ঢাকা ১২ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

চীনের মতো শিক্ষা-স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩১ পিএম
চীনের মতো শিক্ষা-স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। ছবি: সংগৃহীত

সুষম বিকশিত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চীনের মতো শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বুধবার (২৬ মার্চ) ঢাকার মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘চীন এত বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি দেশ। তারা আজকে অর্থনীতিতে এত উন্নয়ন করছে, এর পেছনে দুটি বিষয়কে তারা গুরুত্ব দিয়েছে। একটি হলো শিক্ষা, আরেকটি হলো মানুষের স্বাস্থ্য। এ দুটি বিষয় একটি গোষ্ঠীর না, এগুলো রাষ্ট্রের সম্পদ। জনগণই সম্পদ। জনগণ মানে কী? সে ফিজিক্যালি ফিট এবং সে শিক্ষিত। যদি এমন জনগোষ্ঠী পাই যে শারীরিকভাবে সুস্থ এবং শিক্ষিত এবং দক্ষ, তাহলে সে রাষ্ট্র কখনোই পিছিয়ে থাকতে পারে না- চীন এটার একটি প্রমাণ। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এ দুটিকে অ্যাড্রেস না করে কখনোই একটি সুষম বিকশিত রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব না।’ 

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য এমন একটি প্রসঙ্গ যে এটা কখনো আমার চয়েসের প্রসঙ্গ হতে পারে না। এটা একটা অধিকারের প্রসঙ্গ হওয়া উচিত। তদ্রুপ শিক্ষাও এমন একটি প্রসঙ্গ, যেটা সর্বজনীন হওয়া উচিত এবং এটা অধিকারের প্রসঙ্গ হওয়া উচিত। এ বিষয়গুলোর স্বীকৃতি আমাদের সংবিধানে রয়েছে। ফলে আমাদের কার্যকর করতে হবে। সত্যিই যদি আমরা আমাদের দেশকে একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, তাহলে এর কোনো বিকল্প নাই।’  

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটের মহাপরিচালক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) আতিকুর রহমান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর  মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) দেবব্রত চক্রবর্তী, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক সুরাইয়া খান এবং পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর আবু বকর সিদ্দিক।

 

ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার মূলভাব লিখন, ১ম পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার মূলভাব লিখন, ১ম পর্ব, এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি- খবরের কাগজ

কবিতা : ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯

মূলভাব

প্রশ্ন: ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ কবিতার মূলভাব লেখ। 

উত্তর: মূলভাব: ১৯৫২ থেকে ১৯৬৯ এই দীর্ঘ সময়ে বাঙালির নতুন প্রজন্ম যে বায়ান্নর চেতনা থেকে দূরে সরে যায়নি তার প্রমাণ ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতা। প্রজন্ম উত্তরাধিকারের চেতনা স্বাধীকার আদায়ে উজ্জীবিত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এর পটভূমি বা প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৫২ সালে বাঙালি জাতীয়তাবাদের গণবিস্ফোরণে। এরপর বাঙালি আর পেছন ফিরে তাকায়নি। শামসুর রাহমানের ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’ কবিতাটি নেওয়া হয়েছে কবির ‘নিজ বাসভূমে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে। দেশপ্রেম, গণজাগরণ এবং সংগ্রামী চেতনার কবিতা ‘ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯’। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে লেখা এই কবিতায় স্মৃতিচারণ করা হয়েছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের। ১৯৬৯-এ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির গণ-আন্দোলনের বিপ্লবী চিত্র এ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৬৯ সালে জাতিগত শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ, হাটবাজার, কল-কারখানা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকার রাজপথে জড়ো হয় এবং গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে তারা নিজেদের শক্তির গণজাগরণ ঘটায় সারা দেশে। কবি এই আপামর মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সংগ্রামী চেতনাকে অনন্য এক শিল্পভাষ্যে, প্রতীকী অবয়বে

আরো পড়ুন : আঠারো বছর বয়স কবিতার ৫টি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, ৫ম পর্ব

