ঢাকা ৩০ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সিরাজউদ্‌দৌলা নাটকের ৬টি অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
আপডেট: ২২ জুন ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
সিরাজউদ্‌দৌলা নাটকের ৬টি অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর- এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. ট্র্যাজেডি হিসেবে ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের সার্থকতা বিচার করো। 
উত্তর: নায়ককে প্রধান করে কাহিনি এবং করুণ রস পরিবেশনের ফলে ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকে ট্র্যাজেডির বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। 
নায়ক কিংবা নায়িকামুখ্য করুণ রস পরিবেশন ট্র্র্যাজেডির ধর্ম। ট্র্যাজেডি নাটকে কোনো জটিল ও গুরুতর ঘটনার আশ্রয়ে বিশেষ ধরনের রস সঞ্চার করা হয়, যা আমাদের অনুভূতিকে অভূতপূর্ব আবহে আলোড়িত করে, ভয় ও করুণা জাগায়। এ ধরনের নাটকে শত বিপর্যয় সত্ত্বে নায়কের সুদৃঢ় মহিমান্বিত অবস্থান রূপায়িত হয়। ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকে আমরা দেখি নায়কমুখ্য কাহিনি এবং কারুণ রসের ব্যঞ্জনা ঘটেছে। সামরিক সামর্থ্য, উচ্চ মর্যাদা, শত্রুর চেয়ে বেশি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বে যখন নবাব সিরাজের নির্মম পরাজয় ও মৃত্যু ঘটে, তখন তা সত্যিকার অর্থেই ট্র্যাজেডির বৈশিষ্ট্য হয়ে ওঠে। 

প্রশ্ন-২. ‘রজার ড্রেক প্রাণভয়ে কুকুরের মতো ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়েছে’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার সেনা ফোর্ট উইলিয়ামে আক্রমণ করলে গভর্নর রজার ড্রেকের পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে নবাব প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন। 
১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজউদ্‌দৌলা ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ অধিকার করে নেন এবং কলকাতার নামকরণ করেন ‘আলিনগর’। এই দুর্গের যুদ্ধে নবাব সেনার আক্রমণে ইংরেজদের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। তখন গভর্নর রজার ড্রেক ভয় পেয়ে গোপনে পালিয়ে যান। কিন্তু হলওয়েল প্রকৃত সত্য গোপন করে নবাবকে জানায়, রজার ড্রেক কলকাতার বাইরে গেছেন। রজার ড্রেকের কাপুরুষতার কথা নবাব জানতেন বলেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে তিনি ব্যঙ্গ করেছেন।

প্রশ্ন-৩. ‘ভিক্টরি অর ডেথ, ভিক্টরি অর ডেথ’- ব্যাখ্যা করো। 
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে ক্যাপ্টেন ক্লেটন সেনাদের মনোবল বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন- ‘ভিক্টরি অর ডেথ, ভিক্টরি অর ডেথ’-বিষয়টি তার নেতৃত্বগুণ প্রকাশিত হয়েছে। 
১৭৫৬ সালের ১৯ জুন ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে নবাবের বাহিনীর সঙ্গে ইংরেজদের যুদ্ধ হচ্ছিল। নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার সেনাদের কাছে ইংরেজরা পর্যুদস্ত হয়ে পড়ছিল। তাদের উৎসাহ দিতে ক্লেটন আলোচ্য কথাটি বলেছিলেন। কারণ তার মতে যুদ্ধে জয়লাভ অথবা মৃত্যুবরণ, এটাই ব্রিটিশ সেনাদের প্রতিজ্ঞা। প্রথমিকভাবে তাকে বেশ বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে দেখা গেলেও, শেষে দেখা যায় তিনি তার কথার মতো সাহসী নন। 


প্রশ্ন-৪. ওয়ালি খানকে চড় মারার জন্য ক্লেটনের এগিয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে ‘বাঙালি কাপুরুষ নয়’-এ কথা বলায় ওয়ালি খানকে চড় মারার জন্য ক্লেটন এগিয়ে যান।
ফোর্ট উইলিয়ামে ইংরেজরা পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছালে তাদের পক্ষের বাঙালি সেনা ওয়ালি খান ক্যাপ্টেন ক্লেটনকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বলেন। নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার সেনারা গোলাগুলি করতে করতে ইংরেজদের ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের কাছাকাছি এসে গেলে জীবন বাঁচানোর জন্য ওয়ালি খানের বিকল্প কিছু দেখেননি। কিন্তু ক্যাপ্টেন ক্লেটন বাঙালিদের কাপুরুষ বলে গালি দিলে বাঙালি ওয়ালি খান এ কথার প্রতিবাদ করায় ক্লেটন তাকে চড় মারার জন্য এগিয়ে যান। টাকার জন্য বাঙালিরা ইংরেজের পক্ষে গেলেও বাঙালিরা কাপুরুষ ছিল না, এমন প্রতিরোধ ক্লেটন সহ্য করতে পারেননি। 


