
নমুনা প্রশ্ন: ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণিতে তোমরা সালাতবিষয়ক যা যা জেনেছ তা জোড়ায় আলোচনা করে উপস্থাপনা করো।
নমুনা উত্তর:
আমরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে সালাত সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। শ্রেণিভিত্তিক তা উপস্থাপন করা হলো-
নমুনা প্রশ্ন: ‘একজন ইমামকে যেসব কারণে আমি সম্মান করব’ শিরোনামের আলোকে ২০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
নমুনা উত্তর: প্রতিবেদনের শিরোনাম: একজন ইমামের মর্যাদা/ একজন ইমামকে যেসব কারণে আমি সম্মান করব।
একজন ইমাম হলেন জাতির নেতা, দেশের নেতা, সমাজের নেতা। তিনি জাতির দিক নির্দেশক। ইসলামি রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধানই ইমাম। তার অনুপস্থিতিতে তার নির্বাচিত ইমাম তার প্রতিনিধি। কাজেই ইমামের মর্যাদা অত্যধিক। তিনি অনেক জ্ঞানের অধিকারী। হাজার হাজার মানুষ তার পেছনে সালাত আদায় করে। তাদের সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার দায়িত্ব তার। এজন্য তাকে হতে হয় কোরআন, হাদিস, মাসআলা, মাসায়েলের ব্যাপারে পণ্ডিত, বিশুদ্ধ তিলাওয়াতের অধিকারী, খোদাভীরু, মুত্তাকি। সাধারণ হাজার মানুষের চেয়ে তিনি আলাদা। এজন্য তিনি সম্মান পাওয়ার যোগ্য। তাই আমি তাকে সম্মান করি।
একজন ইমাম আমাদের সালাত আদায়ের পদ্ধতি শেখান, সালাত, জাকাত, সাওম ইত্যাদির বিধিবিধান শেখান, সমাজের বিবাদ-মীমাংসা করেন। রাষ্ট্রের দেওয়া দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মানবতার পথপ্রদর্শক, সরল পথের দিশারি। তিনি ভুল সংশোধন করে দেন। এত গুণের অধিকারী একজন ব্যক্তিত্ব শুধু আমার কাছে নয়, সবার কাছেই সম্মানের যোগ্য। তিনি জামাতে সালাত পরিচালনার মাধ্যমে মানুষকে নিয়মানুবর্তিতা, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, সমতা, মমতা, সাম্য, আনুগত্যবোধ ইত্যাদি শেখান। তিনি সালাত শেষে অনুপস্থিত মুসল্লিদের খোঁজখবর নেন, কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। কোনো সমস্যা হলে মুসল্লিরা তার দ্বারস্থ হন এবং সমস্যার সমাধান খোঁজেন। সাধারণ মুসল্লিরা ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে তার কাছে জানতে চান সালাত, সাওম, জাকাত, হজ, বিবাহ, আকিকা, তালাক, কোরবানি, হালাল-হারাম ইত্যাদি বিষয়ক মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি কোরআন-হাদিসের আলোকে সেগুলোর সমাধান দেন। এতসব গুরুত্বপূর্ণ কাজের পাণ্ডিত্যপূর্ণ সমাধানের জন্য তিনি অবশ্যই সম্মান ও মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। তিনি সকাল বেলা মক্তব পরিচালনার মাধ্যমে শিশুদের বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াত শেখান, রাতে বয়স্কদের জন্য পড়ার ব্যবস্থা করে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার চেষ্টা করেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, এরূপ একজন সমাজসেবক, দেশসেবক এবং ইসলামের সেবক হিসেবে একজন ইমামকে আমি সম্মান করি, সম্মানের চোখে দেখি এবং ভবিষ্যতেও তাকে সম্মানের চোখে দেখব।
নমুনা প্রশ্ন: নিয়মিত সালাত আদায়ের মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন জীবনাচরণে যেসব পরিবর্তন ঘটাব তা বর্ণনার করো।
নমুনা উত্তর: নিয়মিত সালাত আদায়ের মাধ্যমে আমরা দৈনন্দিন জীবনাচরণে যেসব পরিবর্তন ঘটাব তা হলো-
১. আমরা যাবতীয় অশ্লীলতা ও পাপাচার থেকে মুক্ত থাকব।
২. সালাত আদায়ের মাধ্যমে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করব।
৩. জামাতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে দৈনিক পাঁচবারপাড়াপ্রতিবেশীর খোঁজ নেব।
৪. সালাত অনুশীলনে নিয়মানুবর্তিতা শিখব।
৫. সালাত আদায়ের মাধ্যমে ওজু ও গোসলের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকব।
৬. সালাত আদায়ের মাধ্যমে ধৈর্য শিখব।
৭. সালাত আদায়ের মাধ্যমে সময়ানুবর্তিতা শিখব।
৮. সালাত আদায়ের মাধ্যমে নেতার প্রতি আনুগত্য শিখব।
৯. সালাত আদায়ের মাধ্যমে গরিবদের প্রতি স্নেহশীল হব।
১০. সালাত আদায়ের মাধ্যমে ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে যাব।
১১. সালাত আদায়ের মাধ্যমে সাম্য শিখব।
১২. সালাত আদায়ের মাধ্যমে কুফরি বর্জন করব।
১৩. জামাতে সালাত আদায়ের মাধ্যমে আগের একাকী সালাত আদায়ের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াব লাভের চেষ্টা করব।
১৪. সালাত আদায়ের মাধ্যমে আখিরাতে সফলতা অর্জন করব।
১৫. সালাত আদায়ের মাধ্যমে অন্তর পরিশুদ্ধ করব।
১৬. সালাত আদায়ের মাধ্যমে গুনাহ মাফের ব্যবস্থা করব।
১৭. সালাত আদায়ের মাধ্যমে জান্নাতে আল্লাহর অতিথি হওয়ার চেষ্টা করব।
১৮. সালাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করব।
মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, মাস্টার ট্রেইনার ও সিনিয়র শিক্ষক
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা/আবরার জাহিন