ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
কানাডায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ
অটোয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে আগরতলায় বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ

কানাডার রাজধানী অটোয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে আগরতলায় বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অটোয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে এই সমাবেশে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা অংশ নেন।

অত্যন্ত দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে বাংলাদেশি নাগরিকরা এ বিক্ষোভের আয়োজন করেন।

বাংলাদেশি কমিউনিটি অব অটোয়ার আয়োজনে এ বিক্ষোভে বাংলাদেশে ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’, এবং ‘হাইকমিশনে হামলা কেন, দিল্লি তুই জবাব দে’ ইত্যাদি স্লোগানে প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদ সভায় বৃটেনে নিযুক্ত সাবেক বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ভারত ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী অতিথি রাষ্ট্রকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা থাকলেও অত্যন্ত গর্হিতভাবে সন্ত্রাসী আরএসএসের পাণ্ডাদের উসকে দিয়ে পুলিশের উপস্থিতেতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলা এবং ভাঙচুর চালিয়েছে এবং আমাদের জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। তাদের উচিত নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং অবিলম্বে  বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার আমলের বাংলাদেশ আর ’২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ এক নয়। বাংলাদেশকে সমীহ করে না চললে, সম্মান না দিলে তারাও আর একচেটিয়া সম্মান পাবে না।’

বাংলাদেশি কমিউনিটি অব অটোয়ার সদস্য মিসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ আর ভারতীয় আগ্রাসন সহ্য করবে না। হিন্দুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের কল্পিত কাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সব ধর্ম-বর্ণ এবং মতের মানুষ এক হয়েছে, এই মিথ্যচারের মাধ্যমে এ ঐক্যে ফাটল ধরানো যাবে না।’

কমিউনিটির পক্ষ থেকে বক্তব্যে আব্দুল্লাহ মাসউদ বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা এবং কমিউনিটিকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন ছিল, কিন্তু দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি।’

তিনি হাইকমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে - ’২৪ এর বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পক্ষে ভূমিকা পালন না করলে বাংলাদেশি কমিউনিটি বাংলাদেশ দূতাবাসের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।’

তিনি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পৃথিবীর সবদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশি কমিউনিটি অব অটোয়ার আরেক সদস্য মাসুদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। ভারতের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি একটি সরাসরি আঘাত। 

তারা উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত, কিন্তু তা কখনোই আধিপত্যবাদের রূপ নিতে পারে না। ভারত সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং দেশের প্রাকৃতিকসম্পদ ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। 

তারা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের অংশ।

প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এটি ছিল একটি শুরু। ভবিষ্যতেও প্রয়োজন হলে তারা এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজন করবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রবাস থেকে ভূমিকা রাখবে।

কমিউনিটির নেতাদের মধ্যে মনোয়ার হোসেন আকাশ, ইফতেখার চৌধুরী রকি, আনোয়ার হোসাইন, মুসতাইম বিল্লাহ রাতিন, নজরুল রহমান, ইউসুফ হারুন, শামা-সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অমিয়/

মেক্সিকোয় জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ তৈরির ঘোষণা রাষ্ট্রদূতের

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
মেক্সিকোয় জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ তৈরির ঘোষণা রাষ্ট্রদূতের
ছবি : সংগৃহীত

মেক্সিকোর শ্রমবাজারে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি, বিশেষ করে আইটি সেক্টর, কৃষি খাত, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য পেশাজীবী খাতে কাজের সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে ঘোষণা দেন সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।

মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে গত রবিবার ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। তিনি নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন-প্রক্রিয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি মেক্সিকোয় প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের স্থানীয় নিয়মকানুন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তার সময়ে মেক্সিকোয় বাংলাদেশ দূতাবাসটি একটি জনবান্ধব মিশন হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। 

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করে তৈরি পোশাক, ওষুধ রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা চামড়াজাত পণ্য, আইটি সেবা এবং কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন এবং রাষ্ট্রদূতকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে তার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত
নিহত আবু ছালেক

দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিকে ডাকাতের গুলিতে আবু ছালেক (২৩) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসী নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে সিমুই শহরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার পথে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

নিহত প্রবাসী বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মনকিচর গ্রামের আলী সিকদারপাড়ার জাকের আহমদ সিকদারের ছেলে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। পাঁচ বছর আগে করোনাকালীন সময়ে আবু ছালেক মোজাম্বিক যান।

স্থানীয় ও প্রবাস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে প্রবাসী আবু ছালেক মোজাম্বিকের সিমুই শহরে অবস্থিত তার দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিলেন। দোকান থেকে কিছুদূর সামনে যেতেই ডাকাত দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে স্থানীয়রা তাকে মোজাম্বিক সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোজাম্বিক প্রবাসী বিএনপি নেতা ওমর কাজী জানান, নিহত আবু ছালেক অত্যান্ত নম্র-ভদ্র ছিলেন। তার এই হত্যাকাণ্ডে প্রবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মেহেদী/

বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের বৈঠক
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েস বাহরাইনের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন রাশিদ আল জায়ানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। 

