ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং অধ্যায়ের ১৪টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৮ম পর্ব, এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং অধ্যায়ের ১৪টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৮ম পর্ব, এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
Wi-MAX বেস স্টেশনের কাভারেজ এরিয়া ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

দ্বিতীয় অধ্যায় : কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

৮৩. জন্মলগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত মোবাইল ফোন কয়টি প্রজন্মে বিভক্ত?
ক. ২টি প্রজন্মে      খ. ৩টি প্রজন্মে
গ. ৪টি প্রজন্মে       ঘ. ৫টি প্রজন্মে

৮৪. WiFi-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
i. ফুল ডুপ্লেক্স মোড ব্যবহৃত হয়
ii. ক্যাবলের প্রয়োজন নেই
iii. কভারেজ এরিয়া ৫০ থেকে ২০০ মিটার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii      খ. i ও iii
গ. ii ও iii    ঘ. i, ii ও iii

৮৫. নিচের কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহারের জন্য কোন লাইসেন্স বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়?
ক. ওয়াইফাই                   খ. ওয়াইম্যাক্স  
গ. মোবাইল নেটওয়ার্ক     ঘ. ব্লুটুথ

৮৬. নিচের কোনটি WiFi-এর IEEE স্ট্যান্ডার্ড? 
ক. ৮০২.১১    খ. ৮০২.১৫
গ. ৮০২.১৬    ঘ. ৮০২.১৭

৮৭. নিচের কোনটি Wi-Fi-এর কাভারেজ এরিয়া?
ক. ১০ থেকে ২০ মিটার
খ. ২০ থেকে ৫০ মিটার
গ. ১০ থেকে ২০ মিটার
ঘ. ৫০ থেকে ২০০ মিটার

৮৮. Wi-MAX-এর পূর্ণরূপ কী?
ক. Wireless Maximum
খ. Worldwide Interoperability for Microwave Access
গ. Worldwide Internet for Microwave Access
ঘ. Worldwide Internet for Maximum Access

৮৯. প্যাকেট সুইচিং ডেটা ট্রান্সমিশনের ব্যবহার শুরু হয় কোন প্রজন্মের মোবাইলে?
ক. প্রথম প্রজন্মের    খ. দ্বিতীয় প্রজন্মের
গ. তৃতীয় প্রজন্মের    ঘ. চতুর্থ প্রজন্মের

৯০. কোনটি Wi-MAX বেস স্টেশনের কাভারেজ এরিয়া?
ক. ১০ থেকে ২০ মিটার
খ. ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটার
গ. ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার
ঘ. ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার

আরো পড়ুন : কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং অধ্যায়ের ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৭ম পর্ব

৯১. প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ব্যবহার কোন সালে শুরু হয়?
ক. ১৯৭১ সালে    খ. ১৯৭৩ সালে
গ. ১৯৭৫ সালে    ঘ. ১৯৭৯ সালে

৯২. কোন কোম্পানি প্রথম সেলুলার ফোন উৎপাদন শুরু করে?
ক. NOKIA    খ. NTC
গ. NTTC       ঘ. ALCATEL

৯৩. GSM প্রযুক্তির সুবিধা হলো-
i. রোমিং সুবিধা বেশি পাওয়া যায়
ii. বিদ্যুৎ খরচ কম হয়
iii. সিম পরিবর্তন করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii    খ. i ও iii
গ. ii ও iii    ঘ. i, ii ও iii

৯৪. DSL-এর পূর্ণরূপ কী?
ক. Digital Subscriber Link
খ. Digital System Link
গ. Discrete Subscriber Line
ঘ. Digital Subscriber Line

৯৫. ডিজিটাল ট্রান্সমিশন চালু করা হয় কোন প্রজন্মের মোবাইলে?
ক. প্রথম প্রজন্মের    খ. দ্বিতীয় প্রজন্মের
গ. তৃতীয় প্রজন্মের    ঘ. চতুর্থ প্রজন্মের

৯৬. কোন নেটওয়ার্কে প্রি-পেইড সিস্টেম চালু রয়েছে?
ক. প্রথম প্রজন্মের নেটওয়ার্কে
খ. দ্বিতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্কে
গ. তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্কে
ঘ. চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্কে

উত্তর: ৮৩. ঘ, ৮৪. ঘ, ৮৫. খ, ৮৬. ক, ৮৭. ঘ, ৮৮. খ, ৮৯. গ, ৯০. গ, ৯১. ঘ, ৯২. গ, ৯৩. ঘ, ৯৪.  ঘ, ৯৫.খ, ৯৬. খ।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৪

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৪
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত


জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট : ‘সি’ ইউনিট, - ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। নিচের কোন দলিলের জন্য আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়-
(ক) বিমা প্রিমিয়াম     (খ) আয় বিবরণী     
(গ) উদ্বৃত্তপত্র          (ঘ) নাগরিকত্ব সনদপত্র 
(ঙ) উপরের সবগুলো 

উত্তর: (খ) আয় বিবরণী।

২। নিচের কোনটি তফসিলী ব্যাংক নয়? 
(ক) রূপালী ব্যাংক লিমিটেড    
(খ) ন্যাশনাল ব্যাংক লি.     
(গ) মার্কেন্টাইল ব্যাংক লি.
(ঘ) গ্রামীণ ব্যাংক     
(ঙ) উপরের কোনোটিই নয়

উত্তর: (ঘ) গ্রামীণ ব্যাংক।

৩। কোন ধরনের ব্যাংক ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করে?
(ক) বাণিজ্যিক ব্যাংক     (খ) সমবায় ব্যাংক     
(গ) শিল্প ব্যাংক              (ঘ) কৃষি ব্যাংক     
(ঙ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক 

উত্তর: (ঙ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আরো পড়ুন : জেএসটি গুচ্ছভুক্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর: ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, পর্ব-২৩

৪। নিচের কোনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ‘জীবন শোণিত’? 
(ক) আমানত     (খ) ঋণ     
(গ) নগদ           (ঘ) বন্ড     
(ঙ) উপরের সবগুলো 

উত্তর: (ঙ) উপরের সবগুলো।

৫। বিএসআরএসের উদ্দেশ্য হলো-
(ক) কৃষি উন্নয়ন     
(খ) শেয়ার বাজার উন্নয়ন     
(গ) কুটিরশিল্প উন্নয়ন     
(ঘ) শিল্প উন্নয়ন    
(ঙ) উপরের সবকটি

উত্তর: (ঘ) শিল্প উন্নয়ন।

৬। নিচের কোনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ নয়? 
(ক) মুদ্রা জারি করা     (খ) ঋণ নিয়ন্ত্রণ     
(গ) ক্লিয়ারিং হাউস     (ঘ) ঋণ দেওয়া    
(ঙ) ব্যাংকগুলোর ব্যাংক

উত্তর: (ঘ) ঋণ দেওয়া।

৭। নিচের কোন ব্যাংক, আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক হিসেবে বিবেচিত? 
(ক) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক     
(খ) ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক    
(গ) স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক 
(ঘ) ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন     
(ঙ) ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট 

উত্তর: (ক) এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৭টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৭টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন করছে। ছবি-সংগৃহীত

প্রথম অধ্যায় : পৌরনীতি ও নাগরিকতা

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

৯। রাষ্ট্র কাকে বলে?
উত্তর: যে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সুসংগঠিত সরকার, সার্বভৌম আধিপত্য এবং স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জনসমষ্টি রয়েছে তাকে রাষ্ট্র বলে।

১০। মাতৃতান্ত্রিক পরিবার কী?
উত্তর: যে পরিবারে মা-ই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সেই পরিবারই মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। 

১১। পৌরনীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: পৌরনীতি বলতে সে বইকে বোঝায়, যে বইয়ে নাগরিক ও নাগরিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ের ধারাবাহিক পর্যালোচনা করা হয়।

১২। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ই এম হোয়াইট প্রদত্ত পৌরনীতির সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ই এম হোয়াইট প্রদত্ত পৌরনীতির সংজ্ঞা হচ্ছে- পৌরনীতি হলো জ্ঞানের সেই মূল্যবান শাখা, যা নাগরিকতার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবতার সঙ্গে জড়িত সব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে।

আরো পড়ুন : পৌরনীতি ও নাগরিকতা অধ্যায়ের ৮টি জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব

১৩। পরিবার কাকে বলে?
উত্তর: বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এক বা একাধিক পুরুষ ও নারী, তাদের সন্তানাদি, বাবা-মা এবং অন্যান্য পরিজন নিয়ে যে সংগঠন গড়ে ওঠে, তাকে পরিবার বলে।

১৪। সমাজ কাকে বলে?
উত্তর: একদল জনগোষ্ঠী যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, তখন তাকে সমাজ বলা হয়।

১৫। সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূলকথা কী?
উত্তর: সামাজিক চুক্তি মতবাদের মূলকথা হলো সমাজে বসবাসকারী জনগণের পারস্পরিক চুক্তির ফলে রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে।

লেখক : সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)
লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ 

কবীর

১টি ব্যক্তিগত পত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
১টি ব্যক্তিগত পত্র লিখন, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

ব্যক্তিগত পত্র 

১। মনে করো, তোমার নাম দুরন্ত। তোমার বন্ধুর নাম রাহুল। সে খুলনায় থাকে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ।

শাহজাহানপুর, ঢাকা
ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৫ 

প্রিয় রাহুল,

আমার শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে আমাদের স্কুলে ‘বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব’ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। তোমাকে সেগুলো জানাতেই এ চিঠি লিখছি। 
তুমি তো জানো, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে গাছ কাটছে ও বন উজাড় করছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। তুমি হয়তো জানো, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূখণ্ডের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। বরং যা আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে মানুষের প্রয়োজনে স্থাপন করা হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায়

আরো পড়ুন : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব

যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। কমছে বাতাসের ওজোন স্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তা ছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ হয় গাছের মাধ্যমে। গাছ থেকে সংগ্রহ করা কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের সমাজের মানুষকে আরও সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলে আমরা বাঁচব।
আজ এই পর্যন্তই। তোমার মা-বাবাকে আমার সালাম দিও। তোমার চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।


ইতি
তোমার বন্ধু
দুরন্ত

লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

তাহারেই পড়ে মনে কবিতার ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ৬ষ্ঠ পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
তাহারেই পড়ে মনে কবিতার ৪টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ৬ষ্ঠ পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

কবিতা : তাহারেই পড়ে মনে 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন: প্রিয়জন হারানোর বেদনা কীভাবে মানুষের মনে চিরজাগ্রত থাকে? ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতা অবলম্বনে তা লেখ।
উত্তর: প্রিয়জন হারানোর বিষাদঘন বেদনা মানুষকে তিলে তিলে কষ্ট দেয়, অব্যক্ত শূন্যতায় ভারাক্রান্ত করে। কবি সুফিয়া কামাল ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় তার ব্যক্তিজীবনের এমন বেদনার স্মৃতিকেই তুলে ধরেছেন। 
প্রিয়জন হারানোর বেদনা মানুষকে ক্রমান্বয়ে বিষণ্ন ও উদাস করে তোলে। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি ও কবিভক্তের সংলাপে কবির নিরাসক্ত উদাস ভাবটি সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবি শীতের রিক্ততা ভুলতে পারেননি, এ রিক্ততা আসলে প্রিয়জন হারানোর বিষাদরূপ। কারণ তার মনোজগতে প্রিয়জন হারানোর ব্যথা গভীর হয়ে বারবার উঁকি দিচ্ছে। প্রিয় মানুষটিকে হারানোর বেদনা কবিকে জীবনবিমুখ করে তুলেছে,  কেননা তিনি নিরাসক্ত বিষণ্ন এক মানুষ। হৃদয়ের গভীর ক্ষতকে চাইলেই ভোলা যায় না- এ তারই প্রমাণ।