প্রশ্ন-৫. ‘ব্রিটিশ সিংহ ভয়ে লেজ গুটিয়ে নিলেন, এ বড় লজ্জার কথা’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার আক্রমণের মুখে ইংরেজরা পালিয়ে যাওয়ায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।
কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে ইংরেজরা নবাবের বিনা অনুমতিতে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই নবাব ওই দুর্গ আক্রমণ করেন। ইংরেজ সেনারা নবাবের সেনাদের আক্রমণের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়লে ক্যাপ্টেন মিনচিন, কাউন্সিলর ফকল্যান্ড ও ম্যানিংহাম নৌকাযোগে দুর্গ থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। শেষ পর্যায়ে ক্যাপ্টেন ক্লেটনও গভর্নর ড্রেকের সঙ্গে পরামর্শের নাম করে আত্মরক্ষার্থে সব প্রতিজ্ঞা ভুলে দুর্গ থেকে পালিয়ে যান। এমতাবস্থায় বন্দি উমিচাঁদ হলওয়েলকে ব্যঙ্গার্থে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছিলেন। মুখে বড় বড় কথা বললেও ইংরেজরা শক্ত প্রতিরোধে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। 


প্রশ্ন-৬. ‘ফরাসিরা ডাকাত আর ইংরেজরা অতিশয় সজ্জন ব্যক্তি, কেমন?’- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘সিরাজউদ্‌দৌলা’ নাটকের প্রথম অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে ফরাসিরা আর ইংরেজরা অর্থাৎ বিদেশি বেনিয়ারা যে এ দেশে এসেছে মূলত বাণিজ্য করার নামে অবাধলুণ্ঠন করতে, সিরাজউদ্‌দৌলা সে প্রসঙ্গেই এ কথা বলেছেন।
ইংরেজরা নবাব সিরাজউদ্‌দৌলার নিষেধ সত্ত্বে ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়। ইংরেজদের এই নিয়মবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে নবাব ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ দখল করে নেন এবং ওয়াটস ও হলওয়েলকে বন্দি করেন। বন্দিদের কাছে নবাবের নির্দেশ অমান্যের কারণ জানতে চাইলে হলওয়েল জানায়, তারা ফরাসিদের কাছ থেকে আত্মরক্ষার জন্য দুর্গ নির্মাণ করছিল। হলওয়েলের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে নবাব কটাক্ষ করে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন। ফরাসিরা ডাকাত হলে ইংরেজরাও নিশ্চয় ভালো কিছু নয়- সেটি নবাব ভালোই জানতেন।

আবু সায়েম মো. জামিল, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ,
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা/ আবরার জাহিন

 

হিসাবের বইসমূহ অধ্যায়ের ১৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্র

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
হিসাবের বইসমূহ অধ্যায়ের ১৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি হিসাববিজ্ঞান ১ম পত্র
হিসাববিজ্ঞানে খতিয়ান বইকে সব বহির রাজা বলা হয়। ছবি- সংগৃহীত


দ্বিতীয় অধ্যায় : হিসাবের বইসমূহ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

৪২. বাট্টা সাধারণত কত প্রকার?
ক. ১ প্রকার     খ. ২ প্রকার
গ. ৩ প্রকার    ঘ. ৪ প্রকার

৪৩. পণ্যের লিখিত মূল্যের ওপর ব্যবসায়ীরা ক্রেতাকে যে ছাড় দেন তাকে কী বলে?
অথবা, কোনো দ্রব্যের তালিকা মূল্যের ওপর যে বাট্টা হিসাব করা হয় তাকে কী বলে?    
ক. নগদ বাট্টা        খ. পরিমাণ বাট্টা
গ. কারবারি বাট্টা    ঘ. বিশেষ বাট্টা

৪৪. ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় কোনটি?
ক. পরিমাণ বাট্টা    খ. ক্রয় বাট্টা
গ. বিক্রয় বাট্টা      ঘ. নগদ বাট্টা

