ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, এসএসসি বাংলা ২য় পত্র
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দল। ছবি- সংগৃহীত

প্রবন্ধ রচনা

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ

ভূমিকা: ইংল্যান্ডের সীমানা পেরিয়ে ক্রিকেট বহু আগেই বিশ্বের একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশেও ক্রিকেট নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। দেশের সর্বত্রই ক্রিকেট এখন জনপ্রিয় খেলা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি মর্যাদাপূর্ণ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেট: উপমহাদেশে ক্রিকেটের আগমন হয় ইংরেজদের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক শাসনামলে। তখন ক্রিকেট ছিল মূলত কলকাতা কেন্দ্রিক। ১৯৮৭ সালের পর থেকে ঢাকাতে ক্রিকেট খেলা জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে  স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে নতুনভাবে  ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড’ (বিসিসিবি), যা বর্তমানে ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোড’ (বিসিবি) নামে পরিচিত।

বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ: বাংলাদেশ ১৯৭৭ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে। ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফিতে অংশ নেয় বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে। এরপর ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয় ষষ্ঠ আইসিসি ট্রফিতে অংশ নেয় এবং ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে জয়লাভ করে। জয়ের আনন্দ পুরো বাংলাদেশ ছুঁয়ে যায়। কারণ, এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বাংলাদেশ দল ১৯৯৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে কেনিয়াকে হারিয়ে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় লাভ করে। এরপর  ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা দক্ষতা অর্জন করতে থাকে। ২০০৫ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে জিম্বাবুয়েকে ৩-২ ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ জয় লাভ করে। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ ম্যাচে হারিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ করে। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। এই অভূতপূর্ব বিজয়ে বিশ্ব  নতুন একটি ক্রিকেট পরাশক্তির আবির্ভাব লক্ষ করে। বাংলাদেশে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় বিশ্বের প্রতিটি ক্রিকেট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে জয়লাভ করেছে।

আরো পড়ুন : মানবকল্যাণে বিজ্ঞান/বিজ্ঞানের অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ২য় পর্ব

আইসিসি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ: ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ছয়টি আসরে অংশ নেয়। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশ নেয় দলটি। প্রথম বিশ্বকাপেই স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করে বাংলাদেশ দল। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সেরা আট-এ এবং ২০১৫ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে আশানুরূপ ফল না পেলেও এই খেলায় বড় বড় দলকে হারিয়ে বাংলাদেশ দল নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়।

টেস্ট খেলার মর্যাদা অর্জন: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টেস্ট খেলুড়ে দলের মর্যাদা লাভ করে ২০০০ সালে। ওই বছর ১৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় বাংলাদেশ দলের। অভিষেক টেস্টেই আমিনুল ইসলাম বুলবুল ১৪৫ রান করেন, আর নাইমুর রহমান দুর্জয় পান ৬ উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হেরে যায় বাংলাদেশ। পরের বছর অর্থাৎ ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সেঞ্চুরি করে মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয় পায়।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ: ২০০৫ সালে ৫০ ওভারের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও পাঁচ দিনের টেস্ট-এর সঙ্গে যুক্ত হয় ২০ ওভারের খেলা টি-টোয়েন্টি। এতে একটি দল সর্বোচ্চ ২০ ওভার ব্যাট করতে পারে। বাংলাদেশ ২০০৬ সাল থেকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে আসছে।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট: ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্রিকেট লিগ শুরু হয়। ১৯৭৪-৭৫ সালে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালু হয়। এ সময় থেকে জেলা পর্যায়েও ক্রিকেট লিগ চলতে থাকে। ১৯৯৯ সালে দেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা চালু হয়। তবে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) যাত্রা শুরু করে, যা বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে একটি চমৎকার সংযোজন। ঘরোয়া ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষকতা নতুন খেলোয়াড় তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ: একাধিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টেস্ট খেলায় যোগ্যতা অর্জনের আগেই আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ ১৯৯৮ সালে আয়োজনের দায়িত্ব পায়। ২০১১ সালে বিশ্বকাপের দশম আসরের অন্যতম আয়োজকের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ভার পড়ে বাংলাদেশের ওপর। বাংলাদেশের জনগণ ও সংশ্লিষ্টদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, খুলনার শেষ আবু নাসের স্টেডিয়াম, সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেট অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় আরও কিছু স্টেডিয়াম রয়েছে।