প্রশ্ন: ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির যে বিষাদঘন একাকিত্বের বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: কবি সুফিয়া কামাল রচিত ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটিতে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় কবির শোকের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটেছে, যেখানে একাকিত্বের গভীর বিষাদ-সুর প্রকট হয়েছে।
স্বজন হারানোর বেদনা বা মৃত্যুজনিত হাহাকার মানুষকে কেমন বদলে দিতে পারে, তা ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবির অনুভূতি থেকে দেখা যায়। প্রিয়জন হারিয়ে একাকী জীবনযাপন করতে থাকা কবি এতটাই উদাসীন হয়ে পড়েন যে, প্রকৃতিতে শীত চলে গিয়ে বসন্তের আগমন ঘটলেও কবি তা অনুভব করেননি। কবিভক্ত কবিকে বসন্ত বন্দনামূলক গান রচনা করতে অনুরোধ করলেও সাড়া দেন না কবি। কারণ কবির মনে যে বিষাদময় স্মৃতি বারবার ফিরে আসে, তা কিছুতেই ভুলতে পারেন না কবি। কবির এই বিষাদময়তা ও একাকিত্বের প্রভাব তার কাব্য সৃষ্টিতেও বাধা দিয়েছে।

আরো পড়ুন : তাহারেই পড়ে মনে কবিতার ৪টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ৫ম পর্ব

প্রশ্ন: ‘অলখের পাথার বাহিয়া’-কথাটির মর্মার্থ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার এ চরণে সুদূরতম কোনো স্থানের ইঙ্গিত দেওয়ার লক্ষ্যে কবি ‘অলখের পাথার বাহিয়া’ চিত্রকল্পের অবতারণা করেছেন।
‘অলখের পাথার বাহিয়া’-বাক্যটির আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় দৃষ্টিসীমার বাইরে সমুদ্রপথ থেকে ছুটে আসা কোনো কিছু। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় স্মৃতিভারাক্রান্ত কবির মনে বসন্তের আগমনের দৃশ্যের দূরত্ব বোঝাতে এই চিত্রকল্পটি ব্যবহৃত হয়েছে। বসন্তে আসা হাওয়া যে অতি দূর সমুদ্র থেকে আমাদের প্রকৃতিতে প্রবেশ করে, তা কবি জানতেন। কবির হৃদয়ে যেন বসন্তের আগমনের মতোই সুদূর সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে কোনো এক সুখকর স্মৃতি দুয়ারে এসে হানা দেয়। এখানে প্রিয়-মানুষটির চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার প্রতিও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতি আর মানবমন এখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। 

প্রশ্ন: ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় শীত ঋতুকে যার সঙ্গে তুলনা করেছেন, তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি শীত ঋতুকে মাঘের সন্ন্যাসীর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা কবির রিক্ততার অনুভূতিকেই প্রকাশ করেছে। 
শীত মানেই রিক্ততা, ফল ও ফসলশূন্যতা। শীত ঋতুতে  নিঃস্বতা ও রিক্ততার যে ছবি দেখা যায় তাতে প্রকৃতিকে সন্ন্যাসীর মতো অলংকারহীন মনে হয়। কবি সুফিয়া কামাল ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় শীতের রিক্ত ও জরাজীর্ণতাকে বোঝাতে শীত ঋতুকে মাঘের সন্ন্যাসী বলে উল্লেখ করেছেন। শীত ঋতুতে চারদিকে পাতাবিহীন গাছে যে প্রাকৃতিক রুক্ষতা তৈরি হয়, তা দৃশ্যত সন্ন্যাসীর মতোই মনে হয়। আসলে প্রিয়হারা কবিও তার ভগ্ন হৃদয়কে শীতরূপী সন্ন্যাসীর মতোই ভেবেছেন।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর

এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ, পেছাল গণিত পরীক্ষা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ, পেছাল গণিত পরীক্ষা
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। ছবি- সংগৃহীত

২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের গণিত  বিষয়ের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। গণিত বিষয়ের এ পরীক্ষা আগামী ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নতুন এই রুটিন প্রকাশ করেছে।

এর আগে গণিত বিষয়ের পরীক্ষা ২০ এপ্রিল ইস্টার সানডের ছুটির দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নানা আলোচনার পর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গণিতের পরীক্ষা পিছিয়ে নতুন রুটিন প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নতুন সংশোধিত রুটিন অনুযায়ী ২০২৫ সালের এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে। এ পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। 

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন নিচে দেওয়া হলো-

২০২৫ সালের এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা আগামী ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। নিচে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার সূচি দেওয়া হলো-

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার নতুন রুটিন দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

কবীর