৪৫. আসিফ নগদ ১,০০,০০০ টাকা, ৭০,০০০ টাকার যন্ত্রপাতি ও ২০,০০০ টাকার আসবাবপত্র নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। যদি বাপ্পির কাছে পণ্য বিক্রি ৮,০০০ টাকা ও ভাড়া প্রদান ৫,০০০ টাকা হয় তবে নগদান হিসাবের জের হবে-    
ক. ৯৫,০০০ টাকা
খ. ১,০০,০০০ টাকা
গ. ১,০৩,০০০ টাকা    
ঘ. ১,০৫,০০০ টাকা

৪৬. তিনঘরা নগদান বইয়ে কলাম কতটি থাকে?
অথবা, তিনঘরা নগদান বইয়ের মোট ঘরের সংখ্যা কতটি?    
ক. ১০টি    খ. ১২টি
গ. ১৪টি    ঘ. ১৬টি

৪৭. নগদ বাট্টা কোন নগদান বইতে লেখা হয়?    
ক. একঘরা নগদান বই    
খ. দুঘরা নগদান বই
গ. বহুঘরা খচরা নগদান বই    
ঘ. তিনঘরা নগদান বই

৪৮. তাইজুলের কাছ থেকে ১০% বাট্টায় পাওয়া গেল ৫,৪০০ টাকা। বাট্টার পরিমাণ কত?    
ক. ৫৪০ টাকা       খ. ৬০০ টাকা
গ. ৫,৪০০ টাকা    ঘ. ৬,০০০ টাকা

৪৯. তামিম অ্যান্ড কোংয়ের অগ্রদত্ত অর্থের পরিমাণ ২,০০০ টাকা। মে মাসের শেষে হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ৬০০ টাকা। মে মাসে খরচের পরিমাণ কত?    
ক. ৬০০ টাকা      খ. ১,৪০০ টাকা
গ. ২,০০০ টাকা    ঘ. ২,৬০০ টাকা

৫০. মি. বড়ুয়া তার প্রতিষ্ঠানে অগ্রদত্ত পদ্ধতিতে খুচরা নগদান বই সংরক্ষণ করেন। নির্ধারিত অগ্রদত্ত টাকার পরিমাণ ৫,০০০ টাকা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মোট খুচরা খরচের পরিমাণ ৪,৫০০ টাকা। জানুয়ারি মাসের শুরুতে পেটি ক্যাশিয়ার প্রধান ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে খুচরা খরচের জন্য কত টাকার চেক পাবে?
ক. ৫০০ টাকা    
খ. ৪,৫০০ টাকা
গ. ৫,০০০ টাকা    
ঘ. ৯,৫০০ টাকা

৫১. ডেবিট নোট কে তৈরি করে?    
ক. ক্রেতা         খ. সরবরাহকারী
গ. উৎপাদক    ঘ. বিক্রেতা

৫২. ক্রয় ফেরতের জন্য কোন দলিল ব্যবহার করা হয়?    
ক. ভাউচার           খ. চালান
গ. ক্রেডিট নোট    ঘ. ডেবিট নোট

৫৩. ডেবিট নোটের সাহায্যে কী লেখা হয়?    
ক. বিক্রয় ফেরত    
খ. ক্রয় ফেরত
গ. দৈনিক ক্রয় বহি    
ঘ. দৈনিক বিক্রয় বহি

৫৪. বিক্রয় ফেরতের জন্য কোন দলিল ব্যবহৃত হয়?
ক. ভাউচার          খ. চালান
গ. ডেবিট নোট    ঘ. ক্রেডিট নোট

৫৫. নিচের কোন দলিলের ভিত্তিতে বিক্রয় ফেরত হিসাবভুক্ত করা হয়?    
ক. ক্যাশমেমো    খ. চালান
গ. ডেবিট নোট    ঘ. ক্রেডিট নোট

৫৬. প্রকৃত জাবেদায় কোন লেনদেনটি লিপিবদ্ধ করা হয়?
ক. ধারে পণ্য ক্রয়     
খ. বাকিতে যন্ত্রপাতি ক্রয় 
গ. নগদ ক্রয়    
ঘ. ধারে পণ্য বিক্রয়

৫৭. কোন বইকে সব বহির রাজা বলা হয়?
ক. জাবেদা    খ. খতিয়ান
গ. ক্রয় বহি    ঘ. বিক্রয় বহি

উত্তর: ৪২। খ, ৪৩। গ, ৪৪। ঘ, ৪৫। ক, ৪৬। ক, ৪৭। ঘ, ৪৮। খ, ৪৯। খ, ৫০। খ, ৫১। ক, ৫২। ঘ, ৫৩। খ, ৫৪। গ, ৫৫। গ, ৫৬। খ, ৫৭। খ।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

বানান ও অভিধান পরিচ্ছেদের ১২টি এক কথায় প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
বানান ও অভিধান পরিচ্ছেদের ১২টি এক কথায় প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা
শিক্ষক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পড়া বোঝাচ্ছেন। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

চতুর্থ অধ্যায়

পঞ্চম পরিচ্ছেদ: বানান ও অভিধান

এক কথায় প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১১. ‘নির্নয়’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘নির্নয়’ শব্দটির সঠিক বানান ‘নির্ণয়’।

প্রশ্ন-১২. ‘উত্তরাধীকার’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘উত্তরাধীকার’ শব্দটির সঠিক বানান ‘উত্তরাধিকার’।

প্রশ্ন-১৩. ‘ইংরেজী’ শব্দটি সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘ইংরেজী’ শব্দটির সঠিক বানান ‘ইংরেজি’।

প্রশ্ন-১৪. ‘অস্তিত্ত্ব’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘অস্তিত্ত্ব’ শব্দটির সঠিক বানান ‘অস্তিত্ব’।

প্রশ্ন-১৫. ‘গুরুত্ত্ব’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘গুরুত্ত্ব’ শব্দটির সঠিক বানান ‘গুরুত্ব’।

প্রশ্ন-১৬. ‘বয়ষ্ক’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘বয়ষ্ক’ শব্দটি সঠিক বানান ‘বয়স্ক’।

প্রশ্ন-১৭. মনবৃত্তি শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: মনবৃত্তি শব্দটির সঠিক বানান মনোবৃত্তি।

আরো পড়ুন :  বানান ও অভিধান পরিচ্ছেদের ১টি বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব

প্রশ্ন-১৮. ‘বৈশিষ্ট’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘বৈশিষ্ট’ শব্দটির সঠিক বানান বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন-১৯. ‘বস্তূ’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘বস্তূ’ শব্দটির সঠিক বানান বস্তু।

প্রশ্ন-২০. ‘জিনিষ’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘জিনিষ’ শব্দটির সঠিক বানান জিনিস।

প্রশ্ন-২১. ‘ধৈর্য্য’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘ধৈর্য্য’ শব্দটির সঠিক বানান ধৈর্য।

প্রশ্ন-২২. ‘প্রবনতা’ শব্দটির সঠিক বানান কী?
উত্তর: ‘প্রবনতা’ শব্দটির সঠিক বানান প্রবণতা।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ 
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

বাংলা বিষয়ের ১১টি প্রশ্নোত্তর, ১৩তম পর্ব, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
বাংলা বিষয়ের ১১টি প্রশ্নোত্তর, ১৩তম পর্ব, ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট
ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী মার্চপাস্ট করছে। ছবি- সংগৃহীত

মডেল টেস্ট: বাংলা

প্রশ্ন: নিচের প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তরটি লেখ।
ক। বাংলা ব্যাকরণের প্রধান আলোচ্য বিষয় কয়টি?
i. ২টি         ii. ৩টি         
iii. ৪টি         iv. ৬টি 
উত্তর: iii. ৪টি।

খ। শব্দের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?
i. অক্ষর         ii. বর্ণ     
iii. ধ্বনি         iv. স্বর 
উত্তর: ii. বর্ণ।

গ। কোন দুটি স্বরের মিলিত ধ্বনিতে ‘ঐ’ ধ্বনি সৃষ্টি হয়?
i. ও + ই     ii. অ + ই     iii. এ + ই     iv. ক + ই 
উত্তর: ii. অ + ই।

ঘ। কোন বর্ণগুলো উচ্চারণে নাক দিয়ে বাতাস বের হয়?
i. ক, খ, গ         ii. ত, থ, দ     
ii. ন, ম, ঙ         iv. প, ফ, ব
উত্তর: iii. ন, ম, ঙ।

ঙ। ‘র’ বর্ণে দ্যোতিতে ধ্বনি জিহ্বাকে দোলা দেয় বলে একে কী ধ্বনি বলা হয়?
i. স্পর্শ ii. তালব্য  iii. কম্পনজাত iv. পার্শ্বিক 
উত্তর: iii. কম্পনজাত।

