সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-৩। ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: ‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তু হলো- কবিতার রূপ ও রচনার কৌশল আলোচনা।
সাহিত্যের নানা রূপের মধ্যে একটি হচ্ছে কবিতা। আলোচ্য রচনায় কবিতার শিল্পরূপ ও তার বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে, যা পড়লে মনের ভেতর স্বপ্ন জেগে ওঠে, ছবি ভেসে ওঠে তাই কবিতা। আর কবিতা লিখতে হলে শব্দের রূপ, রং, গন্ধ, বর্ণ, সুর ও ছন্দ চিনতে হয় এবং জানতে হয় শব্দের নানা ধরনের মায়াবী রূপ।
প্রশ্ন-৪। ‘তুমি যদি দেখতে পাও শব্দের শরীরের রং, শুনতে পাও শব্দের সুর, টের পাও শব্দের সুগন্ধি, তাহলেই তুমি পারবে কবি হতে।’ লেখক কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর: কবিতা লিখতে হলে লেখকের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি শক্তির কথা কবি প্রশ্নোল্লিখিত উক্তিটিতে করেছেন।
‘শব্দ থেকে কবিতা’ প্রবন্ধে কবি হওয়ার ও কবিতা লেখার কলাকৌশল সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন বাংলা শব্দভাণ্ডারে এমন অনেক শব্দ রয়েছে যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে এবং একেক শব্দ থেকে বের হয় একেক ধরনের সুর। তারাই কবি হতে পারে যাদের শব্দের এই সুরগুলোকে বোঝার এবং এগুলোকে অর্থ উপযোগী করে ব্যবহার করার ক্ষমতা রয়েছে।
প্রশ্ন-৫। লেখক তার স্বপ্নের দোকানটিকে কীভাবে সাজাতে চান?
উত্তর: লেখক তার স্বপ্নের দোকানটিকে এমন সব জিনিস দিয়ে সাজাতে চান যা কেউ কখনো কেনে না।
লেখক তার স্বপ্নের দোকানটিকে চাঁদের আলো, লাল পাখির গান, চাঁপার গন্ধ, নাচের ছন্দ এসব দিয়ে সাজাতে চান। লেখক শুধু সেসব জিনিস বেচাকেনা করতে চান, যেগুলো শুধু স্বপ্নে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন-৬। কবিতা পড়লে আমাদের কেমন লাগে?
উত্তর: কবিতা পড়লে মন নৃত্য করে, মনে গানের সঞ্চার হয় এবং চোখে রংবেরঙের স্বপ্ন এসে ভিড় করে।
কবিতা কখনো আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে, আবার কখনো মনকে বিষাদময় করে। কবিতা পড়লে আমাদের বিষাদময় দিন আনন্দে ভরে যায়। কবিতা মাঝে মধ্যে আমাদের আবেগঘনও করে তোলে। মোটকথা কবিতার মাধ্যমে আমাদের মনে রং ছড়িয়ে পড়ে এবং আমাদের চোখে স্বপ্ন এসে ধরা দেয়।
মো. সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক (বাংলা)
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা/আবরার জাহিন