেছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা ইচ্ছামতো চালের দাম বাড়াচ্ছেন। এ জন্য বাড়তি দরে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে। মনজুর, রশিদ, সাগরসহ অন্যান্য কোম্পানির মিনিকেট চালের দাম বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডায়মন্ড, হরিণ, মোজাম্মেল কোম্পানির চাল আরও বেশি দামে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চালের দামও বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল আগের মতোই ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে শওকত রাইস স্টোরের মো. শওকত আলীসহ অন্য খুচরা চাল বিক্রেতারা বলেন, ‘ঈদের পর থেকে মিলমালিকরা চিকন চালের দাম বাড়িয়েছেন। এ জন্য আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চালের দাম কমাতে হলে রাইস মিল ধরতে হবে। তারা কমালে আমরাও কম দরে বিক্রি করতে পারব।’

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দিনের শুল্ক আলোচনা শেষ

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:২৯ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:৪২ এএম
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দিনের শুল্ক আলোচনা শেষ
ছবি: সংগৃহীত

তিন দিনব‍্যাপী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। 

 ওয়াশিংটন সময় শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হবে।

দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় দুদেশের মধ‍্যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ‍্যের গতি-প্রকৃতি কেমন হবে, সে সব বিষয় উপস্থাপন ও যুক্তি-তর্ক হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে দুদেশ মোটামুটিভাবে একমত হয়েছে। কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ‍্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের  (Jamieson Greer) সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছেন। 

গ্রিয়ার ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পদমর্যাদার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যক্তিত্ব। তার সঙ্গে শুল্ক বিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। 

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির পরিমানও বৃদ্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। শুল্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নায‍্যতা প্রত‍্যাশা করে। পরিবেশ যেন বাংলাদেশের জন‍্যে প্রতিযোগিতামূলক থাকে। গ্রিয়ার সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন শেখ বশিরউদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। 

সরাসরি আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

লাবনী/পপি/

নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কমেছে

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম
নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কমেছে
ফাইল ছবি

পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হঠাৎ কমে গেছে। বন্দর সূত্র জানায়, বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ৬ লাখ টন এবং রপ্তানি ৭৫ হাজার টনের বেশি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল দিয়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৩০ হাজার ২২৮ টন। বিদায়ী বছরে তা ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ টন কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৮ টনে। একই সময়ে রপ্তানি কমেছে ৭৫ হাজার ২৩২ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭২ টন। এবার তা কমে হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ টন।

আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের আয় কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া না হলে ক্ষতি আরও বাড়বে।

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন বলেন, ‘এ বন্দর দিয়েই ভারত-বাংলাদেশের সিংহভাগ বাণিজ্য চলে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে ট্রাক চলাচল কমেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাণিজ্য অনেকটাই নেমে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর প্রভাব পড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়েও। ক্ষতির মুখে পড়েছে দুই দেশই।’

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, সরকার বেশ কিছু পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব পণ্য দেশের অভ্যন্তরেই উৎপাদিত হয়। এতে ওই পণ্যগুলো আর বন্দর দিয়ে আসছে না। তিনি বলেন, ‘আগে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য আসত, রপ্তানি হতো ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য। এখন তা কমে এসেছে ৫০০ ট্রাকে, রপ্তানি নেমে গেছে ১০০ ট্রাকের নিচে।’
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল না হলে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্য আরও কমে যেতে পারে।

সবুজ তালিকায় ‍যুক্ত হলো আরও দুটি পোশাক কারখানা

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:২১ এএম
সবুজ তালিকায় ‍যুক্ত হলো আরও দুটি পোশাক কারখানা
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে আরও দুটি পোশাক কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশে এখন সবুজ কারখানা ২৫০টি। এর মধ্যে ১০৫টি কারখানা প্ল্যাটিনাম এবং ১৩১টি কারখানা গোল্ড সার্টিফিকেশন পেয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) পোশাকমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন করে স্বীকৃতি পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠান হলো- ইভিটেক্স অ্যাপারেলস লিমিটেড ও আসওয়াদ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, ইউনিট-২।

বিশ্বের সর্বোচ্চ রেটপ্রাপ্ত বা সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি কারখানার ৯টি এবং শীর্ষ ১০০ কারখানার ৬৮টি অবস্থিত বাংলাদেশে।