২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মূল্যায়নে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার নম্বর এবং বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলো সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রস্তুত করা হতে পারে।
বুধবার (২১ আগস্ট) আন্তশিক্ষা বোর্ডের আহ্বানে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সভায় এ অভিমত আসে। তবে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।
আর শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
শিক্ষা বোর্ডসংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল বেলা ১১টায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও সিস্টেম অ্যানালিস্টদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন মত উঠে আসে। করোনাকালীন সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফলাফল প্রস্তুত করার বিষয়টি বেশি আলোচিত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান এবং আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর তপন কুমার সরকার খবরের কাগজকে বলেন, ‘মূল্যায়নে বিভিন্ন পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। সভায় যেসব পদ্ধতির কথা আসছে, তা আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত করে জানাব।’
অন্যদিকে বুধবার বেলা ৩টায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি আছে। চেয়েছিলাম আরও বিশ্লেষণ করতে। কিন্তু আপনারা জানেন, যেসব ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এইচএসসির অর্ধেক পরীক্ষা হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলো এবং এসএসসিতে প্রাপ্ত ফলাফল মিলিয়ে হয়তো রেজাল্ট তৈরি করা হতে পারে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আমরা দ্রুত চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ সব পদে নিয়োগে শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সবার মতামত নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, সবাই নিরপেক্ষ পরামর্শ দেবেন।’
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছর থেকে বিভাগ বিভাজন থাকবে। এটা স্কুল পর্যায় থেকে না করা হলে কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। নতুন শিক্ষাক্রমেও যথাসম্ভব সংস্কার করা হবে। এবার পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে বড় ধরনের বাণিজ্য হবে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ঠিক সময়ে বই মুদ্রণ করার। পাঠ্যপুস্তক দৃষ্টিনন্দনও হবে।