গত ২০ ও ২৯ জানুয়ারি বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের পর পর দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈঠক দুটিতে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে যথাক্রমে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. মাহফুজুর রহমান এবং তৃতীয় সচিব মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ তালুকদারও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জায়ানি বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স সালমান বিন হামাদ আল খলিফার পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাঠানো অভিনন্দন বার্তার পত্রটি চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের কাছ থেকে গ্রহণ করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা বাহরাইনের জাতীয় দিবস এবং রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফার সিংহাসনে আরোহণের ২৫ বছর পূর্তিসহ বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ অভিনন্দন বার্তা পাঠান।

পরে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশ এবং বাহরাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়সহ দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। 

বিশেষ করে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশিদের জন্য ফ্যামিলি ভিসাসহ সব ভিসা খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। 

এ প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচ‍্য বিষয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনাসহ ইতিবাচক সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। 

এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাসের আয়োজিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও আইনি সেবা দেওয়াসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের প্রশংসা করেন এবং দূতাবাসের বাংলাদেশ-বাহরাইন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট কাপ, গালফ ফুটবল আসরের বাহরাইন-ওমান ফাইনাল লাইভ ম্যাচ সিনেমা হলে প্রদর্শন ও তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন। 

একইসঙ্গে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে লোগো ও বিশেষ প্রকাশনা উন্মোচনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।

বিজ্ঞপ্তি/পপি/

মালয়েশিয়ায় ৭১ অবৈধ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
মালয়েশিয়ায় ৭১ অবৈধ বাংলাদেশি আটক
অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানে আটককৃতরা। ছবি: বারনামা

মালয়েশিয়ায় ৭১ বাংলাদেশিসহ ১৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। তাদের ইমিগ্রেশন হেডকোয়ার্টারে নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বুধবার (২২ জানুয়ারি) অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ৬১ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে কুয়ালালামপুরের পর্যটন এলাকা বুকিত বিনতাংয়ের জালান আলোর এলাকা থেকে তাদের আটক করে। 

কুয়ালালামপুরের ইমিগ্রেশন পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ জানান, কুয়ালালামপুর সিটি হলের সহযোগিতায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় অভিযান শুরু হয়। আটকদের মধ্যে ৭১ জন বাংলাদেশি ছাড়াও মিয়ানমারের ৬০ জন, ইন্দোনেশিয়ার ২৪ জন, নেপালের ১৬ জন, পাকিস্তানের তিনজন এবং মিসর ও সুদানের একজন করে নাগরিক আছেন।

তিনি বলেন, আটকদের মধ্যে অনেকের বৈধ কাগজপত্র নেই। অনেকের মালয়েশিয়ায় থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট আইন অনুসারে মামলাটির তদন্ত চলছে।

সূত্র: বারনামা

সিফাত/

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি
বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দিয়েছে নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বোচ্চ আইনপ্রণয়নকারী সংস্থা স্টেট সিনেট। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক স্টেটের সর্বোচ্চ আইনপ্রণয়নকারী সংস্থা স্টেট সিনেট বুধবার (২২ জানুয়ারি) সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখকে এই অঙ্গরাজ্যে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের স্বীকৃতি হিসেবে ও এই রাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলা নববর্ষের ইতিহাস উল্লেখ করে সিদ্ধান্তে বলা হয়, ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের সূচনা। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, যেমন- লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। 

বাংলা ভাষায় কথা বলেন এমন অভিবাসীর কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলা থেকে আসা বিপুল সংখ্যক অভিবাসী এই রাজ্যে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্থায়ীভাবে বসসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন। এদের অর্ধেকই নিউইয়র্কের বাসিন্দা।  

পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলা হয়, প্রতিবছরই বিপুল সমারোহে এই দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে। 

এতে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসারে নিউইয়র্কের মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।  

সিদ্ধান্তে বলা হয়, নিউইয়র্ক স্টেট বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী মানুষের গৌরবময় সাফল্যের, বিশেষত এই রাজ্যে বসবাসরত বাঙালিদের অব্যাহত অবদানের স্বীকৃতি জানিয়ে ১৪ এপিল পহেলা বৈশাখকে এই রাজ্যে বাংলা নববর্ষ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই সিদ্ধান্তে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ অবদানের জন্য শিকাগো টাওয়ারখ্যাত প্রকৌশলী এফ আর খান, লিভিং দ্য ওয়ার্ল্ড বিহাইন্ডখ্যাত রুমানা আনম, লেখক ঝুম্পা লাহিড়ী, অমিতাভ ঘোষ, ইকবাল কাদির, ইউটিউবের কো-ফাউন্ডার জাওয়েদ করিম, খান একাডেমির ফাউন্ডার সালমান খান, ওমর ইশরাকসহ কৃতি বাঙালিদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করে।

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার ও সিইও বিশ্বজিত সাহার উদ্দোগে সিনেটর লুইস সেপুলভেদা সিনেটে প্রস্তাবনাটি তুলে ধরেন। গতকাল এটি গৃহীত হয়। 

বিশ্বজিত সাহা বলেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে বিশ্ববাঙালি রয়েছে এই স্বীকৃতি সবাইকে উজ্জীবিত ও গৌরবান্বিত করবে। 

উল্লেখ্য, এনআরবি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের উদ্যেগে গত ২০২৩ সাল থেকে টাইমস স্কয়ারে বিশ্ববাঙালিরা বাংলা বর্ষবরণ করে আসছে।

সালমান/