ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মানুষ মুহম্মদ (সা.) প্রবন্ধের ১৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম
মানুষ মুহম্মদ (সা.) প্রবন্ধের ১৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ২য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ১ম পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১৫। কোন যুদ্ধে হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর পরাজয়ের মিথ্যা সংবাদ শোনা গিয়েছিল?
ক. বদর যুদ্ধে      খ. ওহুদ যুদ্ধে  
গ. আহজাব যুদ্ধে       ঘ. খয়বরের যুদ্ধে
১৬। হজরতের সচেতন চিত্তে মুহূর্তের জন্যেও স্থান লাভ করেনি কোনটি?
ক. অর্থচিন্তা       খ. বংশ গৌরব  
গ. নিদারুণ মনোকষ্ট       ঘ. প্রেম ও করুণা
১৭। কোনটির সাধনায় রাসুলের চরিত্র মধুময় হয়ে উঠেছিল?
ক. ধর্মের      খ. ন্যায়ের   
গ. সত্যের নিবিড়       ঘ. সুশাসন

১৮। হজরত মুহম্মদ (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় গেলেন কেন?
ক. মদিনাবাসীর নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে  
খ. সাহাবিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য
গ. মদিনাবাসীকে ইসলামী দাওয়াত প্রচার করার জন্য
ঘ. মক্কাবাসীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে 
১৯। ‘মানুষ মুহম্মদ (সা.)’ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য কী?
ক. ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা
খ. মহানবীর গুণাবলি সম্পর্কে আলোকপাত করা
গ. মহানবীর অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে আলোচনা করা
ঘ. মহানবীর মানবীয় বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা
২০। হজরত মুহম্মদ (সা.) পাপী মানুষকে কী করতেন?
ক. অভিশাপ দিতেন    খ. ভালোবাসতেন
গ. উপদেশ দিতেন    ঘ. ঘৃণা করতেন

২১। ‘মানুষ মুহম্মদ (সা.)’ প্রবন্ধে বক্তব্য প্রকাশের প্রধান বাহন কী?
ক. মহানবীর ধর্ম প্রচার  
খ. মহানবী (সা.)-এর ক্ষমার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন
গ. মহানবী (সা.)-এর উদারতার প্রচার
ঘ. মহানবী (সা.)-এর মানবীয় গুণাবলি
২২। হজরত মুহম্মদ (সা.)-কে ‘অনুকরণীয়’ ও ‘বরণীয়’ বলা হয়েছে কেন?
ক. ন্যায়বিচারের জন্য         খ. সুশাসনের জন্য  
গ. মানবীয় গুণাবলির জন্য  ঘ. সাহসিকতার জন্য
২৩। ‘ইমাম হাসান (রা.) তার বিষদাতাকে চিনতে পেরেও তাকে ক্ষমা করে দেন এবং আশীর্বাদও করেন।’ ‘মানুষ মুহম্মদ (সা.)’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মহানবী (সা.) এর কোন গুণটি ইমাম হাসান (রা.)-এর মধ্যে দেখা যায়?
ক. সৌজন্যতা      খ. ন্যায়পরায়ণতা  
গ. মহত্ত্ব       ঘ. মানবপ্রেম
২৪। নিচের কোন বক্তব্যে ‘হজরত মুহম্মদ (সা.)’-এর সাদাসিদে জীবনযাপনের চিত্র প্রকাশ ঘটে?
ক. মুহম্মদ (সা.) একজন রাসুল আর কিছু নন
খ. জন্মদুঃখী হইয়া তিনি সংসারে আসিয়াছিলেন
গ. আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই
ঘ. ব্যঙ্গ বিদ্রুপে বারবার তিনি উপহাসিত হইয়াছেন
২৫। নিচের কোন ঘটনায় মহানবী (সা.)-এর মানবপ্রেমের প্রকাশ ঘটে?
ক. নির্যাতন সহ্য করায়    
খ. হিজরত করায়
গ. মক্কা জয়ের পর দেওয়া ঘোষণায়    
ঘ. অন্ধ লোকটির প্রতি আচরণে

২৬। হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর মৃত্যু সংবাদ শুনে হজরত ওমর (রা.)-এর তরবারি হাতে লাফিয়ে ওঠার ঘটনায় প্রকাশ পায়-
ক. বীরত্ব ও ঔদ্ধত্য    
খ. রাগ ও ক্ষোভ
গ. গভীর প্রেম ও ভালোবাসা    
ঘ. দুঃখ ও হতাশা
নিচের উদ্দীপক দুটি পড়ো এবং ২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।
i. ‘ভাই, তাহার নাম আমি কখনোই মুখে আনিব না। তাহার প্রতি আমার রাগ হিংসা-বিদ্বেষ কিছুই নাই।’
ii. ‘অভিসম্পাত করিতে অনুরুদ্ধ হইয়াও তিনি বলিলেন, না না, তাহা কখনোই সম্ভব নয়।’ 
২৭। উদ্ধৃতাংশ দুটির মধ্যে বক্তাদের কোন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে?
ক. সততা ও ন্যায়বোধ        
খ. ঔদার্য ও মহত্ত্ব
গ. স্বজনপ্রীতি ও দয়া    
ঘ. মানবপ্রেম ও ভালোবাসা
২৮। মানুষ মুহম্মদ (সা.) প্রবন্ধে তায়েফবাসীর আচরণে কী ফুটে উঠেছে?
ক. নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতা     
খ. ঘৃণা ও প্রতিশোধস্পৃহা
গ. উগ্রতা ও দমননীতি    
ঘ. রসিকতা ও কৌতুকতা
২৯। ‘মানুষ মুহম্মদ (সা.)’ প্রবন্ধের নামকরণ কোন যুক্তিতে ‘মুহম্মদ’ রাখা যায়?
ক. কেন্দ্রীয় চরিত্র      খ. স্নেহবাৎসল্য 
গ. সত্য প্রচারকারী     ঘ. আল্লাহর নবী