বাংলাদেশে ক্রিকেটের প্রভাব: পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করে। ক্রিকেট এ দেশের মানুষের দেশপ্রেমকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্রিকেটের কারণে বাংলাদেশের নাম পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। আবার বাংলাদেশের মানুষও পৃথিবীর নানা প্রান্তের সঙ্গে ভাববিনিময় করতে পারছে। ক্রিকেট একই সঙ্গে বিজ্ঞাপন, বাণিজ্য ও অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের জন্য ক্রিকেট আরেকটি সুফল বয়ে এনেছে, তা হলো-পর্যটনের বিকাশ। বিশ্বের নানা দেশ থেকে আগত খেলোয়াড়, ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সদস্য এবং ভক্তকুল বাংলাদেশে বেড়াতে আসে এবং পর্যটন এলাকাগুলোয় ভ্রমণ করে। এতে একদিকে বিশ্বময় বাংলাদেশের পর্যটন-স্থানের নাম ছড়িয়ে পড়ছে, অন্যদিকে সমৃদ্ধ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
বাংলাদেশের মানুষের জাতীয়তাবোধের বিকাশেও ক্রিকেট খেলা ভূমিকা রাখছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খেলা শুরুর আগে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজতে শুনলে এ দেশের মানুষের মনে জাতীয়তাবোধের সঞ্চার হয়। তখন নিজের দেশের প্রতি এক ধরনের ভালোবাসা জন্ম নেয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যখন বিশ্বখ্যাত কোনো দলকে পরাজিত করে, তখন যে আনন্দ হয়, তা দেশপ্রেমেরই আনন্দ।

উপসংহার: বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট খেলা পছন্দ করে। ক্রিকেটের সঙ্গে এ দেশের কোটি কোটি মানুষের আবেগ জড়িত। তাই বাংলাদেশের বিজয়ে গোটা দেশ যেমন বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে, আবার তাদের পরাজয়ে মুষড়ে পড়ে। তবে কোনো পরাজয়েই দেশবাসী খেলোয়াড়দের প্রতি আস্থা হারায় না। তাদের সমর্থন ও উৎসাহ দিয়ে যায়, যাতে পরবর্তী খেলায় খেলোয়াড়রা সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারে। ক্রিকেটের উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের উচিত নতুন খেলোয়াড় তৈরিতে ভূমিকা রাখা, উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতি আরও যত্নবান হওয়া এবং ক্রিকেটবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা।

লেখক :  সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা

কবীর

আঠারো বছর বয়স কবিতার ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৪র্থ পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০০ পিএম
আঠারো বছর বয়স কবিতার ১টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৪র্থ পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

কবিতা : আঠারো বছর বয়স

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন: ‘বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার এ চরণে কবি তরুণ্যের দুর্বার গতি প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন। আঠারো বছর বয়স প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর। দুঃসাহসিক প্রত্যয়ে জীবনের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একমাত্র তারুণ্যের পক্ষেই সম্ভব বিজয় ছিনিয়ে আনা। তাই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তারুণ্যের দুর্বার গতিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উপমা হিসেবে ‘বাষ্পের বেগ’ ও ‘স্টিমার’ শব্দগুলোর সন্নিবেশ

আরো পড়ুন : আঠারো বছর বয়স কবিতার ১৯টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব

ঘটিয়েছেন। তার মতে, তরুণরা যেন স্টিমারের গতিবেগের মতোই বাতাসের বেগে ছুটে চলে। জীবন ও জগতের কল্যাণ এবং অকল্যাণকর উভয় ক্ষেত্রেই তরুণরা তার এই গতিকে কাজে লাগাতে পারে। তবে কবির মতে, তরুণরা এই গতিশক্তিকে শুধু কল্যাণকর কাজেই প্রয়োগ করলে বিশ্ব এগিয়ে যাবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর

আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য অধ্যায়ের ৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০১ পিএম
আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য অধ্যায়ের ৮টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- খবরের কাগজ

