ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সংস্থার সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সংস্থার সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রম অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি সমাজকর্ম ২য় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর-৫

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।    
ক. UNICEF-এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? 
খ. আন্তর্জাতিক সংগঠন বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মানবাধিকার সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়নে উদ্দীপকে ইঙ্গিত করা আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: ক. UNICEF-এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত। 
খ. আন্তর্জাতিক সংস্থা বলতে একাধিক জাতির সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বোঝায়, যা একাধিক দেশে তার কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বা জাতির সমন্বয়ে গঠিত যেসব সংস্থা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সমাজকল্যাণ কার্যক্রম প্রণয়ন, উন্নয়ন ও প্রসারে নিয়োজিত থাকে সেসব সংস্থাকেই আন্তর্জাতিক সংস্থা বলা হয়। যেমন- জাতিসংঘ, ইউনিসেফ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ইত্যাদি। এসব সংস্থা নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গ. উদ্দীপকে জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউএনডিপি (UNDP)-কে ইঙ্গিত করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের যে অঙ্গসংগঠনগুলো কাজ করছে ইউএনডিপি তার অন্যতম। এর পূর্ণ রূপ United Nations Development Programme। ১৯৬৫ সালের নভেম্বরে এ সংস্থা গঠিত হলেও ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত। ইউএনডিপি বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর অংশীদারত্বের ভিত্তিতে টেকসই জাতি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে। এ ছাড়া এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাস করা। সেই সঙ্গে সংস্থাটি ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত SDG (Sustainable Development Goals) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করছে। যেসব দেশের শাসনকাঠামো তুলনামূলকভাবে দুর্বল সেসব দেশের গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার সাধন করা এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে সহায়তা ও পরিবেশের উন্নয়নেও সংস্থাটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। ইউএনডিপি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংরক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নে নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধি এবং বেকার তরুণ-তরুণীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মূলত বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে ইউএনডিপি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কাজেই বলা যায়, উদ্দীপকে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনডিপি (UNDP)-কে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

ঘ. মানবাধিকার সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়নে উদ্দীপকে ইঙ্গিত করা আন্তর্জাতিক সংস্থা তথা UNDP অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচি (এইচআরপি) প্রকল্পটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান মানবাধিকারবিষয়ক কাঠামোর সক্ষমতা গড়ে তুলতে সহায়তা করছে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে নাগরিক সমাজের প্রধান উদ্যোগগুলোকেও এর মাধ্যমে সহায়তা করা হয়। এ কর্মসূচিতে বিশেষভাবে নারী ও কমবয়সী মেয়ে, শিশু ও তরুণ, জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু প্রতিবন্ধী, দলিত ও অন্যান্য সংখ্যালঘুসহ অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর নজর দেওয়া হয়।
এ ছাড়া পরিবেশ ও জ্বালানি প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশকে UNDP দুই ভাবে সাহায্য করছে। একটি হলো জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন, দ্বিতীয়টি হলো পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন। গ্রিন হাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রণে UNDP মন্ট্রিল প্রোটোকলের আওতায় বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে। UNDP-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও Global Environment Facility (GEF) ইট প্রস্তুত কারখানায় জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়।
সার্বিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মানবাধিকার সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়নসহ সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যবস্থায় UNDP এবং তার উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

কামরুন নাহার রুনু, প্রভাষক, সমাজকর্ম, শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা/আবরার জাহিন

আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘আমরা শুধু মানুষকে সাক্ষর করে তুলতে চাই না। তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেন সে কর্মজীবনে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব চেঞ্জ হয়ে যায়। সাক্ষর মানুষ একটি জাতির জন্য সম্পদ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা সম্পদ হতে পারে, যদি তাদের সাক্ষর করে তুলতে পারি, দক্ষ করে তুলতে পারি।’ 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যদি এতে আশানুরূপ ফলাফল হয়, তবে চেষ্টা থাকবে সেটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা শুধু দেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি, সবদিক দিয়ে বিশ্বটাই একটি একীভূত বিষয় হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে উঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। আমাদের বাচ্চাদেরকে যদি বহু ভাষাভাষী করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে।’

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অধিকার। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছি। আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়; আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি। কোনো কোনো স্কুলে দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।’

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ প্রমুখ।

গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে অনিয়ম তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে কমিটির আহ্বায়ক এবং রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকা নির্বাচন ও মাইগ্রেশনে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পাঁচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য পদে বিশ্ববিদ্যালয়টির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য হিসেবে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান নিয়োগ পেয়েছেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (কুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এনটোমলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। আর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে রাবি ও জাবির উপাচার্য সাময়িক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ চার বছর। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন। কোথাও কোথাও তাদের পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা দুয়েক দিনের মধ্যে তুলে ধরব।’

নিয়োগের শর্তানুযায়ী, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন; তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

কবির/সালমান/

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৪ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ পাওয়ার পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার পর ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। তারা সুপারিশকৃত পদে যোগদান করেন। অপরদিকে একই বিসিএস থেকে একই বছরের ৭ ডিসেম্বর ৩ হাজার ১৬৪ জনকে নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে সুপারিশ করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। অধিকাংশরা যোগদান করতে পারলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ২৭৬ জন প্রার্থীর যোগদান চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। 

গত ২৯ ও ৩০ জুন এবং ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা সমাপ্তির প্রায় দুই মাস শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ পদে যোগদান করতে পারছেন না। ফলে তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত আশেক এলাহী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ফল প্রকাশের নয় মাস হয়ে গেলেও আমরা যোগদান করতে না পারায় হতাশার মধ্যে আছি। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারছি না। নিয়োগ না হওয়ায় নানা ধরনের ঝামেলার মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই। অনেক প্রার্থীই মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

কবির/এমএ/