তুলে ধরেছেন এ কবিতায়। কবিতাটি একাধারে ইতিহাসকে তুলে ধরেছে, অন্যদিকে ইতিহাসের বর্ণনা থেকেই উঠে এসেছে- ১৯৬৯ সালেই বাঙালির চোখে-মুখে সবুজ-শ্যামল নতুন বাংলাদেশের মুখচ্ছবি স্পষ্ট হচ্ছিল। এই প্রতিবাদী বাঙালির আরেক নাম বরকত, সালাম। কবির চেতনায় বরকত-সালাম ১৯৬৯ সালেও ঢাকার রাজপথে ছিল। কারণ ১৯৫২ পরবর্তী প্রজন্ম একুশের কৃষ্ণচূড়ার রঙেই বিপ্লব-রঙিন হয়েছিল। ১৯৫২ না এলে ১৯৬৯ ঘটার প্রয়োজনই হতো না। বাঙালিত্বের বোধ জাগ্রত না হলে ১৯৬৯-এ গণতান্ত্রিক চেতনা জাগ্রত হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এ কারণেই বারবার কবি ১৯৫২ আর বাংলা ভাষার কাছে ফিরে গেছেন। অনুভব করেছেন ১৯৫২ সালের রক্তস্নাত বাংলা ভাষাকে। অনুভব করেছেন বাংলা ভাষাই বাঙালির প্রাণ। ১৯৬৯ সালের রক্তদানে বাংলা ভাষা অর্থাৎ বাঙালি আবারও সেই ফুলেরই বন্দনা করল। এ কবিতায় কবি প্রতীকীভাবে দেখিয়েছেন বাংলা ভাষার মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকলে বাঙালি জাতি থাকবে। ঐতিহাসিক বায়ান্ন চেতনায় কৃষ্ণচূড়ার মতো রঙিন থাকলে বাঙালি বারবার সালাম-বরকতের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হবে স্বদেশ-স্বাদেশিকতায়-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায়। 

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা

কবীর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-১০, ৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-১০, ৬টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র
শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে। ছবি- সংগৃহীত

 মার্কেটিং দ্বিতীয় পত্র

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১৪। আয়, ব্যয়ের ধরন, সঞ্চয় প্রবণতা প্রভৃতি কোন ধরনের বাজারজাতকরণ পরিবেশের উপাদান?
ক) রাজনৈতিক    খ) অর্থনৈতিক    
গ) সাংস্কৃতিক       ঘ) জনসংখ্যা

উত্তর: খ) অর্থনৈতিক।

১৫। নিচের কোনটি সাংস্কৃতিক পরিবেশের উপাদান?
ক) বিশ্বাস ও মূল্যবোধ    
খ) শক্তি সম্পদ ও কাঁচামাল
গ) সঞ্চয় ও বিনিয়োগ    
ঘ) শিক্ষা ও পেশা 

উত্তর: ক) বিশ্বাস ও মূল্যবোধ।

১৬। নিচের কোনটি অর্থনৈতিক পরিবেশের উপাদান নয়?
ক) কাঁচামাল     খ) সঞ্চয়    
গ) মুদ্রাস্ফীতি    ঘ) বিনিয়োগ  

উত্তর: ক) কাঁচামাল।

আরো পড়ুন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মডেল টেস্ট-৯, ৭টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, মার্কেটিং ২য় পত্র

১৭। ‘গবেষণা ও উন্নয়ন’ কোন ধরনের পরিবেশের উপাদান?
ক) অর্থনৈতিক    খ) প্রযুক্তি    
গ) সাংস্কৃতিক      ঘ) জনসংখ্যা

উত্তর: খ) প্রযুক্তি।

১৮। নিচের কোনটি প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান?
ক) শক্তি সম্পদ    
খ) ভোগ প্রবণতা    
গ) পারস্পরিক জীবন    
ঘ) দূষণ নিয়ন্ত্রণ

উত্তর: ক) শক্তি সম্পদ।

১৯। বাংলাদেশে ওজন ও পরিমাপ অধ্যাদেশ কত সালের?
ক) ১৯৫৬ সালের    খ) ১৯৫৯    সালের 
গ)১৯৮২ সালের      ঘ) ১৯৯৫ সালের

উত্তর: গ)১৯৮২ সালের।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা

কবীর

তৈলচিত্রের ভূত গল্পের ১৪টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৪র্থ পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
তৈলচিত্রের ভূত গল্পের ১৪টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৪র্থ পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি-সংগৃহীত

গল্প : তৈলচিত্রের ভূত

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

৩৩। নগেনের মামার তৈলচিত্রটি দেয়ালের কোথায় ছিল? 
(ক) কোনায়        (খ) পূর্ব দিকে 
(গ) মাঝামাঝি     (ঘ) মেঝের কাছে 

৩৪। তৈলচিত্রের কাছে গিয়ে নগেন কী বলেছিল? 
(ক) আমায় যেতে দাও মামা    
(খ) আমায় ক্ষমা করো মামা
(গ) আমায় দোয়া করো মামা    
(ঘ) আমি যেন বড় হতে পারি মামা

