ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
কম্পিউটারের সাহায্যে মানুষ অনেক জটিল কাজ সহজে সমাধান করছে। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

প্রবন্ধ রচনা

মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/দৈনন্দিন জীবনে 
বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান

(৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশের পর)

চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান: একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, ‘Our every share of life is attached to the gift of science’ অর্থাৎ আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। তেমনি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। বিজ্ঞানীরা আজ চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন আবিষ্কার করেছেন। আগে যেসব রোগে মানুষকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হতো আজ যেসব রোগব্যাধির নিরাময়ের জন্য উন্নততর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। কঠিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিও আজ আরোগ্য লাভ করে নতুন আশার সঞ্জীবনী মন্ত্রে উজ্জীবিত হচ্ছে। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিও আজ বাঁচার অধিকার রাখে। অধ্যাপক মাদাম কুরি ও পিয়েরে কুরির আবিষ্কৃত ‘রেডিয়াম’ ক্যানসার নিরাময়ে সহায়ক। বিজ্ঞান এখন মরণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে মানুষ ইচ্ছামতো চেহারা তৈরি করছে। পেনিসিলিন আবিষ্কারের মাধ্যমে বিজ্ঞানের অগ্রগতি আরও এক ধাপ এগিয়েছে। অধ্যাপক রল্টগেট রঞ্জনের আবিষ্কৃত রঞ্জনরশ্মি বা এক্স-রের মাধ্যমে মানুষের দেহের ভেতরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। কিডনি সংযোজন, ওপেন হার্ট সার্জারি, আল্ট্রাসনোগ্রাফির আবিষ্কার এখন চিকিৎসা ক্ষেত্রের অন্যতম সাফল্য। বর্তমানে বিজ্ঞানের নিত্যনতুন আবিষ্কারের ফলে মৃত্যুর হার অনেক কমে আসছে।

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান: আমাদের খাদ্য সংস্থানের জন্য আমরা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই একটি দেশের কৃষি উৎপাদন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিনিয়ত পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়ছে। এজন্য প্রয়োজন বাড়তি খাদ্য। আর সে কারণেই বিজ্ঞান কৃষিক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধন করেছে। চাষাবাদের জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে কলের লাঙল, পাওয়ার ট্রিলার, আগাছা নিড়ানির জন্য হস্তচালিত নিড়ানি, ধান কাটার কল হারভেস্টার, অধিক ফসল ফলানোর জন্য রাসায়নিক সার, কীটপতঙ্গ দমনে কীটনাশক ইত্যাদি বিজ্ঞানের অবদান। বিজ্ঞান কৃষিক্ষেত্রে এনেছে বিপ্লব, শিল্পে অচিন্তনীয় সাফল্য। পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের সাহায্যে মরু অঞ্চলকে শস্য শ্যামল করে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই রিঅ্যাক্টরের সুবিধা হলো, একে বিমানযোগে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে গিয়ে চালানো যায়। এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলাবদ্ধ ভূমির পানি নিষ্কাশন ও মরু অঞ্চলে পানি সেচ করে লাখ লাখ একর ভূমিকে কৃষিযোগ্য করা যায়। তা ছাড়া শীতপ্রধান দেশে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ‘গ্রিন হাউজ’ নামে এক বিশেষ ঘর ব্যবহার করা হয়। 

শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান: বিজ্ঞানের কল্যাণে পাঠ্যপুস্তক সহজলভ্য হয়েছে। লেখার কলম ও কাগজ, জ্ঞানার্জনের জন্য সংবাদপত্র ও পুস্তক আবিষ্কার করেছে এ বিজ্ঞান। ছাত্র সমাজের পরম বন্ধু বিজ্ঞান তাদের লেখার কাগজ বহন করে আনছে রেল স্টিমারে, আর তা ছাপা হচ্ছে ছাপাখানার বিদ্যুতের সাহায্যে। ক্লাসে মাথার ওপরে ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। অন্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য আবিষ্কার হয়েছে ব্রেইল পদ্ধতি। প্রতিবন্ধীদের জন্য বিজ্ঞান করছে নানা ব্যবস্থা। ইলেকট্রনিক্সের কল্যাণে হয়তো একবিংশ শতাব্দীতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ঘরে বসেই টিভির পর্দায় শিক্ষকের বক্তব্য শুনতে পারবে। টর্চ লাইট, বৈদ্যুতিক বাল্ব যেমন অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোতে চলার পথ করে দিয়েছে তেমনি কাগজ, কলম ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে মানুষ অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে মুক্তি ও আলোর পথনির্দেশ পেয়েছে।

