ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ইবাদত অধ্যায়ের ১টি নমুনা প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, নবম শ্রেণির নতুন পাঠ্যক্রম-ইসলাম শিক্ষা

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
ইবাদত অধ্যায়ের ১টি নমুনা প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, নবম শ্রেণির নতুন পাঠ্যক্রম-ইসলাম শিক্ষা

নমুনা প্রশ্ন ও উত্তর

নমুনা প্রশ্ন: প্যানেলে আলোচনা করে ‘আমাদের সমাজে দারিদ্র্য দূরীকরণে জাকাতের ভূমিকা’ উপস্থাপন করো।
(প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা প্রথমেই পাঁচজন মিলে একটা প্যানেল গঠন করে উপরোক্ত শিরোনামের আলোকে আলোচনা এবং তথ্য সংগ্রহ করে তা যেকোনো একজন উপস্থাপন করবে।)

নমুনা উত্তর: একজনের উপস্থাপন: আজকের এই প্যানেল অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, আমার সম্মানিত শিক্ষক, মডারেটর প্যানেল আলোচক এবং আমার শিক্ষার্থী-বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। প্রথমে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এবং আমাকে আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্যানেল অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো ‘আমাদের সমাজে দারিদ্র্য দূরীকরণে জাকাতের ভূমিকা বিশ্লেষণ’।
আমরা জানি, বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত দারিদ্র্যের থাবা বিস্তৃত হচ্ছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিশ্বমানবতার জন্য চরম এক অভিশাপ। তাই ধনী ও দরিদ্রের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইসলাম কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আর্থিক সাহায্যের বিধান রেখেছে। সম্পদ যেন শুধু বিত্তবানদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত না থাকে, সেজন্য এতে দরিদ্রের একটি নির্দিষ্ট প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে। একটি সুধী, সুন্দর ও উন্নত সামাজিক পরিবেশ গঠনে ধনাঢ্য মুসলমানদের অবশ্যই তাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুর্দশা মোচনের জন্য ব্যয় করতে হবে। ফলে অসহায় ও দুস্থ মানবতার কল্যাণই হবে না, বরং সমাজে আয় বণ্টনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য হ্রাস পাবে। পবিত্র কোরআনে ধনসম্পদ বণ্টনের মূলনীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান, কেবল তাদের মধ্যেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে।’ (সুরা হাশর-৭)
দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলামে অর্থনৈতিক বিষয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। জাকাতকে কেন্দ্র করেই সুষম বণ্টন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের কর্মপদ্ধতি পরিচালিত হয়। জাকাতের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে সম্পদ যেন মুষ্টিমেয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত না থাকে।
জাকাতকে ধনীদের জন্য অবশ্য প্রদেয় এবং দরিদ্রদের জন্য অধিকার বলে ঘোষণা করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ধনসম্পদ থেকে সাদাকা (জাকাত) আদায় করে  তোমাদের ধনসম্পদ পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করো।’ (সুরা তাওবা-১০৩)
জাকাত আদায় ও তার যথাযথ ব্যবহার সমাজে আয় ও সম্পদের সুষম বণ্টনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। জাকাতের মাধ্যমে সম্পদের একটি সুনির্দিষ্ট অংশ কয়েকটি নির্দিষ্ট খাতে ব্যবহৃত ও বণ্টিত হয়। তাই জাকাত আদায় বাধ্যতামূলক করা হলে এর মাধ্যমে বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জন করা সম্ভব। জাকাত দারিদ্র্য বিমোচনের একটি স্থায়ী পদ্ধতি। সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তিগত ও সামাজিক পর্যায়ে দারিদ্র্য দূরীকরণের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। এসব উদ্যোগের পাশাপাশি জাকাতভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন এবং সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব। দরিদ্র ব্যক্তিকে এমন পরিমাণ জাকাত দেওয়া উচিত, যাতে তার কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হয় এবং সে আর দ্বিতীয়বার জাকাতের অর্থের মুখাপেক্ষী না হয়। কিন্তু আমাদের সমাজে বর্তমানে প্রচলিত জাকাত  দেওয়ার মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর হচ্ছে না, এর অন্যতম কারণ হলো নগদ ৫০০-১০০০ টাকা কিংবা শাড়ি, লুঙ্গি দিয়ে জাকাত দেওয়া হয়, যা দারিদ্র্য বিমোচনে কোনো কাজে আসে না।