তৃতীয় অধ্যায় : আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১৩। রাষ্ট্র সৃষ্টির আগে কীসের মাধ্যমে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রিত হতো?
ক) ন্যায়বোধ     খ) সংবিধান 
গ) ধর্ম               ঘ) প্রথা

১৪। সামাজিক স্বাধীনতা হলো-
i. শিক্ষা লাভের স্বাধীনতা
ii. পরিবার গঠনের স্বাধীনতা
iii. ধর্ম পালনের স্বাধীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii      খ) i ও iii 
গ) ii ও iii     ঘ) i, ii ও iii

১৫। আইন সাধারণত কত ধরনের?
ক) ২ ধরনের    খ) ৩ ধরনের
গ) ৪ ধরনের     ঘ) ৫ ধরনের

১৬। কোনটি সর্বজনীন?
ক) আইন     খ) নিয়ম 
গ) প্রথা         ঘ) রীতিনীতি

১৭। মতামত প্রকাশ কোন ধরনের সাম্য?
ক) সামাজিক      খ) ব্যক্তিগত 
গ) রাজনৈতিক     ঘ) সাংস্কৃতিক

আরো পড়ুন : আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য অধ্যায়ের ৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ১ম পর্ব

১৮। বৈধ পেশা গ্রহণ কোন ধরনের সাম্য?
ক) অর্থনৈতিক         খ) ব্যক্তিগত 
গ) রাজনৈতিক         ঘ) সামাজিক

১৯। সাম্যের বিভিন্ন রূপ হলো-
i. অর্থনৈতিক সাম্য
ii. সামাজিক সাম্য
iii. জাতীয় সাম্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii     খ) i ও iii 
গ) ii ও iii     ঘ) i, ii ও iii

২০। কোন দেশের অধিকাংশ আইন প্রথার ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে?
ক) ভারত          খ) চীন 
গ) যুক্তরাজ্য     ঘ) যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর: ১৩. ঘ, ১৪. ক, ১৫. খ, ১৬. ক, ১৭. গ, ১৮. ক, ১৯. খ, ২০. গ।

লেখক :  সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান)
লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ 

কবীর

আঠারো বছর বয়স কবিতার ১৯টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
আঠারো বছর বয়স কবিতার ১৯টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

কবিতা : আঠারো বছর বয়স

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

৬। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় ‘আঠারো বছর’ শব্দটি কতবার ব্যবহার হয়েছে?
উত্তর: সাতবার।

৭। সুকান্ত ভট্টাচার্য কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উত্তর: দৈনিক স্বাধীনতা পত্রিকার।

৮। ‘আকাল’ কী ধরনের রচনা?
উত্তর: ‘আকাল’ সুকান্ত ভট্টাচার্যের সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ।

৯। আঠারো বছর বয়স বাষ্পের বেগে কীসের মতো চলে?
উত্তর: স্টিমারের মতো চলে।

১০। আঠারো বছর বয়সে অহরহ কী উঁকি দেয়?
উত্তর: বিরাট দুঃসাহসেরা উঁকি দেয়।

১১। আঠারো বছর বয়সের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর: যৌবনের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত।

১২। আঠারো বছর বয়স কী জানে?
উত্তর: রক্তদানের পুণ্য জানে।

১৩। আঠারো বছর বয়স পদাঘাতে কী ভাঙতে চায়?
উত্তর: পাথরের বাধা ভাঙতে চায়।

১৪। আঠারো বছর বয়স কীসে কালো হয়?
উত্তর: লক্ষ্য ও দীর্ঘশ্বাসে কালো হয়।

১৫। আঠারো বছর বয়স কী নয়?
উত্তর: ভীরু ও কাপুরুষ নয়।

আরো পড়ুন : আঠারো বছর বয়স কবিতার ৫টি জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

১৬। আঠারো বছর বয়স কোথায় অগ্রণী ভূমিকা রাখে?
উত্তর: বিপদের মুখে।

১৭। আঠারো বছর বয়স পথে প্রান্তরে কী ছোটায়?
উত্তর: তুফান ছোটায়।

১৮। আঠারো বছর বয়সে কীসের প্রস্তুতি নিতে হয়?
উত্তর: স্বনির্ভর হওয়ার।

১৯। আঠারো বছর বয়স আত্মাকে কোথায় সঁপে দেয়?
উত্তর: শপথের কোলাহলে।

২০। আঠারো বছর বয়সে দুর্যোগে কী ঠিকমতো করা ভালো?
উত্তর: হাল ধরে রাখা ভালো।

২১। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার শেষ দুই লাইন-
উত্তর: ‘এ বয়সে তাই নেই কোনো সংশয়,
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।’ 