৩৫। মামার ছবিটি কখন লাগানো হয়েছিল? 
(ক) মামার মৃত্যুর আগে     
(খ) মামার মৃত্যুর পর 
(গ) দাদার মৃত্যুর আগে     
(ঘ) নগেনের জানা ছিল না

৩৬। নগেন মামাকে ঠকিয়েছিল-
(ক) অগাধ ভালোবাসা দিয়ে    
(খ) ভক্তি-শ্রদ্ধার ভান করে
(গ) অহেতুক টাকা-পয়সা দিয়ে    
(ঘ) পড়াশোনা না করে

৩৭। লাইব্রেরির পেছনে নগেনের মামা অর্থ ব্যয় করেননি কেন? 
(ক) পড়ালেখা জানতেন না বলে
(খ) লাইব্রেরি সম্পর্কে জানতেন না বলে
(গ) লাইব্রেরি সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন বলে
(ঘ) বইপুস্তক পড়তেন না বলে

৩৮। নগেনের মামার লাইব্রেরির অবস্থা কেমন ছিল? 
(ক) অদরকারি বইয়ে ভরা    (খ) আবর্জনায় ভরা
(গ) আলমারিতে ভরা           (ঘ) চেয়ার টেবিলে ভরা

৩৯। ‘প্রেতাত্মা’ মানে কী? 
(ক) ভ্রান্তি     (খ) ভূতের আত্মা
(গ) ভূত        (ঘ) ভূতের ছায়া

৪০। ‘মরলে তো মানুষ সব জানতে পারে’ এটা কার উক্তি? 
(ক) ডাক্তারের    (খ) মামার
(গ) নগেনের      (ঘ) দাদামশাইয়ের

আরো পড়ুন : তৈলচিত্রের ভূত গল্পের ১১টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর, ৩য় পর্ব, অষ্টম শ্রেণির বাংলা

৪১। নগেনের মামা কেমন প্রকৃতির লোক ছিলেন? 
(ক) অসাধু    (খ) কপট
(গ) লোভী     (ঘ) কৃপণ

৪২। দেয়ালে কয়টি তৈলচিত্র ছিল? 
(ক) ২টি     (খ) ৩টি    
(গ) ৪টি     (ঘ) ৫টি

৪৩। তৈলচিত্র কখন ধাক্কা দিত না? 
(ক) আলো জ্বালালে    (খ) অন্ধকারে
(গ) রাতের আঁধারে     (ঘ) সব সময়

৪৪। নগেনের কথা বলার ভঙ্গি খাপছাড়া হয়ে গেছে কেন? 
(ক) ওষুধ খেয়ে    (খ) ভয় পেয়ে
(গ) তাড়া খেয়ে    (ঘ) মার খেয়ে

৪৫। ‘তৈলচিত্র থেকে কী যেন তার মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে তাকে কাঁপিয়ে তুলছে’ জিনিসটি কী? 
(ক) বিদ্যুৎ          (খ) অ্যাসিড
(গ) ভূত-প্রেত     (ঘ) অশরীরী আত্মা

৪৬। নগেনের গুরুতর কিছু হয়েছে, পরাশর ডাক্তার তা কীভাবে বুঝতে পারলেন? 
(ক) নগেনের কথায়
(খ) নগেনের চাহনিতে 
(গ) নগেনের শারীরিক পরিস্থিতি দেখে 
(ঘ) নগেনের মানসিক পরিস্থিতি দেখে 

উত্তর: ৩৩. গ, ৩৪. খ, ৩৫. ক, ৩৬. খ, ৩৭. গ, ৩৮. ক, ৩৯. গ, ৪০. গ, ৪১. ঘ, ৪২. খ, ৪৩. ক, ৪৪. খ, ৪৫. ক, ৪৬. গ।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

কবীর

সমানুপাত ও লাভ-ক্ষতি অধ্যায়ের ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, সপ্তম শ্রেণির গণিত

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম
সমানুপাত ও লাভ-ক্ষতি অধ্যায়ের ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, সপ্তম শ্রেণির গণিত
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের লেকচার শুনছে ও নোট করছে। ছবি-সংগৃহীত

দ্বিতীয় অধ্যায় : সমানুপাত ও লাভ-ক্ষতি

অনুশীলনী-২.১ 

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

২১। পিতা ও পুত্রের বয়সের অনুপাত ১১ : ৪। পিতার বয়স ৪৪ হলে পুত্রের বয়স কত?
ক) ২০ বছর     খ) ১৬ বছর
গ) ২৫ বছর     ঘ) ১৪ বছর