জাকাত উৎপাদন বৃদ্ধি করে। কারণ সমাজের গরিব, অসহায়, দুস্থ ও বেকার লোকদের হাতে অর্থ বা ক্রয়ক্ষমতা থাকে না বললেই চলে। কিন্তু জাকাত বণ্টন করে তাদের হাতে অর্থ পৌঁছালে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং তারা আগের চেয়ে বেশি পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে সক্ষম হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে বলে তোমরা যে সুদ দিয়ে থাকো, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা ধনসম্পদ বৃদ্ধি করে না। কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তোমরা যে জাকাত দাও, প্রকৃতপক্ষে তাই বৃদ্ধি পায়, তারাই (জাকাতদানকারীই) সমৃদ্ধিশালী।’ (সুরা আর রোম-৩৯)
জাকাতভিত্তিক অর্থনীতিতে যাবতীয় সম্পদ এমনভাবে বিনিয়োগ করা হয়, যাতে কমপক্ষে জাকাতের হারের সমান আয় বাড়ানো সম্ভব হয়। অন্যথায় আসল থেকে জাকাত দিতে হয়। ফলে অর্থনীতিতে পূর্ণ বিনিয়োগ ও সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব নয়। বেকার লোকদের কর্মসংস্থান ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, চাহিদা বাড়ে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি হয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন।’ (সুরা আল-বাকারা-২৭৬)
আল্লাহতায়ালা আমাদের তার দেওয়া সম্পদ যথাযথ বণ্টন করার তৌফিক দিন। এই বলে সবাইকে সালাম দিয়ে উপস্থাপক তার আলোচনা শেষ করবে।

মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ,মাস্টার ট্রেইনার ও সিনিয়র শিক্ষক
শের-ই-বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা/আবরার জাহিন

আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
আমরা শুধু সাক্ষর না, মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘আমরা শুধু মানুষকে সাক্ষর করে তুলতে চাই না। তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যেন সে কর্মজীবনে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে। সাক্ষরতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব চেঞ্জ হয়ে যায়। সাক্ষর মানুষ একটি জাতির জন্য সম্পদ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা সম্পদ হতে পারে, যদি তাদের সাক্ষর করে তুলতে পারি, দক্ষ করে তুলতে পারি।’ 

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

দক্ষতাভিত্তিক সাক্ষরতা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যদি এতে আশানুরূপ ফলাফল হয়, তবে চেষ্টা থাকবে সেটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা শুধু দেশের নাগরিক না, আমরা এখন আন্তর্জাতিক নাগরিক। যোগাযোগ, যাতায়াত, অর্থনীতি, সবদিক দিয়ে বিশ্বটাই একটি একীভূত বিষয় হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক নাগরিক হয়ে উঠার জন্য আমাদের অন্য ভাষা চর্চা করা প্রয়োজন। আমাদের বাচ্চাদেরকে যদি বহু ভাষাভাষী করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে দেশ ঠিক হয়ে যাবে।’

সাক্ষরতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আশানুরূপ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের অধিকার। ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭নং অনুচ্ছেদে নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এ সাফল্যের জন্য আমরা ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার পেয়েছি। আমরা অবৈতনিক শিক্ষা ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। শুধু অবৈতনিক শিক্ষা নয়; আমরা উপবৃত্তি দিচ্ছি, বইপত্র দিচ্ছি। কোনো কোনো স্কুলে দুপুরের খাবার দেওয়া হচ্ছে; সেটিকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করছি।’

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক নুরজাহান খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভাইজ প্রমুখ।

গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পিএম
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত, অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন
গুচ্ছের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে অনিয়ম তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে কমিটির আহ্বায়ক এবং রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকা নির্বাচন ও মাইগ্রেশনে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না বিষয়টি তদন্ত করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
নতুন উপাচার্য পেল ৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়

পাঁচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। 

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য পদে বিশ্ববিদ্যালয়টির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য হিসেবে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান নিয়োগ পেয়েছেন। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের (কুয়েট) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এনটোমলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। আর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল।

স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে রাবি ও জাবির উপাচার্য সাময়িক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ চার বছর। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেন। কোথাও কোথাও তাদের পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আমানুল্লাহ
অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

বুধবার (২৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা দুয়েক দিনের মধ্যে তুলে ধরব।’

নিয়োগের শর্তানুযায়ী, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ থেকে ৪ বছর হবে; উপর্যুক্ত পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন; তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

কবির/সালমান/

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৪ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে বিলম্ব, হতাশ শিক্ষকরা

৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ পাওয়ার পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার পর ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট ২ হাজার ৫২০ জনকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। তারা সুপারিশকৃত পদে যোগদান করেন। অপরদিকে একই বিসিএস থেকে একই বছরের ৭ ডিসেম্বর ৩ হাজার ১৬৪ জনকে নন-ক্যাডারের বিভিন্ন পদে সুপারিশ করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। অধিকাংশরা যোগদান করতে পারলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত ২৭৬ জন প্রার্থীর যোগদান চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। 

গত ২৯ ও ৩০ জুন এবং ১ জুলাই ২০২৪ তারিখে সুপারিশকৃত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা সমাপ্তির প্রায় দুই মাস শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ পদে যোগদান করতে পারছেন না। ফলে তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত আশেক এলাহী খবরের কাগজকে বলেন, ‘ফল প্রকাশের নয় মাস হয়ে গেলেও আমরা যোগদান করতে না পারায় হতাশার মধ্যে আছি। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পারছি না। নিয়োগ না হওয়ায় নানা ধরনের ঝামেলার মধ্যে আছি। আমরা দ্রুত নিয়োগ চাই। অনেক প্রার্থীই মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

কবির/এমএ/