আরো পড়ুন : মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ১ম পর্ব

অবসর বিনোদনে ও আমোদ-প্রমোদে বিজ্ঞানের অবদান: অবসর বিনোদনেরও মানুষের একান্ত আপনজন বিজ্ঞান। জীবনকে সুখী ও সুন্দর করার কাজে বিজ্ঞান নানাভাবে সাহায্য করছে মানুষকে। বিচিত্র পণ্যের বিস্ময়কর সমাবেশ, সিনেমা, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদির আবিষ্কার সমাজের চেহারাই বদলে দিচ্ছে। রেডিও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর আবিষ্কার  সিনেমা। অন্যান্য আমোদ-প্রমোদের উপকরণের সঙ্গে সিনেমার পার্থক্য আছে। সিনেমা গতিশীল এবং বাঙ্ময়। সিনেমা একই সঙ্গে আমাদের দর্শন এবং শ্রবণ শক্তিকে উদ্দীপ্ত করে। এখানে টেলিভিশনের কথা উঠতে পারে। বহু দূরের ও স্থানের বিভিন্ন ছবি সিনেমা ও টেলিভিশনে দেখানো হয়। এ সব উপকরণ সময় ও দূরত্বের বন্ধনকে যেভাবে অতিক্রম করে, আমোদ-প্রমোদের অন্য কোনো উপকরণই তা পারে না। এ কারণেই আমোদ-প্রমোদের ক্ষেত্রে সিনেমা ও টেলিভিশনের গুরুত্ব আজ সর্বজনবিদিত। বিজ্ঞানের কারণে সিনেমা, রেডিও টেলিভিশন ছাড়াও আজ বহু ধরনের আনন্দের উপকরণ আমাদের সামনে দেখতে পাওয়া যায়।

বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার: বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষের অভাব দূর হয়েছে, তারা আনন্দ লাভ করেছে, স্বাচ্ছন্দ্য পেয়েছে। সুতরাং প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞানের অবদান অনেক। কিন্তু এত কিছুর পরও মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই, তার তৃষ্ণা মেটেনি। ফলে মানুষ আবিষ্কার করেছে নানা ধরনের যন্ত্র ও মহাশূন্যে যাওয়ার  যান, যা বিজ্ঞানের অন্যতম কৃতিত্ব। দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে মানুষ আকাশের বহু গোপন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর বস্তু দেখতে পারছে। আর কম্পিউটারের সাহায্যে এমন সব কাজ করছে, যা  কিছুদিন আগে কল্পনাও করা যেত না। আর রোবট সে যেন মানুষের গোলাম। সে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের নানা কাজ করে দিচ্ছে। এভাবেই মানুষ বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মাধ্যমে মানব সভ্যতার উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষ প্রকৃতির ওপর উড়িয়েছে বিজ্ঞানের বিজয় কেতন। বিজ্ঞানের অবদান সম্পর্কে বারট্রান্ড রাসেল বলেছেন, 

‘Science is our guidence
Science is our animation’.

বিজ্ঞানের ক্ষতিকর দিক: ‘There is no any rose without thorn’ অর্থাৎ কাঁটা ছাড়া যেমন গোলাপ হয় না। তেমনি প্রত্যেকটি জিনিসের ভালোমন্দ উভয় দিক আছে। আমাদের জীবনে বিজ্ঞান শুধু আশীর্বাদ আনেনি, অভিশাপও এনেছে। যন্ত্রের ওপর নির্ভর করতে করতে মানুষের জীবনে এসেছে যন্ত্রনির্ভরতা, কর্মবিমুখতা। দিন দিন মানুষের সঙ্গে ঘনীভূত হচ্ছে কৃত্রিমতা ও অসৎ প্রবৃত্তি বেড়ে উঠছে । এক ফোঁটা অ্যাসিডের জন্য ঝলসে যাচ্ছে কত ফুলের মতো নিষ্পাপ মুখ। অবৈধ রিভলবারের মুখে হারিয়ে যাচ্ছে কত তাজা প্রাণ, নিঃশব্দে ঝরে যাচ্ছে কত মানুষ। কম্পিউটার এনেছে বেকার সমস্যা। টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিসিডি, সিনেমা, রেডিও এনেছে আমাদের সমাজে অপসংস্কৃতি আর এজন্য  যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় হচ্ছে। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংস হয়েছে এই দুটি  শহরের জনপদ, প্রাণ হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ, লাখ লাখ একর জমি চাষাবাদের অযোগ্য হয়েছে। ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ধ্বংসের কারণে তা থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার ফলে অনেক এলাকার ফসল নষ্ট হয়ে যায় এবং লাখ লাখ একর উর্বর জমি সম্পূর্ণ উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। টেলিভিশনের প্রতিফলিত রশ্মি মানুষের চোখের ক্ষতি করছে। অস্ত্রের ঝংকারে আজ প্রকম্পিত হচ্ছে পৃথিবীর আকাশ বাতাস। এতে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষতিকর দিক স্পষ্ট হয়ে উঠছে। 

