ঢাকা ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

চার সিনেমার নাম স্থগিত, নতুন শুটিং বন্ধ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
চার সিনেমার নাম স্থগিত, নতুন শুটিং বন্ধ

বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

ইতোমধ্যেই দেশের কয়েকটি জেলা হয়েছে বন্যাকবলিত। এ কারণে লাখ লাখ মানুষ হয়েছেন পানিবন্দি। বন্যার বিপর্যয়ও অনেকটা সামলে নিয়েছেন দেশের মানুষ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যেই ফিরেছে স্বাভাবিক কাজের গতি। দেশের সব সেক্টরে অচলাবস্থা কাটিয়ে সচল হলেও শোবিজ অঙ্গন রয়েছে এখনো স্থবির। তারকারা বলতে গেলে বেকার হয়ে আছেন। টেলিভিশন, মিউজিক ও চলচ্চিত্রের কাজ থেমে আছে দীর্ঘদিন ধরে। অল্প কিছু নাটকের শুটিং হলেও নতুন কোনো সিনেমার শুটিং আদৌ শুরু হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে আইসিইউতে থাকা এ শিল্প কবে ঘুরে দাঁড়াবে তার কোনো জবাব মিলছে না। এভাবে চলতে থাকলে এর পরিণতি শেষ পর্যন্ত কী হবে তা নিয়েও কপালে চিন্তার ভাঁজ সংশ্লিষ্টদের।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সরকার পতনের আগে–পরে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় পর নতুন একটি মাত্র সিনেমা মুক্তি পেয়েছে গত ২৩ আগস্ট। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত সিনেমার নাম ‘অমানুষ হলো মানুষ’। সিনেমাটি ঢাকাসহ দেশের ২১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এতে অভিনয় করেছেন ডিপজল ও মৌ খান জুটি।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা করেছেন কয়েকজন পরিচালক। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে সিনেমাগুলোর নাম নিবন্ধন করেছেন তারা। শেখ হাসিনার পতনের পর ‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গটি আলোচনায় উঠে এসেছে বারবার। যেখানে সরকারের বিরাগভাজনদের বন্দি রেখে চালানো হতো নির্যাতন। সেই ‘আয়নাঘর’-এর কাহিনি নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনজন পরিচালক। এর মধ্যে খ্যাতিমান নির্মাতা বদিউল আলম খোকন ‘ভয়ংকর আয়নাঘর’, নির্মাতা জয় সরকার ‘আয়নাঘর’ এবং জানেসার ওসমান ‘অন্ধকারের আয়নাঘর’ নামে সিনেমাগুলো নির্মাণের ঘোষণা দেন।

এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ নামেও একটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন নির্মাতা এম কে জামান। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে সিনেমাটির নামও নিবন্ধন করেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলের চেয়ারপারসনকে নিয়ে কোনো সিনেমা বা ডকুমেন্টরি নির্মাণের অনুমতি কাউকেই দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া হাইকোর্টের এক আইনজীবী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিকে সিনেমাটি নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। এতে জানানো হয়েছে, সিনেমাটি নির্মাণের জন্য বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের কোনো অনুমতি নেই। এ জন্য ওই সিনেমাটির পাশাপাশি আয়নাঘরের কাহিনি নিয়ে সিনেমাগুলোর নামও স্থগিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উপ-মহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা (অপূর্ব রানা)।

তিনি বলেন, ‘‘আয়নাঘর যেহেতু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থার একটি ইন্টারগেশন সেল, তাই বিষয়টি সেনসেটিভ। এ জন্য তাদের অনুমতি ছাড়া আমরা এ ধরনের ঘটনা নিয়ে সিনেমা নির্মাণের অনুমতি দেইনি। তাই আপাতত সিনেমাগুলোর নাম চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি স্থগিত করেছে। যদি অনুমতি নিয়ে সঠিক পন্থায় সিনেমাগুলো নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তবে এই স্থাগিতাদেশ উঠে যাবে। এ ছাড়া ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সিনেমা নিয়ে একজন আইনজীবী আমাদের সমিতিতে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাই এই সিনেমার নামও আমরা স্থগিত করেছি।’’

