বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী অনেকেই সমর্থন জানিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন। অনেকে আবার ছাত্রদের সঙ্গে নামেন রাজপথেও। যাদের মধ্যে ছিলেন বিনোদন জগতের তারকারাও। তবে সেই প্রতিবাদে সামিল হননি দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যা নিয়ে সমালোচিতও হতে হয়েছে তাকে। এবার সেই ইস্যুতেই মুখ খুলেছেন তারকা এ অভিনেতা। জানিয়েছেন কেন তিনি তখন কোনো মন্তব্য করতে পারেননি।
৯ আগস্ট দুপুরে চঞ্চল তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি… আমার নাম ব্যবহার করে কোনো বিদেশি/দেশি পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়, তার দায় আমার নয়। কারণ এখন পর্যন্ত আমি কোনো পত্র-পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিইনি। আমি সাধারণ একজন শিল্পী।’
এরপর নিজের পেশাগত পরিচয় নিয়ে এই অভিনেতা আরও লিখেছেন, ‘পেশাগত কারণ ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।’
তার এমন পোস্টের পর অনেকেই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে নেতিবাচক মন্তব্যই বেশি শুনতে হয়েছে তাকে। সরকার পতনের পর এখন কেন এসব বলছেন তিনি সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
এদিকে প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের চরিত্রে ‘পদাতিক’ সিনেমায় অভিনয় করেও আলোচনায় রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সৃজিত মুখার্জি।
চঞ্চলের অভিনয় জীবন শুরু হয় চারুকলার ছাত্র থাকাকালীন আরণ্যক নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। পরবর্তীতে অসংখ্য নাটক ও টিভি সিরিজে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন চঞ্চল। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। তার অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। চঞ্চল চৌধুরী কোডা, সোডা ও ইউডা কলেজের চারুকলার প্রভাষকও।
কলি