উপসংহার: ভালোর পরশে মন্দের উপস্থিতি আলো আঁধারের মতো লুকোচুরি খেলবেই। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবদান তাই ভালোর সঙ্গে অপ্রীতিকর কিছু বৈকি। আর এজন্যই হয়তো বিজ্ঞানী হলডেন বলেছেন, ‘We need science more than ever beofore’ বাতাস ছাড়া যেমন জীবন চলতে পারে না তেমনি বিজ্ঞান ছাড়াও বর্তমান সভ্যতা নিষ্প্রাণ, নিস্পন্দন। তাই বর্তমান যুগে প্রতি মুহূর্তে এবং প্রতি পদক্ষেপে সভ্য জগৎ বিজ্ঞানের কাছে দায়বদ্ধ। বিজ্ঞানকে বাদ দিয়ে আজ জীবন ও সমাজের মুখচিত্র কল্পনাও করা যায় না।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

ব্যবসায় পরিবেশ অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এইচএসসি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
ব্যবসায় পরিবেশ অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এইচএসসি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র
বোর্ড পরীক্ষায় ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্রে এ প্লাস পেতে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর যথাযথ ও প্রাসঙ্গিকভাবে লিখবে। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

দ্বিতীয় অধ্যায় :  ব্যবসায় পরিবেশ

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে রাকিব মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে বাঁশ দিয়ে তৈরি শিশুদের খেলনার কারখানা স্থাপন করেন। এলাকার কয়েকজন শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি সুন্দর সুন্দর খেলনা তৈরি করে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হন, যা তার ব্যবসাকে বেশ লাভজনক করে তুলেছে। তিনি বর্তমানে আর্থিকভাবে বেশ সচ্ছল। তাই বিদেশে খেলনা রপ্তানির চিন্তা-ভাবনা করছেন।

(ক) অভ্যন্তরীণ পরিবেশ কী?
(খ) ব্যবসায়ের উন্নতিতে কেন অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের উপস্থিতি আবশ্যক? 
(গ) রাকিবের ব্যবসায় সফলতায় পরিবেশের কোন উপাদানের ভূমিকা সর্বাধিক? ব্যাখ্যা করো।
(ঘ) রাকিবের ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের অবদান তোমার নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ক. প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে বিদ্যমান অবস্থাগুলো ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে যে পরিবেশের জন্ম হয় তাকে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ বলে। 

খ. ব্যবসায়ের উন্নতিতে প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের অনুকূল উপস্থিতি আবশ্যক। অনুকূল জলবায়ু, প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ, উন্নত কাঁচামাল, নদী ও সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি উপাদানের উপস্থিতি ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নতিতে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তাই ব্যবসায়-বাণিজ্যের উন্নতিতে অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদানগুলোর উপস্থিতি আবশ্যক।

আরো পড়ুন : ব্যবসায়ের মৌলিক ধারণা অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব, এইচএসসি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র

গ. সস্তা এবং দক্ষ শ্রম উন্নতমানের পণ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সামাজিক পরিবেশের উপাদান সস্তা ও দক্ষ শ্রম রাকিবের ব্যবসায় সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার স্থাপিত  খেলনা কারখানায় এলাকার কয়েকজন শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টা সুন্দর খেলনা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাকিবের তৈরি করা সুন্দর খেলনা ক্রেতা ও ভোক্তাদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হওয়ায় তার বিক্রি ও লাভ বেড়ে যায়। ফলে তিনি আর্থিকভাবে বেশ সফলতা পেয়ে যান। 
তাই বলা যায়, সামাজিক পরিবেশের উপাদান সস্তা ও দক্ষ জনশক্তি রাকিবের ব্যবসায় সফলতার অন্যতম কারণ। দক্ষ শ্রম রাকিবের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি করেছে, তেমনি উৎপাদিত খেলনা মানসম্মতও হয়েছে। মানসম্মত পণ্যদ্রব্য ত্রেতাদের আকৃষ্ট করায় তার আয় বেড়েছে।