২২। আঠারো বছর বয়স হলো-
উত্তর: মানবজীবনের এক উত্তরণকালীন পর্যায়। 

২৩। ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: কবি যৌবনের ইতিবাচক রূপের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। 

২৪। সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক নিবাস কোথায়?
উত্তর: বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৪, ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৪, ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার আগে গ্রুপ ডিসকাশন করছে। ছবি- সংগৃহীত

 মার্কেটিং দ্বিতীয় পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর 

২২। ‘বিপণন’ সম্প্রসারণের হাতিয়ার হলো-
ক) বিজ্ঞাপন    খ) ব্যক্তিক বিক্রিয়া    
গ) প্রচারণা       ঘ) সবগুলো

উত্তর: ঘ) সবগুলো।

২৩। বাটা শু কোম্পানি লি. যে ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করে-
ক) বিভাগীয়       খ) বহুশাখা    
গ) বিপণিমালা    ঘ) সুপার মার্কেট

উত্তর: খ) বহুশাখা।

২৪। যেসব পণ্য অন্য পণ্য উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে বলে- 
ক) শিল্প পণ্য     খ) শপিং পণ্য    
গ) বিশিষ্ট পণ্য    ঘ) সুবিধাজনক পণ্য

উত্তর: ক) শিল্প পণ্য।

আরো পড়ুন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৩, ৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

২৫। বাজারজাতকরণের কাজ নয়-
ক) ক্রয়           খ) বিক্রয়    
গ) উৎপাদন    ঘ) পরিবহন

উত্তর: গ) উৎপাদন।

২৬। বাটা শু কোম্পানি কোন ধরনের খুচরা ব্যবসায়ী? 
ক) বহুশাখা বিপণি    খ) বিভাগীয় বিপণি    
গ) চেইন স্টোর         ঘ) সুপার মার্কেট  

উত্তর: ক) বহুশাখা বিপণি।

২৭। বাজারজাতকরণ মিশ্রণের অন্তর্ভুক্ত-
ক) পণ্য    খ) প্রসার    
গ) মূল্য    ঘ) সবগুলো

উত্তর: সবগুলো।

২৮। গ্রামীণফোন লি.-কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে স্পন্সর করা হলো, এতে নিচের কোনটি হবে? 
ক) বাণিজ্যিক প্রসার হবে    খ) বিজ্ঞাপন পাবে না    
গ) দলের লাভ হবে না         ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর: ক) বাণিজ্যিক প্রসার হবে।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

পড়ে পাওয়া গল্পের ১১টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০১ পিএম
পড়ে পাওয়া গল্পের ১১টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৬ষ্ঠ পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা
শিক্ষক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। প্রতীকী ছবি- সংগৃহীত

গল্প : পড়ে পাওয়া

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

৫৩। তৃতীয় জন এবং ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের মূল বক্তব্য কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? 
(ক) সততা     (খ) সন্দেহ    
(গ) সংশয়      (ঘ) বিশ্বাস

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৫৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

এক তাঁতির কাপড়ের দোকান ছিল। তাঁতি করিম বকশ নামের একটি ছেলেকে দোকানটি দেখতে বলে বাইরে গেলেন। নানা দুর্বিপাকে পড়ে তাঁতি দীর্ঘদিন দোকানে অনুপস্থিত থাকলেন। করিম সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে একটি দোকান থেকে তিনটিতে পরিণত করল। প্রায় সাত বছর পরে তাঁতি ফিরে এলে করিম তাকে সাদরে বরণ করে দোকান তিনটির দায়িত্ব বুঝে দিতে চাইল। করিমের সততার পরিচয় পেয়ে তাঁতি নিজের জন্য সামান্য মাসিক বন্দোবস্ত করে তীর্থে গেলেন। করিম সততার পুরস্কার পেল।

