
প্রবন্ধ রচনা
পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার
(গত ১৮ মার্চ প্রকাশের পর)
৩. পরিবেশ আদালত স্থাপন: দেশকে অধিকতর বাসযোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার আরও যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তন্মধ্যে রয়েছে পরিবেশ আদালত স্থাপন। এ আদালতে পরিবেশ দূষণজনিত সব অপরাধের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা হবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীসহ ছয়টি বিভাগীয় শহরে পরিবেশ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
৪. বায়ুদূষণ পরিমাপক যন্ত্র: পরিবেশ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঢাকায় ‘কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন’ (সিএএমএস) নামক বায়ুদূষণ পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এ যন্ত্রের মাধ্যমে বায়ুদূষণের মাত্রা জানা যাবে এবং যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
আরো পড়ুন : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা, ১ম পর্ব
৫. অন্যান্য পদক্ষেপ: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রধান উপায় জলাভূমি রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে গুলশান, বারিধারার লেক এবং আশুলিয়ার জলাভূমি রক্ষার জন্য সরকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় কাটা বন্ধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ইটের ভাটায় কাঠ ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়েছে এবং ভাটা থেকে উদগীড়িত ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বুড়িগঙ্গাসহ সারা দেশে নদী দূষণ বন্ধ করার জন্য নেওয়া হয়েছে কার্যকর পদক্ষেপ।
উপসংহার: পরিবেশ দূষণ পরিবেশের ভারসাম্য তথা মানবজাতির জন্য এক মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এ ব্যাপারে সারা বিশ্বের মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ সমস্যা আরও প্রকট। পরিবেশ দূষণ মানবসভ্যতার জন্য এক ভয়ংকর বিপদ নিয়ে আসে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তথা অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা নেওয়া একান্ত অপরিহার্য। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যেকোনো মূল্যে পরিবেশদূষণ রোধ করা প্রয়োজন। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাষায় আমাদেরও বলা উচিত-
‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’
লেখক : সিনিয়র শিক্ষক (বাংলা)
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা
কবীর