এগুলো ছাড়াও নতুন আরও তিনটি ছবির নাম পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে রাশিদ পলাশের ‘দরবার’, বেলাল সানির ‘পরিবর্তন’ এবং রাশেদ সেনের ‘৩৬ জুলাই (এক দফা)’।

এগুলোর বাইরে যেসব সিনেমাগুলোর শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল সেগুলো পিছিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শাকিব খানের ‘বরবাদ’। চলতি মাসে এর শুটিং হওয়ার কথা ছিল। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, সিনেমাটির শুটিং পিছিয়েছে। কবে নাগাদ শুরু হবে, তাও অনিশ্চিত।

পিছিয়েছে শাকিব খানের আরও একটি সিনেমা ‘শের’-এর শুটিংও।

সেপ্টেম্বরে শুটিং শুরুর কথা ছিল সাইফ চন্দন পরিচালিত শরীফুল রাজ-ইধিকা পালের সিনেমা ‘সাহেব’। গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আপাতত শুটিংয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই সংশ্লিষ্টদের। পূজা চেরি অভিনীত ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার বাকি অংশের শুটিং চলতি মাসের মাঝামাঝিতে শুরুর পরিকল্পনা ছিল। সেটিও বাতিল হয়েছে। চিত্রনায়িকা পূজা চেরি ও আদর আজাদকে নিয়ে ‘দরদীয়া’ নামে একটি সিনেমার শুটিং চলতি বছরেই শুরুর কথা ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটিও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

সিনেমা সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যে, নতুন কোনো সিনেমার শুটিং এখন হবে না। যারা সিনেমা প্রযোজনা করতেন, তারা একটু সময় নিচ্ছেন। চলচ্চিত্রে এই অচলাবস্থা কবে নাগাদ কাটবে সে সম্পর্কেও অনিশ্চিত তারা।

জাহ্নবী

পরপর প্রকাশিত দুই নাটকে অনবদ্য নওবা

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
পরপর প্রকাশিত দুই নাটকে অনবদ্য নওবা
অভিনেত্রী নওবা। ছবি: সংগৃহীত

হালের সর্বকনিষ্ঠ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন নওবা। পড়ছেন উচ্চমাধ্যমিকে। পড়াশুনার পাশাপাশি অভিনয়ও করছেন তিনি বেশ আগ্রহ নিয়ে। এরইমধ্যে ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করে নওবা দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন।

বিশেষ করে তরুন নাট্যপ্রেমী দর্শকেরা নওবার অভিনয় বেশ আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করেন। এরইমধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তার অভিনীত দু’টি নাটক প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম নাটকটি ছিলো পথিক সাধন রচিত ও পরিচালিত ‘আমার ঠিকানা তুমি’ ও অন্যটি সেজান নূর রচিত ও মোহন আহমেদ পরিচালিত ‘ভালোবেসে রেখো’। প্রথম নাটকটি প্রকাশ পায় গেলো ১৫ সেপ্টেম্বর। পরের নাটকটি প্রকাশ পায় ৪ অক্টোবর।

দু’টি নাটকই অল্প সময়ের ব্যবধানে দশ লক্ষেরও (প্রতিটি নাটক) বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন। দু’টি নাটকেই নওবার বিপরীতে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ। দু’টি নাটকেই অনবদ্য অভিনয়ের জন্য বেশ সাড়া পাচ্ছেন এবং প্রশংসিত হচ্ছেন নওবা।

নওবা বলেন, দু’টি নাটকই প্রকাশের পর থেকে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। দুটি নাটকেরই গল্প এবং চরিত্র আমার কাছে বেশ ভালোলেগেছিলো বিধায় মন দিয়ে কাজ করেছি। যার ফলে নাটক দু’টি প্রকাশের পর দারুণ সাড়া পাচ্ছি। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সবসময় যে তারা আমার অভিনীত নাটক উপভোগ করেন এবং তাদের অনুভূতিও প্রকাশ করেন। নির্মাতা পথিক সাধন ভাইয়া ও মোহন আহমেদ ভাইয়ার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। কারণ দু’জনই তাদের নাটকে চরিত্রানুযায়ী অভিনয় করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। ধন্যবাদ আমার সহশিল্পী পার্থ শেখ ভাইয়ার কাছেও। আগামীতে আরো ভালো ভালো গল্পের নাটকে কাজ করার প্রত্যাশা রাখি।

এদিকে নওবা নিমন মোরশেদের পরিচালনায় বিকাশ-এর একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। বিটিভিতে ছোটবেলায় বাচ্চাদের অনুষ্ঠান ‘কাননে কুসুম কলি’র উপস্থাপনা করতেন নওবা তাহিয়া। বিটিভিরই সাপ্তাহিক নাটক ‘ফেরার গল্প’ নাটকে অভিনয় করেন। 

নওবা অভিনীত অন্যান্য আলোচিত নাটকের মধ্যে রয়েছে রুবেল আনুশের ‘সালিশ’, ‘মেঘফুল’, ‘প্রথম প্রেমের বানান ভুল’(শর্টফিল্ম)’সহ ‘অন্য্যা পরিচালকদের ‘বুঁনোহাস’, ‘বিসর্জন’,‘ বড্ড মায়া লাগে’ ,‘ সহযাত্রী’,‘ জেদ’। এসএ টিভিতে প্রচার চলতি ‘সিনেমার প্রিয় গান’র উপস্থাপনাও করেন তিনি। শাহরিয়ার পলকের নির্দেশনায় গ্রামীন ফোনের বিজ্ঞাপনে মডেল হবার পর আরো প্রায় ২৫টি বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। 

 

পজিটিভ ঢাকা'র থিম সং নিয়ে আসছেন সানি আজাদ

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২০ এএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
পজিটিভ ঢাকা'র থিম সং নিয়ে আসছেন সানি আজাদ
‘পজিটিভ ঢাকা’ শিরোনামে থিম সং গাইলেন সানি আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন সাংবাদিক ও কন্ঠশিল্পী সানি আজাদ ৷ এবার ‘পজিটিভ ঢাকা’ শিরোনামের একটি থিম সং গাইলেন তিনি ৷ সংগঠনটি সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় ৷ মানবতার কল্যাণে জেগে উঠুক প্রতিটি প্রাণ এটাই ‘পজিটিভ ঢাকা’র আহ্বান। সৃষ্টির সেবায় পজিটিভ ঢাকা এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি ৷ গানটির কথা লিখেছেন গীতিকবি নীহার আহমেদ ৷ সুর ও সংগীত করেছেন রিয়েল আশিক ৷ গানটির তত্বাবধানে রয়েছে সানি আজাদ বিডি এবং মিডিয়া পার্টনার ‘সময়কন্ঠ’ ৷ 

গান সম্পর্কে সানি আজাদ বলেন, জনসচেতনতায় কাজ করায় আনন্দ পাই ৷ ‘পজিটিভ ঢাকা’ সংগঠনটি সবসময় মানুষের কল্যানে কাজ করে ৷ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়নো, কারো রক্তের প্রয়োজন হলে ছুটে যাওয়া থেকে শুরু সৃষ্টির সেবায় এমন  অনেক কাজেই হাত বাড়ান পজিটিভ ঢাকা ৷ এবার সেই পজিটিভ ঢাকা-এর থিম সং গাইলাম ৷  সত্যিই এটা ভালো লাগার ৷

উল্লেখ্য,এর আগেও সানি আজাদ তৈরি করেছিলেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের থিম সং 'সবুজ আন্দোলন' এবং ক্যান্সার সচেতনতার গান 'ক্যান্সার' ৷

/আবরার জাহিন

আরিয়ানায় মুগ্ধ শ্রোতা

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
আরিয়ানায় মুগ্ধ শ্রোতা
মার্কিন সংগীত তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডে। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন জনপ্রিয় সংগীত তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডে। ভক্তদের কাছে গানের বাইরেও এবার নিজের অবিশ্বাস্য প্রতিভার প্রমাণ দিলেন এই গায়িকা। ১২ অক্টোবর স্যাটারডে নাইট লাইভ-এর উপস্থাপনা করেন এই সংগীতশিল্পী। উপস্থাপনা করলেও এই অনুষ্ঠানে ‘মাই হার্ট উইল গো অন’খ্যাত গায়িকা সেলিন ডিওন এবং ইউএফসিকে উৎসর্গ করে গান পরিবেশন করেন আরিয়ানা।

অনুষ্ঠানে সেলিন ডিওনের একটি হাস্যকর স্কেচও উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরিয়ানা বলেন, ‘ফুটবল এমন একটি খেলা যা আমাদের অতীত মনে করিয়ে দেয়। অতীতের সঙ্গে আমাদের সংযুক্ত করে। এ জন্যই গত সপ্তাহে আমি আর সেলিন ডিওন সানডে নাইট ফুটবলের একটি প্রোমোতে অংশ নিয়েছিলাম। ফুটবল ছাড়াও আরেকটি খেলা আছে, যেটা অতীতকে মনে করিয়ে দেয়। মনের ভেতরের তিক্ত মধুর স্মৃতিকে জাগিয়ে তোলে।’

তবে রাতের সব আকর্ষণ কেড়ে নেয় আরিয়ানার গাওয়া ইউএফসির থিম সং। গানটির লাইনে ইউএফসি ফাইটারদের খেলাটায় যে নৃশংসতা সহ্য করতে হয় সেটা তুলে ধরেন তিনি। তার গানে নারী ও পুরুষ ফাইটারদের কথাও উঠে আসে। পারফরম্যান্সের সময় আরিয়ানা ইউএফসি ধারাভাষ্যকারদের নিয়েও মজা করতে ছাড়েননি। এক পর্যায়ে পারফরম্যান্সের সময়ে ইউএফসি ফাইটের স্থিরচিত্র স্ক্রিনে ভেসে উঠলে এই মার্কিন তারকা চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘এই উত্তেজনা এবং দক্ষতাই ইউএফসির সৌন্দর্য।’

 কলি

 

মুক্তির আগেই নতুন রেকর্ডের বার্তা

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
মুক্তির আগেই নতুন রেকর্ডের বার্তা
পুষ্পা ২ । ছবি: সংগৃহীত

ভারতের দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন তার ‘পুষ্পা’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় বক্স অফিসে নতুন আয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন। এবার আসতে চলেছে এই ছবির সিকুয়াল ‘পুষ্পা ২’। এ ছবিটি মুক্তির আগেই ভারতীয় বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। অনেকেই ধারণা করছেন, মুক্তির পর ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের আয়ের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে বহুল প্রতীক্ষিত ও আলোচিত এই সিনেমাটি।

১২ অক্টোবর ভক্তদের উদ্দেশ্যে পুষ্পা ২-এর নতুন একটি পোস্টার প্রকাশ করেছে নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। আর এর মাধ্যমে সিনেমাটির মুক্তির তারিখ পেছানো নিয়ে সব গুজবের অবসান করল নির্মাতা। আগামী ৬ ডিসেম্বর সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে কানাঘুষা আছে, নির্ধারিত দিনের এক দিন আগেও অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বরও ছবিটি মুক্তি দেওয়া হতে পারে।

তবে এ নিয়ে এখনো কোনো কিছুই নিশ্চিত করেননি সিনেমার পরিচালক-প্রযোজক কেউই। যদি এমনটা হয়, তাহলে ভারতীয় বক্স অফিসে সিনেমা মুক্তির উদ্বোধনী দিনেই ভারত থেকে প্রায় ১৭৫ কোটি রুপি আয়ের রেকর্ড গড়বে ‘পুষ্পা ২’। এখন পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে উদ্বোধনী দিনে সর্বোচ্চ ১৩৪ কোটি আয়ের কীর্তি রামচরণ ও জুনিয়র এনটিআর অভিনীত ‘আরআরআর’ সিনেমার দখলে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম দিনেই সিনেমাটি তেলেগু এবং বলিউড থেকে আয় করতে পারে প্রায় ১৫৫ কোটি রুপির মতো। দক্ষিণের বাকি রাজ্যগুলো থেকে ১৫-২০ কোটি রুপি তুলতে পারবে ‘পুষ্পা ২’।

সূত্র কইমই ডট কম

 কলি 

মামুনুর রশীদের নাটক ‘চরণ ছুঁয়ে যাই’

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
মামুনুর রশীদের নাটক ‘চরণ ছুঁয়ে যাই’
মামুনুর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের কিংবদন্তি অভিনেতা, নাট্যকার, নাট্যনির্দেশক মামুনুর রশীদ নতুন একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করছেন। নাটকের নাম ‘চরণ ছুঁয়ে যাই’। নাটকটি রচনা করেছেন তিনি নিজেই। এরই মধ্যে নাটকটির ত্রিশ পর্ব নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছেন।

মামুনুর রশীদ বলেন, ‘চরণ ছুঁয়ে যাই’ মূলত একটি স্কুলের  নানান সমস্যাকে কেন্দ্র করে নাটকের গল্প। এতে আমি স্কুলের একজন প্রতিষ্ঠাতার চরিত্রে অভিনয় করেছি। এরই মধ্যে নাটকটির ত্রিশ পর্বের নির্মাণকাজ শেষ করেছি। এটি ৫২ পর্ব পর্যন্ত নির্মাণ করব আমি। এরপর চ্যানেল আইতে জমা দেব। নাটকটি চ্যানেল আইতে প্রচারের জন্যই নির্মিত হয়েছে। আর এর মধ্যে আরও একটি ধারাবাহিক নাটকে আমি অভিনয় করছি। নাটকটি নির্মাণ করেছেন সাজিন আহমেদ বাবু। বাবুর পরিচালনায় এর আগেও আমি নাটকে অভিনয় করেছি। বাবু অত্যন্ত ভদ্র ও ঠান্ডা মাথার একজন পরিচালক। আমার তার নির্দেশনায় তার ইউনিটে কাজ করতে খুব ভালো লাগে।

সাজিন আহমেদ বাবু পরিচালিত ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ নাটকে গল্পের কেন্দ্রীয় একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন মামুনুর রশীদ। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। নাটকটি এনটিভিতে প্রচার হচ্ছে।

১৯৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি মামুনুর রশীদ টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীর পাইকড়া গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।  ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পুরকৌশল বিভাগে ডিপ্লোমা করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।  

১৯৬৭ সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে টেলিভিশনের জন্য নাটক লিখতে শুরু করেন, যার বিষয়বস্তু ছিল মূলত পারিবারিক। সে সময় কমেডি নাটকও তিনি লিখতেন। নাট্যশিল্পের প্রতি তার প্রকৃত ভালোবাসা শুরু হয় টাঙ্গাইলে তার নিজ গ্রামে যাত্রা ও লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে তার নিবিড় পরিচয়ের সূত্র ধরে। তার যাত্রার অভিনয়-অভিজ্ঞতা তার নাট্যভাবনাকে খুবই প্রভাবিত করেছিল।

১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং জড়িত হন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি তার প্রথম রচিত নাটক ‘পশ্চিমের সিঁড়ি’ কলকাতার রবীন্দ্রসদনে মঞ্চায়নের চেষ্টা করেন; কিন্তু তার আগেই ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায় নাটকটি আর তখন অভিনীত হয়নি। পরে নাটকটি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে অভিনীত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের পর শুরু হয় তার আরেক নাট্যসংগ্রাম ‘মুক্ত নাটক আন্দোলন’। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে তিনি তৈরি করেন তার আরণ্যক নাট্যদল। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে- ‘কীত্তনখোলা’, ‘আঁধিয়ার’, ‘মনপুরা’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘মৃত্তিকামায়া’, ‘রূপকথার গল্প’, ‘নদীজন’, ‘মায়াবতী’, ‘দেশান্তর’, ‘আলতাবাণু’ ইত্যাদি।

জাহ্নবী