
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাহরাইনের দ্যা ডিপ্লোম্যাট রেডিসন ব্লু হোটেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মোহাম্মদ বিন মুবারক আল খলিফা একাডেমি ফর ডিপ্লোম্যাটিক স্টাডিজের মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত ড. শাইখা মুনিরা খালিফা আল খালিফা।
এ ছাড়া বাহরাইন শুরা কাউন্সিল এবং কাউন্সিল অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য, রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, বাহরাইন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাহরাইনের ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বাংলাদেশ স্কুল বাহরাইনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতাসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও বাহরাইনের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর, বাংলাদেশের উপর সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেক কাটা এবং সবশেষে অতিথিদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের জায়গা সুন্দরভাবে সাজানো হয়। যেখানে চিত্রপ্রদর্শনী এবং দেশী পণ্য ও ঐতিহ্যের সমাহার ঘটিয়ে বাংলাদেশ কর্নার রাখা হয় যা দেশি-বিদেশি সবাইকে মুগ্ধ করে।
রাষ্ট্রদূত মো. রইস হাসান সরোয়ার, এনডিসি তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহিদ হয়েছেন সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
পাশাপাশি তিনি স্মরণ করেন ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে নিহিত সব শহিদদের।
তিনি তার আলোচনায় আমন্ত্রিত সব অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান। বিশেষভাবে বাহরাইনের বাদশাহ শেখ হামাদ বিন ঈসা আল খালিফা এবং ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী শেখ সালমান বিন হামাদ আল খালিফার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
তিনি উপসাগরীয় দেশসমূহের মধ্যে বাহরাইনে উন্নয়ন, কূটনীতি, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাহরাইনের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরে বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ঐক্য, সমৃদ্ধ ও শান্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে দূতাবাস আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। বাহরাইনের বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশীয় গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের বিশেষ এই মুহূর্তটি উদযাপন করেন।
শেষে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পপি/