২২। ক্রমিক সমানুপাতের-
i. প্রথম ও তৃতীয় রাশি ৪ ও ১৬ হলে, মধ্য সমানুপাতী ৮
ii. তিনটি রাশিই এক জাতীয়
iii. দুটি রাশি একজাতীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii      খ) i ও iii 
গ) ii ও iii     ঘ) i, ii ও iii

২৩। দুটি রাশির অনুপাত ৫ : ৭। তাদের পূর্বরাশি ৬৫ হলে উত্তর রাশি কত?
ক) ৯১ খ) ৬৫ গ) ২৬ ঘ) ১৩

২৪। ক ও খ এর আয়ের অনুপাত ৫ : ৪। ক এর আয় ৮৫ টাকা হলে খ এর আয় কত?
ক) ৬৬ টাকা     খ) ৬৮ টাকা
গ) ৮০ টাকা      ঘ) ৫২ টাকা

নিচের তথ্যের আলোকে ২৫-২৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখ।

৩০ মিটার কাপড় ইতু, মিতু ও জিতুর মধ্যে ৫ : ৩ : ২ অনুপাতে ভাগ করে দেওয়া হলো।

২৫। জিতু কত মিটার কাপড় পেল?
ক) ৯ মিটার     খ) ৬ মিটার
গ) ৩ মিটার     ঘ) ১২ মিটার

আরো পড়ুন : সমানুপাত ও লাভ-ক্ষতি অধ্যায়ের ১০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব

২৬। মিতু থেকে ইতু কত মিটার কাপড় বেশি পেল?
ক) ৩ মিটার     খ) ৯ মিটার
গ) ৬ মিটার     ঘ) ১০ মিটার

২৭। প্রতি মিটার কাপড়ের মূল্য ৫০ টাকা হলে, মিতুর প্রাপ্ত কাপড়ের মূল্য কত?
ক) ৩৫০ টাকা     খ) ৪৫০ টাকা 
গ) ৩০০ টাকা     ঘ) ২৮০ টাকা

২৮। একটি সংখ্যা অপর সংখ্যাটির দুই-তৃতীয়াংশ। সংখ্যা দুটির অনুপাত কত?
ক) ৩ : ২     খ) ২ : ৩ 
গ) ১ : ৪       ঘ) ৪ : ৫

২৯। দুটি সংখ্যার বিয়োগফল ৩৩ এবং এদের অনুপাত ৮ : ৫ হলে ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি কত?
ক) ৬৩     খ) ৬৫ 
গ) ৫৩     ঘ) ৫৫

৩০। দুটি রাশির যোগফল ৬২৫। এদের অনুপাত ১১ : ১৪ হলে বৃহত্তর সংখ্যাটি কত?
ক) ২৬০     খ) ৩৫০ 
গ) ২৫০      ঘ) ৪০০

উত্তর: ২১. খ, ২২. ক, ২৩. ক, ২৪. খ, ২৫. খ, ২৬. গ, ২৭. খ, ২৮. খ, ২৯. ঘ, ৩০. খ।

লেখক : সহকারী শিক্ষক 
লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, মুন্সীগঞ্জ 

কবীর

খনিজ সম্পদ : জীবাশ্ম অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি রসায়ন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
খনিজ সম্পদ : জীবাশ্ম অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ৩য় পর্ব, এসএসসি রসায়ন
খনি থেকে প্রাপ্ত জীবাশ্ম। ছবি- সংগৃহীত

একাদশ অধ্যায় : খনিজ সম্পদ : জীবাশ্ম

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর-৩ 

উদ্দীপকটি পড়ে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।

রাইয়ানের মা গ্যাসের চুলায় রান্না করছিলেন। রাইয়ান তার মায়ের কাছে গ্যাসটি সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় মা বলল, এটি একটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন, যা সাধারণত অ্যালকেন শ্রেণিভুক্ত। 

ক. ভিনেগার কী? 
খ. পলিমারকরণ বলতে কী বোঝায়? 
গ. উদ্দীপকে নির্দেশিত যৌগটি শিল্পক্ষেত্রে কীভাবে প্রস্তুত করা হয়, ব্যাখ্যা করো। 
ঘ. আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এ জাতীয় যৌগের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো। 