৫৪। উদ্দীপকের করিম বকশ এবং ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের কথকের মধ্যে সাদৃশ্য কোথায়? 
(ক) পরোপকারে     (খ) জনহিতে    
(গ) সততায়             (ঘ) অকল্যাণে

৫৫। গুপ্ত মিটিং কোথায় বসল? 
(ক) ভাঙা নাটমন্দিরের কোণে    (খ) তেঁতুলগাছের তলায়
(গ) চণ্ডীমণ্ডপের সামনে            (ঘ) বিচুলিগাদার কোণে

৫৬। বাক্স খোঁজার জন্য কাগজে কোন বাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে? 
(ক) রায়বাড়ি          (খ) চাটুয্যে বাড়ি
(গ) বাড়ুয্যে বাড়ি    (ঘ) মুখুয্যে বাড়ি

৫৭। বাড়ুয্যেদের মাঠের বাগানে চাঁপাতলীর আম এ অঞ্চলে বিখ্যাত কেন? 
(ক) আম বড় বলে    (খ) অধিক মিষ্টি বলে
(গ) কাঁচামিঠা বলে    (ঘ) প্রচুর পাওয়া যায় বলে

৫৮। বিধু কেন বাদলকে কাগজে লিখতে বলল? 
(ক) বাদল লিখতে আগ্রহী ছিল বলে
(খ) বাদলের হাতের লেখা ভালো বলে
(গ) অন্যরা লিখতে পারত না বলে
(ঘ) অন্যরা লিখতে আগ্রহী ছিল না বলে

আরো পড়ুন : পড়ে পাওয়া গল্পের ৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৫ম পর্ব

৫৯। ‘আমরা তেঁতুলগাছের গুঁড়িটার আড়ালে গিয়ে আশ্রয় নিলাম’ কেন কিশোররা গুঁড়ির আড়ালে আশ্রয় নিল? 
(ক) ভূতের ভয় থেকে বাঁচার জন্য
(খ) বৃষ্টির ঝাপটা থেকে বাঁচার জন্য
(গ) টিনের বাক্স নিয়ে করণীয় বিষয়ে দ্বিধাবোধ থাকার কারণে
(ঘ) টিনের বাক্স প্রাপ্তি তাদের মন থেকে ভূতের ভয়কে দূর করেছে বলে

৬০। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের মূল বিষয় কী? 
(ক) দায়িত্ববোধ                 (খ) নির্লোভ মানসিকতা
(গ) দরিদ্রের প্রতি করুণা    (ঘ) ঐক্যবদ্ধতা

৬১। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পে বিভূতিভূষণ দেখিয়েছেন-
(ক) ভালো কাজের জন্য কোনো বয়সের প্রয়োজন হয় না
(খ) ভালো কাজের জন্য কোনো বয়স্কদের সাহায্য লাগে না
(গ) ভালো কাজ ঐক্যবদ্ধভাবে করা উচিত 
(ঘ) ভালো কাজ করতে টাকার প্রয়োজন হয় না

৬২। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের মূল বিষয়বস্তু কী? 
(ক) কিশোরদের বাক্স পাওয়া নিয়ে গোয়েন্দাগিরি
(খ) কিশোরদের মূল্যবোধ, সততার প্রকাশ 
(গ) কিশোরদের দায়িত্ববোধ, বিচক্ষণতার প্রকাশ 
(ঘ) কিশোরদের চারিত্রিক দৃঢ়তা, ঐক্যবোধ ও মানবিক বোধের প্রকাশ 

৬৩। ‘জয় স্কুল থেকে ফেরার পথে এক হাজার টাকার নোট পেল; কিন্তু কাউকে সে ব্যাপারটা জানায়নি।’ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের যার সঙ্গে বৈসাদৃশ্য রয়েছে-
i. বাদল ii. কথক iii. বিধু
নিচের কোনটি সঠিক? 
(ক) i     (খ) ii    
(গ) iii    (ঘ) i ও ii

উত্তর: ৫৩. ক, ৫৪. গ, ৫৫. ক, ৫৬. ক, ৫৭. খ, ৫৮. খ, ৫৯. ঘ, ৬০. ঘ, ৬১. খ, ৬২. ক, ৬৩. ক।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর