সাভারের রানা প্লাজা ধসে অনেক পোশাককর্মী মারা যান। ঘটনার ১৭ দিন পর ইট-বালুর ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় রেশমা নামের এক পোশাককর্মীকে। এ ঘটনাটি সারা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে সে সময়।
আর এই কাহিনি নিয়ে পরিচালক নজরুল ইসলাম খান ২০১৩ সালে নির্মাণ শুরু করেন ‘রানা প্লাজা’ নামে একটি সিনেমা। রেশমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। তার বিপরীতে টিটু চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাইমন সাদিক।
ছবিটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর নির্মাতা হাইকোর্টে রিট করেন।
২০১৫ সালের ১১ জুলাই ছবিটি সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায়। কিন্তু ওই বছরের ২৪ আগস্ট মুক্তির ঠিক আগের দিন আবারও প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা আসে। আটকে যায় ছবির মুক্তি। এরপর সিনেমাটি নিয়ে তেমন কোনো কথা জানা যায়নি। মুক্তি নিয়ে পরিচালকের মাঝে দেখা যায়নি তেমন তোড়জোড়। এক প্রকার হতাশা থেকেই ছবিটির মুক্তি থেকে সরে আসেন নির্মাতা।
এবার নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন ‘রানা প্লাজা’র নির্মাতা। কারণ দেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে। আশা করছেন, ছবিটি এবার সেন্সর ছাড়পত্র পেয়ে হয়তো মুক্তি দিতে পারবেন নজরুল ইসলাম খান।
আগামী সপ্তাহে সব কাগজপত্র ঠিক করে আবারও সেন্সর বোর্ডে ছবিটি জমা দেবেন নির্মাতা। এমনটিই জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে।
এ সম্পর্কে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গত ১০ বছর অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার ছবিটি সেন্সর দেওয়া হয়নি। একবার মুক্তির আগের দিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর পর থেকেই আমি আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। যদিও বোর্ডের সদস্যরা আমার সঙ্গে বসে ছবিটি দেখেছেন। বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছেন, দারুণ ছবি। কিন্তু ছাড়পত্র দিতে ওপর থেকে নিষেধ করা হয়েছে। ছবিটি মুক্তি দিতে হাইকোর্টেও গিয়েছিলাম। লাভ হয়নি। ছবিটি মুক্তি দিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি।মন্ত্রীর কাছেও গিয়েছিলাম। কেউ পাশে দাঁড়াননি। এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ কথা বলতে পারছে, নিজের মত প্রকাশ করতে পারছে। আশা করছি, আমিও ছবিটি মুক্তি দেওয়ার স্বাধীনতা পাব।’
ছবিটি প্রযোজনা করেছে এমএ মাল্টিমিডিয়া হাউস।
জাহ্নবী