৩০। ‘তোমার পতাকা যদি দিয়াছ প্রভু, হীন আমি, তুচ্ছ আমি, নির্বল আমি, তাহা বহন করিবার শক্তি আমায় দাও।’-এ উক্তিতে কী অভিব্যক্ত হয়েছে?
ক. আল্লাহর গুণকীর্তন ও প্রার্থনা 
খ. আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও প্রার্থনা
গ. নিজের দুর্বলতা প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা 
ঘ. নিজের আত্মবিশ্বাস ও সাহস
৩১। ‘অপূর্ব ক্ষমা’ গল্প ও ‘মানুষ মুহম্মদ (সা.)’ প্রবন্ধ দুটির প্রধান দুটি চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগত মিল খুঁজে পাওয়া যায়-
i. ক্ষমা প্রদর্শনে  ii. মানবপ্রেমের নজির স্থাপনে 
iii. মহত্ত্ব প্রদর্শনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii      খ. i ও iii  
গ. ii ও iii    ঘ. i, ii ও iii
৩২। ‘মহৎ হৃদয়ের অধিকারী হাতেমতায়ী তার ঘাতকের পরিচয় জানতে পেরেও ক্ষমা করে দেন এবং ঘাতককে শিরশ্ছেদ করে তার মাথা নিয়ে যেতে বলেন’। ‘মানুষ মুহম্মদ (সা.)’ প্রবন্ধে উল্লিখিত হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর যে গুণটি হাতেমতায়ীর মধ্যে লক্ষ করা যায়-
i. মহত্ত্ব  ii. মানবপ্রেম  iii. প্রতিশোধ
নিচের কোনটি ঠিক?
ক. i ও ii      খ. ii ও iii  
গ. i ও iii    ঘ. i, ii ও iii

উত্তর: ১৫. ঘ, ১৬. খ, ১৭. গ, ১৮. ঘ, ১৯. ঘ, ২০. খ, ২১. ঘ, ২২. গ, ২৩. গ, ২৪. গ, ২৫. গ, ২৬. গ, ২৭. খ, ২৮. ক, ২৯. ক, ৩০. খ, ৩১. খ, ৩২. গ।

আতাউর রহমান সায়েম, সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা/আবরার জাহিন

আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘আমরা শুধু মানুষকে সাক্ষর করে তুলতে চাই না। তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেন সে কর্মজীবনে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব চেঞ্জ হয়ে যায়। সাক্ষর মানুষ একটি জাতির জন্য সম্পদ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা সম্পদ হতে পারে, যদি তাদের সাক্ষর করে তুলতে পারি, দক্ষ করে তুলতে পারি।’ 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যদি এতে আশানুরূপ ফলাফল হয়, তবে চেষ্টা থাকবে সেটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা শুধু দেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি, সবদিক দিয়ে বিশ্বটাই একটি একীভূত বিষয় হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে উঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। আমাদের বাচ্চাদেরকে যদি বহু ভাষাভাষী করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে।’

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অধিকার। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছি। আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়; আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি। কোনো কোনো স্কুলে দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।’

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ প্রমুখ।

গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে অনিয়ম তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে কমিটির আহ্বায়ক এবং রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকা নির্বাচন ও মাইগ্রেশনে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পাঁচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য পদে বিশ্ববিদ্যালয়টির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য হিসেবে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান নিয়োগ পেয়েছেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (কুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এনটোমলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। আর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে রাবি ও জাবির উপাচার্য সাময়িক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ চার বছর। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন। কোথাও কোথাও তাদের পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা দুয়েক দিনের মধ্যে তুলে ধরব।’

নিয়োগের শর্তানুযায়ী, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন; তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

কবির/সালমান/

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৪ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ পাওয়ার পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার পর ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। তারা সুপারিশকৃত পদে যোগদান করেন। অপরদিকে একই বিসিএস থেকে একই বছরের ৭ ডিসেম্বর ৩ হাজার ১৬৪ জনকে নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে সুপারিশ করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। অধিকাংশরা যোগদান করতে পারলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ২৭৬ জন প্রার্থীর যোগদান চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। 

গত ২৯ ও ৩০ জুন এবং ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা সমাপ্তির প্রায় দুই মাস শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ পদে যোগদান করতে পারছেন না। ফলে তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত আশেক এলাহী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ফল প্রকাশের নয় মাস হয়ে গেলেও আমরা যোগদান করতে না পারায় হতাশার মধ্যে আছি। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারছি না। নিয়োগ না হওয়ায় নানা ধরনের ঝামেলার মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই। অনেক প্রার্থীই মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

কবির/এমএ/