উত্তর: ক. ভিনেগার হলো অ্যাসিটিক অ্যাসিডের (ইথানোয়িক অ্যাসিড) জলীয় দ্রবণ। সাধারণত, এতে অ্যাসিটিক অ্যাসিডের পরিমাণ ৫ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত থাকে। ভিনেগার খাদ্য সংরক্ষণে, রান্নার কাজে এবং পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইথানলকে জারিত করে তৈরি করা হয়।

খ. পলিমারকরণ হলো একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যেখানে ছোট ছোট অসংখ্য অণু (মনোমার) পরস্পর রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে একটি বৃহৎ অণু (পলিমার) গঠন করে। পলিমারের আণবিক ভর মনোমারের আণবিক ভরের তুলনায় অনেক বেশি হয়। বিভিন্ন ধরনের পলিমার যেমন- পলিথিন, পভিসি, পলিস্টার ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

আরো পড়ুন : খনিজ সম্পদ: জীবাশ্ম অধ্যায়ের ১টি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর, ২য় পর্ব

গ. উদ্দীপকে নির্দেশিত যৌগটি একটি সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন, যা অ্যালকেন শ্রেণিভুক্ত এবং গ্যাসের চুলায় ব্যবহৃত হয়। গ্যাসের চুলায় সাধারণত মিথেন (CH4) প্রধান উপাদান হিসেবে থাকে, যা প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল অংশ। মিথেন মূলত প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করে পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিক গ্যাস ভূপৃষ্ঠের নিচে খনিতে জমা থাকে। কূপ খনন করে এই গ্যাস উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেন ছাড়াও ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন এবং সামান্য পরিমাণে অন্যান্য গ্যাস মিশ্রিত থাকে। ব্যবহারের আগে এই গ্যাসকে পরিশোধন করা হয়।
পরিশোধন প্রক্রিয়ায়, প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে অন্যান্য গ্যাস এবং অপদ্রব্য (যেমন- হাইড্রোজেন সালফাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, জলীয় বাষ্প) বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে দূর করা হয়। এই পরিশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিশুদ্ধ মিথেন বা এলপিজির (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস, যাতে প্রোপেন ও বিউটেনের পরিমাণ বেশি থাকে) মতো জ্বালানি গ্যাস প্রস্তুত করা হয়, যা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
এ ছাড়া মিথেন পরীক্ষাগারে বা শিল্পক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণে অন্য উপায়েও প্রস্তুত করা যেতে পারে, যেমন-
সোডিয়াম অ্যাসিটেটকে সোডালাইমের সঙ্গে উত্তপ্ত করে: CH3COONa + NaOHCaO, ∆CH4 + Na2CO3
তবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনই প্রধান পদ্ধতি।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অ্যালকেন শ্রেণির যৌগ (প্রধানত মিথেন এবং এলপিজির অন্যান্য উপাদান) আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এদের গুরুত্ব নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-
জ্বালানি ও রান্নার কাজে: মিথেন প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান এবং এলপিজির মূল উপাদান (প্রোপেন ও বিউটেন) রান্নার জন্য বহুল ব্যবহৃত জ্বালানি। এটি সহজলভ্য, পরিষ্কার করা এবং তাপ উৎপাদনে কার্যকর।
পরিবহন: সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস), যার প্রধান উপাদান মিথেন, বর্তমানে যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি পেট্রোল ও ডিজেলের তুলনায় পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। এলপিজিও কিছু ক্ষেত্রে যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদন: প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। টারবাইন ঘুরিয়ে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।
শিল্পক্ষেত্রে কাঁচামাল: মিথেন বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে মিথানল, ফরমালডিহাইড, হাইড্রোজেন সায়ানাইড উল্লেখযোগ্য। অ্যালকেন থেকে বিভিন্ন জৈব দ্রাবক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করা হয়।
অন্যান্য ব্যবহার: এলপিজি শিল্প কারখানায় বিভিন্ন তাপ উৎপাদী কাজে ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত কার্বন ব্ল্যাক টায়ার ও অন্যান্য রাবারজাত দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
পরিশেষে বলা যায়, অ্যালকেন শ্রেণির যৌগ, বিশেষ করে মিথেন এবং এলপিজির উপাদানগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা থেকে শুরু করে শিল্পক্ষেত্রে কাঁচামাল সরবরাহ পর্যন্ত বিস্তৃত ক্ষেত্রে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এদের সহজলভ্যতা, উচ্চ তাপ উৎপাদন ক্ষমতা এবং তুলনামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব বৈশিষ্ট্য এদের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

লেখক : প্রধান শিক্ষক
হাজী রফিজুদ্দিন ভূঁইয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ

কবীর