আরো পড়ুন : বাংলা বিষয়ের ১৩টি প্রশ্নোত্তর, ১২তম পর্ব

চ। ব্যঞ্জন বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলা হয়?
i. প্রকৃতি     ii. প্রত্যয়     iii. কার     iv. ফলা
উত্তর: iv. ফলা।

ছ। কারক ও সমাস ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
i. ধ্বনিতত্ত্বে       ii. রূপতত্ত্বে     
iii. বাক্যতত্ত্বে     iv. ভাষাতত্ত্বে
উত্তর: ii. রূপতত্ত্বে।

জ। ‘ক’ থেকে ‘ম’ পর্যন্ত এই ২৫টি বর্ণকে একত্রে কী বলা হয়?
i. ব্যঞ্জনবর্ণ          ii. স্বরবর্ণ     
iii. স্পর্শ বর্ণ         iv. যৌগিক বর্ণ
উত্তর: iii. স্পর্শ বর্ণ।

ঝ। বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরবর্ণ কয়টি?
i. ২টি     ii. ৪টি     iii. ৬টি     iv. ৮টি 
উত্তর: i. ২টি।

ঞ। কোন ভাষা রীতির পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট?
i. সাধু ভাষা     ii. কথ্য ভাষা  
iii. চলিত ভাষা     iv. লেখ্য ভাষা 
উত্তর: i. সাধু ভাষা।

লেখক : অধ্যক্ষ, শহীদ ক্যাডেট একাডেমি
উত্তরা, ঢাকা

কবীর

২টি Formal Letter Writing, এইচএসসি ইংরেজি ২য় পত্র

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
২টি Formal Letter Writing, এইচএসসি ইংরেজি ২য় পত্র
Letter Writing-এ Subject অবশ্যই লিখতে হবে। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

Formal Letter Writing

1. Write a letter to the UNO for repairing a road.
14 June, 2024
The UNO
Ruppur Upazila
Comilla.

Subject: Prayer for repairing a road.
Sir, 
With due respect I beg to state that the recent flood has destroyed a vital road of our area. The road has connected five villages with the district road. As a result people of the locality are suffering much. The businessmen have to use this road for carrying their goods to the town. The students use this road for going to schools and colleges. No vehicles can move on this road. As a result normal activities of the area have been paralysed. Even it becomes quite impossible to carry the patients to the district hospital. The sufferings of the people know no bounds.
I therefore pray and hope that you would be kind enough to take necessary steps to repair the bridge. 


Yours faithfully
B
On behalf of the inhabitants of Ruppur Upazila.

2. Application about withdrawal of library caution money.
15 June, 2024
The Principal
X college
Dhaka.

Subject: Prayer for withdrawal of library caution money.
Sir,
With due respect, I would like to lay before you the following facts for your kind consideration and necessary action.
I was the student of this college and appeared in the HSC examination from Science group in the session 2010-2011. I secured GPA 5. My class roll number was 50; section A. I deposited taka 500 for collecting my library card. Now I have submitted all the books that I borrowed from the library. I want to withdraw the library caution money. 
I therefore pray and hope that you would be kind enough to grant my prayer and oblige thereby.


Yours obediently
B
HSC Roll : 23456
Session 2023-2024

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর

প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, এসএসসি বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, এসএসসি বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা
গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শশাঙ্ক। তিনি চৌকস শাসক ও রণকৌশলী ছিলেন। ছবি- সংগৃহীত

চতুর্থ অধ্যায় : প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস (৩২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ)

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর-১ 

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসনকর্তাকে বলা হতো 'মহাসামন্ত'। শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন মহাসামন্ত। একজন চৈনিক পরিব্রাজক তাকে বৌদ্ধধর্ম বিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেন। প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে তিনিই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সার্বভৌম শাসক।

ক) সেন বংশের শাসকদের কী বলা হয়?    ১
খ) কীভাবে মাৎস্যন্যায়ের অবসান হলো?    ২
গ) উদ্দীপকে কোন রাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।        ৩
ঘ) প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে তিনি প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সার্বভৌম শাসক উক্তিটি যথার্থতা নিরূপণ করো।    ৪

উত্তর: ক) সেন বংশের শাসকদের ‘সেনরাজ’ বলা হয়। তারা বাংলার ওপর প্রায় ১১৫৯ থেকে ১২২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসন করেছিলেন।