ঘ. রাকিবের ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কোনো সমাজের বা জাতির মানুষের সংখ্যা, তাদের ধর্ম,  বিশ্বাস, চিন্তাধারা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও দেশীয় ঐতিহ্য মিলে যে পারিপার্শ্বিকতা গড়ে ওঠে, তাকে সামাজিক পরিবেশ বলে। 
উদ্দীপকে সামাজিক পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সস্তা ও দক্ষ শ্রমের ওপর ভিত্তি করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায়  রাকিব একটি খেলনা কারখানা স্থাপন করেন। এলাকার কয়েকজন দক্ষ শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে তিনি প্রচুর মানসম্মত খেলনা উৎপাদনে সক্ষম হন। এসব খেলনা দেশের ক্রেতাদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হওয়ায় তিনি ব্যবসায় সফলতা অর্জন করেন। তাই বলা যায়, ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। রাকিব মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় একটি খেলনা কারখানা স্থাপন করেন। তিনি দক্ষ শ্রমিকের নিরলস প্রচেষ্টায় প্রচুর মানসম্মত খেলনা  উৎপাদন ও বিক্রির মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করেন, যা তাকে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা এনে দেয়। তাই বলা যায়, সুমনের ব্যবসায় স্থাপন ও উন্নয়নে সামাজিক পরিবেশের উপাদান ও দক্ষ শ্রমই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে আমি মনে করি।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান 
ব্যবস্থাপনা বিভাগ, মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা

কবীর

Unit-2, Lesson-1-এর Flow Chart ও Summary Writing লিখন, ৩য় পর্ব, এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
Unit-2, Lesson-1-এর Flow Chart ও Summary Writing লিখন, ৩য় পর্ব, এইচএসসি ইংরেজি ১ম পত্র
স্বপ্নের মধ্যে যেকোনো চিত্র, চিন্তাভাবনা এবং আবেগ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা আমরা ঘুমের সময় অনুভব করি। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

Unit-2, Lesson-1
Question no. 2 & 3

1. Read the following passage and make a flow chart mentioning the abilities that we gain from education. 

Education gives us knowledge and a set of abilities to function meaningfully in life, such as the ability to decide things rationally and make right choices. As we learn how to read, write and do the basic operations of arithmetic, we gain a degree of self-confidence. We learn to think for ourselves and articulate our thoughts; we pick up skills to communicate with others and manage our affairs well. Education helps us think independently and make our own opinions. As we know more about the world, we appreciate the good things it offers us but also become critical of the deviation from the values it imparts and the rise of hatred or conflicts that follows.

আরো পড়ুন : Unit-1, Lesson-3-এর Flow Chart ও Summary Writing লিখন , ২য় পর্ব

Write a summary of the following text.

Dreams have fascinated philosophers for thousands of years, but only recently have dreams been subjected to empirical research and scientific study. Chances are that you’ve often found yourself puzzling over the content of a dream or perhaps you’ve wondered why you dream at all. First let’s start by answering a basic question: What is a dream? A dream can include any of the images, thoughts and emotions that are experienced during sleep. Dreams can be extraordinarily vivid or very vague; filled with joyful emotions or frightening images; focused and understandable or unclear and confusing. Why do we dream? What purpose do dreams serve? While many theories have been proposed, no consensus has emerged. Considering the time we spend in a dreaming state, the fact that researchers do not yet understand the purpose of dreams may seem baffling. However, it is important to consider that science is still unraveling the exact purpose and function of sleep itself. Some researchers suggest that dreams serve no real purpose, while others believe that dreaming is essential to mental, emotional and physical well-being.

Ans: Dreams have fascinated philosophers for thousands of years; only recently dreams been brought under empirical research and scientific study. A dream can include any of the images, thoughts and emotions that we experience during sleep. Moreover, dreams can be extraordinarily vivid or very vague focused and understandable or unclear and confusing. Though many theories have been proposed, no consensus has emerged: some researchers suggest that dreams serve no real purpose, but others believe that dreaming is essential to mental, emotional and physical well-being.

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ
ঢাকা কমার্স কলেজ, ঢাকা

কবীর

জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৪

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৪
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত


জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট : ‘সি’ ইউনিট, - ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। নিচের কোন দলিলের জন্য আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়-
(ক) বিমা প্রিমিয়াম     (খ) আয় বিবরণী     
(গ) উদ্বৃত্তপত্র          (ঘ) নাগরিকত্ব সনদপত্র 
(ঙ) উপরের সবগুলো 

উত্তর: (খ) আয় বিবরণী।

২। নিচের কোনটি তফসিলী ব্যাংক নয়? 
(ক) রূপালী ব্যাংক লিমিটেড    
(খ) ন্যাশনাল ব্যাংক লি.     
(গ) মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি.
(ঘ) গ্রামীণ ব্যাংক     
(ঙ) উপরের কোনোটিই নয়