খ) মাৎস্যন্যায় বলতে সমাজে বিশৃঙ্খল অবস্থা ও আইনশৃঙ্খলার অনুপস্থিতিকে বোঝানো হয়। এটি ছিল এক ধরনের অব্যবস্থাপনা যেখানে শক্তিশালীরা দুর্বলদের ওপর প্রভাব খাটাত। পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাজা গোপাল প্রথম এই মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটান। তিনি শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলার সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত রাজার নাম শশাঙ্ক। তিনি গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ সার্বভৌম শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শশাঙ্ক গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন সামন্ত থেকে স্বাধীন গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলার প্রথম সার্বভৌম শাসক হিসেবে শশাঙ্কের অবদান ঐতিহাসিকভাবে অপরিসীম। তার শাসনামল বাংলার রাজনীতিতে স্বাধীনতার ও সমৃদ্ধির বার্তা নিয়ে আসে। পরে পাল ও সেন রাজাদের সময়কালেও শশাঙ্কের প্রভাব লক্ষ করা যায়, কারণ তিনিই প্রথম শাসক যিনি বাংলায় একটি স্বাধীন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন এবং একে শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত করেন।
শশাঙ্কের ধর্মীয় নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষভাবে আলোচিত হয়। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের বিবরণ অনুযায়ী, শশাঙ্ক ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন। তিনি হিন্দু ধর্মের অনুরাগী ছিলেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন বলে জানা যায়। যদিও এই বিবরণ নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে, তবু শশাঙ্কের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি তার শাসনামলে বৌদ্ধ ধর্মের ওপর প্রভাব ফেলেছিল।
শশাঙ্ক প্রাচীন বাংলায় প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সার্বভৌম শাসক হিসেবে পরিচিত। তিনি একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা পূর্বভারতে বাংলার রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করে। তার সামরিক শক্তি এবং রাজনৈতিক কৌশল তাকে অন্য শাসকদের থেকে পৃথক করেছে। শশাঙ্কের শাসনকালে তার রাজ্য মগধ ও বর্তমান বাংলা অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল। শশাঙ্কের শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা এবং সামরিক ক্ষমতা পূর্ব ভারতে বাংলাকে এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত করেছিল।

আরো পড়ুন :  প্রাচীন বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস অধ্যায়ের ২৯টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব

ঘ) উদ্দীপকের উক্তিটি শশাঙ্কের ক্ষেত্রে যথার্থ। বাংলা তথা পূর্ব ভারতে শশাঙ্ক প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম শাসক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার শাসনামলে গৌড় রাজ্য একটি শক্তিশালী ও সংগঠিত রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১. স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা: শশাঙ্ক ছিলেন একাধারে চৌকস শাসক ও রণকৌশলী। তিনি গুপ্ত রাজাদের অধীনস্থ সামন্ত থেকে নিজের স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

২. ধর্মীয় নীতিতে কঠোরতা: শশাঙ্ক বৌদ্ধধর্মের প্রতি বিরূপ ছিলেন বলে হিউয়েন সাঙ উল্লেখ করেন। বলা হয়, তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ওপর নির্যাতন চালান এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার রোধ করতে চেষ্টা করেন।

৩. রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রসার: শশাঙ্ক পূর্ব ভারতে প্রথম শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলেন। তার সময়েই বাংলা অঞ্চল ভারতীয় রাজনীতিতে প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

৪. ভূমি সম্প্রসারণ: শশাঙ্ক তার শাসনকালীন দক্ষিণাপথ থেকে শুরু করে মগধ পর্যন্ত বিস্তৃত ভূমি জয় করেন, যা বাংলার প্রথম রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রতীক হয়ে ওঠে।

৫. ইতিহাসে প্রভাব: শশাঙ্কের ক্ষমতার প্রসার ও সাম্রাজ্যের বিস্তার বাংলার ঐতিহাসিক স্বাধীনতার পথ রচনা করেছিল, যা পরবর্তী সেন ও পাল রাজাদের রাজত্বকালে প্রভাব ফেলে।
সুতরাং শশাঙ্ককে বাংলার প্রথম স্বাধীন ও গুরুত্বপূর্ণ সার্বভৌম শাসক বলা সংগতিপূর্ণ, কারণ তার শাসনামলেই প্রথমবারের মতো বাংলায় একটি সংগঠিত ও শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে, যা বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে।

লেখক : সহকারী শিক্ষক
সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা

কবীর