উত্তর: (ঘ) গ্রামীণ ব্যাংক।

৩। কোন ধরনের ব্যাংক ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে?
(ক) বাণিজ্যিক ব্যাংক     (খ) সমবায় ব্যাংক     
(গ) শিল্প ব্যাংক              (ঘ) কৃষি ব্যাংক     
(ঙ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক 

উত্তর: (ঙ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরো পড়ুন : জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৩

৪। নিচের কোনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ‘জীবন শোণিত’? 
(ক) আমানত     (খ) ঋণ     
(গ) নগদ           (ঘ) বন্ড     
(ঙ) উপরের সবগুলো 

উত্তর: (ঙ) উপরের সবগুলো।

৫। বিএসআরএসের উদ্দেশ্য হলো-
(ক) কৃষি উন্নয়ন     
(খ) শেয়ার বাজার উন্নয়ন     
(গ) কুটিরশিল্প উন্নয়ন     
(ঘ) শিল্প উন্নয়ন    
(ঙ) উপরের সবকটি

উত্তর: (ঘ) শিল্প উন্নয়ন।

৬। নিচের কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়? 
(ক) মুদ্রা জারি করা     (খ) ঋণ নিয়ন্ত্রণ     
(গ) ক্লিয়ারিং হাউস     (ঘ) ঋণ দেওয়া    
(ঙ) ব্যাংকগুলোর ব্যাংক

উত্তর: (ঘ) ঋণ দেওয়া।

৭। নিচের কোন ব্যাংক, আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক হিসেবে বিবেচিত? 
(ক) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক     
(খ) ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক    
(গ) স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক 
(ঘ) ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন     
(ঙ) ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট 

উত্তর: (ক) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৭টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৭টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন করছে। ছবি-সংগৃহীত

প্রথম অধ্যায় : পৌরনীতি ও নাগরিকতা

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

৯। রাষ্ট্র কাকে বলে?
উত্তর: যে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সুসংগঠিত সরকার, সার্বভৌম আধিপত্য এবং স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জনসমষ্টি রয়েছে তাকে রাষ্ট্র বলে।

১০। মাতৃতান্ত্রিক পরিবার কী?
উত্তর: যে পরিবারে মা-ই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সেই পরিবারই মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। 

১১। পৌরনীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পৌরনীতি বলতে সে বইকে বোঝায়, যে বইয়ে নাগরিক ও নাগরিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ের ধারাবাহিক পর্যালোচনা করা হয়।

১২। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ই এম হোয়াইট প্রদত্ত পৌরনীতির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ই এম হোয়াইট প্রদত্ত পৌরনীতির সংজ্ঞা হচ্ছে- পৌরনীতি হলো জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা, যা নাগরিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সঙ্গে জড়িত সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।

আরো পড়ুন : পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৮টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব

১৩। পরিবার কাকে বলে?
উত্তর: বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এক বা একাধিক পুরুষ ও নারী, তাদের সন্তানাদি, বাবা-মা এবং অন্যান্য পরিজন নিয়ে যে সংগঠন গড়ে ওঠে, তাকে পরিবার বলে।

১৪। সমাজ কাকে বলে?
উত্তর: একদল জনগোষ্ঠী যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, তখন তাকে সমাজ বলা হয়।

১৫। সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূলকথা কী?
উত্তর: সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূলকথা হলো সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।

লেখক : সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)
লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ 

কবীর

১টি ব্যক্তিগত পত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
১টি ব্যক্তিগত পত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

ব্যক্তিগত পত্র 

১। মনে করো, তোমার নাম দুরন্ত। তোমার বন্ধুর নাম রাহুল। সে খুলনায় থাকে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ।

শাহজাহানপুর, ঢাকা
ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫ 

প্রিয় রাহুল,

আমার শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে আমাদের স্কুলে ‘বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব’ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। তোমাকে সেগুলো জানাতেই এ চিঠি লিখছি। 
তুমি তো জানো, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে গাছ কাটছে ও বন উজাড় করছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। তুমি হয়তো জানো, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূখণ্ডের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। বরং যা আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে মানুষের প্রয়োজনে স্থাপন করা হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায়

আরো পড়ুন : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব

যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। কমছে বাতাসের ওজোন স্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তা ছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ হয় গাছের মাধ্যমে। গাছ থেকে সংগ্রহ করা কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সমাজের মানুষকে আরও সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলে আমরা বাঁচব।
আজ এই পর্যন্তই। তোমার মা-বাবাকে আমার সালাম দিও। তোমার চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।


ইতি
তোমার বন্ধু
দুরন্ত

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর